“পথে হলো দেরি” নাটক রিভিউ।। যাত্রা পথের রোমান্টিক গল্প।।
বাংলা ভাষার এক অনন্য কমিউনিটি-
হ্যালো আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ভাই ও বন্ধুরা,
ব্লগের প্রথমেই জানায় সালাম,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার দেখা সব থেকে সেরা একটি রোমান্টিক নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। এই নাটকটি যারা এখনও দেখেন নাই,তারা অনেক কিছু মিস করেছেন।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করলাম-
নাটকের নাম | পথে হলো দেরি |
---|---|
পরিচালক | জাকারিয়া শোকিন |
প্রযোজক | এসকে শাহেদ আলী পাপ্পু |
অভিনয় করেছেন | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া ও আরে অনেকে। |
মুক্তির তারিখ | ২৪ ডিসেম্বর-২০২৩ |
সময় | ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
ধরন | যাত্রা পথের গল্প |
সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
জাকারিয়া শোকিন পরিচালিত আমার দেখা সব থেকে সুন্দর ও রোমান্টিক একটি নাটক হলো “পথে হলো দেরি”। যারা একবার এই নাটকটি দেখেছে তারা বলতে পারবে নাটকটি কতটা সুন্দর হয়েছে। আমি জানি যে বাংলাদেশের নাটক সারা বিশ্বের সেরা নাটক। বাংলাদেশের মত এত সুন্দর নাটক পৃথিবীতে বিরল। এই নাটকটির মাধ্যমে সেটা আবার প্রমান হলো। নাটকটি রিলিজ হয়েছে মাত্র সাড়ে চার মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত নাটকটিতে ভিউ হয়েছে ২৬ মিলিয়নের উপরে। চার লাখের উপরে লাইক ও তিন হাজারের উপরে কমেন্ট পড়েছে। কমেন্ট গুলো পড়লে বুঝা যায় দর্শকদের কাছে নাটকটি কতটা জনপ্রিয় হয়েছে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে লক্ষ লক্ষ দর্শকের প্রিয় নাটক অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেছে তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তটিনীর অভিনয় আমার কাছে এত ভালো লেগেছে যে লিখে বুঝানো অসম্ভব। তার অভিনীত নাটক আমি এর আগে দেখি নাই। এটাই প্রথম দেখলাম। মুভি দেখেও আমি এত আনন্দ পায় নি। নাটকটি দেখে যে আনন্দ পেয়েছি। এক কথায় বলতে গেলে জাষ্ট অসাধারন হয়েছে।
নাটকটিতে অপূর্ব একটি হোটেলে জব করে। যে হোটেলটি অবস্থিত কোন এক সমুদ্রের পাশে। আর এই হোটেলটিতে সমুদ্র দর্শন করতে আসা পর্যটকরা অবস্থান করে। এই হোটেলের বেষ্ট এম্পলোয় হলো অপূর্ব। পরপর তিনবার সে বেষ্ট বেষ্ট এম্পলোয় নির্বাচিত হয়েছে। বাড়িতে তার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে। যার ফলে সে একদিন হোটেল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে বসলো। আর হাতে একটি হীরার আংটি নিয়ে খুব মনযোগ সহকারে দেখতেছে।কারন এই আংটি পড়িয়ে এঙ্গেজমেন্ট করা হবে। বাস ছাড়ার আগ মুর্হতে অফিসের বস তাকে ফোন করে দ্রুত হোটেলে যেতে নির্দেশ দিলো। অপূর্ব হোটেলে যাওয়ার পর জানতে পারে এমডি সাহেবের ভাতিজী আসতে অস্ট্রেলিয়া থেকে। তাকে এক জাগায় পৌছে দিতে হবে। সে অনেক রিকুয়েষ্ট করেও বাড়ি যেতে পারলো না। এঙ্গেজমেন্ট পিছিয়ে পরের সাপ্তাহে নেওয়া হলো। আর এমডি সাহেবের ভাতিজীকে নিয়ে হৃদয় নগর যাত্রা করলো।
