আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফুটবল ম্যাচ নিয়ে আমার অনুভূতি
আজ--০৭ অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফুটবল ম্যাচ নিয়ে আমার অনুভূতি।
- আজ--০৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ফুটবল খেলা পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে আর সেই ফুটবল খেলরা টা যদি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের মাঝে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যখন খুব ছোট ছিলাম তখন দেখতাম যে যখন আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের খেলা হত তখন অনেক মানুষের মাঝে অনেক উত্তেজনা কাজ করতো আর এই খেলাটা নিয়ে অনেক দিন আগে থেকেই চায়ের দোকানে অনেক কথাবার্তা চলতো। যে, যে দলের সাপোর্ট করে সেই দলকে নিয়ে বরাবরই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে আর অপর পাশের অন্যদলের সাপোর্ট করা মানুষগুলো সেটার
প্রতিবাদ করে সব সময়ই। আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের খেলা হলে যেন বাংলাদেশী সমর্থকের মাঝে এক অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করে যেটা অন্যান্য দেশের সঙ্গে খেলা হলে তেমন একটা দেখা যায় না। যদিও ব্রাজিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর সে দিক থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আর্জেন্টিনা মাত্র তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখার অপেক্ষায় কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেটা হয়তোবা বলে শেষ করা যাবে না।
এইতো আজ বাংলাদেশ সময় সাড়ে ছয়টায় আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের খেলা হওয়ার কথা ছিল। যদিও খেলাটা ব্রাজিলের দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে আর্জেন্টিনা অনেক ভালো একটা পারফরম্যান্স করছে সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে ব্রাজিলের তেমন একটা পারফরম্যান্স দেখা যাচ্ছে না মূলত ব্রাজিলের খেলার অবস্থার মান এখন খুবই বেহাল দশা। যেহেতু ব্রাজিল স্বাগতিক দেশ আর আর্জেন্টিনার সেখানে খেলতে গিয়েছে এবং অনেক দর্শক আছে যারা ব্রাজিলে গিয়ে এই জাঁকজমকপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করবে এটা ভেবেই তারা ব্রাজিলের উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিল যে ব্যবহারটা করল সেটা কোন দেশের কাছ থেকে কখনোই কাম্য নয়। এখানে আমি কোন দেশকে ছোট করে কথা বলছি না, কোন দেশের বিরুদ্ধে বলছি না শুধুমাত্র তাদের মানসিকতার পরিচয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ফুটবল খেলবে প্লেয়ারগন। ফুটবল খেলতে গেলে ধাক্কাধাক্কি ফাউল খেলা এ সকল হবে এটাই স্বাভাবিক। ফুটবল খেলতে গিয়ে কেউ কখনো সেভ করে খেলতে পারেনা। খেলোয়ারদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি এটা খুবই কমন ব্যাপার কিন্তু এই প্রথমবার দেখলাম যে দর্শকের মাঝে এরকম মারামারি। যারা খেলা দেখতে গিয়েছে ব্রাজিলের দর্শক এবং পুলিশ তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়েছে। যদিও অনেক সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করলে দেখলাম যে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় ব্রাজিলের দর্শকেরা নাকি ব্যঙ্গ করছিল এটা নিয়েই তাদের মাঝে মারামারি হয়েছে।
একটা দেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে আপনি কতটুকু অপরাধ বলে মনে করেন..?? আমি মনে করি এটা অনেক বড় ধরনের একটা অপরাধ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের কাছ থেকে এরকমটা কখনো কোন দল আশা করেনি, এমনকি এরকম কোন ঘটনা যে ঘটতে পারে এই প্রথমবার দেখলাম যেটা দেখে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।
