কঙ্কালের মাথা

in Incredible India8 days ago

আমরা বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজকে আমি আঁকতে চলেছি একটি কঙ্কালের মাথা। যেহেতু ভূত চতুর্দশী কয়েকদিন পরই আসছে ।তাই আমি ভাবলাম কঙ্কাল আঁকি।

20241028_190636.jpg

আমার বাবার কারখানায় কালকেই একটি কালী ঠাকুর ডেলিভারী গেল ।যেহেতু কালী ঠাকুরের গলায় কঙ্কালের মাথা মালার মতন করে থাকে। ওটাকে মুণ্ডমালা বলে। তাই আমি সেটা দেখার পর ,এটা আঁকতে ইচ্ছা হলো।

আমি বাবার কারখানায় রোজই একটু করে কাজ শিখতে যাই এবং একটা মূর্তি বানিয়ে আসি ।তাই আমি সামনাসামনি অনেকবার সেই কালি ঠাকুরকে দেখেছি। আর আমি অনেক কিছুই দেখি ।আমার বাবার কারখানায় যেহেতু অনেক মূর্তি ডেলিভারি হয় ,তাই আমি সেটা বানানোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে পাই। এইভাবেই আমি সেই কালি ঠাকুরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বানাতে দেখেছি । কালী ঠাকুর টি ব্রোঞ্জের তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু রং করার পর মনে হচ্ছিল এটা ফাইবারের। যাইহোক এটি একটি গ্রামের মধ্যে ,চারিদিকে যেখানে ক্ষেত ,একটা মাঝখানে বাড়ি, সেরকম একটি জায়গায় ডেলিভারি হয়েছিল। আমার বাবা সেখানে গিয়েছিল।

যেহেতু আমার বাবাকই লাগবে ওটা বসানোর জন্য ।কারণ কিভাবে বসবে সেটা বাবাই জানে ,আর ওরাই জানে। তাই বাবাকে প্রত্যেক বড় বড় মিউজিয়াম বা নরমাল বড় মূর্তিগুলি বসানোর জন্য একবার হলেও দেখতে যেতে হয়।

এমনকি কাশ্মীর যাওয়া ওরকম ভাবে হয়েছিল। যদিও কাশ্মীরের ওই স্পটেই সেই মূর্তিটা তৈরি করে ওখানেই বসানো হয়েছিল। তবে বাবা সব জায়গায় যায় না। মানে, যেমন ধরে নাও অন্য কোথাও একটি রামকৃষ্ণ ডেলিভারি আছে, যেটি এমনি দরজার পাশে বসবে। সেটি ছোট সেরকম জিনিস সেটেল করার জন্য আমার বাবাকে যেতে হয় না।

লিংক

বড় বড় মূর্তি হলে সেটেল করার জন্য আমার বাবাকে লাগে। বাকি আমিও মাঝে মাঝে বাবার সঙ্গে সেই জায়গাগুলোতে গিয়েছি। আর আমি যেহেতু প্রতিদিনই বাবার কারখানায় যাই ,তাই আমি অনেকগুলি মূর্তি দেখতে পাই। আর আমি বাবার কাছেই জেদ ধরি যে ,আমিও সেটা কোথায় বসবে ,দেখতে যাব।

কোনো সময় বাবা নিয়ে যায় ,আবার কোন সময় নিয়ে যায় না। তাই আমি তিনবারের বেশি জেদ করি না। যাইহোক আজকেও আমি বাবার কারখানায় গিয়েছিলাম, তারপর একটি কালি ঠাকুর অর্ধেক বানিয়ে এসছি, আর অর্ধেকটা কালকে বানাতে যাব মনে হয়। কারণ আমার মনে সন্দেহ আছে। আমার দিদিমণি বলেছিল কালকে দুপুর দিকে আসবে। তাই যেতেও পারি আবার নাও যেতে পারি। যদি যাইও, তাও তাড়াতাড়ি আসতে হবে।

প্রথম ধাপ

প্রথমে কঙ্কালের মুখ আঁকা শুরু করলাম।

20241028_212818.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

তারপর কঙ্কালের দাঁত এবং নাকের জায়গাটা আঁকলাম।

20241028_212853.jpg

তৃতীয় ধাপ

এবার কঙ্কালের মুখে শেড দিচ্ছি।

20241028_212924.jpg

চতুর্থ ধাপ

কালো ব্ল্যাক পেন ব্যবহার করে আউটলাইনগুলো কভার করছি।

20241028_212949.jpg

পঞ্চম ধাপ

নাকের জায়গাটা কালো ব্ল্যাকপেন দিয়ে করার পর, সেড দিচ্ছি।

20241028_213053.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এরপর চোখের এবং দাঁতের জায়গাটা কালো কালি দিয়ে শেড দিয়ে নিলাম।

20241028_213116.jpg

সপ্তম ধাপ

বাকি কিছু কিছু জায়গায় ফিনিশিং টাচ বাকি ছিল সেগুলো করে নিলাম।

20241028_213139.jpg

ফাইনাল

এভাবে খুব সহজ একটা কঙ্কালের মাথা তৈরি হয়ে গেল।।

20241028_190808.jpg

ছবিটা খুব তাড়াহুড়োতে এঁকেছি তাই খুব সহজ একটা ছবি চুজ করেছি। আসলে সকাল থেকে বাবার সাথে আমি কারখানায় যাচ্ছি। কাজ শিখতে। তাই আমার সময় হয়ে উঠছে না। বাড়িতে এসেই পড়াশোনা থাকে। দিদিমণি আর মাস্টার মশাই আসে। তাই সমস্যা হচ্ছে।

Sort:  
 8 days ago 

তোমার কঙ্কালের মাথার ছবি দেখে মনে পড়ে গেল সামনে কালীপুজো। এছাড়াও আমরা চড়কের সময় সত্যিকারের কঙ্কালের মাথা নিয়ে খেলা করতে দেখি। তবে এখন ঠাকুর দেখতে গেলে মা কালীর কাছে কঙ্কালের মাথা আমরা দেখতে পাব। ছবি আঁকাতে আমি ভীষণ কাঁচা। একদমই যে পারিনা সেটা বলবো না। কোনরকমে চালানোর মতো ছবি আঁকতে পারি। প্রত্যেকদিন তোমার সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা দেখতে খুব ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলো তুলে ধরেছ। এছাড়াও ভিডিও লিংক দেখেও খুব ভালো লাগলো। এই ভাবেই সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকতে থাকো। আরো ভালো ছবি আঁকতে পারবে।

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68787.57
ETH 2439.22
USDT 1.00
SBD 2.34