"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১৫ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ২১ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১৫)
- আজ ২১শ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ২২ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১৫ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
১৪ তম পর্বের শেষ অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সকলেই চঞ্চল চৌধুরীর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত। তার উপর অনেক বেশি রাগান্বিত কারণ সে সকলকে এটা বিশ্বাস করিয়েছে যে সে বিষ পান করেছে আদেও সে বিষ পান করেনি সকলকে ভয় দেখিয়েছে। যার কারনে তার পরিবারের সকলের সহ গ্রামবাসী তার উপর অনেক বেশি রাগান্বিত। আসলে রাগান্বিত হওয়ারই কথা এরকম কাজ মোটেও করা উচিত নয় এতে করে সকলেই অনেক বেশি চিন্তায় ভেঙে পড়ে।
১৪তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
১৫ তম পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর প্রত্যেকটা ভাই রুমের মধ্যে বসে রয়েছে এবং চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলছে। মূলত তাদের কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ছিল যে চঞ্চল চৌধুরী বিষপান না করে সবাইকে টেনসনে ফেলে দিয়েছিল এবং সবাই তাকে অনেক বেশি রাগ করছে বিশেষ করে আরফান। কারণ এদিকে আরফান নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং পছন্দ করে আর চঞ্চল চৌধুরী তার নামে চিঠি লিখে গিয়েছিল যে তার মৃত্যুর জন্য সে দায়ী।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, চঞ্চল চৌধুরীর ফুফু তাকে রাতের অন্ধকারে তার রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে খাবার খাওয়াচ্ছে মূলত চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি চিন্তিত কারণ সে এটা কোনমতেই চাচ্ছে না যে তার পরিবারের কেউ জেনে যাবে যে সে এখানে আছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসর সাহেব তার রুমের মধ্যে বসে রয়েছে এবং মনে মনে কি যেন ভাবছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে অনেক বেশি চিন্তিত ভাবনার এক পর্যায়ে তার মৃত স্ত্রী তার সামনে এসে হাজির হয় এবং তার মৃত স্ত্রীকে দেখে সে অনেক বেশি ভয় পায়। তার মৃত স্ত্রী তার সামনে এসে বলে তুমি আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছ এ নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয়। তারপরে যখন তার মৃত স্ত্রী তাকে ঘাড় মটকে দেওয়ার কথা বলে তখন সে তাবিজের কথা বলে তাবিজের কথা শুনে তার মৃত স্ত্রী একটা গ্লাস তার ওপর ছুরে দেয় সেই গ্লাস তার মাথায় লেগে মাথা কেটে যায়। রক্ত দেখে বাসার সাহেব কান্না করতে থাকে হাহাহা।
নাটকের এই দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক বেশি হাসির ছিল কারণ বাসার সাহেবের কান্নাটা কেমন যেন ছোট মানুষের মতো ছিল সে খুবই জোরে জোরে চিল্লায় চিল্লায় কান্না করছিল হাহাহা।
এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা একটা জায়গায় বসে রয়েছে মূলত তাদের বসে বসে গল্প করার মূল বিষয়বস্তু ছিল চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে। নাদিয়া সেই মেয়েটার উপর অনেক বেশি রাগ আমি তার কারণে যখন সে শুনেছিল চঞ্চল চৌধুরী বিষ পান করেছে তখন সে তাকে অনেক রকম ভাবেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল এজন্য সে তার উপর কবি রাগান্বিত। এরপরে কিছুটা সময় কথা বলার পরে তাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়।
এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব চলে গিয়েছে সেই কবিরাজ এর কাছে কারণ রাত্রেবেলা তার মৃত স্ত্রী এসে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। বাসার সাহেব কবিরাজ এর কাছে গিয়েছে কিন্তু কবিরাজ তার ছেলের খবর জানতে চাওয়ায় সে খুবই রেগে গিয়েছে মূলত সে চাচ্ছে কবিরা যেন তাকে বড় কোন ধরনের তাবিজ দেয় যাতে করে তার মৃত স্ত্রী তার কাছে আসতে না পারে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে এবং তার বোন বসে রয়েছে। বসে বসে বাসার সাহেবের বড় ছেলে তার ফুফুর কাছে তার বিয়ের ব্যাপারে বলছে যে তার সাবেক প্রেমিকা তার জন্য একটা মেয়ে দেখেছে কিন্তু মেয়েটা বিধবা এ নিয়ে সে তার ফুফুর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে। এরপরে তার ফুফু থাকে কিছু বুদ্ধি দেয় যে বুদ্ধি শুনে সে খুবই খুশি হয় সে মূলত যাছে তার বাবা যেন মেনে নেয় তার বাবা যেন বাড়ি থেকে তাড়িয়ে না দেয়।
এরপরে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে এবং বাসার সাহেবের বড় ছেলের প্রেমিকা অর্থাৎ শাহনাজ খুশি একটি জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়। এরপরে সাহানাজ খুশি তাকে বলে যে তোমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমার ননদের বিয়ে দিতে আমি রাজি হলাম কিন্তু তোমার বড় ভাই তো কিছু বলল না। এ ব্যাপারে কথা বলতে বলতে সাহানাজ খুশি তাকে বলে মেয়েটা খুবই সুন্দর মূলত মেয়ের প্রশংসা শুনে সে নিজেই ধারণা থেকে বিয়ে করতে রাজি হয় হাহাহা। এই অংশটা দেখে আমি খুবই হেসেছি কারণ তারা এমন ভাই যে দুই ভাই সবসময়ই একজন মেয়েকে পছন্দ করে এর আগে পর্বগুলো তো আমরা তেমনটাই দেখেছি হাহাহা।
এর পরের অংশ লক্ষ করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সে মূলত অনেক আগে থেকেই জানে যে নাদিয়া এই পাশ দিয়েই যাওয়া আসা করবে। আসলে চঞ্চল চৌধুরীর এখানে নাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
হঠাৎ করে নাদিয়া এসে সেখানে হাজির হয় এবং চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে অনেক বেশি রেগে যায়। সে চঞ্চল চৌধুরীকে চিটার বলে সম্বোধন করে এবং বলে যে তুই আমার সঙ্গে চিটারি করেছিস মূলত এই ব্যাপারটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় ঝগড়া হয়। এরপরেই নাটকটা শেষ হয়ে যায় পরবর্তী অংশ দেখানো হয়।
পরবর্তী অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসা সাহেবের বড় ছেলে তার কাছে গিয়েছে মূলত তার বিয়ের ব্যাপারে তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু সে তার বাবাকে দেখে খুবই ভয় পায় যার কারণে তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করে কার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছে, তখন সে তার নিজের কথা বাদ দিয়ে বলে যে বাবা আমি আপনার বিয়ের কথা বলছি হা হা। সত্যিই এই নাটকটা অনেক বেশি হাস্য রসিক মাঝে মাঝে এমন কিছু হাস্যরসিক পর্ব দেখানো হয়েছে যেগুলো দেখলে হয়তো বা আপনি হাসতে হাসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাবেন হাহাহা।
এখানেই আমি আমার আজকের এই নাটক শেষ করছি আশা করছি এই নাটক রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১৫ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই নাটকটার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক থেকে দেখেছিলাম।বেশ ভালো নাটকটি আপনার শেয়ার করা এই পর্ব টিও ভালো মনে হচ্ছে রিভিউ পড়ে। সময় করে দেখে নেব নাটকটি।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে নাটক আপনাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছি আপনি বরাবরি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
সকাল আহমেদের নাটক এমনিতেই অনেক সুন্দর হয়। আর নাটকে যারা কাস্টিং এ আছে তারা তো সবাই বেশ বাঘা বাঘা অভিনেতা। তবে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি বেশ সুন্দর।
এখানে অনেক ভালো ভালো মনের অভিনেতা অভিনয় করেছে যার কারণে নাটকটা খুবই চমৎকার ভাবে তারা ফুটিয়ে তুলেছে বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের নাটকগুলো এরকম সুন্দর হয়।