পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- নবম পর্ব ( রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত সেতু পরিদর্শন )।।
বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগিং করো-
হ্যালো আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- নবম পর্ব শেয়ার করবো। আজকে রাঙামাটি জেলার বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
সেই নির্জন দ্বীপের রেস্টুরেন্টের মধ্যে রাঙামাটির ট্রেডিশনাল ফুড দিয়ে ভুড়ি ভোজন করে আমরা কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম। তারপর আমাদের এডমিন আমাদেরকে জানালো যে আমাদের পরবর্তী স্পট হলো রাঙামটির বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু। সবাইকে ধীরে ধীরে নৌকার মধ্যে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলো। আমরা সবাই নিজেদের মত করে পানি,কোক ব্যাগ নিয়ে নৌকার মধ্যে গিয়ে বসলাম। সবাই আসার পরে ঝুলন্ত সেতুর উদ্যেশ্যে নৌকা ছেড়ে দিলো। এই পর্যায়ে দেখলাম সবার মধ্যেই একটা ঘুমের ভাব চলে এসেছে। সারারাত জার্নি করে এসেছে, লাঞ্চ করার পরে শরীরটা দূর্বল হয়ে পড়লো। তবে আমরা ছেলেরা সবাই নৌকার ছাদের গিয়ে লেকের দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে লাগলাম। কারন আমরা এখানে আনন্দ করতে এসেছি,প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এসেছি,ঘুমাতে আসি নাই। আমাদের আনন্দ আর ফটোগ্রাফি চলতে লাগলো।
নৌকা প্রায় ত্রিশ থেকে পয়তাল্লিশ মিনিটের মত চললো। যদিও নৌকাটা ধীরে ধীরে চলছিলো। আমরা লেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে অবাক হয়ে গেলাম। নীল পানির লেক দেখতেছি ও হালকা বাতাস গায়ে লেগেছিল। প্রায় চারটার দিকে নৌকা সেই ঝুলন্ত ব্রিজের নিকট এসে নোঙ্গর ফেললো। ঝুলন্ত ব্রিজে প্রবেশ করতে বিশ টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হয়। আমাদের এডমিন সব কিছু ব্যবস্থা করে রেখেছে। যার ফলে আমাদের কোন জামেলা হয়নি।
আমরা নৌকা ঘাটে এসে দেখলাম প্রায় অনেক নৌকা ঘাটে লেগে আছে। সবাই বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এখানে ঘুরতে এসেছে। তখন কিছুটা শীতকাল হওয়ার কারনে লেকের পানি অনেকটা নিচে নেমে গেছিলো। যার ফলে নৌকা ব্রিজ থেকে কিছুটা দুরে নোঙ্গর করলো। নৌকাতে থাকা অবস্থায় আমাদের এডমিন বলে দিলো যে এখানে আমরা এক ঘন্টা থাকবো। তারপরে আমাদের আরেকটি স্পট বাকি আছে। আপনারা তারাতারি ঘুরে আসলে সেটা দেখতে পারবেন। সবাই ধীরে ধীরে নৌকা থেকে লেকের পার দাড়ালো। তারপর এডমিন আপু সবাইকে ব্রিজে প্রবেশ করতে বললেন। বিজ্র কর্তৃপক্ষ এডমিন আপুকে আগে থেকেই চিনে। যার ফলে আমাদের কে টিকেট ছাড়াই গুনে গুনে প্রবেশ করতে দিলো।
ব্রিজে প্রবেশ করেই শুরু হলো বিভিন্ন ভাবে আমাদের ফটোশট। ব্রিজের মধ্যে এত মানুষ ছিল,যে ফটোগ্রাফি করার মত সুযোগ নেই। ব্রিজটি রাঙামাটির তবলছড়ি এলাকায় অবস্থিত। যেটা ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করে। বর্তমানে এটি রাঙামাটি জেলার জাতীয় প্রতীক হিসাবে দেশ বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ব্রিজটি পরিদর্শন করতে রাঙামাটি ভ্রমন করে। আমাদের আরো কিছু সময় নিয়ে সেখানে যাওয়ার দরকার ছিলো। কারন এলাকটি মোটামুটি অনেক সুন্দর ও অনেক বড় ছিল। আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন মানুষে কিলবিল করছিলো। ব্রিজটির উপরে অধিক মানুষ আরোহন করার ফলে ব্রিজটি ধুলছিলো।
যদিও সেখানে অধিক পরিমানে মানুষ ছিল। তারপরেও সেখানে ঘুরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার ইচ্ছা আছে সেখানে আবার যাবো। আপনারা উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ছোট ছোট অনেক নৌকা রয়েছে,আর পানিটা কত পরিষ্কার ও নীল কালার। আমরা ব্রিজ পার হয়ে ঐ পাড়ে গিয়েদেখি প্রচুর পরিমানে আনারস আর বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট রয়েছে। সেখানে রাঙামটির ঐতিহ্যের অনেক জিনিষ পত্র দেখেছি। পরের পর্বে সে গুলো দেখতে পারবেন। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম.....চলবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- অষ্টম পর্ব ( রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত সেতু পরিদর্শন )।। |
স্থান | ঝুলন্ত সেতু, রাঙামাটি, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
https://x.com/ArianKh29670721/status/1791126413309050929
বাহ চমৎকার একটি দৃশ্য দেখতে পেলাম আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আপনি নবম তম ভ্রমণ পর্ব শেয়ার করলেন ভীষণ ভালো লাগলো দেখে। এই দৃশ্যগুলো যখন সরাসরি দেখছিলাম তখন বেশ ভালো লেগেছিল। তবে প্রতিনিয়ত মিস করি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের বিষয়গুলো। আজকে আবারো আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাধ্যমে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
জী আপু জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। মন চাই বারবার ছুটে যায়। ধন্যবাদ।