“পুষ্পা” মুভি রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই আলোচিত একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করবো। আমার মনে হয় ভারতীয় উপমহাদেশে পনের থেকে চল্লিশ বছরের আশি শতাংশ যুবক যুবতী এই মুভিটি দেখেছে। এই মুভির একটি ডায়লগ বেশি ভাইরাল হয়েছে। আশা করি মুভিটা যারা এখনো দেখননি। সবাই দেখে ফেলবেন। দারুন ইন্টারেস্টিং একটি মুভি।
মুভির কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
মুভির নাম | পুষ্পা |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | সুকুমার |
অভিনয়ে | অল্লু অর্জুন, রশ্মিকা মন্দানা, ফাহাদ ফজিল, প্রকাশ রাজ , জগপতি বাবু, হরিশ উথামান, বেন্নেলা কিশোর এবং অনসূয়া ভরদ্বাজ সহ আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ২ ঘন্টা ৫৯ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২১ |
ভাষা | তেলেঙ্গু |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | ভারত |
মুভির সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
সুকুমার কর্তৃক পরিচালিত ও রবি শঙ্কর কর্তৃক প্রযোজিত খুবই ইন্টারেস্টিং হিট একটি মুভি হলো “পুষ্পা”। মুভিটি র্নিমান করতে প্রায় ২৫০ কোটি রুপির মত ব্যয় হয়েছে। তবে মুভিটি বক্স অফিসে আয় করেছে প্রায় ৩৭৩ কোটি রুপি। মুভিটি এক সাথে তেলুগু, মালয়ালম, তামিল, কন্নড় এবং হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল। ২০২১ সালের সর্বউচ্চ আয় কারীর তালিকায় উঠে আসে মুভিটি। মুভিটির মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছে অল্লু অর্জুন, রশ্মিকা মন্দানা, ফাহাদ ফজিল, প্রকাশ রাজ ও জগপতি বাবু। সবাই জানে অল্লু অর্জুনের মুভি মানে হলো আগুন। তার প্রত্যেকটা মুভি হিট হয়। যারা একবার তার মুভি দেখে আজীবন তাকে মনে রাখে।
অল্লু অর্জুন অনেক আগেই খুবই পরিচিত একজন অভিনেতা। সেই সাথে পুষ্পা মুভি মুক্তি পাওয়ার পরে সবাই তাকে নতুন ভাবে চিনেছে। ২০২৪ সালে পুষ্প-২ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সবাই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে পুষ্পা টু দেখার জন্য। আর রশ্মিকা মন্দানাকে বলা হয় ভারতের ক্রাশ। পুষ্পা মুভিতে অভিনয় করার ফলে তার পরিচিতিও বহুগুনে বেড়ে যায়।
আল্লু অর্জুন তথা পুষ্পা, পুষ্পা রাজ, একজন দিন মুজুর। মুভিতে একটি বিষয় লুকায়িত আছে। সেটা হলো পুষ্পার বাবার পরিচিতি। পুষ্পার বাবা দুই বিয়ে করেছে। পুষ্পার মা হলো দ্বিতীয়। তবে পুষ্পার মাকে যখন বিয়ে করেছিল,তখন তেমন কেউ জানতো না। তাই পুষ্পার বাবা মারা যাওয়ার পরে পুষ্পার সৎ ভাই পুষ্পা আর তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেই সাথে পুষ্পার কাছে তার বাবার যত স্মৃতি ছিল সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। এমনকি তার সৎ ভাই পুষ্পাকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময়ও তার বাবার নাম লিখতে দেয় নি। যার ফলে পুষ্পা পড়াশোনা করতে পারেনি। সে একটি স’মিলে কাজ করতো। সেখানে স’মিলের মালিকের কথার সাথে তার মিল হয়নি বিদায় সেই কাজ ছেড়ে দেয়।
তারপর থেকে সে লাল চন্দন চোরাচালানের সাথে জড়িত হয়ে যায়। লাল চন্দন একটি বিরল কাঠ যা শুধুমাত্র অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার শেসাচালাম পাহাড়ে ও জঙ্গলে বড় হয়। গভীর জঙ্গল থেকে কাঠুরীরা সেই লাল চন্দ কাঠ কেটে আনে। এই লাল চন্দ চীন,জাপান সহ বিশ্বের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। এই লাল চন্দনের অনেক দাম। তবে সেটা চোরাই ভাবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী ও সমুদ্র বন্দরে নিয়ে যেতে হয়। একদিন ডিএসপি গোবিন্দাপ্পা সেই বনে অভিযান চালায়, তবে পুষ্পা দক্ষতার সাথে সেই লাল চন্দন কাঠ লুকিয়ে রাখে। এভাবে সে একদিন লাল চন্দন সহ এক ট্রাক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কুয়াতে ফেলে দেয়। পরে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে পিঠালেও সে লাল চন্দনের কথা বলে না। পরে অবশ্য তার নিয়োগকর্তা কোন্ডা রেড্ডির ভাইয়েরা তাকে জামিন করিয়ে আনে। আর তখন থেকেই সে কোন্ডা রেড্ডির বিশ্বাস অর্জন করে। পুষ্পা লাল চন্দন কাঠ চোরাচালানের জন্য নতুন নতুন বুদ্ধি দিতে থাকে ও দ্রুত উপরের র্যাঙ্কে উঠে আসে। এভাবে পুষ্পা লাল চন্দন কাঠ চোরাচালান নেটওয়ার্কে কোন্ডা রেড্ডির অংশীদার হয়ে যায়।
