সুলতান ডাইনে কাচ্চি খেতে একদিন।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে সুলতান ডাইনে গিয়ে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই সুলতান ডাইনের নাম শুনেছেন। অনেকেই আবার সেখানে গিয়ে নিজের পছন্দের খাবার খেয়েছেন। সারা বাংলাদেশে কাচ্চির জন্য খুবই বিখ্যাত একটি নাম "সুলতান ডাইন"। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের শাখা রয়েছে। তাদের জনপ্রিয়তা এত উপরে উঠে গেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে একটি মহল ভোক্তা অধিদপ্তর এর নিকট কমপ্লেইন করেছিল। তারা নাকি খাসির মাংসের জায়গায় অন্য কোন প্রাণীর মাংস দিয়ে থাকে। তবে সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষ সৎ সাহসের সাথে সেই অভিযোগের মোকাবেলা করেছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে বিভিন্ন প্রমাণের মাধ্যমে সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষ জয়লাভ করেছেন। এরপর থেকে সুলতান ডাইনের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে গেছে। আমাদের বাসার পাশেই চাষাড়া শহীদ মিনারের কাছে সুলতান ডাইনের একটি শাখা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারে রাত দশটার সময় আমি এবং আমার এক ফ্রেন্ড দুইজন মিলে সুলতান ডাইনে গেলাম কাচ্চি খাওয়ার জন্য।
এটি হল সুলতান ডাইনের প্রবেশ পথ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তারা বিভিন্ন প্রকার বেলুন দিয়ে রেস্টুরেন্টের গেটটি সাজিয়েছে। সম্ভবত ছয়তলা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলাতে সুলতান ডাইনের অবস্থান। আমরা মূলত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে আমাদের যাওয়ার আগেই খাবার শেষ হয়ে গেছে। যার ফলে আমাদের সুলতান ডাইনে যেতে হলো। দ্বিতীয় তলায় গেটের সামনে দাঁড়ালেই একজন সিকিউরিটি গার্ড ওয়েলকাম জানিয়ে দরজাটা খুলে দেয়।
আমরা ভিতরে প্রবেশ করে একটি কর্ণারে গিয়ে বসলাম। ভিতরটাও অনেক সুন্দর করে বেলুন দিয়ে সাজানো রয়েছে। রেস্টুরেন্টের ভিতরে একটি এক্সট্রা গেস্টরুম রয়েছে। সে রুমটিতে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ একসাথে একসাথে বসে খেতে পারে। আমরা গিয়ে দেখি কোন এক পার্টি সেই রুমটিকে ওইদিনের জন্য রির্জাভ ভাড়া করে নিয়েছে। আমাদের বসা অবস্থায় ওই রুমটিতে একটি বাচ্চার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হচ্ছিল। সবাই খুব আনন্দ করছিল। আমরা বসার দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই একজন ওয়েটার চলে আসলো। আমরা প্রথমে সিঙ্গেল সিঙ্গেল কাচ্চি অর্ডার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বলল সিঙ্গেল খাচ্ছি শুধুমাত্র পার্সেল করে দেওয়া হয়। তাদের এখানে প্যাকেজের মাধ্যমে খাবার দেওয়া হয়। দুইজন, চারজন অথবা ৬ জন এমনভাবে যত ইচ্ছা তত মানুষ বাড়ানো যায়। সে অনুযায়ী তারা খাবার পরিবেশন করে থাকে।
আমরা দুই ফ্রেন্ড একটি ডাবল কাচ্চি অর্ডার দিলাম। যারা সাধারণত অল্প খাবার খাই তারা তিনজন মানুষ খেতে পারবে। অর্ডার দেওয়ার ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে আমাদের সামনে খাবার চলে আসলো। বাসমতি চাল দিয়ে খাচ্ছি রান্না করা হয়েছে। আমাদের দুজনকে ছয়টি বড় বড় মাটন দিলো। সুলতান ডাইনে এটাই আমার প্রথম খাবার ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম আমরা দুইজনে খেয়ে শেষ করতে পারবো না। পরে তাদের খাবারের স্বাদের জন্য আমরা দুইজন পুরো খাবারটি খেয়ে ফেললাম। বড় বড় দুটো আলুর টুকরো দিয়েছিল। দুটি আমার ফ্রেন্ড খেয়েছে। তার কাছে নাকি সুলতান ডাইন এর আলু গুলো খুব ভালো লাগে।
আমার আগে আমার ফ্রেন্ডের খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি হাড্ডিগুলো ধীরে ধীরে খাচ্ছিলাম। নরম হাড্ডিগুলো খেতে খুবই ভালো লাগছিল। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরে আমাদের নিকট বিল নিয়ে আসলো। ডাবল খাচ্ছি তারা ৭০০ টাকা বিল করলো। সাথে পানি প্লাস ব্যাট ছিল। সব মিলিয়ে ৮০০ টাকার উপরে বিল এসেছিল। আমরা বিল মিটিয়ে ওয়েটারকে কিছু টাকা বকশিশ দিয়ে চলে আসলাম।
বন্ধুরা এ হলো আমার আজকের ব্লগ। খুবই ভালো লেগেছিল সুলতান ডাইনের খাবার খেয়ে। কিছুদিন পরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেখান থেকে খেয়ে এসে আপনাদেরকে রিভিউ দিবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | সুলতান ডাইনে কাচ্চি খেতে একদিন।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ সদর ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৫/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেখে মনে হচ্ছে এটা হচ্ছে নামকরা একটি রেস্টুরেন্ট। তবে রেস্টুরেন্টে আপনি কাচ্চি খেয়েছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া সুলতান ডাইন খুবই বিখ্যাত একটি রেস্টুরেন্ট। ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া সততা সব সময় জয় হয়। সুলতান ডাইনে কাচ্চি বিরানী রেস্টুরেন্টের মালিক সৎ ছিল তাই সে জয়ী হতে পেরেছে। যাইহোক খাবারের মান ভালো জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা দুই বন্ধু বেশ মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া কাচ্ছি খাওয়ার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সুলতান ডাইনের নামে মামলা করেও তাদের সুনাম নষ্ট করতে পারেনি। ধন্যবাদ।
আসলে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুণ। কাচ্চি আমার বেশ পছন্দের। সুলতান ডাইনে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি বেশ দুর্দান্ত ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুলতান ডাইনে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া কাচ্ছি টা দাম নিলেও খেয়ে দারুন মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ।
অচেনা অজানা স্থান সম্পর্কে ধারণা পেতে আমি পছন্দ করি। ঠিক তেমনি সুন্দর এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে তো আমার ধারণা ছিল না। আর আজকে আপনি সেখানে আনন্দঘন একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বেশ চমৎকারভাবে। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।
জী ভাইয়া ঢাকার বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট হলো এই সুলতান ডাইন। ধন্যবাদ।
যাক অনেক জনপ্রিয় একটি ডাইনে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলেন। যেহেতু সুলতান ডাইনে কাচ্চি খেতেস গেলেন। সত্যি বলতে কাচ্চির কালার গুলো এতই লোভনীয় দেখাচ্ছে। এই ধরনের খাবার গুলো মিসিং করা যায় না। যখন দেখবেন খেয়ে নিতে হয়। কারণ লোভ সামলানো বেশ মুশকিল হয়ে যায়। আপনার খাবারের ডিস টা অসাধারণ হয়েছে। বেশ খাওয়া-দাওয়া করলেন অনেক ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু এগুলো দেখলে লোভ সামলানো কঠিন। ধন্যবাদ।