নিউ মার্কেট সিটি কমপ্লেক্সে কিছু সময়।।
মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
ছেলে মেয়ে বা সন্তান সন্ততি যেটাই বলেন এটা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার দান। কেউ শত ইচ্ছা করেও সন্তান পায় না। আবার কেউ না চাইতেও সৃষ্টিকর্তা তাকে সন্তান দিয়ে দেয়। বলতেছি আমার অফিসের কলিগের কথা। তার নাম সাইফুল ইসলাম। জন্মসূত্রে ইলিশের দেশ চাঁদপুরী হলেও বসবাস করে ঢাকার শনির আখড়ায়। ২০১৯ সালে আমাদের অফিসে জয়েন করে। সে আমার কলিগ, বন্ধু দুটাই বলতে পারেন। কারন অফিসের বাহিরে ভিতরে সব কাজের মধ্যে একজন অপরজনকে স্বাক্ষী হিসাবে রাখি। কোথাও ঘুরতে গেলেও দুইজনে এক সাথে যাওয়া হয়। তো দুই জন মিলে গত শুক্রবারে গিয়েছিলাম নিউ মার্কেটে। কেন গিয়েছিলাম সেটাই বলার চেষ্টা করছি।
সাইফুল বিয়ে করে ২০২০ সালে শেষের দিকে। করোনা কালিন সময়। সেই সময় যদিও সব ধরনের অনুষ্ঠান ও জমায়েত বন্ধ ছিল,তারপরও পারিবারিক ভাবেই চুপি চুপি সে বিয়েটা করে ফেলে। তারপর দিনরাত অতিক্রম হয়ে,সাপ্তাহ মাস পেরিয়ে ২০২২ সালের মাঝা মাঝি সময়ে সাইফুলের প্রথম সন্তান জন্মলাভ করে। ছেলেকে কোলে নিয়ে সাইফুল অনেক খুশি। তারপর ধীরে ধীরে ছেলে বড় হতে থাকে। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে সাইফুলের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে থেকে এক সাপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়। সাইফুল সুস্থ হওয়ার পরে তার বউ আবার অসুস্থ হয়ে যায়। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারে সাইফুল আবার বাবা হতে চলেছে। খুশির খবর শুনে সবাই অনেক খুশি হয়েছে।
কিছুদিন আগে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারে সাইফুল টুইনবেবির বাবা হতে যাচ্ছে। এখন খুশির সাথে আবার একটু ভয় পাচ্ছে। আগের যে ছেলে হয়েছে সেটা সিজারের মাধ্যমে হয়েছিল। সেই ছেলেও প্রায় আড়াই বছরের মত হবে। তাদের এত তারাতারি দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তারপরেও সৃষ্টিকর্তা দিলে কেউ আটকাতে পারে না। এখন সবাই দোয়া করছি সুস্থ ভাবে যেন তার টুইনবেবি দুনিয়াতে আসে। দুই জনই আবার ছেলে বাবু। প্রথমবার সিজারের জন্য এখন একটু ভয়ে আছে। যায়হোক এখন টুইনবেবির জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন জিনিষ কেনাকাটা শুরু করেছে। জন্মের সময় এমনি অনেক জামেলা থাকে। তাই আগে থেকেই কিছু কিছু জিনিষ কিনে রাখতে চাইছে। আর সেই জন্যই নিউমার্কেটে গেলাম।
আমি শুক্রবারে যাত্রাবাড়ি যায় কোচিং করার জন্য। আমি কোচিং করে দশটার সময় বের হওয়ার পরে সাইফুকে নিয়ে মৌমিতা বাসে চড়ে নিউ মাকের্টে যায়। আপনারা তো সবাই নিউ মার্কেটের অবস্থা জানেন কোন কিছুর অভাব নেই। এমন কোন জিনিষ নেই সেখানে পাওয়া যায় না। আমরা বাস থেকে নেমে হেটে হেটে সোজা নিউ মার্কেট সিটি কমপ্লেক্সর দ্বিতীয় তলায় চলে যায়। রাস্তার দুই পাশে দোকনের অভাব নেই। সেখানে গেলে পাঁচ দশ লাখ টাকার মার্কেট করলেও মন ভরবে না। যেটা দেখি সেটাই পছন্দ হয়। আর জিনিষ গুলো মোটামুটি অনেক ভালো। ঢাকা শহরের অর্ধেক মানুষ এখান থেকে মার্কেট করে।
