“কিশোরগঞ্জের জামাই” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই হাঁসির প্লাস শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাবেন। কবি হওয়া ও কবিতা লেখা বিষয়টা এত সহজ নয়। নাটকটি দেখলে সেটা বুঝতে পারবেন।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | কিশোরগঞ্জের জামাই |
---|---|
পরিচালনা | আদিবাসী মিজান |
অভিনয়ে | জামিল হোসেন, নাইমা আলম মাহা এবং আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৫৮ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৯শে আগষ্ট ২০২৩ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
আদিবাসী মিজান কর্তৃক পরিচালিত ও মেহেদী হাসান রাকিব কর্তৃক নিবেদিত খুবই মজার ও হাঁসির একটি নাটক হলো “কিশোরগঞ্জের জামাই”। নাটকটি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এখন পর্যন্ত নাটকটিতে প্রায় ৭ মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে। প্রায় একত্রিশ হাজারের উপরে লাইক এবং কয়েক হাজার কমেন্ট পড়েছে। নাটকটি প্রথমে যেমন ভেবেছিলাম আসলে তেমন না। ভিতরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে নাটকটি সাজানো হয়েছে। নাটকটি দেখলে যারা জীবনে হাঁসেনি তারাও হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে। আমি ফেসবুকে নাটকটির অল্প একটু সিন দেখে পরে ইউটিউব থেকে ফুল নাটকটি দেখেছি।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে নতুন নাটক অভিনেতা জামিল হোসেন ও তার বিপরিতে ছিল নাইমা আলম মাহা। অভিনেতা জামিল হোসেন মোটামুটি অনেক নাটক করেছে,তবে আমি তার নাটক তেমন দেখি না। নাটকের প্রথম সিনটি দেখে হঠাৎ মন চাইলো,নাটকটি দেখার জন্য। নাটকের প্রথম দিক দিয়ে যেমন মজা পাওয়া যায় শেষের দিকেও মজা পাবেন। সম্পূর্ণ রোপে গ্রাম্য পরিবেশে নাটকটি নির্মার্ণ করা হয়েছে। সম্ভবত কিশোরগঞ্জের আশে পাশে কোন গ্রাম হবে।
নাটকটি শুরু হয় একটি খাবারের টেবিলে বসে। জামিল হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ,সে তার শ্বশুড় বাড়িতে মেহমান হিসাবে আসে। আর তার বউ হিসাবে অভিনয় করেছে নাইমা আলম মাহা,খাবার টেবিলে শ্বাশুড়ি,বউ আর জামাই বসে আছে। এমন সময় নাইমা তার মাকে বলে, সে যেন তার জামাইকে খাবার পরিবেশন করে দেয়। এমন সময় শ্বাশুড়ি বলে জামাই বিয়ে হয়েছে অনেক বছর হয়ে গেছে এখনো কি লজ্জা শরম রাখলে হয়। একথা বলে সে জামাইয়ের প্লেটে ভাত তুলে দেয়। তারপর মাছ দিয়ে রান্না করা মোলার তরকারি দেয়। তারপর মোলা দিয়ে রান্না করা মাংসের তরকারি দেয়। মোলার ভাজি দেয় আর বলে জামায় মোলার সিজনে আসলা না। তাহলে সব কিছু মুলা দিয়ে রান্না করতাম। জামায় বলে মা একটু দুধ দেন,দুধ দিয়ে ভাত খাবো। এমন সময় দেখে দুধের মধ্যেও মুলা ভাসঁতেছে। এমন সময় জামাই বলে মা মুলা ক্ষেত কোন দিকে আছে দেখিয়ে দেন। মুলা ক্ষেতে গিয়ে বসে বসে মুলা খায়,হা হা হা। তখন শ্বাশুড়ি বলে আমার মেয়ের জামাই মুলা এত পছন্দ করে আগে জানতাম না,হি হি হি।
জামিল হোসেন খুবই সহজ সরল মানুষ। তার ভিতরে একটি কবি কবি ভাব আছে। মাঝে মাঝে সে কবিতা লিখে। তবে তার দুর্বল একটি পয়েন্ট হলো কেউ কোন হুট ফরমাইশ দিলে সে না করতে পারে না। জামিল একদিন গ্রামে শ্বশুড় বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে বের হয়েছে। এমন সময় একজন তাকে দেখে গরুকে খেড় দিতে বলে,বাজার থেকে গরুর ভুষি এনে দিতে বলে,একজন বাজার সদাই বাড়িতে পৌছে দিতে বলে। আবার নিজের চাচা শ্বশুড় বাজার থেকে সিগারেট এনে দিতে বলে,একজন গেস্টিকের বড়ি এনে দিতে বলে। এটা নিয়ে জামিলের ভিতরে অনেক রাগ। মানুষ তাকে গিয়ে কাজ করাই। আবার সে কারো কথা ফেলতেও পারে না। সে এখন এসব নিয়েই কবিতা লেখা শুরু করে।
