“চিংকি পিংকি” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি গত বছর রিলিজ হয়েছে। তানজিন তিশার জমজ নাটক এটি। এই নাটকটি অনেক আলোচিত একটি নাটক। তানজিন তিশা জমজ হয়ে খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। আমার কাছে নাটকটি দেখে অনেক ভাল লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভাল লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
| নাম | চিংকি পিংকি |
|---|---|
| পরিচালনা | রুবেল হাসান |
| সম্পাদনা | জোবায়ের আবির পিল |
| প্রযোজক | এসকে শাহেদ আলী |
| অভিনয়ে | তানজিন তিশা, জাহের আলভী, তামিম মৃধা সহ আরো অনেকে । |
| দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট |
| মুক্তির তারিখ | ২৭শে জুলাই ২০২২ |
| ধরন | ড্রামা |
| ভাষা | বাংলা |
| দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তানজিন তিশা-চিংকি,পিংকি,মিংকি।
চিংকি আর পিংকি তারা দুই জমজ বোন। তারা একই সাথে একটি রুমে পাশাপাশি বেডে থাকে। তাদের চেহারা একরকম হলেও তাদের আচার-আচরণ অভ্যাস সবকিছু আলাদা। একজন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার তো আরেকজন ব্রাজিলের সাপোর্টার। দুজন সবসময় একজন অপরজনের সাথে বাড়িতে সবসময় ঝগড়া ঝাটি খুনসুটি করে। তাছাড়া একজন অপরজনের বয়ফ্রেন্ডের পিছনে লেগেই থাকে। দুইজন দুই মেরুর বাসিন্দা।
প্রথমে দেখা যায় পিংকি চিংকি সেজে চিংকির বয়ফ্রেন্ড ফারাবির বাসায় যায়। সেখানে ফারাবির মায়ের কাছে ফারাবীর নামে নালিশ করে, যে ফারাবি নাকি তাকে নিয়ে রিসোর্টে নিয়ে যেতে চাই। সেখানে দুজন মিলে পেঁয়াজ খেতে চাই । এ কথা শুনে ফারাবির মা চিংকিকে সান্ত্বনা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে বলে ফারাবি আসলে আমি তাকে শাসন করবো। তারপর ফারাবি যখন বাসায় যায় তাকে তার মা বাবা ছোট ভাই-বোন সবাই মিলে হাতের কাছে যে যেটা পেয়েছে, সেটা দিয়েই বেধড়ক মার মেরেছে। এমকি দারোয়ান ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলেছে, যাও এখন রিসোর্টে গিয়ে পেয়াঁজ খাও। ফারাবি সবার হাতের মার খেয়ে পার্কে গিয়ে দেখে চিংকি দাঁড়িয়ে আছে। চিংকি ফারাবিকে দেখে চিনতে পারে নাই,পরে পরিচয় দিলে চিনতে পেরে জিজ্ঞেস করে তার কি হয়েছে..? তখন ফারাবি বলে তুমি তো আমার মায়ের কাছে নালিশ করে এসেছো, যে আমি তোমাকে রিসোর্টে নিয়ে যেতে চাই। যার কারণে তারা আমাকে মেরে এই অবস্থা করেছে। তখন চিংকি বলে পিংকি এই কাজটা করেছে। সরি জান আমি তার বদলা নিবো।
তারপরে দেখা যায় চিংকি পিংকির কলেজে গিয়ে পিংকির প্রফেসরের সাথে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে কথা বলে এবং প্রফেসরের হাত ধরে টানাটানি করে রিসোর্টে নিয়ে যেতে চাই। এমন সময় প্রফেসরের বউ চলে আসলে, বউয়ের কাছে প্রফেসরের নামে নালিশ করে যে, প্রফেসর নাকি তাকে রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। একথা শুনে প্রফেসরের বউ রেগে প্রফেসরকে বাসায় নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে একথা বলে যে যদি পিংকিকে বহিষ্কার না কর তাহলে তাকে সে তালাক দিয়ে দিবে, পুলিশে দিবে তখন প্রফেসর বলে আমি তাকে আজকেই বহিষ্কার করে দিবো। এসব কথা চিংকি এবং পিংকির মা-বাবার কানে গেলে, তারা দুই বোনকে একসাথে বসিয়ে বিচার করে। বিচার শেষে রায় হয় তাদের কানে ধরে তারপর নিজেদের রুমে যেতে হবে।
