নাকানি-চুবানি খেয়ে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ।।
বাংলা ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করো-
অনেকে হয়তো টাইটেল দেখে অবাক হচ্ছেন। ভাই বাংলাদেশের জন্য এই টাইটেলই পারফেক্ট। যারা খেলার শেষর পাঁচ ওভার দেখেছন তারা হয়তো বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। আমি যখন খেলা দেখতেছিলাম তখন ধারাভাষ্যকার বলতেছিল যাদের হার্টের প্রবলেম আছে তারা যেন বাংলাদেশের খেলা না দেখে। ধারাভাষ্যকার ঠিকই বলেছে। একটি বোল ছাড়লেই হার্টবিট বেড়ে যায়। কারো উপর একটি ডেলিভারি মোকাবেলা করার মত নির্ভর করা যায় না। শেষের দিকে প্রতিটা বোল কি যে একটা উত্তেজনায় গেছে যারা খেলা দেখেছে তারাই অনুধাবন করে করেছে। যেখানে চার পাঁচ ওভার আগেই খেলাটা জিতে যাওয়ার কথা। সেটা লাষ্ট ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে। যায়হোক তারপরও খেলাটি জিতেছে।
আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে আমেরিকায় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা চলতেছে। এই বছরের টি-২০ আসরের ডি গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। আজকের খেলাটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম খেলা,যেটা শ্রীলঙ্কার সাথে মুখোমুখি হয়। খেলাটি শুরু হয় বাংলাদেশি টাইম সকাল সাড়ে ছয়টার সময়। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, ডালাসে। পনের অভার পর্যন্ত খেলা দেখেছি বাসায় আর বাকিটা দেখেছি অফিসে এসে। গ্যালারিতে বসে যারা খেলা দেখেছে তাদের অবস্থা কেমন ছিল যারা টিভিতে লাইভ দেখেছে তারা বুঝতে পেরেছে। সেটা হয়তো আমি এখানে লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। তারপরেও সংক্ষিপ্ত আকারে রিভিউ করার চেষ্টা করতেছি।
বাংলাদেশ টজ জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তটা ভালোই ছিল। দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রথমেই ব্যাটিং করতে নামে পথুম নিসাঙ্কা ও উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস। প্রথম ২১ রানে কুশল মেন্ডিস আউট হলেও তাদের শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল। পথুম নিসাঙ্কা ভালোই ব্যাট চালিয়েছে। সে নয় ওভার পর্যন্ত টিকে ছিল। সে অল্প একটুর জন্য ফিফটি পুরন করতে পারে নাই। মুস্তাফিজের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ ধরা পরে। ফলে তাকে ৪৭ রান করে ফিরে যেতে হয়। তারপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও আসালঙ্কা কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করে। তারা দুইজন মিলে ৪০ রান যোগ করে। এর পরে আর কেউ তেমন ধরে খেলতে পারে নাই। প্রথম দিকে হয়তো ভেবেছিলাম ১৫০+ হতে পারে। তবে মুস্তাফিজ ও রিশাদ হোসেনের বোলিং এর তোপে মাঠে দাড়াতে পারে নাই লঙ্কানরা। যার ফলে সর্বশেষে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় । তাদের মধ্যে তেমনে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারে নাই। তাই রান তুলনা মূলক কিছুটা কম হয়েছে। এই রান তুলতে গিয়েই বাংলাদেশে নাকানি চুবানি খেয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে ১২৫ রানের টার্গেন নিয়ে প্রথমেরই দুই অপেনারকে হারিয়ে সাগরের অথই জলে ভাসতে থাকে টাইগার বাহিনী। সৌম্য সরকার শূণ্য ও তানজিদ হাজান তিন রান করে ফিরে যায়। তখনই বুঝতে পেরেছিরাম টিম বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে। ক্যাপটেন শান্তও ১৩ বলে সাত রান করে আউট হয়ে যায়। আর তখনই বাংলাদেশের দর্শকরা হতাশ হয়ে পড়ে। তবে লিটন দাশ আর তৌহিদ হৃদয় খেলাটা ধরার চেষ্টা করে। তারা দুই জনের উপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে বাংলাদেশর রানের স্কোর। তবে তারা বেশিক্ষন থাকতে পারে নাই। দুই জনই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়। হৃদয় ৪০ ও লিটন ৩৬ রান করে মোটামুটি এগিয়ে দিয়ে যায়। তারপর সবার আশা ছিল সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর উপরে। কিন্তুু সাকিব যখন ১৪ বলে ৮ রান করে চলে যায় তখন আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারন ৯৯ রান থেকে ১১৩ রান পর্যন্ত ১৪ রানে চার উইকেট চলে যায়। অবশেষে সবাই তাকিয়ে ছিল মাহমুদুল্লাহর দিকে। কিন্তুু মাহমুদুল্লাহ সাপোর্ট পাচ্ছিলো না। ১১৪ রানের পরে মাহমুদুল্লাহ যখন একটি ছয় মারে,তখন সবার মুখে হাঁসি ফুটে,একটু ভরসা পায়। তারপর মাহমুদুল্লাহর হাত ধরেই জয় পায় টাইগার বাহিনী।
যদি শ্রীলঙ্কা একশো ত্রিশ বা পঞ্চাশ রান করতো তাহলে আর বাংলাদেশের জয়ের মুখ দেখা লাগতো না। মুস্তাফিজ ও রিশাদ ভালো বোলিং করেছে। তারা দুই জনই তিনটি করে উইকেট পেয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে রিশাদকেই ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। তবে একটি কথা বলতে হয় উত্তেজনার খেলা দেখে মজা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া এমন ভাবে বলেন কেন? তবুও তো জয়ের দেখা পেয়েছে। তা না হলে তো মান সম্মান সব বেহেস্তে যেত। বেশ ভালো লাগলো বাংলাদেশের জয়ের কথা শুনে। আপনি বেশ সুন্দর করে পুরো খেলার বিবরণ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
নাকানি-চুবানি তো আমি খেয়েছি,আরেকটু হলো হার্ট এ্যাটার্ক করে মারা যেতাম,হা হা হা।
অবশেষ বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছে বেশ ভালো লাগলো। বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা রইলো। এই খেলাটি আমি দেখেছি বাংলাদেশ অনেক কষ্ট করে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। রিশাদ ভালো বোলিং করেছে। করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জী ভাইয় শ্রীলঙ্কার সাথে খেলাটা জিততে অনেক কষ্ট হয়েছে। যায়হোক অবশেষে জয় পেয়েছে। ধন্যবাদ।
অবস্থা টা এমন যে ভাই বাংলাদেশের খেলা দেখা একেবারে বাদ দিতে হবে। না হলে দেখবেন কবে হার্ট অ্যাটাক করেছেন হা হা। একেবারে সহজ ম্যাচ। দেখেশুনে খেললেই সহজে জয় নিয়ে মাঠ ত্যাগ করা যায় অথচ এরা কী করল। এই ম্যাচ এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গেল যে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।।
জী লাষ্টে মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে গেলে খেলা শেষ হয়ে গেছিলো। কঠিন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। ধন্যবাদ।