আনন্দ যেন অশ্রুতে পরিণত না হয়
আজ--২১-পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- আনন্দ যেন অশ্রুতে পরিণত না হয়।
- আজ-২১শ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
আমরা বাঙালিরা সবসময়ই আবেগপ্রবণ হয়ে থাকি। আবেগের বশে আমরা অনেক কিছু করে ফেলি কারণ আমরা আমাদের আবেগকে কখনোই সংযত রাখতে পারি না। নিজের আবেগ কে কন্ট্রোল করাটা আমাদের নিজস্ব একটা দায়িত্ব বলে আমি মনে করি, এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের আবেগ কখনোই কন্ট্রোল করতে পারে না আর নিজের এই আবেগ কন্ট্রোল করতে না পারায় তারা এত বেশি আবেগি হয়ে যায় যে আবেগের বসে তারা যেকোনো ধরনের ভুল কাজ কেউ সঠিক মনে করে। যদিও তাদের এই ভুল কাজকে যখন মানুষ ভুল হিসেবে ধরিয়ে দেয় তখনও তারা সেটা মেনে নিতে নারাজ কারণ সে পুরোপুরি আবেগের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে আছে। আর আপনি আবেগী মানুষকে যতই ন্যায়-নীতির কথা শোনান না কেন সে কখনোই সেটা মেনে নেবে না। কারণ আবেগ তাকে এমনভাবে বশীভূত করেছে যে সে আবেগে আত্মহারা হয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমরা মানুষ তাই আমাদের উচিত নিজের উপর কন্ট্রোল রাখা। নিজের উপরে যখন কন্ট্রোল চলে আসবে তখন আবেগের বসে কোন খারাপ কাজ হবে না। তাই আমি মনে করি নিজের উপর কন্ট্রোল থাকাটা খুবই জরুরী।
মানুষের মধ্যে আবেগ ভালোবাসা প্রেম এগুলো থাকবে এটাই স্বাভাবিক এগুলোর না থাকলে সেকি আর মানুষ হতে পারে..? তবে একটা ব্যাপার আমাদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত যেন আবেগের বসে একটু আনন্দ করতে গিয়ে যেন সেটা সারা জীবনের কান্নায় পরিণত না হয়। একটা কথা আমাদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত ছোট্ট একটা ভুল হতে পারে সারা জীবনের কান্না। ছোট্ট একটা ভুল করার থেকে সেই কাজটা না করাই ভালো। ছোট্ট কাজ না করলে হয়তোবা তেমন কোন ক্ষতি হবে না কিন্তু ছোট্ট একটা ভুল হতে পারে আপনার পুরো জীবন নষ্টের কারণ। এইতো কিছুদিন আগে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনেক কিছুই দেখলাম অনেক কিছু নিজের কানে শুনলাম দুচোখ দিয়ে দেখলাম যেগুলোর কোনটাই আমার ভালো লাগেনি। সবকিছুতেই কেমন যেন একটা বিষাদময় ভাব ছিল আর চারিদিকে ছিল চাপা কান্না আর আর্তনাদ।
এখন হয়তোবা আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে থার্টি ফাস্ট নাইট মানে তো আনন্দের একটা রাত। এ রাতে আবার চাপা কান্না আর্তনাদ এসব হয় নাকি..? অবশ্যই আমি মনে করি থার্টি ফাস্ট নাইটে যত বেশি চাপা কান্না এবং আর্তনাদ হয় সেটা অন্য কোন সময়ে খুব একটা বেশি পরিলক্ষিত করা যায় না। চাঁপা কান্না এবং আর্তনাদ এই দুটো ব্যাপার নিয়ে যদি আমি আপনাদেরকে একটু বলি তাহলেই আপনারা পুরো ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এই দুটো শব্দের মধ্যেই সবকিছু নিহিত রয়েছে। এই দুটো শব্দকে ঘিরেই আমার আজকের পোস্ট, চাপা কান্না এবং আর্তনাদ।
চাপা কান্না বলতে আমি সেই সকল মানুষকে বুঝিয়েছি যারা থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করতে গিয়ে নিজেদেরই অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন করেছে। এইতো থার্টি ফাস্ট নাইট শেষ হবার পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক জায়গাতেই দেখলাম যে ফানুস উড়াতে গিয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। নিজের গায়ের নিজেই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মত এত বড় বোকামি কাজ এই পৃথিবীতে আর কোথাও আছে..?? আপনি কি কখনো আপনার নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেবেন সজ্ঞানে স্বচ্ছয়..? আমার মনে হয় আপনি এই কাজটা কখনোই করবেন না কারণ একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা কখনো এই কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষ কতটা অসুস্থ মস্তিষ্কের হলে সে ফানুস উড়াতে গিয়ে নিজের গায়ের সাথে আগুন লাগিয়ে দেয়, হতে পারে সেটা ভুল করে তবে ফানুস উড়াতে গিয়েই তার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ফানস উড়ানো টা কি খুবই জরুরী...?? এটাকে আমি কখনোই জরুরী বলে মনে করি না।
এখন ফানুস উড়াতে গিয়ে যেই মানুষটার গায়ে আগুন ধরে গেল সেই মানুষটা যে চাপা কান্না করবে সেই চাঁপা কান্না কি আপনি কখনো দেখতে পারবেন..?? সে কখনোই মানুষের সামনে চিল্লায় চিল্লায় কান্না করবে না সে কান্না করবে একাকী যে কান্নায় কোন শব্দ হবে না, আর এই কান্নাটাকেই আমি চাপা কান্না বলে আখ্যায়িত করেছি। অন্যদিকে লক্ষ্য করুন আর্তনাদ বলতে আমি এই ব্যাপারটাকে বুঝিয়েছি যখন আপনি কোন একটা ফানুস উড়িয়ে দিলেন আর সেই মানুষটা হয়তোবা আপনার কোন ক্ষতি ছাড়াই আকাশে উড়ে গেল পুড়ে যাওয়ার পরে সেই মানুষটা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে নিচে তো নামবে নাকি..? অবশ্যই সেই মানুষটার নিচে নামবে মনে করুন সেই মানুষটা যদি কোন একটা পাখির বাসার উপর যে পড়ে তাহলে কি সেই পাখির বাসা আর আস্ত থাকবে..??
