“দ্যা লস্ট ফরেস্ট” হলিউড মুভি রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে একটি মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি এর আগে কখনো মুভি রিভিউ শেয়ার করি নাই। আজকেই প্রথম মুভি রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকের মুভিটা হলিউডের মুভি,যেটা সমুদ্র-জঙ্গল নিয়ে তৈরী করা হয়েছে।
মুভির কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
মুভির নাম | দ্যা লস্ট ফরেস্ট |
---|---|
পরিচালক | রুসেল মুলকাহি |
অভিনয়ে | টমাস ককারেল, কোরি লার্জ, উইলিয়াম মোসেলি প্রমুখ। |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ৩২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৪ই আগস্ট ২০২৩ |
ভাষা | ইংরেজি |
দেশ | আমেরিকা |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
রুসেল মুলকাহি কতৃর্ক নির্মিত দারুন আত্নবিশ্বাস মূলক একটি মুভি হলো “দ্যা লস্ট ফরেস্ট”। গত ৪ই আগস্ট ২০২৩ সালে মুভিটি রিলিজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মুভিটিতে সাড়ে ছয় মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। হলিউডের মুভি গুলো নির্মান করতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। সেই সাথে মুভি গুলো রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে অনেক ভিউ চলে আসে। মাত্র চার মাসে সাড়ে ছয় মিলিয়ন ভিউ হয়েছে সেটা চিন্তার বাহিরে ছিল। কিন্তুু মুভির জনপ্রিয়তা সেটা সম্ভব করে দিয়েছে। গত কাল সন্ধা ছয়টার সময় অফিস থেকে বাসায় চলে গেছিলাম। তারপর সন্ধার পরে বসে বসে মুভিটি দেখেছি। মুভিটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যার ফলে চিন্তা করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
আমি কলেজ লাইফে থাকা অবস্থায় একটি বই পড়েছিলাম। বর্তমানে বইয়ের নামটি আমার মনে নেই। তবে বইয়ের বিষয় বস্তুু ছিল পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ল্যান্ড বা দেশ আবিষ্কার করা। সেই দেশ বা দ্বীপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন খুজে বের করা। বইটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আজকে যে মুভির রিভিউটি শেয়ার করছি সেটাও এমনই একটি মুভি। প্রথমে একদল ভ্রমন কারী জানতে পারে যে পাপুয়া নিউগিনি দ্বীপে অনেক স্বর্ণ রয়েছে। যে দ্বীপটা ওশেনিয়া মহাদেশের মেলানেশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। কিছু মানুষ সেই দ্বীপে গিয়েছিল। তবে সেখানের স্থানীয় উপজাতিদের জন্য গুপ্তধন বা স্বর্ণ খুজে বের করা অসম্ভব। প্রথমে যারা সেই দ্বীপে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশ মানুষকে উপজাতিরা মেরে ফেলেছে। তিনজন অভিযাত্রী জীবন নিয়ে কোনরকম ফিরে এসেছে।
প্রবাদ আছে অর্থ আর ক্ষমতার লোভ কারো ভিতরে একবার জায়গা করে নিলে তার ভিতর থেকে সেটা বের করা প্রায় অসম্ভব। মৃত্যুর আগে সেই নেশা তার ভিতর থেকে বের হয় না। বাংলাদেশের বর্তমানে কিছু লোক ক্ষমতার লোভে এমন পাগল হয়েছে যে,দেশ গোল্লায় গেলেও মৃত্যুর আগে তারা ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। যায়হোক সেদিকে আলোচনা করবো না। পাপুয়া নিউগিনি থেকে যে তিনজন অভিযাত্রী ফিরে এসেছিল তাদের মধ্যে একজন,যে নায়কের ভূমিকা পালন করেছিল সে আবার সেই দ্বীপে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করলো। সেখানের গুপ্তধন তথা স্বর্ণ তার হাতে পাওয়ার নেশা চেপে ধরলো। অতপর সে তার সাথে তার দুইজন বন্ধুকে বিষয়টা খুলে বলে। অবশেষে তারাও যেতে রাজি হয়।
