হঠাৎ বড়-ভাই এর দেওয়া ট্রিট

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আজ - ২১ আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে হঠাৎ করেই বড় ভাইয়ের দেওয়া ট্রিট পাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সেই সাথে বড় ভাই দেওয়া ট্রিট হিসেবে কি খেলাম সে ব্যাপারটাও আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • হঠাৎ বড়ভাই এর দেওয়া ট্রিট
  • আজ ২১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • শুক্রবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ বিকেল সবাইকে......!!


Picsart_23-10-06_15-35-09-915.jpg

কভার ফটো তৈরিতে--@jibon47



আমরা সকলেই অন্যের কাছ থেকে ট্রিট পেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সেই সাথে হুটহাট কোন কিছু যখন আমরা পেয়ে যাই তখন নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এইতো কদিন আগেই সন্ধ্যেবেলায় বাসায় বসে ছিলাম হঠাৎ বড় ভাই ফোন দিল বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য। মূলত ভাইয়ের অফিস শেষ করার পরেই ভাই ফোন দেয় আমাকে আর আমি কিছুটা সামনে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বসে গল্প করে সময় কাটিয়ে দুজন একসাথে বাসায় চলে আসি। তবে এরকম প্রতিদিন হয়না মাঝে মাঝে ভাইয়ের সঙ্গে বাহিরে সময় কাটানো হয় খুবই ভালো লাগে সেই সময়টা। হঠাৎ করে ভাই একদিন ফোন দিল বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য আমি দ্রুত রেডি হয়ে বাসস্ট্যান্ডে চলে গেলাম। বর্তমান সময়ে বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনে একটা ফুটওভার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে যদিও সেটা এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি তবে কাজ চলছে প্রতিনিয়ত।

বাসস্ট্যান্ডে ওরকম একটা ফুটওভার ব্রিজ আসলেই খুব দরকার ছিল আর সেটা তৈরি হয়ে গিয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো তাই ভাবলাম যে ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে একটু হেঁটে আসি। তাই আমরা দুজন ফুটওভার ব্রিজের উপর উঠে যাই। সেখানে গিয়ে দুদিকের গাড়ির আলো এবং যানবাহন দেখতে পেয়েছিলাম এবং যেগুলো অনেক রকমের আলো দেখার কারণে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। এক একটা গাড়িতে একেক রকমের আলো আর এই আলো জ্বলজ্বল করে জ্বলছিল যার কারণে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। যদিও উপরে বেশি সময় কাটাইনি খুব দ্রুতই নেমে এসেছিলাম তবে নামার আগে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম।ফুটওভার ব্রিজ থেকে নামার পরে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হই মূলত আমি এখন পর্যন্ত জানিনা যে কোথায় যাচ্ছি।

হাঁটতে হাঁটতে আমরা অনেকটাই সামনে চলে গিয়েছিলাম এবং আমি বারবার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমরা কোথায় যাচ্ছি কিন্তু সে আমাকে কিছুই বলছিল না। ভাইয়ের শুধু একই কথা ছিল চলো সামনের দিক থেকে হেঁটে আসি ভালো লাগছে না,এত দ্রুত বাসায় গিয়ে কি করব...!! আমি আর কোন রকম কথা না বলে দুজন সামনের দিকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর অনেক রকম বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম।

IMG20230925184923.jpg

IMG20230925184902.jpg

IMG20230925184909.jpg

Location
Device :realme 6i

এরপরে আমরা অনেকটা সময় হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যদিও ওদিকে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে তবে কখনো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা হয়নি। এরপরে ভাই বলল এখানে একটা রেস্টুরেন্ট আছে আমি এই রেস্টুরেন্টে কয়েকবার গিয়েছি এবং সেখানকার খাবারের মান অনেক বেশি ভালো। এরপরে আমি ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে কি খাবার পাওয়া যায় তারপরে ভাই বলল এখানে সব থেকে বেশি পছন্দের খাবার হচ্ছে চাপ পোলাও। চাপ পোলাও আমি কুষ্টিয়া থেকে কয়েকবার খেয়েছি তবে ঢাকা আসার পর থেকে কখনো চাপ পোলাও খাওয়া হয়নি। এর পরে ভাইকে বললাম ভাই তাহলে চলেন আজকে আমরা চাপ পোলাও খেয়ে যাই। এরপরে ভাই বলল দু থেকে তিনটা রেস্টুরেন্ট আছে আর প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্টে আলাদা আলাদা করে চাপ পোলাও তৈরি করে থাকে প্রত্যেকটা চাপ পোলাও অনেক বেশি সুস্বাদু আমি প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্ট থেকেই কয়েকবার খেয়েছি।