যখন সেই ফানুসটা পাখির বাসার উপর গিয়ে পড়বে তখন পাখির বাসার মধ্যে যদি পাখির বাচ্চা থাকে তাহলে বাচ্চা সহ পাখির বাসাটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। আর পাখির এই আর্তনাদ আপনি কখনোই দেখতে পারবেন না বুঝতেও পারবেন না। পাখির এসব আর্তনাদ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউই দেখতে পারে না। এই তো কিছুদিন আগেই দেখলাম থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনেক পাখি মারা গিয়েছে অনেক পাখি বিকট শব্দে নিজেদের ভাষা ছেড়ে চলে গিয়েছে দূরে বহু দূরে। সে কি পাখির ডাকাডাকি কিচিরমিচির রাতের বেলা শীতের মধ্যে তারা আকাশে উড়াল দিয়েছে এর দায়ভার কে নেবে..? এর দায়ভার কি আপনি নেবেন কখনো..??
আপনি মানুষ আপনি সৃষ্টির সেরা জীব, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আপনার কাছ থেকে এরকম আচার-আচরণ ব্যবহার কি কখনো মার্জনীয় বলে আপনি মনে করেন..?? আনন্দ করবেন,আনন্দ করতে আমি আপনাদের নিষেধ করছি না। আমি আপনাদেরকে শুধুমাত্র এটাই বলতে চাচ্ছি যে আপনার আনন্দ যেন অন্যের দুঃখের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় বা আপনার আনন্দই যেন আপনার কষ্টের কারণ না হয়ে যায় এ ব্যাপারটা আমাদের সকলেরই মাথায় রাখা উচিত। নিজেকে সুরক্ষায় রেখে আশেপাশের মানুষ সহ প্রাণীদেরকে সুরক্ষায় রেখে আপনি যত খুশি আনন্দ করুন কেউ বাধা দেবে না।
কিন্তু আপনি যদি নিজেকে সুরক্ষায় না রাখতে পারেন আর আশেপাশের মানুষদেরকে সুরক্ষা দিতে না পারেন তাহলে সেই আনন্দে আনন্দ কোথায়...?? আনন্দের পরে যদি দুঃখই আসে তাহলে সেই আনন্দ করার কি দরকার। আনন্দ করে মানুষ মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য একটু সময় হাসিখুশি থাকার জন্য যাতে করে সেই সময় টুকুর কথা মনে করে পরবর্তী সময়ে হাঁসা যায়। আর আপনি এমন আনন্দ করলেন যে সামান্য একটু সময় আপনি আনন্দের সঙ্গে কাটালেন কিন্তু বাকিটা জীবন আপনার ওই আনন্দের কথা মনে করে কান্না করা লাগলো তাহলে সেই আনন্দ করার থেকে না করাটাই শ্রেয়। আনন্দ যদি পরবর্তী সময়ে সেটা ভেবে আনন্দ না দেয় তাহলে সেই আনন্দ কখনোই আনন্দ হতে পারে না।
তাই আমি মনে করি আমাদের সকলেরই সতর্ক হওয়া উচিত। এমন আনন্দ কখনোই করা উচিত নয় যে আনন্দ করতে গিয়ে সারা জীবন চোখের অশ্রু ফেলতে হয়, সকলেই সুস্থ থাকুন নিজের জায়গা থেকে আনন্দ করুন উল্লাস করুন তবে অবশ্যই নিজেকে সুরক্ষায় রেখে। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | আনন্দ যেন অশ্রুতে পরিণত না হয় |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কিছু কিছু মানুষের আনন্দের কারণে অন্যদের জীবনে অনেক কিছুই নেমে আসে অনেক সময়। আমাদের আনন্দ যেন কারো জীবনে অশ্রুতে পরিণত না হয় এটা দেখতে হবে। ফানুস উড়ানোর সময় নিজের শরীরেই আগুন ধরে গিয়েছিল ওই মানুষটার, এটা শুনে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। সবকিছুই আমাদেরকে লিমিটের মধ্যে রাখতে হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে একটা পোষ্ট লিখেছেন, যেটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আর অনেক কিছু তুলে ধরেছেন আপনি যেটা খুব সুন্দর ছিল।
আমিও সেটাই মনে করি সবকিছু আমাদের একটা লিমিটের মধ্যে রেখেই করতে হবে, নিজের একটু আনন্দে রাখতে গিয়ে সেটা যদি সারা জীবনের কান্না পরিণত হয় তাহলে সেই আনন্দ করার থেকে না করাই ভালো, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে বছরের শেষ দিনটি মানুষ এখন এমনভাবে উদযাপন করছে যা একেবারেই অনৈতিক। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ছোঁয়ায় এই প্রজন্ম অস্থির হয়ে উঠেছে এবং অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র নিজের ক্ষতি করছে তাই না, আশেপাশের মানুষের ক্ষতি করছে চরম মাত্রায়। শুধুমাত্র মানুষ নয়, পরিবেশ এবং প্রানীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের বিবেক জাগ্রত করে স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করা উচিত। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বছরের শেষের দিন মানুষ এমন ভাবে উদযাপন করে যে উদযাপন টা কখনোই নৈতিকতার পরিচয় দেয় না, মানুষের ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি করছে, পরিবেশকে নষ্ট করছে,পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
