প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল টিম বাংলাদেশ।।
খেলাধুলা করুন,মাদককে না বলুন-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা সবাই জানেন যে গত দুই দিন আগে এশিয়া কাপ খেলা শুরু হয়েছে। আমি খুব খেলা পাগল ছেলে। ব্যস্ততার জন্য অন্যান্য দেশের খেলা মিস করলেও বাংলাদেশের খেলা মিস করতে পারি না। তাই অফিসে বসে প্রথম পর্ব আর বাসায় বসে দ্বিতীয় পর্বের খেলা দেখেছি। গত কাল বাংলাদেশ আর স্বাগতিক শ্রীলংকার মাঝে খেলা হয়েছে। অসুস্থতার কারনে বাংলাদেশের টপ লেভেলের ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারে নাই। যার ফলে প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল টিম বাংলাদেশ।
চার রানের মাথায় শূণ্য রানে যখন তানজিদ হাসান এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যায় তখনই বড় ধরনের ধাক্কা খায় টিম বাংলাদেশে। অপিনিং ব্যাটসম্যানরা যদি এভাবে শূন্য রানে আউট হয়ে যায়, তাহলে দলের আশা ভরসা ভেঙ্গে যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের টপ লেভেলের ব্যাটসম্যানরা যদি রান তুলতে না পারে তাহলে টিম বাংলাদেশ অল্প রানেই ঘুটিয়ে যায়। যায়হোক একজনের উপর ভরসা করে তো আর খেলা হয় না। দেখা যাক পরের ব্যাটসম্যানরা কি করে। দলীয় পঁচিশ রানে যখন নাইম আহমদ আউট হয়ে যায় তখন সবার মন একে বারে ভেঙ্গে যায়। তারপর খেলার হাল টেনে ধরে শান্ত। তাকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগন আশায় বুক বাধেঁ। সবাই আশা করে দলীয় একজন ভাল করতে পারলেই রান হয়ে যাবে। তবে তাকে তো কেউ না কেউ সাপোর্ট দিতে হবে। শান্তুকে সাপোর্ট দেওয়ার মত কাউকে খুজে পাচ্ছিলাম না। বাংলাদেশ দলের ক্যাপটেন সাকিব যখন আসে তখন চিন্তা করেছি সে হয়তো দলের হাল ধরবে। শান্তকে সাপোর্ট দিবে।
শান্ত মোটামুটি ভালই খেলতে ছিল। সাকিবও তাকে সাপোর্ট দিচ্ছিলো। কিন্তুু ভাগ্যের নির্মমপরিহাস দলীয় ক্যাপটেন সাকিব এগারো বল খেলে মাত্র পাঁচ রান তুলে আউট হয়ে যায়। গোল বলের খেলা কাউকে দিয়ে ভরসা করা যায় না। তারপর আসলো তৌহিদ হৃদয়। সে আবার মোটামুটি ভালই খেলছিলো। শান্তকেও সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলো। সেও বেশিক্ষন থাকতে পারি নাই। মাত্র বিশ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর মুশফিকুর রহিম,মেহেদি আর কেউ দাড়াতে পারে নাই। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। অন্যদিকে শান্ত নিজের রান ৫০ এর ঘর পার করতে পারলেও অল্পের জ্য ১০০ এর ঘর ছুঁতে পারে নাই। তাকে কেউ সাপোর্ট দিতে পারে নাই। যার ফলে সে হাত খুলেই খেলতেছিলো। যার ফলে দলীয় ১৬৪ আর নিজের ৮৯ রান করে সে আউট হয়ে যায়। তারপর কেউ আর ১৬৪ এর ঘর উপরে তুলতে পারে নাই। টিম বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪২ অভার চার বল খেলে ১৬৪ রানেই ঘুটিয়ে যায়। সব কয়টি বলও খেলতে পারে নাই।
দ্বিতীয় পর্বে শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরাও প্রথম দিকে তেমন ভাল করতে পারে নাই। দলীয় ১৩ রানেই তাসকিন আহমদের বলে প্রথম উইকেট হারায় টিম শ্রীলংকা। তারপর ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লংঙ্কনরা। দলীয় ৪৩ রানে যখন তৃতীয় উইকেটের পতন হয় তখন আশায় বুক বাধেঁ টিম বাংলাদেশ। তারপর দলের হাল টেনে ধরে লংঙ্কান ব্যাটসম্যান সাদিরা সামারাবিক্রমা আর চারিথ আসালাঙ্কা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকে তারা। বাংলাদেশের বলাররা কিছুতেই তাদের কাবু করতে পারছিলো না। ধীরে ধীরে তাদের দলীয় রানের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যায়। তখন টিম বাংলাদেশ হতাশ আর দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকার জনগন ও ক্রিকেট ভক্তরা আশায় বুক বাঁধে। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় সাদিরা সামারাবিক্রমা নিজের নামের পাশে ৫৪ রান জমা করে আউট হয়ে যায়। ততক্ষনে দল জয়ের বন্ধরের কাছাকাছি চলে যায়।
এদিকে চারিথ আসালাঙ্কাকে কোন বলারই আটকাতে পারছিলো না। একের পর এক বাউন্ডারী মেরে দলকে জয়ের বন্ধরে পৌছে দেয় চারিথ আসালাঙ্কা। তাকে আর কেউ আউট করতে পারে নাই। নিজে ৬২ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। ৩৯ অভার বল খেলে পাচঁ উইকেট হারিয় ১৬৫ রান করত সক্ষম হয় টিম শ্রীলংঙ্কা। পাচঁ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত হয় মাথিশা পাথিরানা। কারন সেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঠে দাড়াতে দেয়নি। ৭.৪ অভার বল করে ৩২ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেয়। সাধারন ভাবে মনে হতে পারে চারিথ আসালাঙ্কা সব থেকে ভাল খেলেছে। সেই ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তুু মাথিশা পাথিরানা যদি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আটকাতে না পারতো তাহলে কোন ভাবেই শ্রীলংকার পক্ষে এই খেলাটা জেতা সম্ভব হতো না। বাংলাদেশ আজকে হেরেছে সমস্যা নেই, সামনে ভালো খেলতে হবে। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ-১৬৪/১০ (৪২.৪)
