উগ্র মেজাজ মানুষের ধ্বংসের কারণ

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আজ--১৯ আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষাকাল|



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব, এখানে আমি উপস্থাপন করবো একজন উগ্র মেজাজের মানুষ কত দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায় কত দ্রুতই তার পতন ঘটে এই ব্যাপারটা নিয়ে নতুন একটা পোস্ট তুলে ধরব। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • উগ্র মেজাজ মানুষের ধ্বংসের কারণ
  • আজ--১৯আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • বুধবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ দুপুর সবাইকে......!!


আমরা মানুষ মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের মন-মানসিকতা সকলের মেজাজ একরকম নয়। এমন অনেক মানুষ আছে যারা অল্প কথার মাধ্যমে মেজাজ অনেক বেশি খিটমিট হয়ে যায় এবং অন্যের উপর অনেক বেশি রাগারাগি করে। এরা মূলত খুবই উগ্র স্বভাবের মানুষ এদের মাথা সব সময় গরম থাকে ভালো কথা হোক বা খারাপ কথা হোক এরা কোন কিছু না বুঝেই মানুষের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে যার কারণে অনেক মানুষ আছে যারা এই মানুষ থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যে মানুষগুলো সবসময়ই ঠান্ডা মস্তিষ্কে সবকিছু চিন্তা করে, এরা কোন কিছু ভাবার আগে বা কোন কিছু করার আগে সব সময়ই ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা অনুধাবন করে এবং সেটা যদি ঠান্ডা মস্তিষ্কে ই সমাধান করা সম্ভব হয় তাহলে সে সেটা ঠান্ডা মস্তিষ্কেই সমাধান করার চেষ্টা করে। আর যদি সেটা কোন রকম ভাবে ঠান্ডা মস্তিষ্কে সমাধান করা সম্ভব না হয় তাহলে হয়তো বা কিছুটা রাগান্বিত হয়ে অথবা কিছুটা বল প্রয়োগের মাধ্যমে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করে এই মানুষগুলোর ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণই ওপর পাশের মানুষটার থেকে একদম ভিন্ন। আমি মনে করি বর্তমান সময়ে এই দুই রকমের মানুষ সমাজে বসবাস করছে তবে সবথেকে সুখে শান্তিতে সেই মানুষগুলোই বসবাস করতে যাদের মস্তিষ্ক সবসময় শীতল এবং ঠান্ডা।

এই কথাগুলো আমি আপনাদের মাঝে কেন বললাম এখন পুরো ব্যাপারটা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমি যেই ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে কর্মরত আছি এখানে আমি যখন প্রথম এসেছিলাম তখন থেকেই একটা ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল সে মূলত মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হেল্পার হিসেবে কর্মরত ছিল। এর সাথে যখন আমার পরিচয় হয়েছিল তখন মোটামুটি সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল তবে অনেকেই বলতো এই ছেলেটা নাকি অনেক বেশি রাগী সকলের সঙ্গে রাগ দেখায় এটা ওটা কিন্তু আমি এর সঙ্গে যতদিন মিশেছি বা কোন কাজের ব্যাপারে যখন তাকে আমি বলেছি সে আমার সঙ্গে কখনো বা কোনদিন খারাপ আচরণ বা করেনি বরঞ্চ সবসময় আমার সঙ্গে খুবই সুন্দর এবং ভদ্রভাবেই আচরণ করতো তবে মাঝে মাঝে শুনতাম অনেকের সঙ্গেই নাকি তরকা তোর কি কথা কাটাকাটি এসব হত তবে আমার সঙ্গে সে কখনোই খারাপ ব্যবহার করেনি। খারাপ ব্যবহার করার আসলে আমি তাকে কোন সুযোগ দেইনি কারণ আমি তার সঙ্গে কখনো বল প্রয়োগ বা কথার মাধ্যমে তাকে কষ্ট দেওয়া এরকম কখনোই করেনি।

যেহেতু আমি আগে থেকেই শুনেছি সেই একটু অন্য স্বভাবের যার কারণে আমি সব সময় তার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করার চেষ্টা করেছি।এখানে শুধুমাত্র উগ্র স্বভাবের মানুষকে দায়ী করলেই সেটা সমাধান হবে না অপর পাশের মানুষটাকেও তার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করা উচিত বলে আমি মনে করি। আপনি যখন কোন উগ্র স্বভাবের মানুষের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন তখন দেখবেন অপর পাশের সেই মানুষটাও আপনার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে কিন্তু আপনি উগ্র স্বভাবের মানুষের সঙ্গে যদি উগ্র আচরণ করেন তাহলে তার উগ্র স্বভাবটা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে হলে আপনাদের দুজনের মাঝে মনোমালিন্য হতেই পারে। যার কারণে আমি কিছুটা বন্ধুসুলভ ভাবেই তার সঙ্গে আচরণ করতাম এতে করে আমাদের দুজনের ভেতরের বন্ধনটা বেশ ভালই ছিল। দুজন মিলে অনেক হাসিঠাট্টা সুখ-দুঃখের গল্প অনেক কিছুই শেয়ার করেছি বেশ ভালই লেগেছিল ছেলেটাকে আমার।

