"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১১ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ২৩ পৌষ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১১)
- আজ ২৩শ পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৬ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১১ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
দশম পর্বের শেষ অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী তার ফুফুর কাছে কান্না করছে কারণ তার ফুফু তাকে জিজ্ঞেস করছে সে নাকি নাদিয়া কে অপহরণ করতে গিয়েছে। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী এটা মানতে পারছে না কারণ সে এমনটা করেনি এবং সে তার ফুফুকে বলে আমার নামে এসব মিথ্যে কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে সবাই। এরপরে বাসার সাহেব কবিরাজের কাছে গিয়ে সে তো মহা খুশি কারণ তার মৃত স্ত্রী রাত্রে এসে তার কোন ক্ষতি করতে পারেনি বরং তার হাতে তাবিজ থাকার কারণে তার মৃত স্ত্রী খুবই ভয় পেয়েছে। বাসার সাহেব কবিরাজ এর কাছে গিয়ে বলে আপনার দেওয়া তাবিজ এভাবে কাজ করবে আমি ভাবতেই পারিনি। এটাই ছিল দশম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
দশম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
পিতা বনম পুত্র গং নাটকের ১১ পর্ব লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে। চঞ্চল চৌধুরী একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এবং অপর পাশ থেকে আরফান হেঁটে হেঁটে আসছিল। পুকুর পাড় দিয়ে হেটে হেঁটে আরফান যখন চঞ্চল চৌধুরীর কাছে এসে পৌঁছায় তখন চঞ্চল চৌধুরী তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তার সামনে যায় এবং একটি চাকু বের করে তাকে খুন করে। চঞ্চল চৌধুরী আরফান কে খুন করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়, পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পরে যখন সে উঠে আসে তখন তার ছোট ভাই সেখানে গিয়ে হাজির হয় এবং সেটা দেখে ফেলে। তার ছোট ভাই তাকে বলে আমি এখন এই ঘটনা সবাইকে বলে দেবো তখন চঞ্চল চৌধুরী বলে তুই যদি এ কথা সবাইকে বলে দিস তাহলে তো কেউ খুন করে ফেলব। এই বলে চঞ্চল চৌধুরী তার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। এরপরে তার ছোট ভাই বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে পড়ে মূলত চঞ্চল চৌধুরী ছোট ভাই স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নে এরকম দৃশ্য দেখে এসে খুবই ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়েছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী নাদিয়ার পিছু পিছু হাটছে মূলত চঞ্চল চৌধুরীর নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছে কিন্তু নাদিয়া তার সঙ্গে কথা বলতে নারাজ। এরপরে চঞ্চল চৌধুরীর তাকে বলে যে আমি এখন কি করবো তুমি বলে দাও তখন নাদিয়া তাকে বলে তোর যা ইচ্ছা মন চায় তাই কর আমার কাছে আসবি না তুই একটা খুনি। তখন চঞ্চল চৌধুরী তাকে বলে ঠিক আছে আমি আত্মহত্যা করব কিন্তু চিঠিতে লিখে যাব আমার মৃত্যুর জন্য তুমি দায়ী। এ কথা শুনে না দিয়া খুবই ভয় পায় এবং সেখান থেকে তাড়াহুড়ো করে চলে যায়। এরপরে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাই সেই স্বপ্ন দেখে দ্রুত পুকুর পাড়ে এসে খুঁজতে থাকে এবং সেখানে তার মেজ ভাই বসে থাকে। তার মেজ ভাই তাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তখন তার ছোট ভাই তার স্বপ্নে ঘটা ঘটনাটি তাকে খুলে বলে তখন তার মেজ ভাই বলে কিছুই হয়নি বাসায় ফিরে যায়। তবুও তার ছোট ভাই খুবই ভয় পায়।
এর পরের অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেব খুবই চিন্তিত হয়ে তার রুমে বসে থাকে। হঠাৎ তার বোন এসে তাকে বলে যে তোমার দুই ছেলে তো সবসময়ই একে অপরের মৃত্যু কামনা করছে এবং মারামারি করছে প্রায়। তুমি তাদেরকে ডেকে এনে আচ্ছা মত ধমক দিয়ে দাও তখন বাসার সাহেব বলে কোন কাজ নেই কি করবে থাকুক একটা বিষয় নিয়ে। তখন তার বোন বলে তুমি তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও এ কথা শুনে বাসার সাহেব খুবই রাগান্বিত হয় এবং তার বোনের ওপর রাগ দেখায় এই রাগ দেখে তার বোন সেখান থেকে চলে যায়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং আরফান একটি জায়গায় বসে থাকে এবং নাদিয়া খুবই রাগান্বিত। আরফান তাকে বলে আমি তোমাকে একটি কথা বলার জন্য এখানে ডেকেছি মূলত আমি আমার ফুফুর কাছে বলে এসেছি যে তুমি আমাকে ভালোবাসো এবং তুমি এই কথাটা আমার ফুফুর সামনে গিয়ে বলবে, কারণ চঞ্চল চৌধুরী আমার ফুফুর কাছে গিয়ে বলেছে তুমি নাকি তাকে ভালোবাসো। এ কথা শুনে নাদিয়া আরো বেশি রেগে যায় এবং তাকে বলে আমি কি তোমাকে ভালোবাসি এ কথা আমি তোমাকে কখনো বলেছি...? তখন আরফান বলে তুমি শুধু আমার ফুফুর কাছে গিয়ে বলো, তোমার সাথে চঞ্চল চৌধুরীর কোন সম্পর্ক নেই। একথা শুনে নাদিয়া সেখান থেকে ধাই ধাই করে চলে যায়।
পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে এবং তার সাবেক প্রেমিকা শাহনাজ খুশি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করে। গল্প করাটা এক পর্যায়ে শাহনাজ খুশি তাকে বলে তোমাকে নিয়ে আমি একটা ভাবনা চিন্তা করেছি তোমাকে আমি বিয়ে দিয়ে দেব আমার ননদের সঙ্গে এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। এ কথা শুনে বাসার সাহেবের বড় ছেলে খুবই দুঃখ প্রকাশ করে বলে শেষ পর্যন্ত তুমি আমার জন্য বিধবা মেয়ে ঠিক করেছ কিন্তু আমি রাজি হলেও আমার বাবা তো রাজি হবে না। এই কথা শুনে শাহনাজ খুশি সেখান থেকে রাগান্বিত হয়ে চলে যায়, পরের দেশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়ে তার ফুফুর রুমে এসে শুয়ে পড়ে এবং সবাইকে ডাকতে থাকে তার ফুপু। চঞ্চল চৌধুরী তখন বলে সবাইকে মুক্তি দিয়ে আমি চলে গেলাম।
আগামী পূর্ব লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব তার বোন এবং আরফান একটি রুমের মধ্যে বসে থাকে আর বাসার সাহেবের বোন খুবই কান্না করতে থাকে। মূলত বাসার সাহেবের বোন ভাবে নাদিয়ার জন্য হয়তো চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে এবং তার বোন তাকে বলে থানায় গিয়ে তার নামে কেস করতে হাহাহা। এরই মাধ্যমে পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের ১১ পর্ব শেষ হয়ে যায়। এই নাটকটি আমি যতই দেখছি ততই হাসি পাচ্ছে এবং অনেক কিছু শিখছি। যাইহোক আমি যেহেতু আপনাদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে একটি করে রিভিউ শেয়ার করি সেই ধারাবাহিকতা থেকে আজকেও একটি রিভিউ তুলে ধরলাম আশা করছি আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করলাম সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১১ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই চমৎকার একটি নাটক এবং এটি আপনি এক এক পর্ব করে রভিউ আকারে আমাদের মাঝে তুলে ধরেন, যেটি অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ আকার তুলে ধরার জন্য এবং খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখার ইচ্ছা পোষণ করছি।
অবশ্যই এই নাটকটি যেহেতু আপনি দেখার ইচ্ছে পোষণ করেছেন সেহেতু আমি আপনাকে বলতে চাই আজকে থেকেই শুরু করুন খুবই ভালো লাগবে আপনার কাছে।
খুব সুন্দর নাটক তো। আমি এই নাটকের কিছু অংশ দেখেছি সময়ের কারণে পুরা অংশ দেখার সুযোগ হয়নি। আপনি খুব সুন্দর করে পোস্টের মাধ্যমে চমৎকার ভাবে নাটকের উপস্থাপন করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। নাটকটির দেখার খুব ইচ্ছে জাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে রিভিউ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি আর এই রিভিউ দেখলে মনে হয় না নাটকটি দেখতে হবে। কারণ প্রতিটি ধাপ আমি এই নিখুঁতভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছি।
এই নাটকের রিভিউ আপনার পোস্টে আগেও পড়েছিলাম মনে হয়। বেশ হাসির সাথে সাথে বাস্তব জ্ঞানসম্মত একটি নাটক মনে হয়েছে আমার। যদিও আমার নাটক দেখার অভ্যাস নেই,যেটুকুও যা জানতে পারি আপনাদের রিভিউ থেকে জানতে পারি। ভালোই লিখেছেন রিভিউ টা। তবে গল্পটা আরেকটু ছোট করে লিখলে ভালো হতো।
নাটকটা যেমন হাসুর ঠিক তেমনটাই অনেক শিক্ষনীয় তবে এই নাটকটা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমি মনে করি সকলের এই নাটকটি দেখা উচিত।
আহা বেচারা চঞ্চল চৌধুরী কিডন্যাপ না করেও কিডন্যাপের দোষ। নাটকটি বেশ মজার মনে হচ্ছে। সময় করে দেখতে হবে। খুবই সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ আপনি দিয়েছেন। আমার কাছে আপনার এই রিভিউটি খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলে চঞ্চল চৌধুরীর উপর তার ভাইরা দোষ চাপাতে চায় কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী দোষ কিছু একটা করেই কিন্তু সেটা সে কখনোই মেনে নিতে চায় না হা হা।