"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৪৫//নাটক রিভিউ
আজ - ১৫ কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৪৫)
- আজ ১৫ই কার্তিক, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- মঙ্গলবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০৭ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৪৫ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৫ পর্বের রিভিউ এর প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের বড় দুই ছেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন মূলত বাসার সাহেবের বড় দুই ছেলে শাহনাজ খুশির ননদের অনেক বেশি পছন্দ করে এটা আমরা সকলেই আগে থেকেই জানেন। যেহেতু দুজন একজন মানুষকে পছন্দ করে যার কারণে তাদের দুজনের মধ্যেই তেমন একটা বনিবনা হচ্ছে না এবং কে বিয়ে করবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তেমন একটা সিদ্ধান্ত কেউ নেয়নি। কিন্তু বাসার সাহেবের মেজো ছেলে তাকে বিয়ে করার জন্য উৎফুল্ল হয়ে গিয়েছে এবং সে তাকে বিয়ে করতে চায় শুধুমাত্র তার বড় ভাইয়ের কারণে তাকে বিয়ে করতে পারছে না কারণ তার বড় ভাইও তাকে বিয়ে করতে চায় এ ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি হাস্যকর লেগেছে। বাসার সাহেবের মেজ ছেলে তার বড় ছেলের কাছে গিয়ে বলে সে যেন তাকে বিয়ে না করে এবং তার সাথে বিয়ে করায় সে যেন তাকে সাহায্য করে কিন্তু তার বড় ভাই সেটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না এবং শেষ পর্যায়ে গিয়ে সে তার পা চেপে ধরে শাহনাজ খুশির ননদকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু তার বড় ভাই এটা কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং তার ফুফু একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছে মূলত তার ফুফুর মনে অনেক কষ্ট এটা লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। আর এটা আপনারা সকলেই জানেন যে চঞ্চল চৌধুরী বরাবরই তার ছোট মায়ের সম্মান করছে এবং ভালবাসছে এবং তার ছোট মা তাকেও অনেক বেশি পছন্দ করে। যেহেতু বাসা সাহেবের মেয়ে এবং তার জামাই তাদের বাসায় ঘুরতে আসছে যার কারণে মৌসুমী হামিদ চঞ্চল চৌধুরীর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বাজারে যেতে বলে এবং অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসতে বলে। চঞ্চল চৌধুরী কাকে বলে এত কিছু কেনার কোন দরকার নেই কিন্তু মৌসুমী হামিদ তার ফুফুর সামনে গিয়ে অনেক রকম কথা শোনায় যে কথা শুনে চঞ্চল চৌধুরীর ফুফু সেখান থেকে চলে যায়। এটা থেকেই বোঝা যায় যে মৌসুমী হামিদ অনেক বেশি চালাক এবং চতুর।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে এবং শাহনাজ খুশি একটা সময় রাস্তায় তাদের দেখা হয়। বাসার সাহেবের মেজো ছেলে যে শাহনাজ খুশির ননদকে বিয়ে করার জন্য ব্যাকুল হয়ে গিয়েছে সেটা তার চলন বলন কথার ভাব দেখলেই বোঝা যায়। শাহনাজ খুশির সামনে গিয়ে সে অনেক খুশি এবং এটা দেখে শাহনাজ খুশি রীতিমতো অবাক হয় এবং সে তাকে বলে যে তার ভাই তার ননদকে বিয়ে করবে না এটা বলে দিয়েছে। সে যেন তার ননদের সঙ্গে তার বিয়ের ব্যাপারে তার বাসায় কথা বলে কিন্তু শাহনাজ খুশি তাকে বলে এসব ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা না করে তার ছোট বোন তাদের বাসায় এসে অনেকটা ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে সে ব্যাপারে সে যেন কিছুটা ভাবে।
নাটকের শুরু থেকেই আপনারা জানেন যে বাসার সাহেবের মেজ ছেলে তার বাসায় কি হচ্ছে কিনা হচ্ছে এ ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন। তার বোনের কথা শুনে সে বলে বাসায় যা হওয়ার হোক তাতে আমার কোন কিছু যায় আসে না সে মূলত এখন তার বিয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন এবং সে বিয়ে করতে চায়। শাহনাজ খুশি তাকে কিছুটা সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে আর এই সান্তনার কথা শুনেই সে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। সত্যি বলতে বিয়ে করার জন্য যে মানুষ কতটা ব্যাকুল হয়ে পড়ে সেটা এই অংশটুকু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়।
