পরিশ্রমী সেই ব্যাক্তি
আজ--০৭ মাঘ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- পরিশ্রমই সেই ব্যক্তি
- আজ-০৭ইমাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
আমরা সকলেই হয়তো এটা জানি যে পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি, সেই সাথে আমরা এটাও জানি যে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। আমিও সেটাই মনে করি যে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যটা যত দ্রুত বদলানো যায় সেটা অন্য কোন মাধ্যমে কখনোই সম্ভব নয়। আর পরিশ্রমী ব্যক্তি তার পরিশ্রম দ্বারা খুব দ্রুতই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। ভাগ্য বদলানোর জন্য হয়তোবা অনেকেই অনেক জ্যোতিষীর কাছে যায় অনেকে আবার হাতের রেখায় ভাগ্য নির্ধারণ করে, আসলেই কি হাতের রেখায় ভাগ্য থাকে হাতের রেখায় যদি ভাগ্য থাকত তাহলে যেই মানুষটার হাত নেই তাহলে তার ভাগ্যটা কোথায়..?? যে মানুষটার হাত নেই তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে তার ভাগ্য বলতে কিছুই নেই..?? হাতের রেখায় ভাগ্য থাকে এটা আমি আসলে বিশ্বাস করিনা আমি এটা বিশ্বাস করি যে পরিশ্রমের মাধ্যমেই ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। কেউ যদি খুব দ্রুত যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিজের মধ্যে চায় তাহলে সে যেন পরিশ্রম করে আমি এটাই বিশ্বাস করি।
আমরা সকলে এটা জানি যে পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা পরিশ্রম করতে চাই না। আমরা অলস অবস্থায় নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই যেটা কখনোই সম্ভব নয়। যে ব্যক্তি অলস সে কখনো নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না। অলস ব্যক্তি সবসময়ই আলসেমির মধ্যে ডুবে থাকে পরিশ্রম করার কথা আসলেই সে সেখান থেকে পলায়ন করার চেষ্টা করে। যে ব্যক্তি পরিশ্রমের ভয়ে পলায়ন করে তার দ্বারা কি আদেও ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব..?? কখনোই সম্ভব নয়। আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করছে কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না আমি তাদেরকে বলতে চাই, অপেক্ষা করুন এবং ধৈর্য ধরুন। অবশ্যই সঠিক সময় আপনারও আসবে।
আমাদের মূলত একটাই সমস্যা আমরা সবসময়ই তাড়াহুড়ো করি, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কখনোই তাড়াহুড়ো করেন না সে সঠিক সময়ে সেই মানুষটাকে এমনভাবে দান করেন যে সেই মানুষটা তখন অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। কাজকর্ম করে আমাদেরকে অপেক্ষা করা উচিত এবং ধৈর্য ধারণ করা উচিত নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই স্বস্তি রয়েছে। এমনই এক পরিশ্রমী ব্যাক্তি দেখেছিলাম কিছুদিন আগে। যার পরিশ্রম দেখে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে একটা মানুষ এতটা পরিশ্রম কিভাবে করতে পারে, আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে সেটা ধরে না।
গত কয়েকদিন আগে মাঠ থেকে ঘোরাঘুরি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম প্রায় সন্ধ্যে নামার পরে। মাঠে গিয়ে যে সুন্দর সময় গুলো অতিবাহিত করেছিলাম সেই সুন্দর সময়ের পোস্ট নিয়ে অন্যান্য সময় হাজির হবে। হাঁটতে হাঁটতে আমরা প্রায়ই আমাদের বাসার কাছে চলে এসেছিলাম আমাদের বাসা সেখান থেকে তখনও প্রায় এক কিলো। মাঠ থেকে উঠে আসার সময় অনেক বড় একটা ঢাল আছে যেটাকে আমরা গ্রাম্য ভাষায় চড়ান বলে থাকি। যেহেতু এখন শীতের সময় আর কৃষকেরা মাঠে আখ চাষ করছে, আপনারা অনেকেই জানেন যে আখ চাষ করার আগে আখের সামনের কিছু অংশ কেটে রাখা হয় পরবর্তীতে আজ জন্মানোর জন্য গ্রাম্য ভাষায় সেটাকে বলা হয় বেছন।
