বাসার পাশে ছোট্ট একটি মেলা।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাসার পাশে ছোট একটি মেলাতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা জানেন যে বর্তমানে কি পরিমান গরম পড়েছে। এই গরমের মধ্যে প্রায় মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে গেছি। অতিরিক্ত গোসল না করে ভিজা গামছা অথবা অন্য কোন সুতি কাপড় দিয়ে শরীর মুছলে আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া বেশি বেশি ওরস্যালাইন খাওয়া জরুরী। এই গরম কখন কমবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। সারা বাংলাদেশেই একই অবস্থা।
আমি বর্তমানে যে বাসাতে থাকি, এটা তিনতলা একটি বাসা। আর আমরা তিন তলাতেই থাকি। কিন্তু এখানে বিকালের দিকে ছাদের গরমে বাসাতে থাকা অসম্ভব হয়ে যায়। তাই চিন্তা করলাম বাসা টা চেঞ্জ করে ফেলবো। বাসা খুঁজার উদ্দেশ্যে নিয়ে গত শুক্রবারে আমাদের অফিসের আশেপাশের এলাকায় বাসা খুঁজতে গেলাম। বাসা খুঁজে বের করা কি একটা বিরক্তিকর কাজ সেটা আপনারা সবাই জানেন। ঠিকভাবে সবকিছু মিলিয়ে বাসা পাওয়া যায় না। বাসা খুঁজতে গেলে কত যে সমস্যা দেখা যায়, সেটা বলে বুঝানো যাবে না।
ঘুরতে ঘুরতে একটি বাসা পেয়ে গেছিলাম। নভেম্বরের ১ তারিখ বাসাটা খালি হবে। বাসাটা অনেক সুন্দর ছিল আমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু এদিক দিয়ে বাসা না পেয়ে আমরা বর্তমান যে বাসাতে অবস্থান করতেছি, সেই বাসাটি না করা হয়নি। গত ১২ তারিখ যদিও বলেছিলাম কিন্তু বাড়িওয়ালা রাজি হয়নি। যদিও আমি বলে রেখেছি যদি ভাড়াটিয়া পায় তাহলে যেন আমাকে জানাই। দেখা যাক কখন বাসা ছাড়তে পারি।
ওই বাসাটা দেখে আসার পথে ছোট্ট একটি জায়গায় একটি মেলা দেখতে পেলাম। চারদিকে বিল্ডিং এর মাঝখানে ছোট্ট একটি জায়গাতে খুব সুন্দর একটি মেলা বসেছিল। এত অল্প একটু জায়গার মধ্যে এত বড় মেলা সেটা আমি কখনো বুঝতে পারিনি। আর মেলাতেও প্রচুর মানুষজন ছিল। আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় মেলার গেইট দেখে মেলার ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে গিয়ে মানুষজন আর মেলার জিনিসপত্র দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ছোট একটি জায়গাতে এত সুন্দর করে সবকিছু কিভাবে সাজানো।
মেলাতে রয়েছে বাচ্চাদের বিনোদনের বিভিন্ন জিনিসপত্র। রয়েছে অনেক ধরনের রাইড। একটি নৌকার রাইড দেখলাম, এটা সব জায়গায় দেখা যায়। নৌকাটির মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন বাচ্চা বা বড় মানুষ বসতে পারে। এটা ইঞ্জিনের সাহায্যে এপাস থেকে ওপাশ রানিং করে। ছোট বাচ্চারা, মেয়ে বা মহিলারা একটু ভয় পায়। তবে চ্যাংড়া ছেলেরা এটা খুবই এনজয় করে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে এটা দেখলাম।
এছাড়াও আরো বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা। যেটা আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে খুবই প্রচলিত একটি বিনোদনের উপকরণ। তবে আমি কোন সময় এই নাগরদোলাতে উঠি নাই। এটাতে উঠে গুড়িয়ে এপাশ থেকে ওপাশে যাওয়া আমার কাছে আনন্দের কিছু মনে হয় না। যাই হোক বাচ্চারা মজা পায়, আরেকটি রাইড রয়েছে, যেটাতে বসে বাচ্চারা চতুরপাশ দিয়ে ঘুরে। এটি খুবই সিম্পল একটি রাইড।
মেলার মধ্যে আপামনিদের সাধুগুজু করার জিনিসপত্রের অভাব ছিল না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মেলাতে রয়েছে। মোটামুটি অল্প টাকার মধ্যেই অনেক ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখলাম। সাংসারিক বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। আবার কিছু দোকান রয়েছে একদামে বিভিন্ন সাংসারিক ও প্রয়োজনের জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখলাম। আমি কোন কিছু কিনলাম না, শুধু মেলার ভেতর আশে পাশে একটু ঘোরাঘুরি করলাম।