খুব দুঃখজনক বিষয় হলো ফানুস উড়াতে গিয়ে নানান রকমের বিপদের সমূখীন হওয়া এবং পাখিদের সাথে অন্যায় করা।নিজের একটু আনন্দের জন্য যে সারাজিবন কাউকে কাউকে চাপা কান্না বয়ে বেড়াতে হয় তা কিন্তুু আমরা একটি বারের জন্য ও ভাবি না।ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ফানুস উড়াতে গিয়ে শুধু মানুষদের ক্ষতি করছে তা কিন্তু নয় তারা পরিবেশকে নষ্ট করছে, এই পরিবেশকে নষ্ট করার অধিকার কারণ নেই মানুষ হিসেবে এটা কখনোই কাম্য নয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দিন দিন এমন একটি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বিশেষ কোন দিন মানুষ উদযাপন করার নামে বোকার পরিচয় দিচ্ছে এমন ভাবে,যেগুলো মানুষের জীবনে বা অন্যান্য কোন পশু পাখির জীবনেও বেশ দুর্ভোগ বয়ে আনছে। আসলে এগুলো আমাদেরকে পরিহার করতে হবে। যেগুলো লিমিটের মধ্যে থাকবে। সেগুলোই আমাদের গ্রহণ করতে হবে। এক্সটা বোকামি আমাদের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
আসলে দিন দিন মানুষের উদযাপন খুবই খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে এবং মানুষ বোকার পরিচয় দিচ্ছে, মানুষ হিসেবে তাদের কাছ থেকে এরকম ব্যবহার কখনোই কাম্য নয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ফানুস উড়ানোর কারণে কিন্তু বেশিরভাগ বিপদ হয়ে থাকে। গত বছরও এর কারনে অনেক জায়গায় অনেক বিপদ হয়েছিল। আজ এই বছরও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে এটা শুনে খারাপ লেগেছে। সব বিষয়ের প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, এবং সবকিছু লিমিট মেনে করা উচিত। কিছু কিছু মানুষের আনন্দের জন্য কিছু কিছু মানুষের জীবনটাই নষ্ট হয়। আর এত সব কিছু দেখলে সত্যি খারাপ লাগে। মানুষের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে এখন এসব কিছু করা উচিত। শুধু নিজের আনন্দের চিন্তা না সবার ভালোর চিন্তা করতে হবে। কারণ আমাদের জন্য যদি কারো ক্ষতি হয় তাহলে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবোনা। আর কখনো কেউ আমাদেরও ক্ষমা করবে না।
আসলেই নিজের দ্বারা যদি অন্যের ক্ষতি হয়ে যায় তখন আর নিজেকে ক্ষমা করা যায় না আর এই ব্যাপারটা আমাদেরকে সবসময়ই মাথায় রাখা উচিত যে, আনন্দ সবসময় একটা লিমিটের মধ্যে রাখতে হবে। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিছু কিছু মানুষের আনন্দ উদযাপনের কারণে অনেক মানুষই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। গত বছর ফানুস উড়ানোর কারণে অনেক জায়গায় বড় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল৷ এই বছরেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে শুনে খুব খারাপ লাগলো৷ আনন্দ করা উচিত, তবে এতটাও আনন্দ করা উচিত নয় যাতে করে অন্যের ক্ষতি হয়ে যায়৷
শুধুমাত্র যে গত বছর আর এ বছর নয় আমি প্রায় প্রতিবছরেই নিউজের মাধ্যমে জানতে পারি যে কোথাও না কোথাও আগুন লেগে গিয়েছে এবং অনেক কিছু করে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, ক্ষণিকের আনন্দ করতে গিয়ে মানুষ বিপদ ডেকে নিয়ে আসে, আসলে এগুলো করা আমাদের মোটে উচিত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।