ai-generated-7751852_1280.webp

source

কিন্তু বিপত্তি ঘটে কিছুদিন আগে। ঈদের ছুটিতে ছেলেটা ফ্যাক্টরিতে ডিউটিরত অবস্থায় ছিল আমি ছুটিতে বাসায় গিয়েছিলাম আসার পর থেকে তার সঙ্গে মাত্র দু'দিন দেখা হয়েছিল। পরবর্তীতে জানতে পারি তার বাসায় নাকি কোন একটা সমস্যা হয়েছে যার কারণে তাকে বাসায় যেতে হবে। আমি তাকে ছুটির ফর্ম নিয়ে সেটা লিখে স্যারদের থেকে সিগনেচার নিয়ে পুরো ব্যাপারটা আমি কমপ্লিট করে দিয়েছিলাম। যেহেতু সে লেখাপড়া জানে না যার কারণে কাউকে না কাউকে এই দায়িত্বটা পালন করতেই হয় যেহেতু আমি এখানে নতুন এখন সবাই আমার কাছেই আসে কোন কিছু লেখা লেখির ব্যাপারে। এরপরে তাকে বিদায় দিয়ে বেশ কয়েকদিন ভালোই চলছিল হঠাৎ আজ সকালবেলা ফ্যাক্টরিতে যে অফিস শুনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই এক ভাই এসে বলল মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে তুমি কি শুনেছো নাকি। রীতিমতো অবাক হয়ে জানতে চাইলাম কি হয়েছে..?? পরে ভাই আমাকে জানালো যে দেলোয়ার নামের সেই ছেলেটা বাসায় গিয়ে মারামারি করেছে অপর পক্ষের সাথে এবং একটা বন্দুক নিয়ে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এরপর আমি সেই ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি এটা জানলেন কিভাবে পরবর্তীতে ভাই আমাকে একটা নিউজ দেখালো।

নিউজটা দেখার পরে রীতিমত অবাক হয়েছি। সত্যি বলতে নিজের কাছে অনেকটাই খারাপ লেগেছে কারণ তাকে এরকম একটা বিপত্তিকর অবস্থায় আমি কখনোই দেখতে চাইনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এটা আমাকে বলতেই হচ্ছে যে আমাদের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অনেকেই তার এই ব্যাপারটার জন্য অনেক বেশি খুশি হয়েছে অনেকেই বাহবা দিচ্ছে। অনেকের মুখে দেখলাম এক পৈশাচিক হাসি হয়তোবা তাদের সঙ্গে তার বড় ধরনের কোন কথা কাটাকাটি হয়েছিল অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের এরকম পৈশাচিক হাসি হাসছে। কিন্তু এটা কি আসলে কখনো ঠিক একটা মানুষের সঙ্গে যতই শত্রুতা থাকুক যখন সে বিপদে আছে বা দুঃসময় যাচ্ছে আমাদের উচিত তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে না পারি আপাতত মুখে কিছুটা হলেও দুঃখ প্রকাশ করা কিন্তু এখানে তেমন কাউকে এই দুঃখ প্রকাশ করতে শুনলাম না সকলেই তার উপরে অনেক বেশি ক্ষিপ্ত। পরবর্তীতে আবার এটাও বলে নিজেকে সান্তনা দিয়েছি সে হয়তো বা আসলেই একটু খারাপ স্বভাবের লোক ছিল যার কারণেই কেউ তাকে পছন্দ করে না শেষমেষ সে এখন পর্যন্ত পুলিশের হাতেই বন্দি জানিনা তার ভবিষ্যৎ কি হবে।

man-2037255_1280.jpg

source

মানুষের মধ্যে রাগ দুঃখ আবেগ ভালোবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা মানুষের মধ্যে এতটা রাগ থাকা কখনোই উচিত নয় যতটা রাগ থাকলে পুরো একটা ফ্যাক্টরির মানুষ তাকে ঘৃণা করে। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কখনোই করা উচিত নয় তবে সব সময় তো আর মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা মানুষের সঙ্গে আমরা চলাফেরা করতে গেলে হয়তো বা খারাপ আচরণ করে ফেলে কিন্তু সেটা ক্ষনিকের জন্যই হওয়া উচিত ওই ব্যাপারটা নিয়ে পরবর্তীতে আর কখনো মাথা না ঘামানো উচিত। এতে করে আপনি যেমন ভাল থাকবেন অপর পাশের মানুষগুলো আপনাকে ভালবাসবে সুতরাং সময় থাকতে আমাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত। এই যে ছেলেটা আজ পুলিশের হাতে বন্দি অস্ত্রসহ আমি যতদূর পর্যন্ত জানি সে বিবাহিত এর স্ত্রী সন্তান পরিবার এদের দায়িত্ব এখন কে নেবে। হয়তোবা সে তাদের কথা কখনো চিন্তা করেনি যার কারণেই আজকে তার এই বেহাল দশা।