মুভিতে খুবই খতনার্ক একজনের নাম হলো মঙ্গলম শ্রীনু। যিনি লাল চন্দন চোরাচালানের সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। তার প্রধান শক্তি হলো তার শালা। তার যত অপকর্ম আছে সব কিছু তার শালা সামাল দিয়ে থাকে। একদিন মঙ্গলম শ্রীনু তার স্টকের ২০০ টন মাল নিরাপদে রাখার দায়িত্ব দেন কোন্ডা রেড্ডিকে। কোন্ডা রেড্ডি আবার সেই মালের দায়িত্ব দেয় পুষ্পাকে। দুই জন ট্রাক ড্রাইভারের মাধ্যমে খবর জেনে গোবিন্দাপ্পা আচমকা অভিযান চালায় সে গোডাউনে কিন্তু পুষ্পা সমস্ত কাঠ নদীতে ফেলে দেয়। আর নদীর সুইস গেটের সিকিউরিটিকে টাকা দিয়ে গেইট বন্ধ করে দেয়। এভাবে লাল চন্দন কাঠ গুলোকে বাজেয়াপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তখন মঙ্গলম শ্রীনুও পুষ্পাকে বিশ্বাস করে। মঙ্গলম শ্রীনুর এক পার্টিতে, পুষ্পা শুনতে পান যে শ্রীনু অনেক বেশি দামে কাঠ বিক্রি করলেও শ্রীনু তাদের কম টাকা দেয়। পুষ্পা কোন্ডা রেড্ডিকে শ্রীনুর কাছে তাদের ন্যায্য অংশ দাবি করতে বলেন। কিন্তুু কোন্ডা রেড্ডি শ্রীনুর বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক হবে না মনে করে পুষ্পাকে যেতে বলে। পুষ্পা মঙ্গলম শ্রীনুর কাছে না গিয়ে সোজা চেন্নায় চলে যায়। যেখানে মঙ্গলম শ্রীনু লাল চন্দন বিক্রয় করে সেই মগার্নের সাথে কথা বলে ২৫ লাখ রুপির জাগায় দেড় কোটি রুপিতে লাল চন্দন বিক্রয় করে। এটা নিয়ে মঙ্গলম শ্রীনুর সাথে পুষ্পার নতুন শত্রুতা শুরু হয়।
আবার অন্য দিকে রাশ্মিকা ও তার বাবাকে জলী রেড্ডির হাত থাকে বাচাঁতে গিয়ে কোন্ডার রেড্ডির সাথে সম্পর্কে ভাটা পড়ে। একদিন কোন্ডা রেড্ডি পুষ্পাকে মারার জন্য চেষ্টা করে। তবে সেখানে মঙ্গলম শ্রীনুর সালার গুলিতে কোন্ডা রেড্ডি মারা যায়। পুষ্পা আবার মঙ্গলম শ্রীনুরর শালাকে মেরে দেয়। এভাবে এমএলের কাছে ঘটনা গেলে এমএলে সাহেব চোরাচালানের সমস্ত দায়িত্ব দেয় পুষ্পার হাতে। তারপর থেকে পুষ্পার আর পিছনে তাকাতে হয় নি। কোটি কোপি রুপির মালিক হয়ে যায় পুষ্পা। তবে দ্বিতীয় পর্বে কি আছে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
পুষ্পা মুভিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি এই মুভিটা দুই বার দেখেছি। সেই মুভিতে কিছু ম্যাসেজ পেয়েছি যে গুলো জীবন পরিবর্তন করতে যথেষ্ট। একবার খেলার মাঠে নেমে গেলে কে বড় কে ছোট সেটা দেখার সময় নেয়। জীবনে বড় কিছু করতে হলে রিক্স নিতে হবে,সাহস থাকতে হবে। জীবন আর কয়দিনের, একদিন তো মরতেই হবে। তাই মৃত্যুকে ভয় পেলে চলবে না। কাজ করতে হবে, লেগে থাকতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে। পরিবর্তন একদিন আসবেই।
মুভির লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চমৎকার একটি মুভি রিভিউ করেছেন ভাই। পুষ্পা মুভিটা আমি অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। এই মুভির গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর আল্লু অর্জুন বরাবরই ভীষণ চমৎকার অভিনয় করেন। আপনি আজকে খুবই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে পুষ্পা মুভিটি রিভিউ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
জী ভাইয়া মুভিটা কয়েক বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল। দারুন সুনাম অর্জন করেছে। ধন্যবাদ।
পুষ্প একটা ভাইরাল মুভি। তবে অনেকেই মুভি দেখে থাকলে মুভি দেখতে কিন্তু আমার একদম ভালো লাগেনা।
তাছাড়া মুভিটা তৈরি করা হয়েছে একটি জটিল তেলেগু ভাষার মাধ্যমে। যা বোঝার ক্ষমতা আমার নাই।
তবে আপনার বাংলা ভাষায় যতটুকু বলেছেন বেশ ভালো লেগেছে এবং একটা ধারণা এসেছে। ধন্যবাদ ভাই বিস্তারিত তথ্য এবং আপনার চমৎকার বিব মুভি রিভিউ এর জন্য।
জী ভাইয়া পুষ্পা খুবই ভাইরাল মুভি। দারুন হিট করেছে মুভিটা। ধন্যবাদ।