পেঁয়াজের ঝাঝে মরিচের ঝালে রমজানে আগুন
আজ--২৭ ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- পেঁয়াজের ঝাঝে মরিচের ঝালে রমজানে আগুন
- আজ-২৭শফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
আপনারা হয়তোবা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে আমি কোন ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছি। বছরের প্রায় প্রত্যেকটা মাসেই দেখা যায় যে বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ এবং মরিচের ঝাল অনেক বেশি থাকে, এখানে পেঁয়াজের ঝাঁজ এবং মরিচের ঝাল বলতে কি বুঝিয়েছি আপনারা হয়তোবা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। অন্যান্য সময়ে ঝাঁজ এবং ঝাল বেশি থাকলেও রমজান মাসে এই ঝাজ এবং ঝালের পরিমাণটা যেন আরো কয়েকগুণে বৃদ্ধি পায়। এতটাই বৃদ্ধি পায় যে পেঁয়াজ এবং মরিচের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও ঝাঁজে এবং ঝালে চোখ এবং শরীর দুটোই জলে। অন্যান্য মাসে এই দুটো জিনিসের দাম বেশি থাকলেও রমজান মাসে যেন এগুলো স্বর্ণ হয়ে যায়, মনে হয় যেন এই দুটো পণ্য সামগ্রী স্বর্ণ হয়ে গিয়েছে যা সাধারণ মানুষের কিনতে গেলে অনেক টাকা পয়সা গুনতে হয়। কিন্তু পক্ষান্তরে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পারি যে শুধুমাত্র এই দুটো প্রয়োজনীয় পণ্যই নয় রমজান মাসে অন্যান্য সব রকম পণ্যের দাম হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়। যদিও এই ব্যাপারটাকে আমি কখনোই ভালোভাবে দেখিনা, এই ব্যাপারটা কি আমি দেখি এটা যেন এক মূর্খতা এটা যেন এক অভদ্রতা। এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজারে সিন্ডিকেট করে দেয়।
শুধুমাত্র যে কয়েকজন সিন্ডিকেট কারী এই দ্রব্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী তা কিন্তু নয়, এরা মূলত একটা চক্র আর এই চক্র তারা একত্রে কাজ করে যার কারণেই রমজান মাসে দ্রব্য সামগ্রির দাম এতটা বৃদ্ধি পায়, যেটা সত্যিই খুবই হতাশাজনক এবং খুবই দুঃখজনক। হঠাৎ করেই সেদিন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম সন্ধ্যেবেলা। যদিও মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলা চা খাওয়াটা আমার এখন অনেকটাই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যার কারণে মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলায় রাস্তার পাশের টং দোকানে বসে এক কাপ রং চা না খেলে যেন স্বস্তি হয় না। কোথা থেকে এক রিকশাওয়ালা এসে টং দোকানের সামনে থেমে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিয়ে বসে পড়ল টেবিলে। তার চোখে মুখে ছিল খুব ক্লান্তি এবং হতাশা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে সারাদিন রিক্সা চালিয়েছে। হঠাৎ করেই লোকটা নিজে থেকেই বলে উঠলো যে আমাদের মত রিক্সাচালকদের জন্য আসলে এই দেশ না আমাদের এই দেশ থেকে চলে যাওয়া উচিত, কথাটা শুনে রীতিমতো অবাক হলাম পাশে থাকা এক লোক তাকে জিজ্ঞেস করল কেন কি হয়েছে..??
