“ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো,
আমার প্রিয় স্টিমিট বাসি,কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি একটি বিনোদনমূলক পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। সবসময় শুধু কাজ করলে হবে না। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্য নাটক দেখবেন। আজকে আমি একটি হাসিঁর নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো। নাটকটি দেখেছিলাম শুক্রবারে। আশা করছি রিভিউটা পড়লে আপনাদেরও নাটকটি দেখতে আগ্রহ জাগবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি |
---|---|
পরিচালনা | ওসমান মিরাজ |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, সামিরা খান মাহি, অরিক, মিঠু প্রমুখ |
দৈর্ঘ্য | ৫০ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৬ আগস্ট ২০২৩ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
মূল চরিত্র
- নিলয় আলমগীর
- সামিরা খান মাহি
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি নাটকটি মুক্তি পেয়েছে গত ২৬শে আগস্ট। রিলিজ হওয়ার মাত্র ছয়দিনের মাথায় ৮ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। ৯৪ হাজার লাইক আর তিন হাজারের উপরে কমেন্ট পেয়েছে। নাটকটি কতটা জনপ্রিয়তা পেলে মাত্র ছয়দিনে এতটা সফলতা অর্জন করতে পারে। অনেক গুলো কমেন্ট চেক করে জানা যায় যে নাটকটি এত জনপ্রিয়তা লাভ করার প্রধান কারন হলো সিলেটি ভাষা। মাহিয়া মাহি এত সুন্দর ভাবে সিলেটি ভাষা ব্যবহার করেছে যে সবাই মুগ্ধ হয়ে গেছে। নাটকটির সম্পূর্ণ অভিনয় করা হয়েছে পশ্চিমের দেশ আমেরিকাতে।
নীলয় আর মাহি দুইজনই আমেরিকায় চাকরি করে,চাকরি বলতে নীলয় হলো গাড়ির ড্রাইভার আর মাহি এক বাসায় কাজের মেয়ের কাজ করে। কিন্তুু তারা পার্কে বা বাহিরে বের হলে এমন সব জামা কাপড়র পড়ে বের হয়ে যে, দেখে মনে হয় কোন বড় বিজনেসম্যান। একদিন মাহি পার্কে বসে তার বাড়ির মানুষের সাথে মোবাইলে কথা বলতেছিলো। সে আমেরিকার গুণগান বলে বলতেছে সে এখানে ব্যবসা করে, সে একজন বিজনেস লেডি, লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে। নীলয় তার পিছন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাহিকে ফলো করে। সে মাহিকে দেখে মনে মনে ভাবে এমন একজন বড়লোক মেয়েই আমার দরকার। তাকে বিয়ে করতে পারলে তার সব সম্পত্তি আমার হয়ে যাবে। আর চাকরি করা লাগবে না। নীলয় ধীরে ধীরে মাহির কাছে গিয়ে তার কথাবার্তা শুনে তাকে সেখানেই বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মাহি নীলয়কে লুঙ্গী পড়া অবস্থায় দেখে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাড়িয়ে দেয়। নীলয়ও নিজেকে বড়লোক,বিরাট বড় বিজনেস ম্যান দাবি করে। তবে নীলয়কে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় দেখে মাহি বিশ্বাস করে নাই।
মাহি পার্ক থেকে বের হয়ে দেখে পার্কের গেইটে অনেক দামি সুন্দর একটি গাড়ি দাড়ানো আছে। সেই গাড়ি দেখে মাহি হাত দিয়ে টার্চ করে,গাড়িটি নিয়ে সেলফি তুলে। এমন সময় নীলয় এসে পিছন দিক দিয়ে দাড়ায়। মাহি তখন নীলয়কে দেখে আবার অপমান করে,তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। তখন নীলয় মাহিকে বলে গাড়ির সামনে থেকে সরে দাড়ান। এই গাড়ি টি আমার। তখন মাহি বিশ্বাস করে না। নীলয় যখন কোমর থেকে চাবি বের করে দরজা খুলে গাড়িতে বসে তখন কিছুটা বিশ্বাস করে। যখন নীলয় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে চলে যায় তখন সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করে যে, নীলয় সত্যিই একজন বড় বিজনেসম্যান। তারপর থেকে সে আফসোস করতে থাকে কেন বিয়ের প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দিয়েছে। মূলত নীলয় ছিল সেই গাড়ির ড্রাইবার।
সেই দিনের পর থেকে মাহি নীলয়ের পিছন পিছন ঘুরতে থাকে। আর নীলয়ও তাকে অপমান করার কারনে মাহিকে লোভ দেখিয়ে পিছন পিছন ঘুরায়। ধীরে ধীরে মাহি বিভিন্ন ভঙ্গিতে নীলয়কে তার ভালবাসার কথা জানায়। কিন্তুু নীলয় সেটা বুঝতে চাই না। অবশেষে মাহি সরাসরি নীলয়কে ভালবাসার কথা বলে। তখন নীলয়ও রাজি হয়ে যায়। নীলয় ভাবে মাহি বড়লোক,তাকে বিয়ে করলে তার আর ড্রাইভারের কাজ করা লাগবে না। আর মাহি ভাবে নীলয় অনেক বড়লোক। তাকে বিয়ে করলে মাহির আর মানুষের বাসায় কাজ করা লাগবে না। দুই জনই একজন অপর জনের সম্পত্তির লোভে পড়ে প্রেম করে। মূলত দুইজনই ফকির।
ধীরে ধীরে একজন অপর জনের আসল চরিত্র জানতে পারে। নীলয় জানতে পারে মাহি এক বাসায় কাজ করে। আর মাহিও জানতে পারে যে নীলয়ের কোন গাড়ি বাড়ি নেই,সে একজন ড্রাইভার। নীলয় মাহিকে ছেড়ে দেয়,তখন মাহি নীলয়ের সামনে আত্নহত্যা করতে চাই। তখন নীলয় বলে তুমি মারা গেলে আমার কোন সমস্যা নেই। তখন মাহি বলে আমি মরলে তুমাকে পুলিশ জেলে নিয়ে যাবে। কারন আমি সুইসাইড নোটে তোমার নাম লিখে যাচ্ছি। তখন নীলয় একটু নরম হয়ে বলে আত্নহত্যা করার দরকার নেই। আমরা দুই জনে কাজ করলে খুব তারাতারি বড়লোক হতে পারবো। চলো দুইজন মিলে এক সাথে কাজ করবো।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
