"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১২ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ৩০ পৌষ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১২)
- আজ ৩০শ পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪১ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৭ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১২ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
১১ তম পর্বের শেষের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান এবং নাদিয়া একটি জায়গায় বসে থাকে এবং নাদিয়া অনেক বেশি রাগান্বিত। সে এজন্যই রাগান্বিত যে চঞ্চল চৌধুরী তার সামনে এসে ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে। সে আরফান কে বলে সে যদি আবার আমার সামনে আসে তাহলে আমি সরাসরি আমার আম্মার কাছে না বলে আমার আব্বার কাছে সব কথা বলে দেব। এদিকে আরফান দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছে কারণ সে কি করবে ভেবেই কুল পাচ্ছে না।
১১তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের 12 পর্ব লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে প্রথম দিকে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা দৌড়াদৌড়ি করে কোথায় যেন যাচ্ছে। এরপরে বাসার সাহেব এবং তার বোন সহ আরফান একটি রোগের মধ্যে বসে থাকে, বাসার সাহেবের বোন খুবই কান্না করছে। তার কান্না করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরী এদিকে বিষ পান করেছে। যার কারনে বাসার সাহেবের বোন যাচ্ছে যে সে যেন থানায় গিয়ে নাদিয়ার নামে জিডি করে আসে। কিন্তু আরফান এটা মানতে পারছে না কারণ আরফান নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে। শুধুমাত্র আরফান নয় তার বাবা ও নাদিয়ার নামে জিডি করতে চাচ্ছে না। এরপরে বাসার সাহেব তাকে বলে বিষ খেয়েছে তোর ভাইপো আর আমি ওই মেয়ের নামে কেন কেস করব। তখন বাসার সাহেবের বোন বলে যে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে শুধুমাত্র সেই মেয়েটার জন্য আমার কাছে চিঠি আছে এই বলে সে সেই চিঠিটা বাসার সাহেবের হাতে দেয়।
দ্বিতীয় অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ওই যে, চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা দৌড়ে দৌড়ে কোথায় যেন যাচ্ছিল সে দৌড়ে দৌড়ে মূলত নাদিয়ার কাছেই যাচ্ছিল। নাদিয়ার কাছে গিয়ে এসে পুরো ব্যাপারটা বলে এবং এটাও বলে যে সে মনে হয় বাঁচবে না। একথা শুনে নাদিয়া খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং সে কল্পনায় ফিরে যায়। ওই যে ১১ তম পর্বে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীকে বলেছিল হয় তুই গলায় দড়ি নিয়ে অথবা বিষ খেয়ে মর তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তখন চঞ্চল চৌধুরী বলেছিল আমি বিষ খেয়ে মরে যাব আর তোমার নামে চিঠি লিখে যাব। নাদিয়া সেখানে বসে বসে সেটাই কল্পনা করছিল এবং মনে মনে ভাবছিল সে যদি মারা যায় তাহলে হয়তো বা আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। নাদিয়া অনেক বেশি ভয় পাচ্ছিল যেটা তার চোখ মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব সহ তার বোন এবং ছেলে সেখানেই বসে রয়েছে এবং তার বোন খুবই কান্না করছে চঞ্চল চৌধুরীর জন্য। সে বারবার তার ভাইয়ের কাছে বলছিল যে সে যেন সেই মেয়েটার নামে কেস করে আসে কারণ চিঠি যেহেতু আছে প্রমাণসহ তাকে ধরা যাবে। তখন বাসার সাহেব বলে কি নিয়ে কেস করবো আমি এখানে যা লিখেছে সব বানান ভুল হাহাহা।এমনকি ও যেই মেয়েটার নামে কেস করেছে তার নাম পর্যন্ত ভুল এ কেস টিকবে না হাহাহা।
