মজাদার ঝাল মুড়ি রেসিপি
আজ--২৪ পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীতকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ঝাল মুড়ি মাখা রেসিপি
- আজ--২৪শপৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ছোট বোন শুধু আমাকে বলছিল যে একদিন ঝালমুড়ি মাখিয়ে আমরা সবাই মিলে একত্রে খাব। কিন্তু বাসায় আসার পর থেকেই খুবই ব্যস্ত সময় পার করছিলাম মোটামুটি ভাবে বোনের সঙ্গে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারছিলাম না সবসময়ই এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করতে করতেই আমার দিন শেষ হয়ে যায় রাত্রিবেলা বাসায় ফিরতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায় যার কারণে ঝাল মুড়ি মাখিয়ে আর খাওয়া হয়নি। আর এই ব্যাপারটা নিয়ে তার অনেক অভিযোগ মূলত তার একটাই অভিযোগ থাকে যে বাসায় এসে তার সঙ্গে কিছু সময় বসে গল্প করি না সবসময়ই ঘোরাঘুরি করাই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম যে ঢাকায় যাওয়ার আগে একদিন তোর সঙ্গে বসে ঝাল মুড়ি খাব।
গতকাল সন্ধ্যেবেলায় একটু ফ্রি ছিলাম বাহিরে খুব একটা যাওয়া হয়নি যার কারণে ভাবলাম যে আজ ঝালমুড়ি খাই। দোকান থেকে চানাচুর কিনে নিয়ে এসেছিলাম আর বাসায় তো মুড়ি ছিলই। অনেকদিন পরে বাসায় প্রস্তুত করে ফেললাম মজাদার ঝাল মুড়ি। আশা করছি এই রেসিপিটি দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কতটা সুস্বাদু ছিল।
- মরিচ
- ধুনের পাতা
- লবণ
- সরিষা
- পেঁয়াজ
- টমেটো
ঝাল মুড়ি খাওয়ার আগে আমি আমার ছোট বোনকে আগেই বলেছিলাম যে ধনিয়া পাতা যদি থাকে তাহলে সেই পাতা দিতে। কারণ ধনিয়া পাতা দিলে খুবই সুস্বাদু লাগবে। সর্বপ্রথম মরিচ পেঁয়াজ ধনিয়া পাতা এবং টমেটো খুবই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পরিষ্কার করে কয়েকবার ধুয়ে নিয়ে সেগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
প্রতিটি উপকরণ ভালোভাবে কেটে নিয়ে এরপরে মরিচ এবং পেঁয়াজ এই দুইটি উপকরণ ভালো হবে একত্রে চটকিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে মরিচ ভালোভাবে চটকিয়ে নিতে হবে যাতে করে পেঁয়াজ এবং মরিচ একত্রে মিশে যায়।
পেঁয়াজ এবং মরিচ এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে চটকিয়ে নেওয়ার পরে তারপরে টমেটো এবং ধনিয়া পাতা এই দুইটি উপকরণ মরিচ এবং পেঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। মূলত এই চারটি উপকরণ ভালোভাবে একে অপরের সাথে চটকিয়ে নিতে হবে যেন একত্রে মিশে যায়।
এরপরে আপনাদের বাসায় যদি খাঁটি সরিষার তেল থাকে তাহলে আপনারা খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করবেন। আমাদের নিজেদের খাঁটি সরিষার তেল ছিল খাঁটি সরিষার তেল আমরা পরিমাপের থেকে একটু বেশি দিয়েছিলাম কারণ ঝালমুড়িতে যদি তেলের পরিমাণটা একটু বেশি হয় তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে, যার কারনে আমি তেলের পরিমাণটা একটু বেশি রেখেছিলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণাদি এবং তেল একত্রে দেওয়ার পরে ভালোভাবে সকল উপকরণের সাথে তেল ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। তেল দেওয়ার পরে আপনারা কয়েক মিনিট ভালোভাবে নাড়াচাড়া করবেন যাতে করে সকল উপকরণের সাথে তেল মিশে যায়। তেলের মিশ্রণ যত ভালো হবে চানাচুর তত বেশি উপকরণের সাথে মিশে যাবে।
ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পরে এবার চানাচুর পরিমাণ দিতে হবে, যেহেতু আমি আর আমার ছোট বোন খাব তাই আমরা চানাচুরের পরিমাণটাও একটু বেশি দেখেছিলাম যাতে করে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
চানাচুর দেওয়ার পরে এবার সকল উপকরণের সাথে চানাচুর ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে আমি চানাচুর দেওয়ার পরে আবার একটু তেল দিয়েছিলাম মূলত তেলের পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। চানাচুরের সঙ্গে সকল উপকরণ খুবই ভালোভাবে মিশে ছিল সেটা এই ছবি দেখলে বোঝাই যাচ্ছে।
আমি ভেবেছিলাম যে দোকান থেকে মুড়ি কিনে নিয়ে আসবো কিন্তু আমার আম্মু আমাকে আগেই বলেছিল যে মুড়ি কিনতে হবে না বাসায় মুড়ি আছে পরিমাণ মতো যতটুকু লাগে ততটুকুই নিতে পারব কিন্তু আমি মুড়ির পরিমাণটা প্রথম অবস্থায় একটু কম রেখেছিলাম। এরপরে আমি সকল উপকরণাদির উপর পরিমাণ মতো মুড়ি নিয়েছিলাম।
পরিমাণ মতো মুড়ি দেওয়ার পরে আমি মুড়ির সঙ্গে সকল উপকরণও দি সহ চানাচুর ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। দেখে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে চানাচুরের পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছিল আর আমি আগেই বলেছি যে মুড়ির পরিমাণ কম রেখেছি যাতে করে খেতে সুস্বাদু লাগে। ঝাল মুড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে মুড়ির পরিমাণটা কম রেখে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে যদি বেশি দেওয়া হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
অনেকদিন পরে মজাদার ঝালমুড়ি মাখা এই রেসিপিটি খেয়ে সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। বাসায় কবে শেষ ঝাল মুড়ি মাখিয়ে খেয়েছি সেটা মনে নেই সবসময়ই বাহির থেকে ঝাল মুড়ি মাখা খাওয়া হয় তবে বাহিরের খাবার এবং বাসায় তৈরি করে সেই খাবারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে দুটো স্বাদ দু রকম। তবে আমার কাছে দু জায়গার ঝালমুড়ি অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