এই নাটকটি মূলত বিনোদনের জন্য তৈরী করা হয়েছে। সিলেটি ভাষার জন্য নাটকটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। নাটকে বর্তমানে প্রেম ভালবাসার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে সবাই অর্থের লোভে পড়েই প্রেম ভালবাসা করে। মূলত অরিজিনাল ভালবাসা মানুষের মন থেকে উঠে যাচ্ছে। নিজে কি করে না করে সেদিকে খেয়াল নেই। বরং অর্থ সম্পদের লোভে পড়ে সম্পর্ক করে। যখন দেখে অর্থ সম্পদ নেই তখনই সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। এসব মন-মানুষিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কারো অর্থ সম্পদ না দেখে মানুষের মন দেখে ভালবাসতে হবে।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি নাটকটি কয়েকদিন আগে দেখেছি। বেশ হাসির একটি নাটক। নিলয় এবং মাহির অভিনয় অনেক সুন্দর ফুটে উঠেছে। আপনার রিভিউ দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জী ভাইয়া নাটকটি খুবই হাসিঁর। মাহির অভিনয় দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ভাইয়া। যদিও সময় স্বল্পতার কারণে এখন নাটক দেখা হয় না। তবে নাটকটি বেশ দারুন যেটা পড়ে বুঝলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
জী আপু আমিও খুব ব্যস্ত থাকি। তারপরও মাঝে মাঝে সময় বের করে দেখি। ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে এ ধরনের হাসির নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। আজকে আপনি বেশ সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বর্তমান সময়ের ভালোবাসার যে বাস্তব চিত্রটা তা এই নাটকের মধ্যে ফুল ফুটে উঠেছে। যা টাকা আছে তার কাছে ভালোবাসা আছে। সব মিলিয়ে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে সময় বের বিনোদনের জন্য করে দেখতে হয়। ধন্যবাদ।
নিলয় এবং মাহি দুজনেই লোভে পড়ে একজন আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ জানে না যে তাদের আসল কাহিনী। এ অবস্থায় আসল কাহিনী জানলে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ারই কথা। যাক শেষে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। পড়ে ভালো লাগলো।
জী আপু দুইজনই অর্থের লোভে পড়ে সম্পর্কে জড়িয়েছে। অথচ দুইজনই ফকির। ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে মাঝে মধ্যে ভালই লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যদিও এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি ।তবে সময় করে নাটকটি দেখে নেব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু একসময় দেখবেন। অনেক হাঁসির নাটক এটি। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। নাটকটি দেখে তো আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে ভালোবাসার বাস্তব চরিত্র এই নাটকের মধ্যেই রয়েছে। এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু এখানে বর্তমানের ভালোবাসার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সবাই অর্থের পিছনে ঘুরে। ধন্যবাদ।
নাটকটি খুব চমৎকার। আর সামিরা খানের বাড়িও সিলেট যার কারণে সে যথাযথ অভিনয় করেছে। খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাই।
আমি নাটকটি দেখার পরে জানতে পারলাম মাহির বাড়ি না কি সিলেট। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি নাটকটি রিভিউ দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে নাটকটি কয়েকদিন আগে মুক্তি পেয়েছে আপনি বেশ সুন্দরভাবে দেখে আমাদের মাঝে রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। এখনো নাটকটি আমি ডাউনলোড করিনি তবে অবশ্যই চেষ্টা করবো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নাটকটি দেখে নেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর রোমান্টিক একটি নাটক শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ঢাকাইয়া পোলা সিলেটি ফুরি নাম দেখেই ক্লিক করলাম। ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারেনি৷ তবে আমি সময় করে এই নাটকটি দেখে নিব। আপনি এই নাটকের রিভিউ খুবই ভালোভাবে শেয়ার করেছেন৷ এই নাটকের প্রত্যেকটি ঘটনা আপনি এই রিভিউ এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো৷
জী ভাইয়া নাটকের সারংশটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা বিস্তারিত জানতে নাটকটি দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমি মাঝে মাঝেই এলাকাভিত্তিক নির্মিত নাটক গুলো দেখে থাকি কেননা এই নাটক গুলো দেখে অনেক বেশি পরিমাণে মজা পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন আগে এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। নাটকে বিশেষ করে নায়িকার অভিনয় খুবই সুন্দর হয়েছে।
জী ভাইয়া জেলা বা এলাকা ভিত্তিক নাটক গুলো দারুন লাগে। ধন্যবাদ।