যদিও প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম যে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল যেহেতু পাশাপাশি একটা দেশ তাই তাদের মাঝে হয়তো বা ভাতৃত্বের বন্ধন টা অনেক বেশি। কিন্তু আজকের ফুটবল ম্যাচ দেখার পরে বুঝলাম যে তাদের মাঝে ভাতৃত্বের বন্ধন থাকলেও একে অপরের প্রতি যে ভালোবাসাটা সেটা আর নেই। একজন আর্জেন্টাইন দর্শকের দেখলাম যে মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত পড়ছে। আর এটা করেছে কোন এক ব্রাজিলিয়ান পুলিশ। এ ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। যদি লিওনেল মেসি যেহেতু আর্জেন্টাইন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন সে সকলকে নিয়ে যখন মাঠ থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখন ভেবেছিলাম যে হয়তোবা খেলা হবে না।পরবর্তীতে অবশ্য আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফুটবল ম্যাচটা শুরু হয়েছিল কিন্তু খেলার মাঠের মধ্যে এমন খেলা শুরু হয়ে গেল মনে হচ্ছিল এটা কোন ফুটবল খেলা নয়। এটা এক রেসলিং মাঠ। যে রেসলিং মাঠে যখন যাকে ইচ্ছা লাথি দিয়ে, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া।
আমি এটা বলছি না যে ব্রাজিলের প্লেয়ার অনেক বেশি ফাউল খেলেছে। তবে দু দলের মাঝে যদি পার্থক্য করা যায় সেটা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ব্রাজিলিয়ান প্লেয়াররা অনেক বেশি ফাউল খেলেছে। পুরো ম্যাচ মিলে যেখানে ৪২ টা ফাউল হয়েছে তার মধ্যে ব্রাজিলিয়ান প্লেয়ার ফাউল করেছে ২৬ টা আর অপরদিকে আর্জেন্টিনা করেছে ১৬ টা। তো তাহলে এখন আপনারাই বলুন এটা কি কোন ফুটবল ম্যাচ ছিল..?? ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে এটা কোন ফুটবল ম্যাচ ছিল না এটা ছিল একটা রেসলিং খেলার মাঠ।
যদিও প্রথমার্ধে তেমন কোন গোলের দেখা পায়নি কোন দল, দ্বিতীয় আর্ধে গিয়ে দু দল চেষ্টা করেছে জালে বল ঢুকানোর কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে দ্বিতীয় আর্ধের প্রায় ২০ মিনিট হয়ে যাবার পরেও কেউ জালে বল ঢুকাতে পারেনি। অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার পরে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার অটোমেন্ডি কর্নার কিক থেকে হেড দিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের জালে বল ঢুকিয়ে দেয়। এরই মাঝে খেলা শূন্য এক ব্যবধান চলে আসে।
এরপরে ব্রাজিল ফুটবল দল অনেক চেষ্টা করেছে গোল দেওয়ার কিন্তু অনেক রকম চেষ্টা করেও তারা গোল দিতে পারেনি কারণ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার এখন বরাবরি অনেক বেশি শক্তিশালী। যদিও খেলা শেষের দিকে গিয়ে ব্রাজিলিয়ান এক প্লেয়ার লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়ে উঠে চলে যায় তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ব্রাজিলিয়ান প্লেয়াররা কতটা ফাউল খেলেছে। শেষমেষ খেলাটা শেষ হয়েছে বটে তবে অনেক অপ্রীতিকর অবস্থা ঘটে গিয়েছিল খেলার মাঝে। ফুটবল বরাবরই সৌন্দর্যমন্ডিত একটা খেলা আর এই খেলা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসে কিন্তু যখন এই খেলার মাঝে এরকম মারামারি শুরু হয় তখন আর এই খেলাটাকে দেখতে মন চায় না।
যাইহোক পয়েন্ট টেবিলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আর্জেন্টিনা এখনো ১ নম্বর অবস্থান দখল করে রেখেছে সেদিকে ব্রাজিল ৬ নাম্বারে অবস্থান করছে। শেষমেষ আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের সঙ্গে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এটাই একজন আর্জেন্টাইন সমর্থক হিসেবে অনেক বড় একটা পাওয়া।
এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই অনুভূতির গল্পটা আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | স্পোর্টস রাইটিং |
---|---|
বিষয় | আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফুটবল ম্যাচ নিয়ে আমার অনুভূতি |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ব্রাজিলের দর্শক ও প্রশাসন যে ব্যবহারটা করেছে আসলে এটা ঠিক না। একজন ফুটবল প্রেমী হিসাবে এটা কোন সময় গ্রহণযোগ্য হয় না আমার কাছে। যদিও মেসি বাহিনী প্রথমে খেলা খেলবে না বলে ড্রেসিং রুমে চলে গিয়েছিল। পরবর্তীতে মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং অটামেন্ডির গোলে আর্জেন্টিনা জয়লাভ করে। ব্রাজিলের প্লেয়াররা অনেক ফাউল করেছে। তিনটা হলুদ কার্ড ও একটা লাল কার্ড পেয়েছে তারা। তারা মাঠে যেভাবে আর্জেন্টিনা প্লেয়ারদের উপর চড়াও হয়েছিল আসলে এটা খেলার মধ্যে পড়ে না। আর্জেন্টিনা দলের জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সঙ্গে এরকম একটা খারাপ ব্যবহার করবে। আসলে তারা যেরকম খেলেছে আর্জেন্টিনা যদি সেরকম খেলত তাহলে সেখানে সত্যিই অনেক বড় ধরনের একটা মারামারি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যাইহোক শেষমেষ আর্জেন্টিনার জয়লাভ করেছে এটাই অনেক বড় কথা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দুই দলের সুন্দর খেলার অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই যে দুই দলকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কে থাকে এমনকি গ্রামে গঞ্জে সাপোর্টারদের মধ্যে মারামারি লক্ষ্যণীয়। যাইহোক সুন্দরভাবে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন দুইদলের খেলার বিষয়ে খুশি হলাম।
