কিছু বন্য ফুলের আলোকচিত্র।।

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গত মাসে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে বৃষ্টির কবলে পড়েছিলাম। সকাল বিকাল নিয়ম করে বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বের হওয়া দুস্কর ছিল। ভেবেছিলাম গ্রামের অলিগলিতে ঘুরে কিছু ফটোগ্রাফি করবো। কিন্তুু সেটা বৃষ্টির কারনে সম্ভব হয়নি। তবে একদিন বিকালে আমাদের কলেজের রাস্তায় কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম। ঐদিনও দুপুরে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আমি সন্ধার একটু আগে পাড়ার এক ছোট ভাইকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে একটু হেঁটেছিলাম। সেই ছোট ভাইটি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড কোম্পানিতে মার্কেটিং এর জব করে। সেও আমার মত ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিল।

তো গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করার সময় রাস্তার পাশে বেশ কিছু বন্য ফুল লক্ষ করেছিলাম। হঠাৎ করে চিন্তা করলাম কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিয়ে যায়। স্টিমিটে সবার সাথে শেয়ার করা যাবে। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি। টানা বৃষ্টিপাতের কারনে রাস্তার পাশের গাছ গুলো যেমন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে, ঠিক তেমনি আবার কিছু ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। অতি বৃষ্টি যেমন কাম্য নয় ঠিক তেমনি বৃষ্টি ছাড়া বেশিদিন থাকা কষ্টকর। মূল কথা হলো বৃষ্টি আমাদের জন্য আর্শিবাদ। বেশি বৃষ্টি সাময়িক সময়ের জন্য কষ্টকর হলেও বৃষ্টির পানিতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যায়হোক আর কথা না বাড়িয়ে ফুলের আলোকচিত্র গুলো দেখা যাক।

উপরের প্রথম দুটি ফুল হলো তেলাকুচা ফুল। এই গাছ গুলো সাধারনত বন-জঙ্গলেই বেশি দেখা যায়। রাস্তার পাশে বিভিন্ন জাগায় এই গাছ গুলো জন্ম লাভ করে। এই গুলো ঔষুধি গাছ হিসাবেও পরিচিত। এই উদ্ভিদ গুলোতে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এগুলো কুষ্ঠ, জ্বর, ডায়াবেটিস, ইডেমা, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস, রক্ত আমাশয়, সাদা আমাশয়ের মতো রোগে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই দ্বারা বুঝা যায় এই গাছটি খুবই উপকারি একটি গাছ। আর নিচে যে ফুলটা দেখা যায় এটা তো বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এটা কি ফুল সেটা বুঝা যাচ্ছে না। তবে এটাও কোন এক বন্য ফুলই হবে।

আর এই ফুল গুলোর নাম কি সেটা আমি নিজেও জানি না। গুগলে সার্চ করেও এগুলোর নাম জানতে পারি নাই। গুগল মামা এগুলোর ব্যাপারে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সঠিক নাম যদি জানা যেতো তাহলে হয়তো কিছু তথ্য হলেও পাওয়া যেতো। যায়হোক বিষাক্ত কাটা যুক্ত এই ফুলের গাছ গুলো প্রায় সময় রাস্তার পাশে বা বন-জঙ্গলে দেখা যায়। কাটা গুলো সোলালি কালার তবে খুবই বিষাক্ত। এই গাছ গুলো দিয়ে লাকড়ি ছাড়া অন্য কোন কাজে আসে না। তবে এই গাছের ফুল গুলো অনেক সুন্দর।

এই গাছ গুলোর নাম জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। লজ্জাবতী গাছের নামের সাথে গাছের বৈশিষ্ট্যের মিল রয়েছে। গাছ গুলোর সাথে যে কোন কিছুর স্পর্শ পাওয়ার সাথে সাথে গাছ গুলো ছোট হয়ে যায়। বৃষ্টির কারনে গাছের ফুল গুলো কেমন যেন নষ্ট হয়ে গেছে। আমি রাস্তায় বের হওয়ার আগেই বৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলেগাছের লতা পাতা সব কিছু ভিজে রয়েছে।

এই গাছের দুইটি নাম পাওয়া যায়। প্রথমত চিপিলিন নাম পাওয়া যায়। আবার দাদমর্দন নামও পাওয়া যায়। এই গাছ গুলো ঔষুধি গাছ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে তেমন ফল হয় না। যে ফুল হয় সেটাও কোন কাজে আসে না। বিভিন্ন ‍উদ্যানে ময়লা আবর্জনাতে এই গাছ গুলো এমনিতেই জন্ম নেয়। আমি এগুলো ফুটবল খেলার মাঠের পাশ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। হলুদ কালারের ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।

বেগুনি কালারের এই ফুলটা দেখতে খুবই ভালো লাগছে। তবে নাম জানি না। নাম না জানা হাজারো উদ্ভিদ রয়েছে। গ্রাম-গঞ্জে বন-জঙ্গলে কত উদ্ভিদ দেখা যায়। এটা কিছুটা কলমি ফুলের মত লাগে। তবে সেটা মূলত কলমি ফুল নয়। রাস্তার পাশে দেখে ভালো লেগেছে ক্যাপচার করে নিয়ে এসেছি। আপনাদের মধ্যে কারো নাম জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে নামটি জানার সুযোগ করে দিবেন।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে দিলাম। আশা করি সবার কাছেই ভালো লাগবে। এগুলো হলো মূল প্রকৃতি। এগুলোর সান্নিধ্যে গেলে মন প্রাণ ফ্রেশ হয়ে যায়। আগামীকাল আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো,ইনশাআল্লাহ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।