এটা শুনেই লোকটা তার মনের ভেতর কার দুঃখগুলো বলা শুরু করলো, মূলত তোর দুঃখ এটা নিয়েই যে রমজান মাস উপলক্ষে সব কিছুর দাম এত এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে রোজা রাখাটাও এখন অনেক বেশি কষ্টের কাজ। রমজান মাসে যদি একটু ভালো খেতে না পারি তাহলে রোজা রাখব কিভাবে, বাজারে গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য কিন্তু এত এত দাম দেখে আর কিছুই কিনি নি ফিরে এসেছি। কথাটা শুনে সত্যিই নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। এত এত মানুষের মনের ভেতর কার দুঃখগুলো সেই সিন্ডিকেট কারী লোকেরা কি দেখে না..?? সামান্য কিছু টাকার জন্য তারা সিন্ডিকেট করছে প্রতিনিয়ত এটা আসলে তাদের বিবেকে বাধা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
আমি মনে করি যারা চাকুরীজীবী মানুষ রয়েছে তাদের হয়তো বা রমজান মাসে খুব একটা বেশি সমস্যা হয় না। তারা হয়তোবা কোন একভাবে রমজান মাসটা খুব ভালোভাবেই উপভোগ করে। কিন্তু শহরে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দিনমজুরি যারা দিনের কাজ করে টাকা উপার্জন করে এবং সেই টাকা দিয়ে তারা তাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের খাবার খাওয়ায়। প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রির মূল্য যদি দশ টাকা বৃদ্ধি পায় কিন্তু তার মজুরি কিন্তু দশ টাকা বৃদ্ধি পায় না। এর মানে দ্বারা কি বোঝায়..? এর মানে দ্বারা আমি এটাই বুঝি যে পণ্যের দাম দশ টাকা বৃদ্ধি হওয়া মানেই ওই দিনমজুরি মানুষটার উপর দশ টাকা জুলুম করা হচ্ছে কারণ তার মজুরি তো আর বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এরকম প্রত্যেকটা পণ্য সামগ্রীর উপর যদি দশ টাকা থেকে বিশ টাকা দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে যে দিনশেষে যেখানে সে পাঁচটা পণ্য সামগ্রী কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যাবে সে তিনটা কিনতে পারছে আর দুইটা কিনতে পারছে না। এই মানুষগুলো তাহলে বাঁচবে কিভাবে..?? কোন উত্তর আছে কারো কাছে..??আমি মনে করি এসবের উত্তর কারো কাছেই নেই।
যদিও বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে অনেক জায়গাতেই মোবাইল কোর্ট এটা ওটা বসিয়ে দ্রব্য সামগ্রীর দাম যাচাই করা হয় কিন্তু এত এত সতর্কতার পরও কিভাবে সিন্ডিকেট কারীরা তাদের সিন্ডিকেট চালিয়ে যায় এটা আমার মাথায় আসে না। চায়ের দোকানে সেই রিক্সাওয়ালার কথা শুনে বাসায় আসলাম বাসায় এসে মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেল বারবার শুধু তার কথা মনে পড়ছিল। এরপরে ইউটিউব এ প্রবেশ করাতেই কিছু নিউজ দেখলাম প্রত্যেকটা নিউজেই বলা হয়েছে যে রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্য সামগ্রীর দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য অনেকটাই দুঃখজনক এবং তাদের জন্য অনেকটাই কষ্টের। এমন অনেক মানুষ আছে যারা দিনমজুরি কিন্তু রোজা রাখে তুই মানুষগুলো যদি রমজান মাসে একটু ভালো-মন্দ খেতে না পারে তাহলে তারা কিভাবে দিন পার করবে। আমি মনে করি দেশে যত বড় সিন্ডিকেট থাকুক না কেন সরকার যদি নিজ থেকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করে যে কোন রকম সিন্ডিকেট থাকবে না তাহলে কেউ সিন্ডিকেট করতে পারবে না।
মানুষের ভেতরে আসলে সেই মনুষত্ব এখন আর নেই। সামান্য কিছু টাকার লোভে মানুষ এখন নিজের আত্মসম্মান পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে রাজি। একটা মানুষের সব থেকে বড় যে জিনিস সেটা হচ্ছে আত্মসম্মান এবং বিবেক, আর এই দুটো যখন মানুষের উপর থেকে চলে যায় তখন তাকে আর মানুষ বলা যায় না। রমজান মাস উপলক্ষে যারা দ্রব্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে তাদের ভেতরে আসলে আত্মসম্মান অথবা বিবেক যেটাই বলেন না কেন কোনটাই নেই। আমি মনে করি এরা সমাজের নিকৃষ্ট পশু ছাড়া আর কিছুই নয় যারা কিনা সামান্য কিছু টাকার লোভে অন্যান্য মানুষদেরকে কষ্ট দেয়। আর এই মানুষদেরকে কষ্ট দিয়ে তারা পৈশাচিক আনন্দ পায় আর এই পৈশাচিক আনন্দ তারা মৃদু হাসে। টাকা পয়সা জীবনে অনেক আসবে যাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু দিনশেষে যদি আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে দেখতে না পান তাহলে পুরো জীবনটাই বৃথা।
