“ওল্ড ইজ গোল্ড” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি অনেক দিন আগে রিলিজ হয়েছে । নাটকটি দেখে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে, যার জন্য আপনাদের নিকট রিভিউ নিয়ে চলে এলাম। নাটকটিতে একটি শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। যদি মনযোগ দিয়ে দেখেন তাহলে সেটা বুঝতে পারবেন। চলুন শুরু করি।
নাম | ওল্ড ইজ গোল্ড |
---|---|
পরিচালনা | ইমরাউল রাফাত |
অভিনয়ে | তাহসান রহমান খান, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, কাজী উজ্জল, নাওরিন আফরোজা, ফারহান আহমেদ জোভানও আরো অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ৪৩ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৫শে জুলাই ২০১৭ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তাহসান রহমান খান
- বিদ্যা সিনহা সাহা মিম
একটি রেস্টুরেন্ট দারুন একটি মুহূর্তের মাধ্যমে নাটকটি শুরু হয়। তাহসান একটি মেয়েকে ভালবাসতো, মেয়েটি হঠাৎ করে তাহসানকে রেস্টুরেন্ট ডেকে নিয়ে আসে। তারপর রেস্টুরেন্ট বসে বসে কান্না শুরু করে। তাহসান মেয়েটিকে বলে এভাবে যদি তুমি কান্না করো তাহলে আমার স্টোকের টিসু তো শেষ হয়েছে সেই সাথে রেস্টুরেন্টের টিসু গুলোও শেষ হয়ে যাবে। মেয়েটি বলল তুমি আমার সাথে ফান করছো। তাহসান বলল কিসের জন্য কান্না করছো সেটা তো আগে বলবা। মেয়েটি বলল তোমার সাথে আমার খুব ভালো একটি রিলেশন যাচ্ছে , সেই সাথে আজকে আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড এসে হাজির হয়েছে। সে নাকি আমাকে ছাড়া বাঁচবে না। এদিকে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। এখন আমি কি করবো। তাহসান বলল সেই ছেলেটিকে তোমার একবার চান্স দেওয়া দরকার। কারণ তার এবং তোমার মাঝে খুব দারুন একটি মিল রয়েছে। দুজনে সময় পেলেই কেঁদে ফেলতে পারো। একথা শুনে মেয়েটি রাগ করে চলে যায়। তাহসান বাসায় গিয়ে তার বন্ধুর সাথে দুঃখের কথা বলে। বাসা থেকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে অথচ এখন ভাল একটি মেয়ে পাচ্ছি না। তার বন্ধু বললো আমরা তোর পুরাতন গার্লফ্রেন্ডের লিস্ট করে তাদের খুঁজ খবর নিয়ে দেখি। হয়তো কেউ না কেউ এখনও তোর জন্য অপেক্ষায় বসে আছে। একথা বলে তারা একজন একজন করে ট্রাই করতে লাগলো। প্রথম যার বাড়িতে গেছে,সেই দিনই তার বিয়ে ছিল। তাই সেখান থেকে চলে এসে অন্য জাগায় ট্রাই করলো। সেখানেও কাজ হলো না।
তাহসান তার আরো কয়েকটি এক্স গার্লফ্রেন্ডের খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে যে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে । তাহসান ধরে নিয়েছিল যে, তার আর কোন গার্লফ্রেন্ড সিঙ্গেল নেই। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। তবে হঠাৎ করে তার মনের মধ্যে মিলি নামের একটি মেয়ের কথা মনে পড়লো। যে মেয়েটি তার পাশের বাসায় ভাড়া থাকতো। তাদের সম্পর্ক চলাকালীন সময় মেয়েটি চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি তে চান্স পেয়ে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। আর তখনই তাদের রিলেশনের মধ্যে বাটা পড়ে গিয়েছিল। তাহসান অনেক কষ্ট করে মিলির ঠিকানা যোগাড় করলো। তারপর একদিন সেই মেয়েটির সামনে গিয়ে হাজির হলো। তখন মিলি একটি কলেজের মধ্যে টিচার হিসেবে লেকচার দিচ্ছিলো। আর সেই কলেজের মধ্যে তাদের প্রথম দেখা হয়। তাহসানকে দেখে মিলি কাঁপতে কাঁপতে তার হাত থেকে কলম পড়ে গিয়েছিলো। তারপর তারা দুই জন একটি পার্কে বসে অনেক কথা বার্তা বলেছে। তবে কেউ কাউকে প্রপোজ করে নাই।