সব সময় নিজের কথা চিন্তা করলে তো আর হয় না। নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে মানুষ আর নিজের কথা খুব একটা বেশি চিন্তা করে না নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে মানুষ পরিবার এর কথা চিন্তা করেই বেঁচে থাকে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এই ছেলেটা কখনোই তার পরিবারের কথা ভাবেনি সে সবসময় নিজের মনের মধ্যে রাগ জমিয়ে রেখেছে আর যার কারণে সে আজ এতটা উগ্র হয়তোবা ফ্যামিলির কারণে হোক বা বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে হোক যেভাবেই হোক কোন একটা মারামারি বা গ্যাঞ্জাম এর সঙ্গে সে যুক্ত ছিল আর সেখানে গিয়েই সে ফেঁসে গিয়েছে। এতে করে তার নিজের থেকে তার ফ্যামিলির ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই সংক্ষিপ্ত পোস্ট আপনাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে,এবং এখান থেকে আপনারা এটাই শিক্ষা নিতে পারেন যে বেশি উগ্র হওয়া কখনোই উচিত নয়। উগ্র স্বভাবের মানুষ খুব দ্রুতই ধ্বংস হয়ে যায়। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়উগ্র মেজাজ মানুষের ধ্বংসের কারণ
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG-20231204-WA0004-02.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last month 

আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি ছেলেটার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। সত্যি বলেছেন ভাইয়া উগ্র মেজাজের মানুষ কখনো ভালো হওয়া সম্ভব নয়। আর আমাদের সমাজ তাকে কখনো ভালো থাকতে দেবে না।এই উগ্র মেজাজের জন্য আসলে তার কোন দোষ নেই এটা অনেক সময় পরিস্থিতির জন্য হয়ে থাকে। তবে আমাদের সবার উচিত কারো বিপদে কখনো উপহাস করা উচিত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।

 last month 

রাগ কখনোই আমাদের জীবনে ভালো কিছু বয়ে আনে না। রাগ সব সময় ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর আপনি এত সুন্দর করে নিজের অনুভূতি থেকে কথাগুলো লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো। অসাধারণ ছিল আপনার লেখাগুলো।

 last month (edited)

আসলে কিছু মানুষের স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্যই থাকে তাড়াতাড়ি চটে যাওয়া, তারপর রাগের সূত্রপাত আর ব্যবহার অসংযত হয়ে যাওয়া। এটি মূলত ঘটে যখন কোন পরিস্থিতি বোঝার পরিবর্তে বেসামাল হয়ে যায় কেউ।
রাগকে যেকোন মূল্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, যদি রাখা যায় তাহলে উপকার সাধন হয়, আর না হলে তা কমবেশি ক্ষতির কারণ হয়।

আপনার বন্ধু বা সহকর্মী নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেনি, বরং সে রাগ তার বিপর্যয় নিয়ে এসেছে, শেষমেশ যা তার নিজেরই ক্ষতির কারণ হয়েছে। পুরো ফ্যাক্টরির সহকর্মীদের বিরাগভাজন হতে হয়েছে, নুন্যতম সহানুভূতি ও সাপোর্ট হারিয়েছে - যা মোটেই সুখকর ছিল না।
যা হোক, এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে প্রায় সবারই জন্য৷ ধন্যবাদ, এমন বাস্তবসিদ্ধ বিষয় সামনে নিয়ে আনার জন্য। আপনার সহকর্মীটির মঙ্গল কামনা করি।

 last month 

কথাটা একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের আশেপাশের মানুষ আমাদের মন মেজাজের উপর প্রত‍্যক্ষ পরোক্ষভাবে অনেক প্রভাব ফেলে। এবং তার উপর নির্ভর করে আমাদের আচরণ টা কেমন হবে। এখানে একজনের দোষ দিলে হবে না। আবার উগ্র মেজাজের মানুষ গুলোরও উচিত নিজেকে একটু শান্ত রাখা।

 last month 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া উগ্র মেজাজ মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর যাদের উগ্র মেজাজ তাদের সবদিক থেকেই একটা রিক্স থেকে যায়। যেমন উগ্র মেজাজের কারণে তারা অনেক সময় অনেক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে পেলে। আসলে আমি মনে করি মেজাজ থাকা ভালো। তবে সঠিক সময়ে তার পর্যালোচনা না করতে পারাটাই ক্ষতিকর। আর যেটা মেক্সিমাম লোকই পারেনা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 56095.11
ETH 2533.38
USDT 1.00
SBD 2.23