একজন ভ্যান গাড়ি ওয়ালা সেই আখের বেছন নিয়ে মাঠ থেকে উঠে আসছে। যখন সে ঢালের উপরে উঠে এসেছে তখনই হয়তোবা তার ভ্যান গাড়িটা উল্টে গিয়েছিল। ততক্ষণে হয়তো বা সূর্য পশ্চিম আকাশে হেরে গিয়েছে সন্ধ্যে হবে হবে এরকম ভাব। যেহেতু শীতকাল তাই মাঠে তেমন মানুষজন ছিল না তারা অনেক আগেই যে যার মত বাসায় এসেছে। আমরা যতক্ষণে বাসায় ফিরেছিলাম তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে মাঠে দ্বিতীয় আর কোনো মানুষ নেই শুধুমাত্র আমরা এই ৩-৪ জন ছাড়া। আখের বেসনের আটি কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টা তো হবেই। আখের আঁটিগুলো অনেক বড় বড় ছিল।
এরপরে সে কোন মতো ভ্যান ঢাল বেয়ে উপরে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তারপরে একে একে সেই আখের বেসন গুলো মাথায় করে পায়ে হেঁটে ঢাল বেয়ে তার ভ্যান গাড়িতে সাজিয়েছে। ব্যাপারটা ভাবতে পারছেন কতটা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়েছে..?? শেষ পর্যায়ে এসে সে প্রায় সবগুলো আখের আটি ভ্যানের উপর সাজিয়েছে কিন্তু শেষের দিকে এসে একটা আখের আটি সে আর কোনোভাবেই মাথায় উঠাতে পারছে না সে সেখানেই হতাশ হয়ে বসে পড়েছিল। কি করবে এটার ভেবে পাচ্ছি না।
বাসায় যেতে হলে আমাদেরকে সেই পথ দিয়ে যেতে হবে আমাদের দেখে সে উঠে দাঁড়ালো এবং দেখলাম তার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি এত কষ্টের পরেও। এরপরে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে সে বলল যে এই ঢালে উঠতে গিয়ে ভ্যান গাড়িটা উল্টে গিয়েছিল। আস্তে আস্তে করে সব আটি ভ্যানে উঠিয়েছি কিন্তু এটা আর উঠাতে পারছি না বসেছিলাম কারো অপেক্ষায় আর সেই সময়ই আপনারা চলে আসলেন। এরপরে আমরা তাকে এসেই আখের আটি ধরে উপরে উঠিয়ে দিলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা বা কোথাও ব্যথা পেয়েছেন কিনা। সেই সময় সে মৃদু একটা হাসি দিয়ে বলল নাহ....আমার তো এমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম সেদিন যে এতটা দুঃখ-কষ্ট পরিশ্রম করার পরেও এই মানুষগুলো কিভাবে হাসিমুখে কথা বলে মানুষদের সাথে। এদের কি কখনো খারাপ লাগেনা..?? এদের কি কখনো শুয়ে বসে দিন কাটাতে মন চায় না..?? এদের কি কখনো ইচ্ছে হয় না আজ ভালো লাগছে না কাজ করবো না শুয়ে থাকি, এদেরও ইচ্ছে হয়। কিন্তু তারা শুধুমাত্র তার পরিবারের দিকে তাকিয়ে সমস্ত রকম ইচ্ছে বিসর্জন দিয়ে থাকে। এরাই আসলে সত্যি কার অর্থে তার পরিবারকে ভালোবাসা।
সেদিনের সেই লোকটাকে দেখে মনে হয়েছিল সে অনেক বেশি ক্লান্ত, এরপরে সেই মানুষটাকে দেখলাম যে সে অটো ভ্যান চালিয়ে আস্তে আস্তে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আর আমরা একটু সামনে গিয়ে বিপরীতে একটা পথ দিয়ে দ্রুত বাসায় চলে এসেছিলাম। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | পরিশ্রমী সেই ব্যক্তি |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমরা সবাই জানি পরিশ্রম হচ্ছে সৌভাগ্যের পশুতি। পরিশ্রম করলে মানুষ উন্নতি করতে পারে। যে ব্যক্তি যত বেশি পরিশ্রম করবে সে ব্যক্তি তত বেশি উন্নতি আশা করতে পারে। তবে কিছু কিছু পরিশ্রম আছে সেগুলো অনেক কষ্টের। এবং অনেক মানুষ আছে তারা জ্যোতিষীর কাছে হাত দেখিয়ে তাদের ভাগ্য জানতে চায়। তবে আপনার মত আমি নিজেও জ্যোতিষীর ভাগ্য বিশ্বাস করিনা। আসলে অনেক সময় অনেক পরিশ্রম কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।