আমরা চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় স্বপ্না বেবি মাকের্ট শপে চলে গেলাম। শপটিতে ছোট বাচ্ছা থেকে ধরে বড় বাচ্ছাদের এমন কোন আইটেম নেই, যেটা সেখানে পাওয়া যায় না। আমি উপরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। আমি যদি দোকানের সব গুলো আইটেমের নাম লিখতে যায় তাহলে ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে। সাইফুল কি কি লাগবে,সেটার লিস্ট একটি কাগজে লিখে নিয়ে গেছিলো। লিষ্ট ধরে একটি একটি করে পণ্য টেবিলে রাখতে লাগলো। সেখানে ছিল,বাচ্ছাদের নিমা,গেঞ্জি, দুইটি মশারি,দুটি ছোট ওয়াল ক্লথ,বেবি লোশন,পাওডার,নেলকাটার সহ আরো অনেক কিছু। যাদের বাচ্ছা আছে তারা সে গুলো ভালো ভাবে জানেন। সব মিলিয়ে ছয় হাজার টাকার উপরের জিনিষ পত্র কিনেছিলো।
আমি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আবার কিছুক্ষন হাটাহাটি করেছি। ঘুরে ঘুরে বাচ্ছাদের আইটেমের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। বাচ্ছাদের যত আইটেম আছে সব গুলোই এখানে রয়েছে। এখানে অনেক সুন্দর বেবি স্ট্রলার দেখলাম। স্ট্রলার গুলো পাঁচ হাজার থেকে ধরে পনের বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। বাচ্ছাদের কত আইটেম যে আছে,সেখানে না গেলে বুঝতাম না। আমরা প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টার মত সেখানে ছিলাম। তারপর আমাদের আইটেম গুলো তিনটি ব্যাগে করে দিলো। আমরা নিচে নেমে হালাকা নাস্তা করলাম। তারপর আবার মৌমিতা বাসে চড়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের যাদের বেবি আইটেম লাগবে,তারা সেখানে যেতে পারেন। তাদের প্রডাক্ট গুলো খুবই ভালো। আর পাইকারি দাম রাখে। তো বন্ধুরা আবার আগামীকাল দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | নিউ মার্কেট সিটি কমপ্লেক্সে কিছু সময়।। |
স্থান | নিউ মার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৭/০৬ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ইস্ বন্ধুর জন্য বন্ধুর কত টান। যাক একবারে কাজ শেষ। টুইন হলেই তো ভালো। আর সেই আগত টুইন বেবীর জন্য কেনাকাটা করতে নিউমার্কেট গেলেন। আমার তো মনে হয় এমন জায়গায় ১০ লাখ টাকার শপিং করেও মন ভরবে না। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু টইন বাবুর জন্য কেনাকাটা করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
বাহ শুনে ভালো লাগলো টুইনবেবির আগমনে কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে। আসলে সৃষ্টিকর্তা দিলে কেউ আটকাতে পারে না। যদিও মন চাইবে না এখন বাচ্চা নিবে না কিন্তু যখন সৃষ্টিকর্তার হুকুম হবে এই পৃথিবীতে আসার দিন ধার্য হবে তখন সঠিক সময়ে পাঠিয়ে দেই। যাক ভালো লাগলো শুনে। তবে বাচ্চা দুইটার জন্য শুভকামনা রইল যেন খুব সুস্থভাবে এই পৃথিবীতে আগমন করতে পারে। মায়ের জন্য দোয়া রইল।
জী আপু কেউ চেয়েও একটা পায় না। আর কেউ না চেয়েও টুইন বেবি পায়। ধন্যবাদ।
টুইন বেবির আগমন উপলক্ষে কেনাকাটা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাইয়া সৃষ্টিকর্তা যার ভাগ্যে যেটা রেখেছে সেটা হবেই। আপনার বন্ধুর আগেও একটি ছেলে হয়েছে এখন আবার টুইন বেবি সেগুলো ছেলে। অনেক কেনাকাটা করেছেন। নতুন বেবিদের জন্য অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইল।
জী আপু তিনজনই ছেলে বাবু। তবে তার একটি মেয়ে বাবুর অনেক শখ ছিল। ধন্যবাদ।