“ডিয়ার বস” নাটক রিভিউ।।
আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। সেই কামনা করে আজকে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। নাটকটি এই মাসের প্রথম দিক দিয়ে রিলিজ হয়েছে। আজকের নাটকে অফিসের বসকে কিভাবে ম্যানেজ করে দুপুর একটার সময় অফিসে আসার টেননিক দেখতে পারবেন। সেই সাথে কিছুটা রোমান্টিকতাও পাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি-
- নাটকের নাম: ডিয়ার বস
- অফিনয় করেছেন: মুসফিক আর. ফারহান, সামিরা খান মাহি, ফারিন খান, জয়নাল জ্যাক, টুলু, আনোয়ার হোসেন, - ইসতিয়াক আহমেদ এবং আরো অনেকে।
- পরিচালনা: মেহেদী হাসান হৃদয়
- প্রযোজক: আফরিনা রহমান
- মুক্তির তারিখ: ২ই জুন ২০২৪
- সময়: ৪৩ মিনিট
- দেশ: বাংলাদেশ
- ভাষা: বাংলা
- ধরন: ড্রামা
মেহেদী হাসান হৃদযয়ের পরিচালিত নাটক আমি এই প্রথম দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। এর আগে আর দেখা হয়নি। আজকের নাটকে জুটি বেঁধেছিল মুসফিক আর. ফারহান ও সামিরা খান মাহি। আমি এই দুইজন একসাথে আজকেই প্রথম দেখলাম। ফারহান প্রথম থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। আর মাহিও নতুন উঠে এসে দারুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। একের পর এক নতুন নতুন নাটক করে যাচ্ছে। আজকের নাটকেও দারুন অভিনয় করেছে। নাটকটি রিলিজ হয়েছে আজকে ২৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যেই প্রায় ১১ মিলিয়ন+ ভিউ হয়ে গেছে। সেই সাথে অনেক কমেন্ট আর লাইকের বন্যা বয়ে গেছে। সবাই ফাহানের সাথে সাথে মাহির অনেক প্রসংশা করেছে।
নাটকটিতে ফারহান ফারিজ গ্রুপের সিইও বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে জয়েন করে। মূলত এই অফিস তার বাবার। ফারহানের বাবা ফারহনকে এই দায়িত্ব দিয়ে ডিরেক্টরের চেয়ারে বসিয়েছেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ ফারিজ গ্রুপ তিন নাম্বার অবস্থানে ছিল। অথচ গতবছর পাঁচ নাম্বার অবস্থানে যাওয়ার কারনে ফারহান তাদের কোম্পানির দায়িত্ব নেন। ফারহান খুবই সচেতন মানুষ। সে সময়কে খুবই গুরুত্ব দেয়। অপরিষ্কার ও সময় অপচয় সে একদম পছন্দ করে না। যার ফলে প্রথম দিন ফারহান অফিসে আসার আগে সবাই তাদের ডেস্ক পরিষ্কার পরিছন্ন করে ফেলে। ফারহান সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ভিআইপি ভাবে অফিসে অন্ট্রি নেয়।
অফিসের সব থেকে লেজি কর্মী হলো সামিরা খান মাহি তথা নাতাশা। অফিসে নতুন বস আসার কারনে নাতাশার কলিগ তাকে বলে নতুন বস খুবই রাগি। সে লেজি কর্মী একদম পছন্দ করে না। এখন নাতাশার মাসের পর মাস ফাইল পেন্ডিং পড়ে আছে। এইজন্য নাতাশাকে নিয়ে তার কলিগ টেনশনে আছে। নাতাশা বলে কয়েকদিন গেলেই বুঝতে পারবি অফিসে কি বস থাকবে না কি আমি থাকবো। নাতাশা খুবই চালাক মেয়ে। সে প্রথম দিনই ফারহানের রুমে গিয়ে বিভিন্ন অঙ্গিভঙ্গি করে ফারহানের নজর আকর্ষন করে। অফিসের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলে সবাই চলে গেলেও নাতাশা যায় না। ফারহান বাসায় যাওয়ার সময় দেখে নাতাশা বসে কাজ করছে। এমন সময় তাকে জিঙ্গেস করলে বলে কাজ শেষ হয়নি,আর গাড়ি নষ্ট হয়ে গ্যারেজে পরে আছে। এই জন্য সে যেতে পারছে না। তখন ফারহান নিজের গাড়ি দিয়ে নাতাশাকে উত্তরা বাসায় পৌছে দেয়।
