"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৬০//নাটক রিভিউ
আজ--০৪ ফাল্গুন| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৬০)
- আজ ০৪ষ্ঠা ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৫২ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ২৪-ই অক্টোবর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৬০ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৬০ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের ছোট ছেলে এবং বাসার সাহেবের জামাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন মূলত বাসার সাহেবের জামাই বরাবরই বাসার সাহেবের সন্তানদের মাথার মধ্যে উল্টাপাল্টা বুদ্ধি দিয়ে আসছে। সে মূলত চায় যে তার সন্তানেরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করুক এবং যে যার সম্পত্তি ভাগ করে নিক, যাতে করে সে তার নিজের সম্পত্তি নিজের করে নিতে পারে। আর এই ব্যাপারটা ভালোভাবে তার সন্তানদের মাথার মধ্যে প্রবেশ করানোর জন্যই সে তার ছোট ছেলের কাছে গিয়েছে তার প্রেমিকার ব্যাপারে কথা বলতে। মূলত তার প্রেমিকাকে নিয়ে যে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা ছিল এই বুদ্ধিটা বাসার সাহেবের জামাই বাশার সাহেবের ছোট ছেলের মাথায় প্রবেশ করিয়েছে। কিন্তু বাসার সাহেবের ছোট ছেলে খুবই ভোলাভালা একজন মানুষ সে তার প্রেমিকাকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং পছন্দ করে কিন্তু তার প্রেমিকা তার সঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতে মোটেও রাজি হচ্ছে না আর ব্যাপারটা নিয়ে এসে খুবই চিন্তিত।
বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমিকা চাচ্ছে যে শাহনাজ খুশির ভাইকে সাথে করে নিয়ে যেতে কিন্তু বাসার সাহেবের জামাই তার ছোট ছেলেকে ভালোভাবে বলে দিয়েছে সে কাউকে সাথে করে নিয়ে যাবে না যাতে করে সিনেমা দেখার নাম করে গিয়েই তারা তাদেরকে বিয়ে দিতে পারে। মূলত এখানে বাসার সাহেবের জামাই বরাবরই তার সন্তানদেরকে খারাপ বুদ্ধি দিয়ে যাচ্ছে, এদিকে যেহেতু বাসার সাহেব তাদের সন্তানদের কথা শোনে না তাই তারাও তার দুলাভাইয়ের কথা মত কাজ করছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে তার ছোট মায়ের বাবার বাড়ির ঠিকানা জানতে কিন্তু বাসার সাহেব এখন পর্যন্ত জানে না যে তার ছোট স্ত্রীর বাবার বাড়ি কোথায় আর সে তার মেয়েকে সেই ঠিকানা দিতে পারল না। যেহেতু সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি ঠিকানা দিতে পারছে না যার কারণে এক বাসার সাহেবের মেয়ে তার উপর অনেক বেশি রাগান্বিত এবং সে, বরাবরি তার বাবাকে খুবই সন্দেহ করে। কিন্তু বাসার সাহেবের জামাই বরাবরি বাসার সাহেবের সঙ্গে অনেক বেশি ছলচাতুরি করে এবং বাসার সাহেব তার জামাইকে কোনভাবেই পছন্দ করেনা। মূলত তাদের দুজনের মাঝে অনেক ব্যাপার নিয়েই কথা হয় তবে বাসার সাহেব বরাবরই এটা স্বীকার করে আসছে যে এই যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এ কোথা থেকে এসেছে বা এর বাবার বাড়ি কোথায় সে এখন পর্যন্ত কিছুই জানে না।
এই ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই অনেকটা অবাক লেগেছে যে এতদিন হয়ে গেল এবং এতগুলো পর্ব শেষ হয়ে গেল তারপরেও এখন পর্যন্ত ভালোভাবে জানতেই পারলাম না যে আসলে বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী কোথা থেকে এসেছে এবং সে কি আসলেই বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী কিনা। হয়তোবা নাটকের পরবর্তী পর্বগুলো দেখলে পুরো ব্যাপারটা বোঝা যাবে যে আসলে বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী এটা তার সত্যিকারের স্ত্রী নাকি মৌসুমী হামিদ মিথ্যে অভিনয় করছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় চঞ্চল চৌধুরী তার প্রেমিকাকে নিয়ে খুবই রোমান্টিক মুডে আছে সে পুকুর থেকে একটা পদ্মফুল নিয়ে এসে