এই অংশটুকু যখন আমি দেখেছিলাম আমি এতটা বেশি হেসেছিলাম আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। সে এখানে লিখেছে আমার মিতোর জন্য দায়ী রোজানা মূলত এখানে নাদিয়ার নাম (রোজিনা) হাহাহা। ব্যাপারটা সত্যিই অনেক বেশি হাস্যকর ছিল। যখন বাসার সাহেব রাজি হলো না তখন তার বোন তাকে বলে নিজের কিছু বলে তো দৌড়ে দৌড়ে কবিরাজ বাড়িতে চলে যাও আর এখন ছেলের এত বড় একটা বিপদ হয়েছে তবুও তুমি কোন কিছু মাথায় নিচ্ছো না। একথা শুনে বাসার সাহেব সেখান থেকে চলে যায়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং সেই মেয়েটি একই স্থানে বসে আছে এবং চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে তারা কথা বলছে। মূলত তারা দুজনেই অনেক বেশি দুঃখ পেয়েছে সবথেকে বেশি দুঃখ পাচ্ছে এখন নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীর জন্য কারণ তার কারণেই সে বিষ পান করেছে। এরপরে বাসা সাহেবের বোন এবং আরফান রুমের মধ্যে বসে থাকে এবং আরফান তার ফুফুকে জিজ্ঞেস করে বাবা কেন কবিরাজ বাড়িতে যায়। তারপরে তার ফুপু তাকে সমস্ত ঘটনা বলে।
এরপরে তার ফুফু খুবই কান্না করতে থাকে এবং বলে তুই নাকি সেই মেয়েটাকে ভালোবাসিস এবং আমার সামনে এনে তা প্রমাণ করে দিবি কই কোথায় গেল সেই মেয়ে আমার সামনে তো আসলো না। এ কথা শুনে আরফান কোন কথা না বলে তার ফুফুর মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, এজন্যই তাকিয়ে থাকে যে কারণ সে নাদিয়াকে রাজি করাতে পারেনি।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে কান্না করতে করতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে মূলত সে হাসপাতাল থেকেই আসছে এটা বোঝাই যাচ্ছে। এরপরে তার প্রেমিকা রাস্তায় তাকে ডেকে চঞ্চল চৌধুরী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে যে তার কি অবস্থা। তখন সে বলে তার অবস্থা খুব একটা ভালো না এই বলে খুবই কান্না করতে থাকে এবং তাদের মাঝে কিছু কথোপকথন হয়। এরপরে বাসার সাহেবের বড় ছেলে বাসায় আসে এবং তাকে বলে যে আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে আপনাকে ছাড়া হাসপাতালে ডাক্তার কাউকে কিছুই বলছে না। একথা শুনে বাসার সাহেব খুবই ভেঙে পড়ে। এবার মনে হচ্ছে বাসার সাহেব খুবই দুঃখ পেয়েছে ছেলের জন্য।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং আরফান একটু জায়গায় বসে চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলছে। মূলত আরফান এখন পর্যন্ত নাদিয়ার দিকেই কথা বলছে সে তাকে বোঝাচ্ছে যে সে যে চিঠি লিখে গেছে সেটাতে কোন কাজ হবে না কারণ সেখানে সব বানান ভুল। এবং সেটাও বলে যে আমার ফুফু আমার কথা বিশ্বাস করছে না কারণ সে এখনো মনে করছে তোমার সাথে তার প্রেম এ কথা শুনে নাদিয়া অন্যমনস্ক হয়ে যায়।
১২ তম পর্বের শেষ অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা তাদের কাছে এসে কান্না করতে করতে বলে যে চঞ্চল চৌধুরী মারা গিয়েছে। এ কথা শুনে না দিয়া কান্না করে দেয়। সত্যি এ পর্যায়ে এসে আমি অনেক বেশি দুঃখ পেয়েছি নাটকটা দেখে এই প্রথম কষ্ট লেগেছে। চঞ্চল চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শুনে সকলেই অনেক বেশি শোকাহত বিশেষ করে নাদিয়া এবং চঞ্চল চৌধুরীর ফুফু। সকলেই তাকে এসে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
এরই মাঝে পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের ১২ পর্ব শেষ হয়ে গেল। আশা করছি এই নাটকটি রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি আমার আজকের এই নাটকের রিভিউ। সকলের সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১২ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR