জন্মভূমির টানে বাড়ি ফেরা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে বাংলাদেশে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করা হবে। ঈদুল আযহা পালন করার জন্য অলরেডি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আমাদের জীবনটা খুবই ছোট্ট। ছোট্ট এই জীবনে জীবিকার তাগিদে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের ছুটে যেতে হয়। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবিকার তাগিদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। আবার জীবিকার তাগিদে কত মানুষ নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কর্মরত রয়েছে। অনেক সময় যাদের অবস্থান ভালো তারা নিজের আপনজনদেরকে সাথে করে নিয়ে যায়। তবে সবাই নিজের আপনজনদেরকে সাথে নিয়ে যেতে পারেনা।
তাছাড়া অনেক মানুষ নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চাই না। নিজের ঘরবাড়ি, নিজের গ্রাম, পাড়া প্রতিবেশীকে ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়ে মন টিকে না। সে জন্য অনেক ফ্যামিলির ছেলে মেয়েরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত থাকলেও তাদের বাবা মায়েরা নিজের মাতৃভূমি তথা নিজ গ্রামে থাকে। কিন্তু ঈদের সময় পরিবারের ছেলে মেয়েরা নিজের আপন জনদের সাথে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দূর দূরান্ত থেকে নিজের জন্মভূমিতে ছুটে আসে।
আমিও জীবিকার তাগিদে রাজধানী শহর ঢাকায় থাকি। সেখানে ছোট্ট একটা জব করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু প্রতিবছর ঈদে মা-বাবার সাথে ঈদ পালন করার জন্য শত কষ্ট হলেও গ্রামে ফিরে আসি। আমার মত লাখ মানুষ ঢাকার যানজট ধুলাবালির সাগর পেরিয়ে জন্মভূমি টানে বাড়ি ফিরে আসে।
আজকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য আমি আগেই অনলাইনে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। আমার ট্রেন ছিল দুইটা পনের মিনিটে। কিন্তু বাংলাদেশের ট্রেন সাধারণত সঠিক সময়ে আসা-যাওয়া করে না। আজকেও চট্টলা এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরি করে ২:৫৫ মিনিটে কমলাপুর রেল স্টেশন ত্যাগ করেছে। তবে আমি ফ্যামিলি নিয়ে দুপুর ১ টার আগেই কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
আজকের ট্রেনটি খুবই স্লো চলেছে। সেজন্য অনেক সময় লেগেছে। আমাদের বাড়িতে আসার জন্য বাস সার্ভিস রয়েছে। তবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে আর যানজটের ভয়ে ট্রেনে এসেছি। আমার এসি বগিতে টিকেট সংগ্রহ করা ছিল। ঈদের কারণে এসি বগিতেও প্রচুর স্ট্যান্ডিং মানুষ ছিল। ভৈরব এসে প্রায় ৩০ মিনিটের মত দাঁড়িয়েছিল।
আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে না নেমে সোজা আমাদের উপজেলা কসবা রেলওয়ে স্টেশনে এসে নেমেছিলাম। এখান থেকে সিএনজি করে সোজা আমাদের বাড়িতে চলে এসেছি। তবে বাসায় আসতে আসতে আটটা বেজে গিয়েছিল। কারন কসবাতেও জ্যামে পড়েছিলাম। বাসায় এসে আপনজনের দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমাদেরকে পেয়ে সবাই অনেক খুশি। এই খুশিতেই যেন ঈদ উদযাপন করে আবার কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৬.০৬-২০২৫ |
সময় | দুপুর-৫.৩০ মিনিট |
স্থান | কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1931291477470232624?t=Znetz0ZEcPu1dvd5vUNWmg&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1931291826507698669?t=Oc7LDGw4mpn3aT4sPl9YIw&s=19