এরপরে আমি ভাইকে বললাম তাহলে চলুন আজকে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে চাপ পোলাও খেয়ে যাই আবার কয়েকদিন পর এসে আবার অন্য আরেকটা রেস্টুরেন্ট থেকে চাপ পোলাও খাব। যেমন কথা তেমনি কাজ যেহেতু হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর পর্যন্ত চলে এসেছি আর এখানে এসে চাপ পোলাও এর কথা শুনে আমি লোভ কোন ভাবেই সামলাতে পারছিলাম না। তাই চাপ পোলাও খাওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে চলে যায় রেস্টুরেন্টের নাম ছিল মায়ের দোয়া বিরিয়ানি হাউজ। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল যদিও রেস্টুরেন্টটা অনেক বেশি বড় নয় তবে ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে ডেকোরেশনটা সুন্দর করার কারণে ভেতরের দৃশ্যটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

IMG20230908193036.jpg

IMG20230908193115.jpg

IMG20230908193150.jpg

IMG20230908193106.jpg

IMG20230908193204.jpg

Location
Device :realme 6i

এরপরে গিয়ে আমরা দুজন দুটো চাপ পোলাও অর্ডার করি তারপরে কিছুক্ষণের মধ্যেই চাপ পোলাও সামনে চলে আসে। বড় এক পিস খাসির মাংসের সাথে চাপ পোলাও অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল সেদিন। প্রথমে রেস্টুরেন্ট টা দেখে ভেবেছিলাম হয়তোবা তেমন বেশি স্বাদ হবে না কিন্তু ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে যে এত মজাদার চাপ পোলাও পাব সেটা কখনো ভাবেনি। আমি আর ভাই প্রায় দুজন দের প্লেট খেয়েছিলাম সেদিন। অনেকদিন পরে সেদিন ঢাকায় ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে এরকম চাপ পোলাও খেতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল। অনেকটা সময় নিয়ে আমরা খেয়েছিলাম তখন প্রায় অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল। চাপ পোলাও খেয়ে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গিয়েছিল। এরপরে সেখান থেকে আমরা একটা রিকশা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম।

এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়হঠাৎ বড়-ভাই এর দেওয়া ট্রিট
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 months ago 

মাঝে মাঝে এমন সারপ্রাইজ পেতে বেশ ভালো লাগে। ব্যস্ত জীবনে ছোট ছোট আনন্দই আমাদের সুখী করে তোলে। আমি বাহিরের খাবার তেমন একটা খাই না। তাই এই চাপ পোলাউ খাওয়া হয়নি। তবে দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। বেশ কিছুটা আনন্দময় সময় কাটালেন বড় ভাইয়ের সাথে ।সাথে খাওয়া দাওয়া। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

অবশ্য কুষ্টিয়াতেও আমি অনেকবার খেয়েছি। রেল লাইনের পাশে কয়েকটা হোটেল রয়েছে পরবর্তী বড়বাজারের দিকে কয়েকটা রেস্টুরেন্ট। যাইহোক কারো কাছ থেকে এভাবে সারপ্রাইজ পাওয়াটা অনেক ভালোলাগার বিষয়। বড় ভাইয়ের দেওয়া সুন্দর এই রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন রাস্তার। সব মিলিয়ে দারুন লাগলো আমার কাছে।

ভাই, আপনার বড় ভাইয়ের মত এমন ভাই যেন সকলের ভাগ্যে জোটে। যে বড় ভাই ছোট ভাইকে ডেকে রেস্টুরেন্টে চাপ পোলাও খাওয়ায়। এখনকার দিনে তো বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইদের প্রতি অতটাও দায়িত্ব পালন করতে চায় না। যাইহোক ভাই, আপনার ভাইয়ের দেয়া ট্রিট পেয়ে আপনি যেমন খুশি হয়েছেন, ঠিক তেমনটাই খুশি হয়েছি আমি আপনার এই পোষ্ট পড়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের দুজনের খাওয়ার মুহূর্তটা খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আর হ্যাঁ ভাই, অনেক সময় ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতেও খাবারের মান খুবই ভাল হয়। সবকিছু মিলিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59991.95
ETH 2664.96
USDT 1.00
SBD 2.45