আমি মনে করি বছরের অন্যান্য মাসে যদি দ্রব্য সামগ্রীর দাম একটু বৃদ্ধি থাকে তাতেও হয়তোবা সেরকম কোন সমস্যা হয় না কিন্তু রমজান মাস উপলক্ষে সব কিছুর দাম একটু কমিয়ে রাখা উচিত। পক্ষান্তরে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে অন্যান্য মাসে দ্রব্য সামগ্রীর দাম অনেক বেশি থাকে আবার সেই একই দ্রব্য সামগ্রী অনেক মানুষ মজুদ করে রমজান মাসে সেটা আরও বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, নিচে নামতে নামতে মানুষের বিবেক বুদ্ধি সবকিছুই এখন রসাতলে।
যাইহোক, দিনশেষে এই খেটে খাওয়া দিনমজুরি মানুষদের নিয়েই আমাদের বাঁচতে হয়, সুতরাং আমাদের উচিত তাদের পাশে থাকা। এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | পেঁয়াজের ঝাঝে মরিচের ঝালে রমজানে আগুন |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে বাজার এখন সিন্ডিকেটে ভরে গেছে। যে মাল কৃষকদের কাছ থেকে কিনলে আমরা অনেক কম দামে পেতে পারি। সেই একই মাল এসব সিন্ডিকেটদের কাছের থেকে আমাদের অনেক বেশি দামে কিনতে হয়। আর এর ফলে চাষিরা তাদের সঠিক পারিশ্রমিক কখনোই পায় না। আসলে এইসব সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
খুবই চমৎকার একটা কথা বলেছেন আপনি ভাইয়া আপনার কথা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে, কৃষকের আসলে কখনোই তার প্রাপ্যটা পায়না কিন্তু সিন্ডিকেট যারা করে তারা সবসময়ই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক উপার্জন করে, বর্তমান সময়ের সিন্ডিকেট আসলেই অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের এত দাম বেশি যে সাধারণ মানুষ চলতে খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। তার মধ্যে যারা রিক্সা চালক দিনমজুর নিম্ন বৃত্তের মানুষগুলোর বেশি কষ্ট হয়। কৃষকদের কাছ থেকে দ্রব্যমূল্য যে টাকা দিয়ে ক্রয় করে তা এর দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে কৃষকরাও তাদের ন্যায্য মূল্যটা পায় না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে বাজারে সিন্ডিকেটে ভরে গেছে যার কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পক্ষান্তরে যারা এই জিনিসগুলো উৎপাদন করছে তারা কখনোই প্রাপ্য দাম পাচ্ছে না এটা সত্যিই হতাশা জনক এবং দুঃখজনক। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা এমন একটা দেশে বাস করছি যে দেশে সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে আগামীকাল থেকে রমজান মাস এ জন্য বাজারে পুরাই আগুন লেগে গেছে। বাজারে প্রতিটা জিনিসেরই দাম ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি এখন। বর্তমান সময় প্রেক্ষাপটে আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রমজান মাস উপলক্ষে আসলেই বাজারে সিন্ডিকেটের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সাধারণ মানুষ দ্রব্য সামগ্রী কিনতে গিয়ে হাপিয়ে উঠছে। এই সিন্ডিকেট শেষ কোথায় সেটা হয়তোবা মানুষ এখন পর্যন্ত জানে না, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান বাজারে যে ঊর্ধ্বগতি তাতে করে দিনমজুর তো দূরের কথা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খেয়েপড়ে বেঁচে থাকাটাই অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।একজন রিকশাওয়ালার জীবন কতটা কষ্টদায়ক যে সারাদিন পরিশ্রম করার পরও একবেলা খাওয়াটাই তাই কাছে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।আমরা কোথায় বসবাস করি ভাবতে গেলেই অবাক লাগে।রমজান মাস সবচেয়ে পবিত্র মাস। অথচ অসাধু ব্যবসায়ীরা এই রমজান মাসকে ঘিরে কতোই না অসৎ পন্থা অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা করে, যা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।বর্তমান পরিস্থিতিকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই বর্তমান সময়ে যারা দিন আনে আর দিন খায় তাদের জন্য চলাচল করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমি মাঝে মাঝে সত্যিই অবাক হয়ে যাই এই মানুষগুলো বেঁচে আছে কিভাবে..!! সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের সোচ্চার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে বাংলাদেশে এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। যেখানে অন্যান্য আরব দেশ গুলো রোজা আসলে ডিসকাউন্ট কে কত বেশি দিতে পারে এই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। আর আমাদের দেশে সব ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা করে।
অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সবসময়ই রাক্ষুসে টাইপের হয়। এরা কখনোই মনুষ্যত্বের পরিচয় দেয় না এদের ব্যবহার দেখলে মনে হয় এরা অমানুষ। যা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।