যাত্রা পথের অভিনয় গুলো জাষ্ট অসাধারন ছিল। তারা একটি গাড়িতে চড়ে সমুদ্রের পাশ দিয়ে চলতে লাগলো। রাস্তা ও চার পাশের পরিবেশটা দারুন ছিল। অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পরে তাদের গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়। এখন এমন জায়গায় গাড়ি নষ্ট হয়েছে, সেখান থেকে লোকালয়ে যেতেও কয়েক ঘন্টা লাগবে। আর রাস্তার মধ্যে তেমন গাড়িও পাওয়া যায় না। অবশেষে একজনকে গাড়ির মেকার আনতে পাঠালো। তটিনী মূলত বাংলাদেশের একজন যুবকের কবিতা পড়ে তার প্রেমে পড়ে,সেই কবির জন্মদিনে তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসে। সেই যুবকের আবার একটি রিসোর্টও আছে। সেই রিসোর্ট হলো হৃদয় নগর। আর তারাও যাচ্ছে সেই হৃদয় নগরেই। অবশেষে মেকার এসে গাড়ি ঠিক করে তাদের দুইজনকে গাড়ি ধাক্কা দিতে বলে। তারা দুইজন গাড়ি ধাক্কা দিলে মেকার সেই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এখন তারা এক মহা মুশকিলের মধ্যে পড়ে।
যেহেতো তাদের গাড়ি ছিনতাই হয়ে গেছে,এখন বাসে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আবার বাসও সবসময় পাওয়া যায় না। দুই তিন ঘন্টা পরপর বাস আসে। একটি বাস পেয়েও তারা সেটাতে যেতে পারে নাই। যাত্রা পথের অভিনয় গুলো এত সুন্দর ছিল না দেখলে লিখে বুঝানো যাবে না। ঘটনাক্রমে একরাত্র আবার অপূর্বের সাবেক গার্লফ্রেন্ডের বাড়িতেও থাকতে হয়েছে। সেখানে তারা স্বামী স্ত্রীর অভিনয় করলেও রাতের বেলা ধরা পড়ে যায়। অবশেষে ডিঙ্গি নৌকা চড়ে তারা হৃদয় নগরে পৌছায়। অপূর্ব তটিনীকে সেই কবির কাছে পৌছে দিয়ে আসার সময় বার বার তার দিকে ফিরে তাকিয়ে ছিল। তটিনীর অবস্থাও সেইম ছিল। প্রেম করার থেকে প্রেমে পড়াটা কতটা আনন্দের সেটা প্রকাশ পেয়েছিল।
এই সেই কবি,যার কবিতায় মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়ে তটিনী অস্ট্রেলিয়া থেকে হৃদর নগরে তার কাছে ছুটে এসেছে। তাকে দেখতে কিছুটা লেডিস লেডিস টাইপের মনে হলো। যায়হোক একদিন পরেই সেই কবি তটিনীকে সমুদ্রের পাড়ে এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলে যে,তার অসংখ্য মেয়ে ভক্ত রয়েছে। আর তারা সবাই তার কবিতায় মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়ে,তার কাছে ছুটে আসে। তার সাথে থাকতে চাই,তাকে বিয়ে করে আপন করে নিতে চাই। কিন্তুু সে একক ভাবে কারো হতে চাই না। কবি সবার কবি হয়ে থাকতে চাই। তাই সে তটিনীকেও ফিরে যেতে বলে। এ কথা বলার সাথে সাথে তটিনী দ্রুত সেখান থেকে চলে আসে। কারন তার ভিতরে অপূর্বের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। সে হোটেলে এসে জানতে পারে অপূর্ব সমুদ্র পাড়ে আছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারে অপূর্বের শ্বশুর এঙ্গেজমেন্ট ক্যানসেল করে দিয়েছে। যে ছেলে কাজের জন্য এঙ্গেজমেন্ট পিছিয়ে দেয়। তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিবে না। এই সুযোগে তটিনী তার ভালোবাসার কথাও বলে দেয়।
নিজের মতামত-
আমার দেখা সব থেকে সুন্দর একটি নাটক হলো এটি। নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নাটকটির কমেন্ট গুলো পড়ে আরো বেশি মজা পেয়েছি। গল্পের সাথে পরিবেশটা দারুন ভাবে মিলেছে। সাধারনত মুভি দেখলে এমন পরিবেশ বা অভিনয় দেখা যায়। এই নাটকটি যে দেখবে তার কাছেই ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পথে হল দেরি নাটকটি আমি অনেক আগেই দেখেছি। অসাধারণ একটি নাটক। অপূর্ব ও তটিনির অভিনয় খুবই সুন্দর ছিল। তাছাড়া কবি মশায়ের সুন্দর একটি অভিনয় দেখা যায় এই নাটকের মাঝে। সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া, এই নাটকে তটিনী আর অপূর্ব দারুন অভিনয় করেছে। অনেক মুভিতেও এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় না।
