"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৪৩//নাটক রিভিউ
আজ - ২৩ আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৪৩)
- আজ ২৩শ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪৫সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ২৯ শ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৪৩ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৩ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের মেজো ছেলে একটা মোটরসাইকেল কিনতে চাই কিন্তু বাসার সাহেব তাকে মোটরসাইকেল কোনোভাবেই কিনে দেবে না। মূলত তার সন্তানেরা যে কাজ করতে চায় না কেন বাসার সাহেব সেটা কোনভাবেই তাদেরকে করতে দিতে চায় না। বাসর সাহেব তো তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেবেই না এবং তাকে অনেক রকম কথা বলে যথারীতি অপমান করে তার রুম থেকে বের করে দেয়। আসলে বাসার সাহেবের মত বাবা আমি এর আগে কখনোই দেখিনি যে কিনা সন্তানের জন্য কোন কিছু করে না। সে মূলত একটু বেশি হিসাব নিকাশ করে যার কারণে সে টাকা কোনরকম ভাবেই খরচ করতে চায় না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী হঠাৎ করেই বুঝতে পারে যে তাদের বাসায় নতুন কেউ একজন এসেছে। এবং সে খুঁজতে খুঁজতে দেখতে পায় যে তার বোন তাদের বাসায় এসেছে এবং তার বোন অনেক বেশি রাগান্বিত। রাগান্বিত হওয়ারই কথা কারণ বাসর সাহেব যে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এটা তার বোনকে কেউ জানায়নি কোথা থেকে জেনে সে যথারীতি তাড়াহুড়ো করে তার বাবার বাড়িতে এসে চঞ্চল চৌধুরীর কাছে রাগ করার পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ করে।
সত্যি বলতে দুঃখ প্রকাশ করারই কথা কারণ এরকম একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে অথচ তার মেয়েকে জানানো হয়নি, এরকম পরিস্থিতিতে সকলেই দুঃখ পাবে এটাই স্বাভাবিক।
এর পরের অংশ লক্ষ করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বোনের জামাই তাদের বাসায় না গিয়ে বাসার বাহিরে একটা জায়গায় বসে আছে আর সেখানে গিয়ে আরফান অনেক রকম ভাবেই তার দুলাভাইকে তাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার দুলাভাই কোনভাবেই তাদের বাসায় যেতে চাচ্ছে না মূলত তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে বাসার সাহেবের অনেক আগে থেকেই ঝামেলা। আসলে এই বাসার সাহেব লোকটা দেখছি খুব একটা সুবিধার নয় সে বরাবরই সকলের সঙ্গেই কোন না কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি অথবা দ্বন্দ্ব করে থাকে যার কারণে কেউ তাকে তেমন একটা বেশি পছন্দ করে না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব এবং তার বোন একটা জায়গায় বসে রয়েছে এবং তার বোন অনেক বেশি রাগান্বিত। তার বোনের রাগান্বিত হওয়ার পেছনে একটাই কারণ যে তার বাবা বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে অথচ কেউ তাকে এ ব্যাপারে কোন কিছু জানায়নি। যার কারণে সে বরাবরই চঞ্চল চৌধুরীর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে আছে।
এদিকে বাসার সাহেবের মেয়ে বরাবরি অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে আছে এবং সে বাড়িতে অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করছে কিন্তু বাসার সাহেব এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমি তার সামনে আসছে না। এরকমভাবে কিছুটা সময় যাওয়ার পরে সেখানে বাসার সাহেবের বোন চলে আসে মূলত বাসার সাহেবের বোন বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল তার ছোট বউয়ের অত্যাচারে। এরপরে বাসার সাহেবের বোন বসার সাহেবের মেয়েকে দেখে কিছুটা শক্তি খুঁজে পায় এবং তাকে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে আর এটা শোনার পরে বাসার সাহেবের মেয়ে আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে বাসার সাহেবের মেয়ের জামাই এবং আরফান বসে বসে গল্প করছে আর সেখানে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে এসে উপস্থিত হয়। আসলে তারা দুজন মিলে চেষ্টা করছে বাসার সাহেবের মেয়ের জামাইকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে কোনোভাবেই যাবে না কারণ বাসার সাহেব তার সাথে নাকি কোন একদিন খারাপ ব্যবহার করেছিল। এরপরে তারা অনেক রকম ভাবে তাকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করায়।
আসলে কিছু কিছু অভিমান আছে যে অভিমানগুলো কখনো শেষ হয় না হয়তো বা আমরা মানুষের সামনে যাই ঠিকই কিন্তু মনের মধ্যে সেই অভিমানটা থেকেই যায়। নাটকের এ পর্যায়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ের জামাই মনের মধ্যে অভিমানটা রেখেই আবারও তার শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে।
এদিকে বাসার সাহেবের বোন বরাবরই তার মেয়ের কাছে অনেক রকম ভাবেই অনেক কথা বলছে কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী কোনভাবেই তার ছোট মায়ের উপর কোনরকম দোষারোপ করতে চাচ্ছে না। আর এটা দেখেই চঞ্চল চৌধুরী এবং তার বোন দুজন একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করছে। এরকম ভাবেই কিছুটা সময় চলছিল তারপর হঠাৎ করে চঞ্চল চৌধুরীর মেয়ের জামাই এসে সেখানে উপস্থিত হয় আর তাকে দেখে চঞ্চল চৌধুরী তার বাবা যে তার জামাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সে কথা বলে। একথা শুনে সে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়।
এরপরে আরফান চঞ্চল চৌধুরীকে অনেক রকম ভাবেই কথা শুনে এবং তাকে বলে তার দুলাভাইয়ের কাছে যেভাবেই হোক ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং এই দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে যে এখানে বড়দের অনেকটাই সম্মানের চোখে দেখা হয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী তাকে সম্মান করেছে এবং সেও চঞ্চল চৌধুরীকে ছোট ভাই হিসেবে অনেকটাই আদর করেছে এ ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৩ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এবং সকলেই ধৈর্য ধরে নাটকটা রিভিউ করবেন বলে আশা রাখি। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৪৩ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নাটকের এই রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটকটির মধ্যে বেশ শিক্ষনীয় একটা বিষয় রয়েছে। চঞ্চলের বোনের আক্রোশ দেখে তো আমি হতভাগ হয়ে গেছি। হ্যাঁ এই ব্যাপারটি আগের মানুষের মধ্যে ছিল সংসারে অন্যের মেয়েরা এসে যদি সংসার নষ্ট করে ফেলে। তবে তাদের সে বিষয়টা কিন্তু ভুল না, তার প্রমাণ এখন অহরহ আমরা দেখতে পারছি। তবে সবার ক্ষেত্রে এমন প্রযোজ্য নয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এই নাটকের পর্বগুলো আপনি শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে রিভিউর মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন। যদিও একেবারে প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়নি, তবে মাঝে মাঝে এক দুইটা করে পড়া হয়েছে। রিভিউর মাধ্যমে নাটকের এই পর্বের কাহিনীটা জানতে পেরে ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে অসম্ভব দারুন ছিল পুরোটা।
পিতা বনাম পুত্র গং এই নাটকের ৪৩ তম পর্বের রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এ নাটকের বেশ কয়েক পর্ব আমি পড়েছি। আমার কাছে বরাবরই নাটকের রিভিউ পড়তে অনেক ভালো লাগে। আর আপনার এই নাটকটার এই পর্বের পুরো কাহিনীটা বেশ ভালোভাবে পড়লাম রিভিউর মাধ্যমে। এর পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।