সেদিন হয়তো বা সকলে একটু বেশি আতঙ্কে ছিল । কারণ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করেছে সেই সাথে ব্রাজিলের পুলিশ আর্জেন্টাইন সাপোর্টারদের উপর চড়াও হয়েছিল। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই খেলাটি আজকে সকালবেলায় বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছিলাম। খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কিন্তু দর্শকের মারামারির কারণে সেই খেলা শুরু হয় আধাঘন্টা পরে। লিওনেল মেসি সহ আর্জেন্টিনা দলের অনেকেই স্টেডিয়ামের মধ্যে প্রবেশ করে দর্শককে শান্ত করার চেষ্টা করে। অবশেষে কর্নার থেকে একমাত্র গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা দল এক শূন্য গোলে জয়লাভ করেছিল। ব্রাজিল দলের একজন খেলোয়াড় দিপালকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে। সব মিলিয়ে খেলাটি দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
যেহেতু আপনি খেলাটা দেখেছেন সেহেতু আর আপনার কাছে নতুন করে কি বলবো ভাই। খেলাটা বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম কিন্তু ব্রাজিলিয়ান পুলিশদের এরকম ব্যবহার মোটেও কাম্য নয়। শেষমেষ নিজেদের মাঠে আর্জেন্টিনা যে তাদের গোল দিয়েছে এটাই সবথেকে বড় প্রতিশোধ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যে কোন খেলাধুলা ভদ্রতার একটা সোপান। আমার লাইফে যত খেলা দেখেছি এমন ঘটনা আমি কোথাও দেখি নাই। ব্রাজিলের মতো একটা বড় দলের কাছে এমন কিছু আশা করা যায় না। আর আজকে যে খেলা হয়েছে এটা কি খেলা বলে না। মনে হয়েছে মাঠের মধ্যে হাডুডু খেলছে। তবে বিশ্ববাসীর কাছে এই ম্যাচটা অমর হয়ে রবে।
খেলাধুলা বরাবরই সৌন্দর্যের প্রতীক খেলাধুলা করতে গেলে প্লেয়ারদের মধ্যে একটু মারামারি ধাক্কাধাক্কি হবে এটাই স্বাভাবিক। এর মানে এই নয় যে পুলিশকে দিয়ে দর্শকদের মারাবে এ ব্যাপারটা সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলেই বিশ্ববাসী এই খেলা মনে রাখবে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিগত সময়গুলোতে আর্জেন্টিনার ফুটবল দল খুবই ভালো ফুটবল খেলা আমাদেরকে উপহার দিচ্ছে আর এজন্যই তো তারা বর্তমানে নাম্বার ওয়ান পজিশনে রয়েছে। যাইহোক আজকে সকালে যে খেলাটা হয়েছে সেখানে খেলা থেকে মারামারির পরিমাণ টাই বেশি হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়।
সেদিনের আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের খেলার মধ্যে সত্যিই মারামারির পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল। মনে মনে ভাবছিলাম যে এই খেলা কখন শেষ হবে কারণ কখন কার কি হয়ে যায় বলা যাচ্ছিল না। কিন্তু এরকম খেলা বিশ্ববাসী কখনো আশা করে না ফুটবলারদের থেকে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের ম্যাচ লাইভ দেখতে গিয়ে আমি তো বেশ হতাশ। দুই দলের সমর্থক আর পুলিশের ভেতর বেশ সংঘর্ষ চলছে। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় বা সমর্থকদের কোনরকম সিকিউরিটি আমার চোখে পরলো না। গ্যালারির পরিবেশটা ছিল রক্তাক্ত। আজকের খেলাটি হবে এটা আসলে কল্পনাতেও ভাবেনি কিন্তু পরে খেলাটি হওয়ায় আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে এক শূন্য গোলে হারিয়েছে। যেহেতু আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি এবং লিওনেল মেসির ভক্ত তাই এই খেলাটি আমি বেশ সুন্দর উপভোগ করেছি।
সত্যি বলতে আমিও খেলাটা উপভোগ করেছি তবে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে অনেক বেশি ব্যথিত হয়েছি। কেন ব্যথিত হয়েছে সেটা আর কারো অজানা নয় এরকম একটা ফুটবল ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানদের থেকে এরকম ব্যবহার কখনোই আশা করিনি। শেষমেষ তাদের মাঠে তাদেরকে এক গোল দিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে এটাই অনেক বড় কথা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।