কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেলে আপনারা আশ্চর্য হয়ে যাবেন।

আমি বেশ কিছুদিন আগে নিউজ পেপারে বাংলাদেশের সব থেকে উচুঁ ভবনের একটি লিষ্টে দেখেছিলাম। সেখানে দেখলাম বাংলাদেশের সব থেকে উচুঁ ভবন রয়েছে রাজধানী ঢাকার বানিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিল এলাকায়। আর সেই ভবনটির নাম হলো সিটি সেন্টার। সম্পূর্ণ গ্লাস করা বেল্ডিংটি ৩৭ তলা। তাছাড়া আরো কয়েকটি উচুঁ ভবনের ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করবো।

আমি একটি পোষ্টের মধ্যে আপনাদের বলেছিলাম যে আমার ফিউচার একটি প্লান হলো ফটোগ্রাফি করা। সেই ফটোগ্রাফির বিষয়ে মোটামুটি কিছু চর্চা করতেছি। ফটোগ্রাফি করতে করতে একসময় ফটোগ্রাফিও মূল বিষয় গুলো আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবো। একদিনে তো আর আন্তার্জাতিক মানের ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। চেষ্টা,সাধনার দরকার আছে। তো চলুন আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।

এখানে দুইটি আকাশ ছোয়াঁ বেল্ডিং এক সাথে দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে অবস্থিত। একটি হলো বাংলাদেশে ব্যাংক ভবন আরেকটি হলো এশিয়া ব্যাংক ভবন। এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন বাংলাদেশের সব থেকে উচুঁ বেল্ডিং ছিল। এখন সেটা দুই নাম্বারে চলে এসেছে। ১৩৭ মিটার ভবনটি ৩১ তলা বিশিষ্ট।

সময়- সকাল ১১ টা ০৪ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-১০
তারিখ-২২-০৭-২০২৩
স্থান-মতিঝিল,ঢাকা।

এইটা হলো সেই সিটি সেন্টার যেটা বাংলাদেশের সব থেকে উচু বেল্ডিং এর তালিকায় এক নাম্বারে রয়েছে। এটি ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে অবস্থিত। ভবনটি ১৭১ মিটার তথা ৫৬১ ফুট উঁচু। সিটি সেন্টারটি বাংলাদেশের প্রথম ভবন যেখানে বহুতল গাড়ি পার্কিং সুবিধা প্রদান করা হয়। ভবনটিতে একটি ছোট কনভেনশন সেন্টার এবং বিনোদনমূলক স্থান রয়েছে, সেইসাথে একটি অ্যাট্রিয়াম রয়েছে। ভবনটি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত হলেও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। ভবনটিতে হেলিকপ্টার নামারও ব্যবস্থা আছে। ৩৭ তলা বেল্ডিংটি ২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মাণ শুরু হয়। আনুমানিক ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

সময়-সকাল টা ৫৯ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-১০
তারিখ-০৭-০৮-২০২৩
স্থান-মতিঝিল,ঢাকা।

এটি ঢাকা শহরের রাস্তার পাশের এক জায়গার চিত্র। এখানে একটি বিদ্যুতের খুঁটি আছে। ফটোগ্রাফি করার সময় আমি নিজেই খুঁটি টা দেখতে পায় নি। আর আপনারা দেখবেন কিভাবে। আচ্ছা আপনার বলেন তো এখানে কোনটা বিদ্যুতের তার,কোনটা ডিশের তার,কোনটা টেলিফোনের তার আর কোনটা ওয়াইফাই তার সেটা বুঝার কোন ক্ষমতা আছে...। ঢাকা শহরের অর্ধেক তার এক খুঁটির মধ্যেই দেখতে পেলাম। আমার আর কিছু বলার নেই। যা বলার আপনারা কমেন্ট করে বলেন।

সময়- দুপুর ১২ টা ০৪ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-১০
তারিখ-২২-০৭-২০২৩
স্থান-মতিঝিল,ঢাকা।

এটির বিষয়ে সবাই অবগত আছেন। বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররাম। মসজিদের দক্ষিন পাশের মেইন গেইট থেকে ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছি। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে আট তলা বিশিষ্টা মসজিদটি নির্মান করা হয়েছে। বাইতুল মুকাররম মসজিদ ঢাকার পল্টন এলাকায় অবস্থিত। যারা এখনো যানটি, একবার গিয়ে দেখে নামাজ পড়ে আসবেন।

সময়-দুপুর ১ টা ১৭ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-১০
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-পল্টন, ঢাকা।

এগুলো কিন্তুু গলার মালা না। এগুলো তাসবীহ। অনেক মানুষ বিভিন্ন জিনিষের জন্য মান্নত করে সোয়া লাখ তাসবীহ আদায় করতে চাই,আবার রমজান মাসেও মরুব্বীরা সোয়া লাখ তাসবীহ আদায় করে। তাদের সুবিধার্থে এই তাসবীহ গুলো তৈরী করা হয়ছে। বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন কালারের তাসবীহ রয়েছে এখানে। ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছি সিলেট হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর মাজার শরীফের গেইটের সামনে থেকে।

সময়- বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-৮-০৫-২০২৩
স্থান-মাজার গেইট,সিলেট ।

আস্তো চিকেন ফ্রাই। আমাদের দিকে যখন নতুন বউ স্বামীর বাড়িতে যায় তখন দ্বিতীয় দিন আস্তো মুরগ দিয়ে খাবার দেওয়া হয়। এটা কোন নিয়ম বা বাধ্যবাধকতা নেই। যাদের মন চাই তারা করে। আমাদের ঘরেও আমার বউয়ের ক্ষেত্রে নিয়মটা পালন করেছে। পুরাতন ছবি গুলো দেখতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পড়লো।

সময়- দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৭-০৫- ২০২২
স্থান-সৈয়দাবাদ,কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।

এটি সোনারগাঁও থেকে ক্যাপচার করা শেখ রাসেলের ভাষ্কর্যের ফটোগ্রাফি। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে যখন অফিস ট্রুরে গিয়েছিলাম তখন ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছিলাম। আগামীকাল ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসাবে আজকেই ফটোগ্রাফিটা শেয়ার করলাম।

সময়-সন্ধা ৬ টা ৩০ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৭
তারিখ-২৬-০২- ২০২৩
স্থান-সোনারগাঁও,নারায়নগঞ্জ ।

বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির মধ্যে এমন কিছু ‍বিষয় শেয়ার করেছি যে গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। আশা করছি এই বিষয় গুলো অনেকের অজানা রয়েছে। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে নতুন বিষয় জানতে পারবেন। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে একটি টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।