যাওয়ার সময় নাতাশা রাস্তায় হাওয়াই মিঠাই দেখে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে হাওয়াই মিঠাই খায়। আর তখন ছবি তুলা সহ এমন কিছু অঙ্গিভঙ্গি করে যেটা ফারহানের কাছে ভালো লেগে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে নাতাশা ফারহানের কাছে যেতে শুরু করে। ফারহানও ধীরে ধীরে নাতাশাকে পছন্দ করতে থাকে। এভাবে ফারহান নাতাশাকে নিয়ে লাঞ্চ করে, ডিনার করে,অফিসের কাজ ফেলে দুইজন বিভিন্ন ভাবে সময় পাস করে। আর সেই সুযোগে নাতাশাও দুপুর বারোটা একটার সময় অফিসে আসে। একদিন নাতাশা তার সেই কলিগকে বলে আজকে একটার সময় অফিসে আসলাম। কেউ কোন কিছু বলার মত সাহস নেই। বসকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দিয়েছি। এখন সে আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,আমার পিছনে কুকুরের মত ঘুরে।
নাতাশা তার বান্দবীর সাথে বলা কথা গুলো ফারহান আড়াল থেকে শুনে ফেলে। তারপর থেকে নাতাশাকে সে IGNORE করা, অবহেলা করা শুরু করে। শুধু তাই নয় অফিসে ফারিন খান নামের আরেকটি মেয়েকে ডিএমডি পদে নিয়োগ দেয়। নাতাশার সাথে ফারহান যা কিছু করেছে, ফারিনের সাথেও সে কাজ গুলো করতে থাকে। এইচআরকে ডেকে বলে দেয় ফারিন যখন খুশি আসবে,যখন খুশি যাবে। কিন্তুু এটা মাহি মেনে নিতে পারে না। ফারহান আর ফারিনের আচরন বারবার মাহির হৃদয়ে বিষাক্ত তীরের মত আঘাত করে। আর এগুলো মাহি সহ্য করতে না পেরে ফারনের মুখোমুখি দাড়িয়ে কথা বলে। ফারহান তখন তাকে মুখের উপর বলে দেয়,যে সে তার সাথে অভিনয় করেছে, ফায়দা হাসিল করার জন্য সে ফারহানকে ব্যবহার করেছে,তার সাথে ছলনা করেছে। কিন্তুু মাহি কেঁদে কেঁদে বলে আগের গুলো অভিনয় হলেও এখন সে ফারহান কে ভালোবাসে।
ফারহান মাহির কথা বিশ্বাস করতে চাই না। তাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে। মাহি তখন বুঝতে পারে সে ভুল করেছিল। আর ফারিন ছিল ফারহানের আত্বীয়,সে ফারিনকে দিয়ে মাহির সাথে একটি গেইম খেলেছে। লাষ্ট কি হলো সেটা বুঝার জন্য আপনাদের নাটকটি দেখতে হবে। আমি বললে তেমন মজা পাবেন না। দেখলেই বেশি মজা পাবেন। তা ছাড়াও নাটকের মধ্যে কয়েকটি কমেডি দৃশ্য ছিল। যে গুলো দেখলে আপনারা সবাই হাঁসি থামাতে পারবেন না। তো বন্ধুরা নাটকটি দেখতে মিস করবেন না।
নিজের মতামত-
নাটকটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ দিয়েছে। আর সেটা হলো ফায়দা হাসিল করার জন্য কাউকে ব্যবহার করা ঠিক না। নিজে সুবিধা ভোগ করার জন্য অন্যের সাথে প্রেমের নামে অভিনয় করা খুবই খারাপ বিষয়। আর কাজের জায়গাতে অন্য কিছু প্রবেশ করানো ঠিক না। কাজের সময় অন্য সব কিছু থেকে বিরত থাকাই ভালো। আমাদের কাছের মানুষ গুলোই নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য কত সুন্দর করে অভিনয় করে,সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে অভিনয় একসময় ধরা পড়ে যায়। তখন লজ্জিত হতে হয়। তাই আগে থেকেই সাবধান থাকতে হবে।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ডিয়ার বস নাটকটা আমার কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছিল। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে এই নাটকটা দেখতে। আপনি আজকে এত অনেক সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। নায়িকা নায়ক কে প্রথমে ব্যবহার করেছিল ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে সে নিজের ভুলটা ভালোভাবেই বুঝতে পারে। যখন নায়ক তার এক কাজিনের সাথে নাটক করেছিল, নায়িকাকে জেলাস ফিল এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য। অনেক সুন্দর হয়েছে পুরো নাটকটার রিভিউ।
