“ফানিমুন” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

মূল চরিত্রেঃ

• নিলয় আলমগীর
• সামিরা খান মাহি

সংক্ষেপ রিভিউ

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

হাসিব হোসেন রাখী পরিচালিত ফানিমুন নাটকটি দেখলে হাঁসি চরম মাত্রায় পৌছে যাবে। নীলয় আলমগীরের সাথে নতুন করে জুটি বেঁধে দারুন অভিনয় করেছে সামিরা খান মাহি। মাহি বেশি দিন হয়নি অভিনয় শুরু করেছে। গার্লস হোস্টেল নাটক দিয়ে তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়। তার বিচক্ষন অভিনয় দর্শকদের যেমন আকর্ষন করেছে ঠিক তেমনি পরিচালকদেরও নজরে পড়েছে। এই বছরের এপ্রিলের শেষে ফানিমুন নাটকটি রিলজ হয়। এখন পর্যন্ত ৪ মিলিয়ন প্লাস ভিউ আর ৩৯ হাজার লাইক পেয়েছে। সব থেকে বেশি দেখার বিষয় যেটা এখন পর্যন্ত একটিও ডিজলাইক পড়ে নাই। বাংলাভিশন ইউটিউব চ্যানেলে সর্বপ্রথম আপলোড করা হয় নাটকটি। দর্শকদের মনে নাটকটি এমন ভাবেই সারা ফেলেছে যে এখন পর্যন্ত ৭৬০টি কমেন্ট পড়ছে।

নাটকটিতে যেমন হাঁসির কাহিনী রয়েছে ঠিক তেমনটি সর্তক বার্তাও রয়েছে। যেকোন পর্যটন এলাকায় গেলে সব বিষয়ে খুবই সর্তক থাকতে হবে। নাটকটি তে দেখা যায় নীলয় মাহিকে বিয়ে করে হানিমুনের জন্য হোটেল খাঁন প্লেসে যায়। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা হাসিঁর কাহিনী শুরু হয়। বাড়িতে না জানিয়ে তারা মাত্র এক দিনের জন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈয়কতে ঘুরতে যায়। সেখানে রাত কাটিয়ে সকাল বেলা যখন বিচে যায়তে ছিল তখনই নীলয়ের অফিসের ম্যাডামের সাথে দেখা হয়। নীলয় নিজেই গিয়ে ম্যাডামের সাথে দেখা করে। পরে ম্যাডামের হাসবেন্ড না আসায় ম্যাডামের সাথে সাথে নীলয়কে থাকতে হয়। আর এই বিষয়টা নীলয়ের বউ মাহি কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। তাই সে রাগ করে তার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে চলে যায়। সেখান একবয়ফ্রেন্ড আর মাহি মাহি কি কি ঘটনা ঘটায় সেটা দেখতে হলে আপনাদের নাটকটি দেখতে হবে।

তাদের একদিনের ছুটি এভাবে মাটি হয়ে যায়। রাতের বেলা হোটেলে ফিরে নীলয় জানায় তারা আজকে ফিরে যাবে না। আরেক দিন এখানে থাকবে। কারন সে তার বউকে ভালবেসে একদিন সময় দিতে চায়। বউয়ের হাত ধরে সৈয়কতে ঘুরতে চাই। কিন্তুু পরের দিন এক অন্ধ বৃদ্ধ লোক আরেক জামেলায় ফেলে দেয় নীলয় আর মাহিকে। কি সেই জামেলা নাটকটি না দেখলে বুঝবেন না।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

অন্ধ লোকটির কারনে নীলয় আর মাহি বিচে বসে দুই জনে মিলে একটি ডাবও খেতে পারছে না। অর্ধেক ডাব খাওয়ার পরে সেই অন্ধলোকটি ডিস্টার্ব করে। যার ফলে অন্ধ লোকটিতে ডাবটি দিয়ে দিতে হয়। শুধু তাই নয় তাকে নিয়ে তাদের অনেক সমস্যা হয়। যার ফলে অন্ধলোকটির কাছে তাদের মোবাইল আর সকল পার্টস টাকা পয়সা দিয়ে একটি চেয়ারে বসিয়ে তারা সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে চায়। গোসল করে এসে দেখে ঐ অন্ধলোকটি চেয়ারে বসা নেই।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

তারপর তারা তারাতারি হোটেলে যায়। হোটেলে গিয়ে দেখে ঐ অন্ধ লোকটি মূলত অন্ধ না। সে প্রতারক,বাটপার। হোটেল থেকে তাদের সকল কাপড় চোপড় টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে পালিয়ে গেছে। শুধু তাদের সাথে যে প্রতারনা করেছে তা নয়,আরো দুইজনের সাথে প্রতরনা করে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর তারা দুইজন রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে বাস স্টেশনে যায়।

মতামত বা শিক্ষা-

যে কোন জাগায় ঘুরতে গেলে বা কোথাও আসা যাওয়ার সময় অপরিচিত কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। মানুষ এখন আর মানুষ নেই। এখন সবাই অমানুষ হয়ে গেছে। মানুষের ভিতরে এখন আর মানবতা নেই। বৃদ্ধ লোকটি অন্ধ সেজে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে। অথচ তারা বৃদ্ধ লোকটিকে বিশ্বাস করে সাথে সাথে রাখার চেষ্টা করেছে। এমনকি হোটেলে আলাদা একটি রুমও বুকিয়ে দিয়ে দিয়েছে। সে মানুষ হয়ে কিভাবে অন্য মানুষের পিছনে ছুরি মারলো। সুতরাং সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।