চিংকি আবার পিংকি সেজে পিংকির বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করে। সেখানে তাদের রিলেশনের এক বছর এনিভার্সারি উপলক্ষে পিংকির জন্য কেনা একটি ড্রেস কিছু চকলেট এবং ফুল নিয়ে চিংকি বাসায় চলে আসে। পিংকি যখন তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে যায় তখন তার বয়ফ্রেন্ড বলে তুমি তো এখনই আমার কাছ থেকে গিফট গুলি নিয়ে চলে গেছো। তখন পিংকি বলে সেটা আমি ছিলাম না সেটা আমার বোন চিংকি ছিল। তখন পিংকি বাসায় গিয়ে চকলেট আর ড্রেস নিয়ে তার বোনের সাথে ঝগড়াঝাটি শুরু করে দেয়। এমন সময় তার মা এসে দুইজনকে শান্ত করে।
তারপর দেখা যায় পিংকি চিংকি সেজে এসে চিংকির বয়ফ্রেন্ডের সাথে বলে যে সে আর তার সাথে সম্পর্কটা কন্টিনিউ করতে পারবে না। কারণ সে অন্য একজনকে ভালোবেসে ফেলেছে। সে যেন তাকে ভুলে যায়। এমন সময় নকল চিংকির বয়ফ্রেন্ড চলে আসে। তখন তাকে ফারাবীর সাথে পরিচয় করিয়ে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যায়। তখন ফারাবী রেগে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলেই আসল চিংকির সাথে দেখা হয়। তখন ফারাবী বলে তুমি তো এখনই একজন মোটা টাকলা লোকের সাথে হাত করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে চলে গেছো। তাহলে এখন আবার আসছো কেন...? তখন চিংকি বলে সেটা আমি ছিলাম না আমার বোন পিংকি ছিল। ফারাবী বলে চিংকি আর পিংকির চাঁপায় পরে আমি মারা যাবো।
চিংকি এবং পিংকির ঝগড়াঝাটি বন্ধ করার জন্য তাদের বাবা-মা তাদের বিয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করে। পাত্ররা যখন তাদের বাড়িতে আসে তাদেরকে দেখার জন্য তখন চিংকি এবং পিংকি দুজনই সবার সামনে নাচানাচি শুরু করে। এ অবস্থা দেখে পাত্ররা বিয়ে না করে চলে যায়। তারপর রাতের বেলা বাসার ছাদে দুজনের মাঝে সমঝোতা হয় যে আমরা যদি এভাবেই প্রতিদিন ঝগড়াঝাটি করি তাহলে আমাদের বিয়ে দিবে। আমরা এখন থেকে মা বাবার সামনে ভদ্র হয়ে থাকবো। আর এক জনের বয়ফ্রেন্ডকে আরেকজন ডিস্টার্ব করবো না।
তারপরে দেখা যায় মিংকি পিংকি সেজে পিংকির বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করে টিউশনির ফিশের কথা বলে দশ হাজার টাকা নিয়ে আসে। একথা পিংকি শুনে চিংনকিকে সন্দেহ করে বাসায় চলে আসে। আবার মিংকি পিংকি সেজে চিংকির বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করে বলে যে চিংকি আরো দশটা রিলেশন করে। সে যেন চিংকিকে ছেড়ে পিংকিকে ভালবাসে। কারন পিংকি ফারাবীকে পছন্দ করে। চিংকি এবং পিংকির দুই জনের বয়ফ্রেন্ডই তাদের গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ করে ফেলে।
চিংকি এবং পিংকি দুজনই একে অপরকে দোষ দেই যে একজন অপরজনের বয়ফ্রেন্ডের কাছে গিয়ে উল্টাপাল্টা বলার কারনে তাদের রিলেশন ব্রেকআপ হয়ে গেছে। তখন তারা একজন অপরজনকে বলে যে তারা কেউ এই কাজ করে নাই। তখন তারা টেনশনে পড়ে যায় তাহলে এই কাজটা করলো কে..? এমন সময় তাদের বাবা মা বাসায় আসে তাদেরই আরেকজন জমজ বোনকে সাথে নিয়ে। যার নাম হলো মিংকি। সে এতদিন লন্ডনে তার বড় আন্টির বাসায় ছিল। সে বাংলাদেশে এসেছে আরো দুই মাস আগে। সে এসে তার ছোট বোনরা কে কেমন,কার সাথে প্রেম করে সব তথ্য নিয়ে সেই তাদের রিলেশনে ব্রেকাপ করিয়েছে। এমন সময় তিনজন মিলে আবার দুষ্টামি শুরু করে। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
