শত্রু থেকে বন্ধুত্ব ।। পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

water-drops-g6af62f0d3_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে শত্রু থেকে বন্ধুত্ব গল্পটির দ্বিতীয় পার্ট শেয়ার করব। আশা করি এই পর্বটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তোর চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল গল্পে যাওয়া যাক।

গত পর্বের শেষের কিছু অংশ

তো সবাইকে ভালো লাগলেও চারজনকে আমার ভালো লাগেনি। আসলে ওরাও চারজন বন্ধু সব সময় একসাথে থাকে। তবে ওরা সবসময় ঝামেলা করার চেষ্টা করে। মানে একটু দুর্বল কাউকে তাকে ওরা বিরক্ত করে মজা নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই আমি প্রথমেই ভেবে নিয়েছিলাম এদের থেকে সবসময় দূরে দূরে থাকবো। যাই হোক এত এত বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে একটা মেয়েকে প্রথম দেখাতেই আমার বেশ ভালো লেগে গিয়েছিল

পর্ব-২

তো পরে ক্লাসের স্যার মেয়েটাকে রুহি বলে ডাকতো। তো তখন আমি জানতে পারলাম মেয়েটার নাম রুহি। কিন্তু নাম জানলে কি হবে আমি বেশ চুপচাপ স্বভাবের একজন মানুষ। নিজে থেকে আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনি। তাহলে তো এর সাথে কথা বলতে পারবো না এই ভেবে ওর বিষয়টা অতটা সিরিয়াসলি নিলাম না। যাইহোক এর আগের স্কুল টাতেও আমার একটা মেয়ে পছন্দ ছিল তাকে শুধু আড়াল থেকে দেখেই যেতাম কোনদিন কথা বলার সাহস পাইনি। তো যাই হোক সেদিন ভালো মতোই স্কুলটাকে চিনে নিলাম এবং খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর মাধ্যমে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসলাম। আর হ্যাঁ একটা কথা বলতেই হচ্ছে স্কুলের শিক্ষকগুলো বেশ ভালো ছিল।

তো এরপর থেকে রোজ আমি আর নয়ন একসাথে স্কুলে যেতাম। একা একা স্কুলে যাওয়ার থেকে ছোটবেলার বন্ধুর সাথে স্কুল যেতে আমার বেশ ভালোই লাগছিল। প্রতিদিন বেশি আনন্দের সাথেই স্কুলে যেতাম আসতাম আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো। তো একদিন নয়নের একটা কাজ পড়ে গিয়েছিল তাই সে সেদিন স্কুলে যেতে পারিনি তো সেদিন আমি একা একাই স্কুলে গেলাম। প্রথম ক্লাসটা বেশ ভালো মতোই করলাম। তারপর পর ক্লাসে স্যার আসতে একটু দেরি হচ্ছিল তাই সবাই বাইরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমি ক্লাসের মধ্যেই বসেছিলাম তখন দেখি ওই চারজন ক্লাসের মধ্যে আসলো। আর হ্যাঁ ওদের নাম তো আপনাদের বলা হয়নি ওদের একজনের নাম হচ্ছে রকিবুল আরেকজনের নাম হচ্ছে সাজ্জাদ আরেকজনের নাম হচ্ছে আকাশ এবং লাস্ট আরেকজনের নাম হচ্ছে রিয়াদ।

তো যাই হোক ওঁদের ভাব ভঙ্গি দেখে বুঝতে পারলাম যে ওঁদের ক্লাসে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে বিরক্ত করা। কারণ ওরা এই কদিনে বুঝেই গেছে আমি বেশ চুপচাপ স্বভাবের এবং কারো সাথে ঝামেলাতেও জড়াতে চাই না। তো ওদের দেখে আমি বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু ওরা আমাকে আটকে ফেলে। এবং বলে এই কোথায় যাচ্ছি? আমি বললাম এমনিতে একটু বাইরে যাচ্ছি। তো তখন আমার উত্তরে ওরা বলল আই আমাদের সাথে একটু বসে গল্প কর। তুই তো আমাদের স্কুলে নতুন এসেছিস তোর সাথে একটু পরিচয় হয়ে-নি‌। তো আমি বললাম না আমি একটু বাইরে যাব। পরে পরিচিত হয়ে নেব। কিন্তু তাও ওরা আমাকে আটকালো। তো তখন আমি বললাম তোরা বারবার আমাকে আটকাচ্ছিস কেন। তো কথাটা আমি একটু জোরে বলেছিলাম তাই ওদের মধ্যে একজন তো সোজা আমার শার্ট এর কলার ধরল।তো ওরা যেহেতু চারজন ছিল আর আমি কোন ঝামেলা জড়াতে চাই না তাই ওদের কাছে আমি ক্ষমা চাইলাম কিন্তু ওরা তো নাছোড়বান্দা।

আমাকে ছাড়তে চাচ্ছে না কিন্তু তখনই স্যার চলে এসেছিল তাই ওরা আর আমাকে কিছু বলতে পারিনি। তো যাই হোক তারপরে থেকে পরপর ক্লাস ছিল তাই ওরা আমাকে আর কিছু বলতেও পারবে না। কিন্তু আমার ভয় ছিল যে ছুটির সময় যদি ওরা আমাকে ধরে এই ভেবে স্কুল ছুটি দেওয়ার সাথে সাথেই আমি তাড়াতাড়ি বাড়িতে দিকে রওনা দিয়ে দিলাম। তো বিকেলে আমি নয়নকে এইসব কথাগুলো খুলে বললাম। তো এরপর ও আমাকে বলল পরবর্তীতে ওরা যদি তোকে ডিস্টার্ব করে তাহলে সোজা স্যারকে বলে দিবি। তাই এর উত্তরে আমি নয়নকে বললাম ঠিক আছে পরবর্তীতে ওরা যদি আমাকে ডিস্টার্ব করে তাহলে স্যারকে বলে দে। তো তখন আমি কে জিজ্ঞাসা করলাম কালকে স্কুলে যাবি তো। তখন এর উপরে ও বলল হ্যাঁ যাবো আর দেখবো ওরা তোকে কি বলে....

চলবে,,,,

গতপর্ব গুলার লিংক

প্রথম পর্বের লিংক

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68650.88
ETH 2429.74
USDT 1.00
SBD 2.37