হঠাৎ বাড়ি ফেরা।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আবার আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ট্রেনে চড়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতেছি। সেজন্য আজকে আমি আপনাদের সাথে বাড়ি ফেরার প্রতি শেয়ার করব।
আমাদের অফিসে প্রতি বছরে প্রত্যেকটা কর্মচারির জন্য ১৪ দিন মেডিকেল ছুটি ছাড়াও দশ দিন ঐচ্ছিক ছুটি নির্ধারিত থাকে। এই দশ দিন আমরা যেকোনো সময় কাটাতে পারি। এই বছর আমি বিভিন্ন প্রয়োজনে অলরেডি আটটি ছুটি কাটিয়ে ফেলেছি। আমার নির্ধারিত দশ দিন ছুটি থেকে আর মাত্র দুই দিন ছুটি বাকি। আর এদিক দিয়ে ২০২৩ সাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজকে ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ। আমি চিন্তা করলাম যেহেতু বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই অতি তাড়াতাড়ি আমার দুইদিন ছুটি কাটিয়ে শেষ করা দরকার। সেজন্য ৯-১০ দুইদিন ছুটি নিলাম। সাথে একদিন স্পেশাল ছুটি নিলাম। সর্বমোট তিন দিন ছুটি নিয়ে আমি আজকে ট্রেনে চড়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। গতকালকে সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট অনেক প্রবলেম হয়েছে। যার জন্য সারা ঢাকা শহরের রাস্তায় আজকে প্রচুর যানজট।
আমি সকালবেলা সাড়ে সাতটার সময় বাসা থেকে বের হই।বাসা থেকে বের হয়ে হাইওয়েতে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর আমার কাঙ্ক্ষিত মৌমিতা বাস পাই। সেটাতে চড়ে যাত্রাবাড়ীতে আমার কোচিং সেন্টারে আসি। দুইটি ক্লাস করি। আমাদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের স্যার না আসার কারণে প্রাকটিক্যাল ক্লাস হয়নি। যার ফলে সকাল এগারোটার সময় আমি কোচিং সেন্টার থেকে বের হয়। যাত্রাবাড়ি থেকে নয়াপল্টনে একটি কাজে গিয়েছিলাম।সেই বিষয় টা আমি অন্য একদিন শেয়ার করবো। যাত্রাবাড়ী থেকে নয়াপল্টনে যেতে আমার এক ঘন্টার উপরে সময় লেগেছে। যেখানে মাত্র ২০ মিনিটে যাওয়ার কথা ছিল। আমি নয়াপল্টনে যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম,সেটা হয়নি।
সব থেকে বেশি আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমি কমলাপুরে এসে দেখি তিতাস ট্রেন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যে ট্রেন সকাল সাড়ে নয়টার সময় ছাড়ার কথা সেটা ১২:৩০ টার সময় ও ছাড়েনি। তিন ঘণ্টা লেট করেছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমি দৌড়ে আসতে আসতে তিতাস ট্রেনটি ছেড়ে দিয়েছে। মাত্র এক মিনিটের জন্য আমি তিতাস ট্রেনটিতে উঠতে পারিনি। তিতাস ট্রেনটি প্রায় সময় আমার সাথে এমন খেলা করে। চোখের সামনে ট্রেনটি দেখি কিন্তুু চড়তে পারি না। আমার সাথে এমন অনেক বার হয়েছে ২০ সেকেন্ড ৩০ সেকেন্ডের জন্য ট্রেন মিস করেছি। যাইহোক ভাগ্যের খেলা বড় কঠিন।
এখন আমি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে বসে বসে ব্লগটি লিখতেছি। জয়ন্তিকা ট্রেনটি সকাল এগারোটা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। অলরেডি দুই ঘন্টা লেট হয়ে গেছে,তারপরও ট্রেনটি ছাড়ার কোন খবর নেই। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি রাস্তায় কোন প্রবলেম হয়েছে। যার জন্য স্টেশনে বসে বসে অপেক্ষা করছি। দেখা যাক কখন ছাড়ে।
অবশেষে তিন ঘন্টা লেট করে দুইটার সময় আমাদের ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করে। তবে মজার বিষয় হল আমাদের ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার আগে মাত্র দুইটি স্টেশনে স্টপিস দিয়েছিল। বিমানবন্দর আর আশুগঞ্জ স্টেশনে পাঁচ মিনিট পাঁচ মিনিট করে দশ মিনিট যাত্রাবৃত্তি করেছিল। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে নামতে পেরেছিলাম। আমি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে নেমেছি তখন ৪ টা বাজে। অর্থাৎ ২ ঘণ্টার মধ্যেই আমি কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসতে পেরেছিলাম। যারা ১১ টা১৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিল তাদের অনেক দেরি হয়েছে। তবে আমার তেমন দেরি হয়নি। আমি যদি এই ট্রেনটি না পেতাম তাহলে সাড়ে তিনটার উপকূল এক্সপ্রেসের আসতে হতো। এদিক দিয়ে ট্রেন লেট করে ছাড়ার কারণে আমার জন্য উপকার হয়েছে। যাইহোক বিরতিহীন ভাবে ট্রেনটি আসার কারণে আমার জন্য অনেক উপকার হয়েছে। এবারের ট্রেন ভ্রমণটা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যময় ছিল।
আজ আর বাড়াবো না, এখান থেকেই বিদায় নেব। আবার নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | হঠাৎ বাড়ি ফেরা ।। |
স্থান | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন , ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই ভাই ছুটি ফেলে রেখে লাভ নাই, মোট তিন দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো। বাড়িতে যাওয়ার সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি বাড়ির মতো শান্তি আর অন্য কোথাও পাই না খুঁজে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ছুটি কাটিয়ে এবছরের মত ছুটি শেষ করে দিলাম। ধন্যবাদ।
বছর শেষ হতে চলল।ছুটি ফেলে রেখে কি লাভ।তাইতো একদিন বাড়িয়ে তিনদিনের জন্য বাড়িতে গেলেন ট্রেনে করে। ট্রেনে বসেই আবার পোস্ট লিখে শেয়ার করলেন। ভীষন ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ট্রেন লেইট করেছে। তাই ট্রেনে বসেই পোষ্টটা লিখে ফেললাম। ধন্যবাদ।
যেহেতু ডিসেম্বর মাস প্রায় শেষ হয়ে গেছে তাহলে আপনি আরো দুইদিন ছুটি নিলেন। আরো একদিন বাড়িয়ে নিয়ে তিন দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়ি গেলেন। বেশ ভালই লাগলো আপনার বিস্তারিত লেখা পড়ে। একটা বিষয় খুবই মজা লেগেছে সেটা হচ্ছে তিতাস ট্রেন আপনাকে ছেড়ে চলে গেল। যেহেতু ওয়াইফের নাম তিতাস একটু সাবধানে থাকবেন হা হা হা। তিতাস ট্রেন আপনাকে বার বার ফাঁকি দেয়। তাহলে তো নামটি আপনার সাথে ফেভার করতেছেনা হা হা হা।
জী আপু দুইদিন ছুটির সাথে একদিন স্পেশাল ছুটি নিলাম। ধন্যবাদ।
এভাবে চোখের সামনে ট্রেন যাওয়া যে কি কষ্টের যারা এই ট্রেন মিস করেছে তারাই বোঝে।ছুটি কাটাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন জেনেও দেখে বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপু সেই কষ্টের কথা মনে করিয়ে দিলেন। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেনটি চলে গেছে উঠতে পারি নাই,কি যে কষ্ট লেগেছে। বলে বুঝানো যাবে না। ধন্যবাদ।