এই নাটকটি আমি অনেকদিন আগে দেখেছি। আমার কাছে ভালোই লেগেছিল কারণ তাদের ঘুরাঘুরির মাধ্যমে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়। সর্বশেষ নায়িকার কবি প্রেমিক ভালোবাসার মূল্য দেয় নাহ। তারপর সেখান থেকে ফিরে আসে সফর সঙ্গীর সাথে কাটানো মুহূর্তের মাধ্যমেই প্রেম হয়ে যায়। এই ধরনের নাটক অনেক দেখেছি ভালই লেগেছিল। আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
জি ভাই,কবি মহাশয়ের যা অবস্থা দেখলাম, তটিনী ফিরে এসে অনেক ভালো কাজ করেছে। ধন্যবাদ
পথে হলো দেরি নাটকটি কয়েকবার দেখা হয়েছে। রোমান্টিক একটি নাটক। নাটকটির লোকেশন এবং গল্প আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জী ভাইয়া নাটকটিতে যেমন ডায়লগ ছিল,তেমন পরিবেশ ছিল। ধন্যবাদ।
এই নাটকটি আমি অনেকদিন আগেই দেখেছি। আর ইতোমধ্যে রিভিউ শেয়ার করেছি। আর আজকে যখন আপনার শেয়ার করা রিভিউটি পড়ছিলাম তখন সত্যি ভালো লেগেছিল ভাইয়া। নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আসলে কখন যে কাকে ভালো লেগে যায় এটা বলা মুশকিল। দারুন একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
জী আপু অপূর্ব আর তটিনী দুইজনেই খুব সুন্দর অভিনয় করেছে, আর তাদের চলার পথে বিভিন্ন ঘটনার আঙ্গিকে একজন অপরজনের প্রেমে পড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। বেশ কয়েকদিন আগে নাটকটি দেখেছিলাম নাটকটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । আজ আবার নাটকটির আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখে আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু নাটকটি খুবই ভাইরাল হয়েছিল, যার ফলে মোটামুটি সবাই নাটকটি দেখেছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনার মাধ্যমে এই নাটকে রিভিউ টা দেখে ভালো লাগলো। আমি কিন্তু নাটকটা দেখে ফেলেছি। অপূর্ব এর নাটক আমার খুবই পছন্দের। তবে বর্তমানে সময়ের জন্য দেখা না হলেও এটা কিন্তু আমার দেখা হয়েছে। আসলেই নাটকটা খুবই অসাধারণ ছিল। আপনার রিভিউ দেখে এটাও ভেবে নিলাম নাটকটা সত্যিই ভালো হয়েছে।
আপু নাটকটি যারা দেখেছে, সবার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার চমৎকার এই নাটক রিভিউ করা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। নাটক আমার খুবই প্রিয় একটি বিনোদন। আমি খুবই নাটক দেখতে পছন্দ করে থাকি। এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন তাই নতুন একটা নাটক সম্পর্কে ধারণা পেলাম এবং দেখার সুযোগ পেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইজান।
জি ভাইয়া নাটকটি অনেক সুন্দর, সুযোগ পেলে দেখে নিবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অপূর্ব যখন ফুলতলিতে আসে তখনই তার মনে পড়ে তার প্রাক্তন প্রেমিকা এখানেই থাকে। তারপর ঐ বাড়িতে গিয়ে চলে অভিনয়। যদিও তার এক্স গার্লফ্রেন্ড শেষ পর্যায়ে জেনে যায় তারা অভিনয় করছে। এবং শেষটা বেশ ভালো ছিল। যখন নায়িকা ফিরে এসে অপূর্ব কে তার ভালোবাসার কথাটা জানাই। অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন নাটক টার ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
জী ভাইয়া নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।