নাদিয়ার কাছে দেয় এবং নাদিয়া এটা পেয়ে খুবই খুশি হয়। সেই সাথে নাদিয়া তাকে এটা জানায় যে কিছুদিন আগে তার ভাই অর্থাৎ আরফান তাদের বাসায় এসেছিল রাতের বেলা এবং সে তাকে দেখে ফেলেছে। মূলত আরফান যে তাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করতে যাচ্ছে এ ব্যাপারটা চঞ্চল চৌধুরী ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছে এবং তাকে সমস্ত রকমের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলে। পরবর্তীতে তারা বলে যে তারা খুব শীঘ্রই বিয়ে করবে কিন্তু এখন এটাই দেখার বিষয় যে ভবিষ্যতে আসলে নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীকে বিয়ে করবে নাকি অন্য কাউকে বিয়ে করবে এটাই এখন দেখার বিষয়। তবে চঞ্চল চৌধুরী এবং নাদিয়ার প্রেম দেখলে বোঝা যায় যে তারা একে অপরকে কখনোই ছাড়বে না এবং তারা একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসে। ভালোবাসাটা আসলে কখন যে কার প্রতি চলে আসে সেটা কেউ কখনো বলতে পারে না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর ফুফু হঠাৎ করেই আরফানকে ডেকেছে মূলত চঞ্চল চৌধুরী অনেক আগেই তার ফুপুকে বলেছিল যে তার ভাই আরফান তাকে হত্যা করার জন্য অনেক রকম কলা কৌশল অবলম্বন করছে আর এ কথা শুনে তার ফুফু অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়। আর আজকে আরফান কে ডেকে নিয়ে এসে সে অনেক রকম কথা শুনে মূলত এটা লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে তার ফুফু চঞ্চল চৌধুরীকে অনেক বেশি ভালোবাসে। যদিও তার ফুফু এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছে যে এদের ভাই ব্রাদারের মধ্যে মারামারি হট্টগোল বাধিয়ে দিয়ে এই মেয়েটা অন্য কোথাও বিয়ে করে নেবে, আমার মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে এরকম কিছু একটাই ঘটবে তবে এটা দেখার বিষয় দেখা যাক ভবিষ্যতে কি ঘটে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে শাহনাজ খুশির ভাই এর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত। প্রতিমধ্যে তার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে সে তার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে এবং শাহনাজ খুশির ছোট ভাই তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে তার প্রেমিকার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই মূলত বাসার সাহেবের ছোট ছেলে ভেবেছে হয়তোবা শাহনাজ খুশির ভাইয়ের সঙ্গে তার প্রেমিকার প্রেমের বন্ধন রয়েছে আর এই ধারণা থেকে এসে তার সঙ্গে কিছুটা মনোমালিন্য শুরু করে দিয়েছিল।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে হঠাৎ করেই বাসার সাহেবের বড় ছেলের কাছে গিয়ে হাজির হয়েছে এবং তার ছোট মায়ের ব্যাপারে সে কথা বলছে। মূলত বাসার সাহেবের মেয়ে এদিকে অনেক বেশি ষড়যন্ত্র করছে তার ছোট মায়ের বিরুদ্ধে মূলত সে কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না যে তার বাবা বৃদ্ধ বয়সে এরকম একটা মেয়ের বিয়ে করেছে। এদিকে সে তার বড় ভাইয়ের কাছে গিয়ে তার মায়ের ব্যাপারে জানতে চায় কিন্তু তার বড় ভাই ও এ ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারেনা। এদিকে আবার বাসার সাহেবের মেয়ে চঞ্চল চৌধুরীর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত কারণ চঞ্চল চৌধুরী তার ছোট মাকে সবদিক দিয়েই সাহায্য করছে যার কারণে সে কিছুটা ক্ষিপ্ত।
কিন্তু বাসার সাহেবের মেয়ে বরাবরই এখন পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরী এবং তার ছোট মায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে বলেই বোঝা যাচ্ছে, এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৬০ তম পর্বের রিভিউ আশা করছি এই রিভিউ আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৬০ |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.