শ্রীলংকা-১৬৫/৫ (৩৯)
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলে কালকের খেলাটা দেখে অনেক খারাপ লেগেছে।শুধু এবার না বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসলেই যেনো প্রেশার বেরে যায়।তবুও আশা করি বাংলাদেশ ফিরবে নতুন করে।
জী ভাইয়া বাংলাদেশের খেলা দেখলেই কেন যেন মাঠ বড় হয়ে যায়,বলিং ক্রিজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
কালকের ক্রিকেট খেলাটা আমি সম্পূর্ণ দেখেছিলাম। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা ম্যাচ। যদিও বাংলাদেশের ওপেনারারা অসুস্থতার কারণে নতুন ওপেন দিয়ে ব্যাট করানো হয়েছে। তারা সেই সৌরভ ভালো খেলতে পারে নাই। তানজিম হোসেন তামিম দুই বল খেলে জিরো রান করেছে। আর নাঈম শেখ করেছে ২২ বল খেলে ১৬ রান। একমাত্র শান্ত ছাড়া কেউ ব্যাটিং ভালো করে নাই। তবে বাংলাদেশ 164 রান পর্যন্ত করতে পেরেছে সবাই মিলে। অথচ শ্রীলংকা খুব স্বাভাবিকভাবে খেলে ৫ উইকেটে জয়লাভ করেছে। সত্যি বাংলাদেশের হার দেখে অনেক কষ্ট পেলাম। যাইহোক আপনি অফিসে এবং বাসায় খেলাটি দেখেছেন।তবে খেলার অনুভূতি খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু অভিজ্ঞতা ছাড়া এমন জাগায় কাউকে খেলালে এমনই হবে। ধন্যবাদ।
কেন জানিনা যখনই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে চাই নিজের মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। মনে হয় এই যে এখনই বুঝি আউট হয়ে যাবে। এশিয়া কাপের প্রথম খেলাতেই বাংলাদেশ অনেক বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে। এই ধাক্কাটা কাটিয়ে তোলা অনেক কঠিন হবে বাংলাদেশ দলের জন্য।
জী ভাইয়া বাংলাদেশের খেলা দেখলে হার্ট এ্যাটার্ক হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
আমি বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার খেলাটি সম্পূর্ণ দেখেছিলাম। তবে ভাইয়া আমি বাংলাদেশের খেলা হলে খেলাটি দেখার চেষ্টা করি। যদিও এবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশে ওপেনারগুলো নেই। বিশেষ করে তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। তাদের অনুপস্থিতে এখন ওপেন করতেছে তানজিল হোসেন এবং নাঈম শেখ। তবে দুজনে প্রথমে ব্যাটিং খারাপ করেছে। তবে আমাদের বাংলাদেশের ব্যাটিং এর চেয়ে শ্রীলংকার বোলিং অনেক ভালো হয়েছে। তবে শ্রীলংকার বোলিং এর প্রশংসা করতে হয়। পরে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং করেও খুব সহজে পাঁচ উইকেটে জয়লাভ করেছে। তবে আমি নিজে আশা করি সামনের ম্যাচ বাংলাদেশ আফগানিস্তান সাথে জিতে পরের রাউন্ডে যাবে। তবে আপনি খুব সুন্দর করে সম্পূর্ণ খেলা লিখে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অভিজ্ঞতা হীন খেলোয়ার দিয়ে এমন পজিশনে খেলালে এর থেকে বেশি আর কি আশা করা যায়। ধন্যবাদ।
প্রথম দিক থেকে বাংলাদেশের টিম সিলেকশন দেখেই আমি বলেছিলাম যে বাংলাদেশ অবশ্যই হারবে। ব্যস সেটাই ঘটে গেল নিজেদের প্রথম ম্যাচে। শ্রীলংকার কাছে লজ্জার হার। তবে পরবর্তীতে যদি টিমের কোন পরিবর্তন না আসে তাহলে প্রথমদিকেই বাংলাদেশকে ফিরে আসতে হবে নিজেদের দেশে। ধরে রাখার মত ওপেনিং এবং মেডিল অর্ডার এ কোন ভালো ব্যাটিং নাই। এই দল দিয়ে বেশি দূরে কখনো যাওয়া সম্ভব না।
ম্যানেজম্যান্ট মনে হয় গাঞ্জা খেয়ে খেলোয়ার নির্বাচন করে। আর কিছু বললাম না। ধন্যবাদ।
টস জেতার যখন বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত দিল তখন ভেবেছিলাম বাংলাদেশ অনেক রান করবে এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিবে৷ তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি অল্প কিছু রান করেই অলআউট হয়ে যায়৷ তারপর খেলা দেখাই বন্ধ করে দিলাম৷ তারপরে শুনতে পারলাম বাংলাদেশের হেরে গিয়েছে৷ যখন বাংলাদেশে কিছু রান করেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল তখনই বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ জিতবে না৷
আমার তো ম্যান বাছাই দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশ বাড়িতে চলে আসতে হবে। আর সেটাই হবে। ধন্যবাদ।