এটাই ছিল আমার আজকের মজাদার ঝাল মুড়ি মাখা রেসিপি। চাইলে আপনারা বাসায় এরকম ভাবে ঝালমুড়ি মাখিয়ে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু লাগবে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে নতুন ভাবে নতুন রূপে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | মজাদার রেসিপি । |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | মজাদার ঝাল মুড়ি রেসিপি |
কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | সংযুক্তি |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই একত্রিত হয়ে এভাবে ঝাল মুড়ি খাওয়ার সময় টা অনেক মিস করি। প্রতিবার বাসায় গেলে এভাবে খাওয়া হয় কিন্তু এবার আর সময় হয়ে ওঠেনি একসাথে মজা করার মত। আপনি ছোট বোনের সাথে ঝাল মুড়ি মাখিয়ে খেয়েছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এবার ঝাল মুড়ি খাওয়া হয়নি তবে খুব শীঘ্রই ঢাকায় পৌঁছাব ঢাকায় পৌঁছায়ে এভাবে ঝাল মুড়ি তৈরি করে সবাই মিলে একত্রে খাব, অনেকদিন খাওয়া হয় না। চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোট বোনের অভিযোগ ও অভিমান কিন্তুু মন্দ নয়।ঝালমুড়ি তো খেতে চেয়েছে মাত্র এক সাথে বসে। আসলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে বন্ধুূদের সাথে ঘোরাঘুরি করে সময় বের করা মুসকিল হয়ে যায়। তবে অবশেষে ঝালমুড়ি বাড়িতে বানিয়ে খেয়েছেন সব উপকরণ কিনে ভালো লাগলো।তৈরি পদ্ধতি দেখে তো আমারই খেতে মন চাচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর ঝালমুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কতশত অভিযোগ মান অভিমান হয় আমার উপর কিন্তু আমিও চাই তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাসায় আসলেই অনেক ব্যস্ত হয়ে উঠি যার কারণে সময় আর কাটানো হয়ে ওঠে না, এরপরও সেদিন দুজন ঝালমুড়ি তৈরি করে খেয়েছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন লোভনীয় ঝাল মুড়ির রেসিপি দেখে তো লোভ সামলানো বড় দায়। কারণ এই শীতে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজা সত্যিই আলাদা এ সময় ঝাল মুড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে, সবাই মিলে একত্রে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা তবে একা একা খেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া এই বিকেলবেলায় আপনার তৈরি ঝালমুড়ি দেখে কিন্তু সত্যিই ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে ।দারুন লোভনীয় দেখাচ্ছে। টমেটো আর চানাচুর দেওয়াতে খেতে ভীষণ ভালো লাগবে দেখে বোঝা যাচ্ছে । সত্যি খিদে পেয়ে গেল ।অনেক ধন্যবাদ মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ঝাল মুড়ি এই রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে সেদিন এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি প্রথমবারের মতো খেয়েছিলাম, রেসিপিটি আপনার কাছে সুস্বাদু লেগেছে জেনে খুশি হলাম, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঝালমুড়ি দেখে অনেকদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল ভাই। যখন আমরা একসাথে বেশ কিছু ছেলে থাকতাম তখন প্রতিদিন আমরা ঝালমুড়ি করে খেতাম। আর এভাবে ঝাল মুড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি বেশ চমৎকার করে ঝালমুড়ি তৈরি করেছেন। খেতে নিশ্চয় ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনারা যখন একত্রে বেশ কিছু ছেলে থাকতেন তখন এরকম ভাবে ঝাল মুড়ি খেতেন। সবাই মিলে একত্রে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা ভীষণ ভালো লাগে ঝাল মুড়ি খেতে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আহ্ ঝাল মুড়ি দেখেই তো অনেক লোভনীয় লাগছে। ভাই এত সুন্দর করে ঝাল মুড়ি তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। তাহলে কবে আমাদের খাওয়াচ্ছেন এই সুন্দর ঝালমুড়ি? অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই ঝাল মুড়ি এই রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল খুব শীঘ্রই এই ঝাল মুড়ি আপনাদেরকে খাওয়ানো হবে, ঝাল মুড়ি খেয়ে যদি ঝাল লেগে যায় তাহলে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই, হাহাহা। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঝাল মুড়ি খুব লোভনীয় খাবার ভাই।আমার অনেক পছন্দের আর আমি মনে করি এটা সবারই খুব পছন্দের।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বোঝাই যাচ্ছে আপনি এই ঝাল মুড়ি রেসিপিটি অনেক বেশি পছন্দ করেন ঝালমুড়ি পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই আছে, আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঝাল মুড়ি আমার একটু বেশিই পছন্দ। বাইরে তো আমরা অনেক খাই। তবে পরিবারের সাথে এভাবে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে ধাপ গুলো দেখিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমরা প্রায় বাহিরে প্রতিনিয়ত ঝালমুড়ি খেয়ে থাকি তবে পরিবারের সঙ্গে এরকম ভাবে ঝালমুড়ি খুব একটা বেশি খাওয়া হয় না, পরিবারের সঙ্গে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেদিন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.