দুর্দান্ত স্বাদের ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপি।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ,অনেক ভাল আছি। এক আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি ভাল তো থাকবোই। বেড়াতে আসলে মজার মজার খাবর খাওয়া যায়,নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়। হাসিঁ আনন্দ করা যায়। সব মিলিয়ে ভালই লাগে। যেহেতো খাবারের কথা বলেছি আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। এই রেসিপিটি আমি করেছিলাম যেদিন সিলেট আসি সেই দিন। রেসিপিটি রুটি দিয়ে খেতে অনেক ভাল লাগে। চলুন দেখি কি সেই রেসিপি।
এখন ঝিঙের মৌসুম চলতেছে। ঝিঙে খুব উপকারি একটি সবজি। গ্রামের বাড়িতে অনেক মানুষ ঝিঙে চাষ করে। আমাদের গ্রামের বাড়িতেও আম্মু ঝিঙে গাছ লাগিয়েছে। আমাদের দিকে ঝিঙে গাছ লাগালে প্রচুর পরিমানে ঝিঙে ধরে। আজকে ডিম দিয়ে যে ঝিঙে রেসিপিটা শেয়ার করবো সে ঝিঙে গুলো আমি বাজার থেকে কিনে আনি নাই। আমাদের বাড়ির গাছের ঝিঙে। মা ঢাকা আসার সময় সাথে করে ঝিঙে গুলো নিয়ে এসেছিল। ডিম দিয়ে ঝিঙে গুলো ভুনা করে রুটি দিয়ে খেয়েছিলাম। খেতে খুবই স্বাদ লেগেছে।
ঝিঙের উপকারিতা।
নিয়মিত ঝিঙে খেলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে, খাবারও হজম হয়। ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারী। ঝিঙেতে বিদ্যমান পেপটাইড এনজাইম রক্তের চিনির পরিমাণ কমায়। রক্তের ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী। এছাড়ও আরো অনেক উপকার রয়েছে। চলুন এবার রেসিপিটির বিস্তারিত বর্ণনা করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:-
- বড় ঝিঙে দুইটি
- ডিম দুইটি
- তেল পরিমান মত
- পেঁয়াজ কুচি পরিমান মত
- কাঁচা লঙ্কা চারটি
- আদা বাটা পরিমান মত
- রসুন বাটা পরিমান মত
- জিরে গুড়োঁ পরিমান মত
- হলুদের গুড়োঁ পরিমন মত
- লবন পরিমান মত
- পানি পরিমান মত
রেসিপি তৈরীর বিস্তারিত বর্ণনা:-
আমি প্রথমে চুলার মধ্যে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তেল গরম হওয়ার পরে পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে দিলাম।
তারপর পেঁয়াজ গুলো হলুদ বর্ণ আকার ধারন করলে তাতে কেটে রাখা কাচাঁ লঙ্কা গুলো ছেড়ে দিলাম।
তারপর জিরে গুড়োঁ,হলুদের গুড়োঁ, আদাঁ ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম।
এই পর্যায়ে মসলা গুলোর সাথে একটু পানি দিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিলাম।
এখন কেটে পিছ পিছ করে রাখা ঝিঙে গুলো মিক্স করা মসলাতে ছেড়ে দিলাম।
এখন মসলার সাথে ঝিঙে গুলো ভাল ভাবে মিক্স করে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে ঝিঙে গুলো মসলার সাথে মিশে সিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন মাছ বা শুটকিও দেওয়া যাবে।
এখন দুইটি ডিম ভেঙ্গে ঝিঙের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
ডিম দেওয়ার বিশ সেকেন্ট পরে ঝিঙের সাথে ডিমটা ভাল ভাবে মিক্স করে নিলাম। তারপর এক মিনিট সময় পরিমান চুলাতে বসিয়ে রান্না শেষ করে দিলাম।
পরিবেশন
বন্ধুরা রেডি হয়ে গেল আমার ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপি। দেখতে যেমন চমৎকার লাগছে খেতেও কিন্তুু ধারুন লেগেছে। রুটি দিয়ে খেয়েছিলাম স্বাদের তুলনা হয় না। আপনারা অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখবেন।
আজ এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে অন্য একদিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আর কেমন হলো আমার নতুন রেসিপিটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রেডমি নোট-৮ |
| রেসিপির নাম | দুর্দান্ত স্বাদের ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপি |
| স্থান | নিজের বাসা |
| কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
| ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP



























Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনার আম্মু গ্রামের বাসায় এই ঝিঙা গুলো চাষ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। গ্রামের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।
ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। রুটির সাথে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি গরম ভাতের সাথে খেতেও ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে ভাইয়া।
জী আপু গ্রামের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু।
ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমি নিজে খুবই পছন্দ করি ভাইয়া। আপনার উপস্থাপনাটাও বেশ ভালো ছিল। এভাবে এগিয়ে যান শুভকামনা রইল।
জী ভাইয়া আমি আগে একবার খেয়ে ছিলাম। অনেক স্বাদ হয়েছিল তাই দ্বিতীয়বার আবার খেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার প্রায় সবজি অনেক ভালো লাগে খেতে। তবে তার মধ্যে ঝিঙ্গে কিন্তু অন্য রকমের প্রিয় একটি সবজি। ঝিঙ্গে দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও আপনি যেভাবে ডিম দিয়ে ভাজি করলেন এভাবে করলেও রুটি কিংবা পরোটার সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া গরম ভাতের সাথে খেলে অনেক জমে উঠে। আপনি ঠিক বলছেন বেড়াতে গেলে ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করা যায়। আর সবার সাথে অনেক বেশি আড্ডা দেওয়া যায় সুন্দর সময় কাটে।
জী আপু চিংড়ি মাছ দিয়েও আমি খেয়েছি। ধারুন লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখছি আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজি করলে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয় সেটি খেতে। আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন টা ও জাস্ট অসাধারণ ছিল। পরিবেশন টাও খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন আপনি।
জী আপু রেসিপিটা খেতে সত্যিই ইয়াম্মি হয়েছে। রুটি দিয়ে খেয়েছিলাম। জাস্ট ওয়াও। ধন্যবাদ আপু।
এভাবে ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজি করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। রেসিপিটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জী আপু রেসিপিটি খেতে সত্যিই ধারুন লেগেছে। প্রায় সময় এটা খাওয়া হয়ে থাকে।
আমি কখনো এভাবে ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপি খাইনি। খুব সুন্দর হয়েছে তো আসলেই যেকোনো জিনিসের মধ্যে ডিম দিয়ে রান্না করলে খেতে দারুন মজা লাগে। আপনার রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।
ভাইয়া একবার খেয়ে দেখবেন। ধারুন লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাছের টাটকা ঝিঙে তাও আবার নিজেদের গাছের, তাহলে তো এই রেসিপির স্বাদ অনেক অনেক বেশি মনে হচ্ছে। ঝিঙে আর ডিম এই দুটোর সমন্বয়ে রেসিপি তৈরি করে খেতে সত্যিই দুর্দান্ত লাগে। আমার কাছে এই রেসিপি ভীষণ পছন্দের। আর ভাই আপনার তৈরি রেসিপি দেখে বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছিল। রন্ধন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া নিজের গাছের টাটকা সবিজ। মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডিম দিয়ে ঝিঙে ভাজা রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ঝিঙে ভাজি করে খেতে এবং তরকারি রান্না করে খেতে দারুণ লাগে। এই রেসিপিটা গরম গরম রুটি দিয়ে খেতে খুব ইয়াম্মি লাগবে। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া গরম গরম রুটি দিয়ে খেতে সত্যিই অসাধারন হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।