এরপর থেকে তাদের মাঝে প্রতিদিন দেখা হয়, কথা হয়। বিভিন্ন জায়গায় তারা বসে বসে সময় কাটায়। আর ভালোবাসার কথা বলে। জেগে উঠলো তাদের মধ্যে সেই পুরনো প্রেম। এই মুহূর্তে টি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। নাটকের সবথেকে রোমান্টিকর দৃশ্য হলো এখানে। হাসানের নিজের কণ্ঠে একটি গানও পরিবেশন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সুন্দরভাবেই তাদের সম্পর্কটা এগিয়ে যাচ্ছিলো। মিলি মাঝেমধ্যে বাসা থেকে খাবার রান্না করে তাহাসানের জন্য নিয়ে যেত। ধীরে ধীরে তাহসান মিলিকে ভালবাসতে শুরু করলো আর মিলিও তাহসানের উপর ওপর দুর্বল হয়ে পড়লো। হাসান তার বাবার সাথে কথা বলার সময় মিলির কথা বলেছিল। তাহসানের বাবা মিলিকে দেখার জন্য তাহসানের কাছে বাড়ির ঠিকানা ও চেয়েছিল। তবে তাহসান আরেকটু সময় চেয়েছিল। এভাবেই চলতে ছিল তাদের সম্পর্ক কিন্তু হঠাৎ করে তাদের সম্পর্কের মধ্যে রাইসা নামের একটি মেয়ে এন্ট্রি মারলো।
একদিন কলেজ শেষ করে মিলি বারবার তাহসানের মোবাইলে কল দিচ্ছিলো। তাহসান মিলির কল রিসিভ করে বললো সে অফিসে নেই । বিদেশ থেকে একজন ক্লায়েন্ট এসেছে হোটেলে তার সাথে মিটিং করছে। এখন মিলির সাথে দেখা করতে পারবেন না। কিন্তু কিভাবে যেন মিলির একটু সন্দেহ হলো, তাই সে কলেজ থেকে সোজা তাহাসানের অফিসে চলে আসলো। অফিসে এসে দেখে তাহসান রাইসা নামের মেয়েটির সাথে বসে বসে গল্প করছিলো। এই দৃশ্যটি দেখে মিলি মনে মনে অনেক কষ্ট পেল। তাহসান মিলিকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও সে কোনভাবেই মানতে পারছিল না। মিলি তাকে বলল তুমি তোমার ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেই পারো। কিন্তু তুমি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছ কেন..? তুমি বলেছো বিদেশ থেকে তোমার ক্লায়েন্ট এসেছে। তুমি তার সাথে মিটিং করছো। অথচ আমি তোমার অফিসে এসে দেখলাম তুমি একটি মেয়ের সাথে গল্প করছো। তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো । তুমি আমাকে ওয়াদা করেছিলে আমাকে কষ্ট দিবা না। এ কথা বলে মিলি রাগ করে চলে যায়।
তারপর মাঝখানে অনেক মান অভিমানের গল্প দেখানো হয়েছে। অবশেষে মিলি আর তাহাসানের হাত একত্রিত হয়েছে। তবে শেষের দিকে তাহসানের শরীরে যেই শার্টটি পড়ানো হয়েছে, সেটি আমার কাছে কেমন যেন লেগেছে। কোন ভাবেই তাহসানকে মানাচ্ছিলো না। একটু দেখতে বোকা বোকা লাগছিল। যাই হোক নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে শেষ করা হয়েছে। বন্ধুর মাধ্যমে একজনকে পেল আবার বন্ধুর মাধ্যমেই প্রবলেম সৃষ্টি হয়েছিল। কখন কার জীবনে কি আসে কেউ জানে না।
নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। ওল্ড ইজ গোল্ড একটি প্রবাদ আছে সেই প্র্রবাদের উপর ভিত্তি করেই নাটকটি সাজিয়েছে। আসলে আমরা যতই নতুনত্বের দিয়ে যাচ্ছি না কেন পুরাতন অনেক কিছুকে মিস করি। অনেক সময় দেখা যায় পুরাতন জিনিষ কে ফেলে নতুনের জন্য সময় ব্যয় করা হয়। অবশেষে বুঝতে পারে ওল্ড ইজ গোল্ড। গ্রামের প্রবাদ হলো “পুরাতন চাউল ভাতে বাড়ে”। আমি জানি তাহসানের অনেক ভক্ত রয়েছে। তাহসানের অভিনয়,কথা বলার স্টাইল অনেক পছন্দ করে। আপনারা ইচ্ছা করলে নাটকটি দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি দারুণ একটি নাটক রিভিউ করেছেন। আপনাদের নাটকটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও এই নাটকটি