খাবারের জিনিসপত্র ছাড়া মেলা তো জমে না। বিভিন্ন ধরনের খাবারের জিনিসপত্র দেখলাম। এগুলো সব জায়গায় দেখা যায়। মাহফিল হলে, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিকভাবে কোথাও মানুষ জমায়েত হলে, এছাড়া এমনিতেও বিভিন্ন জায়গায় এ সমস্ত খাবারের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। মেলাতে আমার এক বড় ভাইকে দেখতে পেলাম। তার সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে আমি মেলা থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
আমাদের এদিকে প্রায় সময় এসব মেলা হয়ে থাকে। তবে আমি কোন সময় এসব মেলা থেকে কোন কিছু কিনি না। মাঝেমধ্যে খাবার জিনিস পছন্দ হলে কিনে আনি।সব মেলাতে অবশ্যই যাওয়া হয়, কোন কিছু আনকমন থাকলে সেটা কেনার চিন্তা করি। আমার মত আরো শত শত মানুষ মেলাতে যাই। কেউ কিনতে যাই, কেউ আবার দেখতে যায়। কেউ আবার বাচ্চাদের নিয়ে যায় বিনোদনের জন্য। এভাবে আমাদের জীবন তরী চলতে থাকবে।
তো বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না। বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে। ব্লগটি শেয়ার করেই লাঞ্চ করতে যাবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সেই কামনা করেই বিদায় নিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | বাসার পাশে ছোট্ট একটি মেলা।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৩/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বেশ ভালো লাগলো আপনার এই বাসার পাশের ছোট্ট মেলা সম্পর্কে অবগত হতে পেরে। আসলে এই সমস্ত মেলাগুলোতে আপা মনিদের সাজুগুজু করার জিনিসই বেশি থাকে। আর তার পাশাপাশি ছোটদের খেলনা আর খাবারের দোকান। আমাদের জন্য কিছুই থাকে না বলতে গেলে। যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে আমাদের পকেটের টাকা খরচের বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া এসব মেলাতে ছেলেদের তেমন কিছু নাই। তবে আপামনি ও বাচ্ছাদের জিনিষ বেশি দেখা যায়। ধন্যবাদ।
বাসার উপরে ছাদ থাকলে ছাদের তাপ টা বেশি পড়ে। তাই বিকেলের দিকে রুমে অনেক গরম লাগে। আর এমনিতেও কয়েকদিন ধরে অনেক গরম পড়ছে। বাসার পাশে ছোট্ট একটা মেলাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। নাগরদোলায় জিনিসটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের এদিকে মেলা হলে আগে এগুলো দেখা যেত তবে এখন নাগরদোলা দেখা যায় না অন্যান্য বড় রাইড গুলো থাকে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নাগরদোলা হলো মেলার মূল সুন্দর্য। বাচ্চারা প্রচুর আনন্দ পায়। ধন্যবাদ।
ভাইয়া যারা শহরে থাকে তারা বাসা পরিবর্তন করতে অনেক কষ্ট হয়। যদিও আপনার বাসাটি তিনতালা এবং রুমও তিন তালার মধ্যে এই কারণে গরম একটু বেশি। যাইহোক আপনি দেখতেছি ছোট্ট একটি মেলাতে গেলেন। আসলে মেলাতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। তবে অনেক সময় মেলাতে অনেক ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী বাসা দেখে আসার পথে মেলাটি দেখে প্রবেশ করেছিলাম। ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন বাসা পরিবর্তন করা সত্যি অনেক কষ্টকর।মেলাতে অনেকেই যায় বিনোদনের জন্য। ছোট জায়গায় মেলা বেশ ভালোই হয়েছে। আসলে মেলাতে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী জায়গাটা ছোট হলেও ভিতরে অনেক জিনিষ দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ।
মেলাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে ভাই মেলাতে গেলে খুব ভালো লাগে আমার। বাসার পাশে মেলা হওয়াতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আসলে আজ কয়দিন বেশ গরম পড়তেছে গরমের মানুষ জনজীবন খুবই অতিষ্ঠ। মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া হঠাৎ করে মেলাটি দেখে প্রবেশ করলাম। ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ।
গরমের তীব্রতা টা সত্যি অনেক বেড়েছে। গরমে টিকে থাকা মুশকিল। আর বাসা খোঁজার যে পেইন সেটার কথা আর না বললাম ভাই। মেলার দৃশ্য গুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে ভাই। মেলার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া বাসা খোঁজা অনেক জামেলার কাজ। ধন্যবাদ।