একদিন রাতের বেলা জামিল তার বউকে ডেকে বলে সে যেন বাড়ির সবাইকে ডেকে তাদের রুমে নিয়ে আসে। সে তাদেরকে তার নিজের লেখা কবিতা শুনাবে। তারপর অনিচ্ছা সত্বেও নাইমার রিকুয়েষ্টে সবাই তার রুমে আসে। তারপর সে সবাইকে কবিতা পড়ে শুনায়। কবিতার নাম হলো গরুর গ্যাস্টিক,খাওজানি ইত্যাদি। তার কবিতা শুনে সবাই মাটির নিচে চলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায়। কবিতার ক এর ধারে কাছেও নেই। পাগলেও এর থেকে ভালো কবিতা লিখতে পারে। এমন সময় তার মোবাইলে একটি ফোন কল আসে। অপর পাশ থেকে একজন বলে যে আপনি আমাদের কোম্পানিতে যে কবিতা দিয়েছেন,তার জন্য আপনাকে বিশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আপনার জন্য আমাদের কোম্পানির শোনাম নষ্ট হয়েছে। একথা শুনে সে বেহুশ হয়ে যায়। সে মুখে বিশ লাখ টাকার কথা উচ্চারন করেছিল,জরিমানার কথা আর বলতে পারে নি। এই বিশ লাখ টাকার কথা শুনে বউ,শ্বাশুড়ি, চাচা শ্বশুর ও চাচী শ্বশুড়ি কে কত টাকা নিবে,সেটা নিয়ে প্লান করতে থাকে। সেটা নিয়ে এক লঙ্কা কান্ড হয়ে যায়। আপনারা নাটকটি দেখলে সেটা বুঝতে পারবেন।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকটিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা আছে। আর সেটি হলো কবিতা একটি দামি জিনিষ। সেটা মন চাইলেই রচনা করা যায় না। তার জন্য আলেদা একটি স্বর্গীয় জ্ঞানের দরকার হয়। সবাই কবিতা লিখতে পারে না। আর যে কোন একটি সাবজেক্ট দিয়ে,আবুল তাবুল শব্দ দিয়ে লিখে ফেললেই সেটা কবিতা হয়ে যায় না। গরুর গ্যাস্টিক কোন কবিতার নাম হতে পারে না। তাছাড়া সব কিছুর জন্যই একটা যোগ্যতার দরকার হয়। নাটকে লাষ্টের দিকে চাচা শ্বশুড় আর শ্বাশুড়ি তাকে বুঝিয়েছে যে,কবিতা এত সহজ বিষয় নয়। যে মন চাইলেই রচনা করা যায়। তার জন্য কঠিন সাধনা করতে হয়। আপনারা নাটকটি দেখলে সুন্দর ভাবে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে কিশোরগঞ্জের জামাই নাটকটার রিভিউ শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। আমি নাটকের রিভিউ পোস্ট গুলো পড়তে খুবই পছন্দ করি। এই নাটকটা কিন্তু আসলেই শিক্ষনীয় ছিল। কবিতা আসলেই অনেক দামি একটা জিনিস। আসলে কবিতা অনেক কঠিন সাধনার সাথে লেখা লাগে। তবে একটা মানুষ সফল হয় এবং কি সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখতে পারে। লোকটা তো দেখছি অদ্ভুত সব কবিতা লিখেছেন। গরুর গ্যাস্টিক কবিতাটার নাম শুনেই তো আমি হাসতে হাসতে শেষ। যাইহোক পুরো নাটকটার কাহিনী সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া নাটকের ভিতরে দারুন একটি বিষয় ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই, কবিতার জ্ঞান সবার মাঝে থাকে না। চাইলেই কেউ গড়গড় করে কবিতা লিখতে পারে না। আর দু চার পাঁচ লাইন আবোল তাবোল লিখলেই কবিতা লেখা হয় না। আর এই কথাটি আমিও ভীষণভাবে মানি। যাইহোক ভাই, কিশোরগঞ্জের জামাই নাটকটি এখন আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। তাই ভাবছি সময় সুযোগ করে নাটকটি দেখে নেব। খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন ভাই, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জী ভাইয়া নাটকটির মধ্যে কবিতার বিষয়টা তুলো ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও এই নাটক দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। একদম সত্যি কবিতা লিখতে বসলেই লেখা হয়ে যায় না। কবিতা লিখতে হলে আলাদা একটা জ্ঞানের দরকার। যেকোনো টাইটেল দিয়ে কবিতা লেখা শুরু করলেই হয়ে যায় না। নাটকটিতে সত্যি খুবই শিক্ষনীয় ব্যাপার রয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জী আপু নাটকটি শিক্ষনীয় নাটক ছিল। ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ এই নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে বলে আমার মনে হয়। আপনার এই রিভিউ থেকে এই নাটকটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ তাতে বুঝলাম অনেক সুন্দর হয়েছে৷ অবশ্যই চেষ্টা করব এই নাটকটি দেখে নেওয়ার। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷
আপনাকেও অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন।
বেশ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে সময় স্বল্পতার কারণে নাটক তেমন একটা দেখা হয় না। তবুও নিজে রিভিউ করার জন্য মাঝে মাঝে কিছু নাটক দেখতে হয়।যাইহোক আপনার আজকের এই নাটক রিভিউটি খুবই চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।