আমি এর আগে দেখি নাই। নাটকের নামটি ভারী সুন্দর ওল্ড ইজ গোল্ড। আমাদের সমাজ এ বিষয়টা অহরহ হয়ে আসছে যে পুরোনো টাকে ফেলে দেয় নতুন কে আঁকড়ে ধরে। পরে দেখা যায় পুরনো জিনিসটাই দামি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া নাটকের নামের সাথে কাহিনীর অনেক মিল রয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহসানকে আমার খুবই পছন্দ, কিন্তু বিদ্যা সিনহা কে তেমন একটা ভালো লাগে না। আগে তাহসানের সব নাটকই দেখতাম। এখন সময়ের জন্য তেমন একটা দেখা হয় না। যাইহোক "ওল্ড ইজ গোল্ড" নাটকটি বেশ চমৎকার ছিল মনে হচ্ছে। মানুষ যতই নতুনের পিছনে ছুটুক না কেন সবশেষে পুরাতনের প্রতি ভালোবাসা ঠিকই উপলব্ধি করতে পারে। খুব সুন্দরভাবে নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু তাহসান খুবই সুন্দর অভিনয় করে। এক সময় তার অনেক নাটক দেখেছি। ধন্যবাদ আপু।
ওল্ড ইজ গোল্ড নাটকটির রিভিউ বেশ ভালোভাবেই পড়লাম। আপনি খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন, যা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনই রিভিউ পড়তেও খুব পছন্দ করি। এটা কিন্তু ঠিক আমরা যতই নতুনত্বের দিয়ে যাচ্ছি না কেন পুরাতন অনেক কিছুকে মিস করি। খুব সুন্দর ভাবেই সম্পূর্ণটা তুলে ধরলেন। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো আমি।
জী আপু আমরা অনেক সময় নতুন কিছু খুজতে গিয়ে পুরাতন অনেক দামি জিনিষ হারিয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপু।
আমি বরাবরই তাহসানের অনেক বড় একজন ভক্ত যদিও নাটক তেমন বেশি একটা দেখা হয় না তবে তাহসানের গান প্রায় প্রতিদিনই সব সময় শোনা হয়। এই নাটকটি আমার মনে হয় বাস্তবতা অবলম্বন করেই তৈরি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সব সময় পুরাতন জিনিসই নতুনের থেকে অনেক বেশি কাজে লাগে বা উপকারে আসে। ভালো লাগলো আপনার এই নাটক রিভিউ করে যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই দেখে নেব। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া এই নাটকটি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে করা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এই নাটকটা দেখতে। তাহসানের নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। তার অভিনয়ও খুবই সুন্দর হয়। আর আমি বেশিরভাগ সময়ই তার নাটক গুলো দেখার জন্য বসে থাকি। এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম। আর আপনার রিভিউর মাধ্যমে আবারো নতুন করে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। এই নাটক গুলোর মাধ্যমে কিন্তু আমরা অনেক ধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারব। খুব ভালো ছিল আপনার রিভিউটা।
জী ভাইয়া আমি দুই বার দেখেছি। খুবই ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহসান আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। তাহসান এর গান, অভিনয় এবং ব্যক্তিত্ব আমার খুব ভালো লাগে। বিদ্যা সিনহা মিম এর কয়েকটি নাটক আগে দেখেছিলাম। ঠিক বলেছেন ভাই,এই কথাটি প্রায়ই শুনি "পুরাতন চাউল ভাতে বাড়ে"। নাটকের রিভিউ পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। রিভিউ পড়ে নাটক দেখার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। এতো সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া তাহসানের সব কিছুর মধ্যেই একটা স্মাটনেস আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।