আজকের নাটকটি অনেক সুন্দর ছিল। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখলে অনেক আনন্দ পাবেন, হাসিঁর একটি নাটক। তানজিন তিশার প্রথম জমজ নাটক। প্রত্যেকটা দৃশ্যই হাসিঁর ছিল। চিংকি পিংকির বাবাও খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। আপনারা নাটকটি দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP


















You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটক এখনো দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তানজিন তিশার নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই নাটকের কাহিনী মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর। জমজ দুই বোন থাকলে খুব সহজে মানুষকে ঠকানো যায়। সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ।
আপু নাটকটি জমজ,দেখলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া যে নাটকটির রিভিউ আপনি করলেন আমি কিন্তু এই নাটকটি কয়েকবার দেখেছি। বেশ মজার একটি নাটক। হাসতে হাসতে শেষ। এক বোন স্থীর আর এক বোন অস্থির। আপনি কিন্তু বেশ ভাল করে নাটকটির রিভিউ করেছেন। ভাল লাগলো আপনার রিভিউ টি পড়ে।
আপু আমি নাটকটি দুই বার দেখেছি। আমার কাছেও অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া যে নাটকটির রিভিউ আপনি করলেন আমি কিন্তু এই নাটকটি কয়েকবার দেখেছি। বেশ মজার একটি নাটক। হাসতে হাসতে শেষ। এক বোন স্থীর আর এক বোন অস্থির। আপনি কিন্তু বেশ ভাল করে নাটকটির রিভিউ করেছেন। ভাল লাগলো আপনার রিভিউ টি পড়ে।
ভাইয়া যে নাটকটির রিভিউ আপনি করলেন আমি কিন্তু এই নাটকটি কয়েকবার দেখেছি। বেশ মজার একটি নাটক। হাসতে হাসতে শেষ। এক বোন স্থীর আর এক বোন অস্থির। আপনি কিন্তু বেশ ভাল করে নাটকটির রিভিউ করেছেন। ভাল লাগলো আপনার রিভিউ টি পড়ে।
ভাইয়া আপনার করা নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ হলো। আশাকরি সময় সুযোগমত দেখব।হাসির নাটক দেখি আমি সুযোগ হলেই।খুব ভাল লাগে আমার। তিশা এই প্রথম জমজ বোনের অভিনয় করল।নাটকটি দারুন হবে আশাকরি।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ধারুন হাসির একটি নাটক। দেখলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
নাটকটা রিভিউ করে বুঝলাম যে তানজিল তিশার ডাবল ক্যারেক্টার। ডাবল কারেক্টারের নাটক অথবা সিনেমা যেটাই বলেন না কেন বরাবরই অনেক বেশি সুন্দর হয়। নাটকটা মনে হয়েছে অনেক বেশি হাস্যরসিক যদিও নাটকটা এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি, তবে যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই নাটকটি দেখব। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া তানজিল তিশার ডাবল ক্যারেক্টার। দেখলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই নাটকটির কিছু ক্লিপ ফেসবুক এ দেখেছিলাম পুরোটা দেখা হয়ে ওঠেনি।আপনার রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু এক সময় সুযোগ করে দেখে নিবেন। জমজ নাটক এমনিতেও অনেক সুন্দর হয়। ধন্যবাদ আপু।
চিংকি পিংকি নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি বেশ হাসির। তানজিন তিশার অভিনয় বরাবরই আমার বেশ ভালো লাগে। তবে এই নাটকটি এখনও দেখা হয়নি আমার। সময় করে দেখে নিব। এতো মজার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।