জী আপু প্রথমে মাহি নিজের স্বার্থ হাসিল করতে অভিনয় করেছিল।
নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তেও আমি অনেক পছন্দ করি। আমার কাছে তো ফারহানের নাটক বেশি ভালো লাগে দেখতে। ফারহান আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। তার এই নাটকটা আমার দেখা হয়নি। কিন্তু রিভিউর মাধ্যমে পড়তে পেরে ভালো লাগলো। মাহি দেখছি স্বার্থের জন্য প্রথমে অভিনয় করেছে। তবে পরবর্তীতে ফারহানকে সে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল। আর এটা তখনই বুঝতে পেরেছিল যখন ফারহান তার আত্মীয়ের সাথে একটা নাটক করে মাহিকে দেখিয়ে। আমি চেষ্টা করবো সময় পেলে নাটকটা দেখার জন্য।
জী ভাইয়া ফারহান ভালোই নাটক করে।যে কোন বিষয় পারফেক্ট অভিনেতা। ধন্যবাদ।
নাটকের মেসেজটা খুবই সুন্দর। নিজের স্বার্থের জন্য কাউকে ব্যবহার করা ঠিক না। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার নাটক রিভিউ দেখে। সময় পেলে একদিন নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ দেওয়ার জন্য।
নাটকের বিষয়টা মোটামুটি অনেক সুন্দর। যদি সবাই বুঝতে পারে। ধন্যবাদ।
বর্তমান সময় তো সব জায়গায় এগুলোই হচ্ছে নিজের সুবিধার জন্য অন্য মানুষকে সেরকম ভাবে ব্যবহার করা। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আসলে নিজের সুবিধা আদায় করার জন্য মানুষের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করা খুবই খারাপ একটি বিষয়। কিন্তু নাটকটি শেষ করলেন না। এখনতো জানতে ইচ্ছা করছে পরবর্তীতে কি হল। সময় পেলে নাটকটি দেখবো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সবাই স্বার্থের জন্য অন্যেকে ব্যবহার করে। এটা সব জাগায় লক্ষ করা যায়।
প্রতিটি নাটকেই আজকাল সুন্দর একটি করে মেসেজ থাকে।কিন্তু আমরা নাটক দেখার দেখি।সেই গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ গুলো মনেও রাখি না।কিন্তু উচিত আমাদের মনে রাখা।কোন অভিনয় করে কোন কিছু হাসিল করা ভালো নয়।একদিন সব ফাঁস হয়ে গেলে সত্যি ই লজ্জিত হতে হয়।চমৎকার ভাবে নাটকের রিভিউটি করলেন।আজকাল আর নাটক দেখা হচ্ছে না।সময় সুযোগ হলে দেখব আশা করি।
জী আপু পত্যেকটা মুভি, নাটকে একটা বিশেষ ম্যাসেজ থাকে। যেটা সবাই বুঝতে পারে না।
ভাই পোষ্টের নিচে থাকা Steempro মোবাইল এ্যাপ এর ব্যানারটি বাদ দেয়ার অনুরোধ করছি।
বাদ দিয়ে দিয়েছি ভাইয়া,ধন্যবাদ।
আপনি দেখতেছে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন।ফারহান এর নাটক দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যদিও এই নাটকটি আমি এখনো দেখি নাই। আসলে প্রেমের অভিনয় করে কোন কিছু হাসিল করা হচ্ছে বোকামি। তবে সময় পেলেই নাটকটি একদিন দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি হাসিঁর সাথে শিক্ষনীয় ছিল। গুরুত্ব পুর্ণ ম্যাসেজ দিয়েছে।
আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমার কাছে তো ফারহানের নাটক অনেক বেশি ভালো লাগে দেখতে।যদিও এ নাটকটি দেখা হয়নি তবে সময় করে অবশ্যই একদিন দেখবো।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার জন্য।