দশ দিন ছুটি কাটানোর পরে আজকে প্রথমদিন অফিস করার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে একটি অনুভূতি মূলক পোষ্ট শেয়ার করবো। চলুন শুরু করছি।
আমি ধীর্ঘ প্রায় আট বছর যাবৎ বাংলাদেশের সুনামধন্য একটি গ্রুপ অফ কোম্পানিতে জব করতেছি। ২০১৫ সালের ৫ই মে চাকরিতে জয়েন করেছিলাম। দেখতে দেখতে কিভাবে যেন ধীর্ঘ আট বছর অতিক্রম হয়ে গেল। এই আট বছরে খারাপ সময় ভাল সময় মিলিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার হাজারো মানুষের সাথে মিশেছি, চলাফেরা করেছি। অনেক বন্ধুবান্দবীও হয়েছে। আমাদের অফিসে সারা বাংলাদেশের মানুষই রয়েছে। তবে সিলেট ও চট্রগ্রামের মানুষ তুলনামুলক কিছুটা কম।
পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে আমাদের অফিস দীর্ঘ দশ দিন ছুটি ঘোষনা করেছিল। গত মাসের ২৭ তারিখ মঙ্গল বারে দুপুর বারোটার সময় অফিস ছুটি হয়ে যায়। তবে আমার নিয়ন্ত্রনে যারা ছিল সবাইকে সেলারি দিয়ে অফিস থেকে বের হতে হতে আমার দুইটা বেজে গিয়েছিল। একজন লোক সেলারি নিতে দেরি করেছিল। যার কারনে আমার এত সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাকে সেলারি না দিয়ে যেতেও পারছিলাম না। যেহেতো সামনে ঈদ ছিল তাই টাকার দরকার থাকাটা স্বাভাবিক। যদিও ঈদের পরে এসে, সে সেলাই নিতে পারতো। তারপরও আমি মানবিক দিক চিন্তা করে তাকে সেলারিটা দিয়েই বের হয়েছি।
দুইটার সময় বের হয়ে বাসায় গিয়ে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে দেখি বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে। যার কারনে ঐদিন আর যাওয়ার সাহস হলো না। এমনিতে এই ঈদে বৃষ্টি খুব জ্বালিয়েছে। এখনও দিনে রাতে একবার হলেও বৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া যেইদিন অফিস ছুটি হয় সেই দিন রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকে। গাড়ি পাওয়া যায় না। ভাড়ার কথা বলে লাভ নেই। দশ টাকার ভাড়া পঞ্চাশ টাকা লাগে। তারপরও ঠিক ভাবে গাড়ি পাওয়া যায় না। অনেক দিন চিন্তা করে ঐদিন আর বাড়ির পথে পা বাড়ায় নি। পরের দিন সকাল বেলা ভোর ৫টার সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম। বৃষ্টির পানি,রাস্তার কাদাঁ মিলে আমাদের অবস্থা কি যে হয়েছিল বলার মত না। যায়হোক শত কষ্টের পরে নিজের আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পেরে অনেক ভাল লেগেছে।
আজকে শনিবার তথা ০৮-০৭-২০২৩ ইং তারিখ আমাদের অফিসের ওপেনিং ডেট। সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য গত কাল রাতে নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মহানগর গোধূলি ট্রেনে চড়ে ঢাকাতে প্রবেশ করেছি। মনে মনে যেমন মানুষের ভিড় ভেবেছিলাম তেমন ভিড় হয়নি। সাচ্ছন্দভাবেই কর্মস্থলে ফিরে এসেছি। যাওয়ার সময় যে কষ্ট হয়েছিল আসার দিন এত কষ্ট হয়নি। রাত সাড়ে এগারোটার সময় বাসায় প্রবেশ করে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত প্রায় একটা বেজে গিয়েছিল।
সকাল বেলা সাড়ে সাতটার সময় মোবাইলের এলার্ম ঘড়ি কিং কিং বেজে উঠলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ৯টা ৬ মিনিটে অফিসে প্রবেশ করেছি। যদিও আজকে ওপেনিং ডেতে দশটা বা এগারোটার সময় প্রবেশ করলেও তেমন কোন সমস্যা নেই। তারপরও আমি যেহেতো রাতে চলে এসেছি সেহেতো অফিসে দেরি করে আসার কোন মানে হয় না। অফিসে প্রবেশ করে সবার সাথে কৌশল বিনিময় করে সাড়ে নয়টার দিকে কাজের মধ্যে মনযোগে দিলাম। যদিও আজকে তেমন কোন কাজ নেই। তাই বসে বসে আজকের ব্লগটি রেডি করলাম।
বন্ধুরা দশ দিন ছুটি কাটানোর পরে আজকে প্রথম অফিস তাই বিকালের দিকে চোখ গুলো বন্ধ হয়ে যেতে চায়। আর শরীর বিছানাতে শুতে চায়। এতদিন কাজ না করে অলস হয়ে গেছি,হি হি হি। আমি কিন্তুু আবার এত অলস না। অফিসে ঘুমায় না। সেই অভ্যাস নেই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু নিউস পেপার পড়ি। দেশের খোজঁ খবর রাখার দরকার আছে। কারন কখন কাচাঁ মরিচ একহাজার টাকা কেজি থেকে বারোশো টাকা কেজি হয় যায় সেটা জানা দরকার। শুধু কাচাঁ মরিচ নয় কখন কোনটা বেড়ে যায় সেটা সাধারন জনগন জানে না। আমাদের দেশের সিন্ডিকেট আংকেলরা সময় বুঝেই সব কিছু করে। যায়হোক আর কথা বাড়াবো না। অফিসের প্রথম দিন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৭ |
শিরোনাম | দশ দিন ছুটি কাটানোর পরে আজকে প্রথমদিন অফিস করার অনুভূতি। |
স্থান | ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা। |
তারিখ | ০৮-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ্ বেশ লম্বা ছুটি পেয়েছেন দেখছি। আমাদের মাত্র পাঁচ দিন ছুটি ছিল, যাইহোক ছুটি থেকে আসার পর বেশ অলসতা কাজ করে। আবারো কাজের ছন্দে ফিরে আসুন এই কামনা করছি। আর দ্রব্যমূল্যের নাটক চলমান থাকবে, সেখানে আমরা নিরব দর্শক।
জী ভাইয়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামাতে সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সবাই উদাস। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাই বেশ কিছুদিন ছুটি কাটাবার পর সত্যিই বোধ হয় সবারই একটু অলসতা কাজ করে। এই যেমন আমার অর্ধাঙ্গিনী ১৬ দিন স্কুলের ছুটি কাটিয়ে ওঠার পর আগামীকাল থেকে স্কুলে যাবার কথা মনে করতেই, তার নাকি খুবই খারাপ লাগছে। বিশেষ করে তার স্কুলের দূরত্বটা অনেক বেশি, প্রায় ১৩ কিলোমিটার। যার কারণে হয়তো জার্নির কথা চিন্তা করেই খারাপটা একটু বেশি লাগে। কিন্তু কি আর করার কর্মস্থলেতো যেতেই হবে। হয়তো দুদিন গেলে আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। যাইহোক ভাই, অফিসের ছুটি কাটিয়ে আবারো নতুন করে কাজে মনোনিবেশ করেছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার সময় ও দিনকাল খুব ভালোভাবে কাটুক এই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন বেশি ছুটি দিলেও আবার সমস্যা। শরীরে অলসতা এসে পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।