সিলেট ভ্রমন তৃতীয় পর্ব। চা বাগান পরিদর্শন।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন, সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড গরমের কারনে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে গেছে। আমাদের অফিসের দুই জন কলিগ তিন চারদিন ধরে অসুস্থ। আজ সকাল থেকে আমার শরীরটাও ভাল না। অলরেডি ঠান্ডা লেগে গেছে। জানিনা কি হয়। সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশী। আজকে আমি আপনাদের সাথে সিলেট ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব প্রকাশ করবো। চলুন শুরু করি।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬৭টি বাণিজ্যিক চা বাগান রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কর্মক্ষম চা বাগান। বাংলাদেশের এই চা শিল্প বিশ্বের ৩% চা উৎপাদন করে থাকে। এছাড়ও এই শিল্প ৪০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা বাগান সিলেট অঞ্চলে। এখানে তিন জেলা মিলিয়ে চা বাগান আছে ১৩৫টি। শুধু সিলেটই নয়, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়তনের প্রায় দেড় লাখ একরের চা বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়।
যারা সিলেটে ঘুরতে যায় তারা কেউ চা বাগান পরিদর্শন না করে বা চা বাগানের সুন্দর্য উপভোগ না করে ফিরে না। আমি তো মৌলভীবাজারে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি যদি চা বাগানের সুন্দর্য উপভোগ না করে ফিরে আসি তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। তাই যেদিন সিলেট গিয়েছি এর পরেরদিন বিকাল বেলা চলে গেলাম চা বাগান দেখার জন্য। এই চা বাগানটা আপুর বাসা থেকে বেশি দুরে না। বাসা থেকে হেটে যেতে দশ থেকে পনের মিনিট লাগে। আমরা ছয়সাত জন মিলে হাটতে হাটতে গিয়েছিলাম।
বাগানে যাওয়ার আকাঁ বাকা রাস্তা দেখে খুবই ভাল লেগেছে। পাহাড় কেটে পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে উচুঁ উচুঁ টিলা বা পাহাড় রয়েছে। ঐখানের মাটি অনেক শক্ত। বৃষ্টি হলে আবার একটু সমস্যা হয়ে যায়। রাস্তা কাদাঁ কাদাঁ হয়ে যায়,চলা ফেরা করতে একটু কষ্ট হয়। আর ঐদিক দিয়ে মানুষের সংখ্যা কম। রাস্তাঘাট তেমন নষ্ট হয় না। সে কারনে তেমন বেশি সমস্যা হয় না।
আকাঁ বাকাঁ রাস্তা পেরিয়ে আমরা চা বাগানের মাঝখানে চলে এলাম। ডানে বামে,সামনে পিছনে শুধু চায়ের গাছ। দেখতে কি যে ভাল লাগছিলো। বাগানে যাওয়ার পরে হালকা বাতাস ছিল। পাহাড়ের উপরে নিচে, সব জাগায় চা গাছ ছিল। সন্ধার আগে বিকাল বেলা খুব সুন্দর একটি মূহর্ত অতিক্রম করেছি। আশে পাশে যতটুকু দৃষ্টি গেছে চা বাগান ছাড়া কোথাও কোন বাড়ি ঘর দেখি নাই। এই সব গুলো জায়গা সরকারি। সরকার থেকে লিজ নিয়ে চা বাগান করে থাকে।
বাগানে প্রবেশ করে কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম। মাঝে মাঝে বাগান থেকে চা পাতা ছিড়ে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। লোক মুখে শুনেছি বাগানে না কি সাপ থাকে। তাই বাগানের বেশি ভিতরে গেলাম না। আমরা যখন বাগানে গিয়েছি তখন প্রায় সন্ধা হয়ে গিয়েছিলো। তাই বাগানে কোন বাগানি ছিল না। কাদেরকে বাগানি বলা হয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যারা মাথার মধ্যে টুকরি লাগিয়ে চা পাতা সংগ্রহ করে তাদেরকে বাগানি বলা হয়।
বন্ধুরা সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি মূহর্ত পার করেছি। মন চাই বার বার ফিরে যায় সেই সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখার জন্য। বাগান দেখে আমরা আরেকটি পাহাড়ে গিয়েছিলাম। সেই পাহাড়টিকে হৃদয় পাহাড় বলা হয়। পরের পর্ব সেই পাহাড়ের ফটো আর বর্ণনা শেয়ার করবো। আজ এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | সিলেট ভ্রমন তৃতীয় পর্ব । চা বাগান পরির্দশন। |
স্থান | কুলাউড়া,মৌলভীবাজার। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৭-০৫-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চা বাগানে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই দেখে খুব ভালো লাগলো। চা বাগানে প্রকৃত সৌন্দর্য বেশি দুর্দান্ত। প্রাকৃতিক মাঝে বেশ অসাধারণ মুহূর্ত পার করেছেন। এমন দুর্দান্ত পরিবেশে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। আজকের পর্ব আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
জী ভাইয়া চা বাগানে গেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সিলেট ভ্রমণের খুব বড় এটা এসে রয়েছে আমার।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সিলেট ভ্রমণ করেছে আর চা বাগান ভ্রমণ করেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।।
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ আর সবুজে মোড়ানো পাহাড় গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।।
ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে অনেক ভিডিও দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়।।
আজ আপনার ফটোগ্রাফি বলে দেখে খুবই ভালো লাগলো।।
জী ভাইয়া রাজনগর উপজেলাটা বেশি সুন্দর। হারিয়ে যেতে মন চাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমারও সিলেটে যাওয়ার খুবি ইচ্ছে রয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত সিলেটের চা বাগান ঘুরতে যেতে পারিনি। আপনি তো বেশ সুন্দরভাবে সিলেটের চা বাগান পরিদর্শন করছেন এবং সেই বিষয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যা আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং মনের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগ্রত হয়েছে সুন্দর এই স্থানগুলোতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
ভাইয়া একদিন সুযোগ করে চলে যাবেন। অনেক সুন্দর জায়গা। ধন্যবাদ ভাইয়া।