এরপর রক্তে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে তার বড় ভাইকে খোঁজাখুঁজি করছে। মূলত সে তাকে খোঁজাখুজি করছে কারণ তার বোন তাদের বাসায় এসেছে কিন্তু তার বড় ছেলেও অনেকটা এখন আর মনে হয়ে গিয়েছে তার কোন কিছুতেই হ্যাঁ অথবা না নেই। আসলে বাসায় যখন কোন ঝামেলা হয় তখন আমরা বরাবরই বড় ভাইদের শরণাপন্ন হই আর এই অংশটুকু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে ঠিক তেমনটাই করছে কিন্তু বাসার সাহেবের বড় ছেলে এ ব্যাপারে কোন কথা বলছে না।
এরপরে আমরা সকলেই জানি যে বাসার সাহেবের মেয়ে তাদের বাসায় এসে বাসার সাহেবের ছোট বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছে। মূলত সে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না যে তার বাবা এই বয়সে এসে আর একটা বিয়ে করবে আর এই ব্যাপারটা নিয়েই সে তার ফুফুর সঙ্গে কথা বলছে। বাসর সাহেবের বোন বরাবরই তার ভাইয়ের ছেলেদের ভালো চেয়েছে কিন্তু তাদের ভালো চাইতে গিয়ে সে এখন সকলের কাছে খারাপ হয়ে গিয়েছে এ ব্যাপারটা দেখে আমার অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।
ইতোমধ্যে আপনারা জানেন যে বাসার সাহেবের মেয়ে এবং তার জামাই তাদের বাসায় ঘুরতে এসেছে এবং আরফান তাঁর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছে। ঘুরতে বের হয়ে তার ঘুরতে বের হয়ে তার প্রেমিকাকে যে চঞ্চল চৌধুরী ছিনিয়ে নিয়েছে এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলে এবং অনেকটাই দুঃখ প্রকাশ করে। আর এ ব্যাপারে তার দুলাভাই তাকে বলে কোন সমস্যা নেই আমি তোর সঙ্গে ওর বিয়ে দিয়ে দেব আর এ কথা শুনে আরফান অনেকটাই খুশি হয়। আপনারা সকলেই জানেন যে আরফান অনেক ভালো একজন অভিনেতা তার এই অভিনয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এখানে যে সে তার অভিনয়টা ফুটিয়ে তুলেছে সেটা সত্যিই দেখার মত ছিল।
আরফান তোর দুলাভাইয়ের অনেক প্রশংসা করে আর তার এই প্রশংসা শুনে তার দুলাভাই অনেক বেশি খুশি হয়। এরই মাধ্যমে পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৫ পর্বের রিভিউ শেষ হয়ে গেল। আশা করছি এই পর্বটা আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৪৫ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন । আপনার শেয়ার করা পিতা বনাম পূত্রগং নাটক আমি বেশ কিছু পর্ব দেখেছি কিন্তু এই পর্বটি এখনো আমার দেখা হয়নি। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পর্বগুলো দেখা শেষ করব। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই নাটকটি দেখতে দেখতে ৪৫ পর্বে এসে গেল। যাইহোক প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে এই নাটকের রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগে। যদিও নাটক দেখার সুযোগ তেমন একটা হয় না।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি সচরাচর তেমন একটা নাটক দেখি না কিন্তু এই নাটকটা মাঝে মাঝেই দেখি তাই আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার এই নাটকটির রিভিউ পড়লে যেমন হাসি আসে, তেমনি করে বেশ ভালোও লাগে। বেশ দারুন একটি নাটক। মজার সব অভিনয় শিল্পী এই নাটকে যুক্ত করা হয়েছে। আমার কিন্তু নাটকটি বেশ ভালো লাগে। আবার আপনার রিভিউ কিন্তু বেশ দারুন ছিল।
সত্যিই এই নাটকটা অনেক বেশি হাস্য রসিক সেই সাথে খুবই শিক্ষনীয়। আর অনেক ভালো ভালো অভিনয় শিল্পী এখানে অভিনয় করছে যার কারণে নাটকটা আরো বেশি জমজমাট হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে দেখতে পিতা বনাম পুত্র গং এই নাটকটার ৪৫ তম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। এই নাটকটার কাহিনী বর্তমানের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এটা একেবারে সত্য কথা। সমাজের আশেপাশের মানুষদের দিকে তাকালে এরকম কাহিনী গুলো দেখা যায়। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো ও আপনি ধীরে ধীরে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে এরকম অবস্থা দেখা যায়। মাঝে মাঝে আমার এটাই মনে হয় যে বর্তমান সমাজকে লক্ষ্য করেই এই নাটকটি তৈরি করা হয়েছে যা বাস্তবতার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।