এখন সেখানে যেতে হলো একটি লঞ্চ বা নৌকা লাগবে। যে ক্যাপটেন সে চায়না ডাকাতের সরদার থেকে একটি নৌকা চুরি করে নিলো। যে নৌকাটি চায়না ডাকাত অন্য আরেকজন থেকে ডাকাতি করেছিল। ক্যাপটেন আর তার বন্ধুরা যখন নৌকার বিভিন্ন আসবাব পত্র গোছাচ্ছিলো তখন নৌকার মূল মালিক এসে তাদের উপর আক্রমন করে। তারপর তাদের কাছে জানতে চাই এই নৌকা তারা কোথায় পেয়েছে। তখন ক্যাপটেন সত্যি কথা বলে। আর তারা নৌকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে,কেন যাচ্ছে,সব কিছু খুলে বলে। সেই সাথে বোটের মালিককে তাদের সাথে যেতে অফার করে। সেখানে যে গুপ্তধন পাবে সবাই সমান ভাগ করে নিবে। তারপর বোটের মালিক বলে পাপুয়া নিউগিনি যাওয়া এবং সেখান থেকে গুপ্তধন খুজে বের করা খুবই কঠিন কাজ। এমকি জীবন মরন লড়াই। তারপরও বোটের মালিক তাদের সাথে যেতে রাজি হলো। প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র নিয়ে চার জন মিলে পাপুয়া নিউগিনির উদ্যেশ্যে বোট ছাড়লো।
সমুদ্র যাত্রা অনেক সাহসী আর কঠিন কাজ। এই কাজটি সবাইকে দিয়ে হয় না। কারন সমুদ্রে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তারাও যাত্রা পথে অনেক সমস্যার সম্মখিন হয়। প্রথমেই যে সমস্যাটি দেখা দেয় সেটা হলো খাবার শেষ হয়ে যাওয়া। তারা মাঝপথে একটি দ্বীপ দেখতে পায়। তারপর সেখানে বোট থামিয়ে যাত্রাবিরতি করে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে আগুন জ্বালিয় পুড়িয়ে খায়। তারা জানেনা আর কত দিন লাগবে সেই দ্বীপে জেতে। সেখান থেকে জীবিত ফিরে আসতে পারবে কিনা সেটাও জানে না। তারপরও অজানার উদ্যেশ্যে স্বর্ণের লালসায় জীবন বাজি রেখেছে। মাঝখানে তাদের মধ্যে একটি জামেলা হয়ে বোট ছিদ্র হয়ে যায়। ইন্জিনে আগুন ধরে যায়। বোট ঠিক করতে অন্য একটি দেশের বন্দরে যায়। সেখানে আবার এক মেয়ের পাল্লায় পড়ে অনেক জামেলা হয়। অবশেষে সেখানে থেকেও কোনরকম বেঁচে আবার পাপুয়া নিউগিনির উদ্যেশ্যে বোট ছাড়ে।
এভাবে চলতে চলতে একসময় তারা পাপুয়া নিউগিনির সেই দ্বীপ দেখতে পায়। এসব সমুদ্র যাত্রা করতে হলে সাথে ম্যাপ নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা ভুল করলে মাসের পর মাস পার হয়ে যাবে তারপরও গন্তব্যে পৌছা যাবে না। তারা খুব দক্ষতার সাথেই এগোচ্ছিলো। মূল দ্বীপ দেখে অনেক খুশি হয়ে ছিল। তবে মূল দ্বীপে যাওয়ার আগেই বোটটি কিসের সাথে যেন ধাক্কা খায়। তার সাথে বোট ছিদ্র হয়ে যায় এবং ইন্জিনে আগুন ধরে যায়। বড় বোটের সাথে ছোট একটি বোট থাকে। যেন যেকোন সময় বড় বোটের সমস্যা হলে ছোট বোটটি ব্যবাহার করা যায়। তারপর তাদের চার জনের মধ্যে দুইজন ছোট বোটে উঠতে পারে। আর দুইজন সেখানে সাগরের নিচে হারিয়ে যায়। দুইজন সেই দ্বীপে পৌছার আগেই মিশনারীর হাতে পরে ফিরে আসতে হয়।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের মুভিটি প্রথম যেমন হবে ভেবেছিলাম তেমন নয়। তবে মুভিটা দেখে মজা পেয়েছি। এসব মুভি দেখলে আত্নবিশ্বাস বাড়ে। সমুদ্র ভ্রমন করলে অনেক কিছু জানা যায়,অনেক কিছু দেখা যায়। যুগের পর যুগ মানুষ জীবনকে বাজি রেখে গুপ্তধন,খনিজ সম্পদ খুজে বের করেছে। আমরা সে গুলো ব্যবহার করতে পারছি। সমুদ্রের নিচে কত হাজার হাজার মানুষের দেহ রয়েছে,হাড্ডি রয়েছে তার কোন হিসাব নেই। তারপরও মানুষ অজানাকে জানার জন্য অদেখা দেখার জন্য,গুপ্তধন খুঁজে বের করার জন্য মাসের পর মাস,বছরের পর বছর সমুদ্রে অভিযান চালাই,জঙ্গলে অভিযান চালাই। কেউ সফল হয় আবার কেউ ব্যর্থ হয়। তবে জীবন থেমে থাকে না।
মুভির লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
হলিউড মুভির রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।যদিও আমি মুভি তেমন একটা দেখিনা।এই মুভিটি দেখার চেষ্টা করবো।আপনার রিভিউ পোস্টটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হলিউডের মুভি গুলো ভালই লাগে। আশা করি মুভিটি দেখলে নতুন কিছু পাবেন। ধন্যবাদ।