ভার্সিটির লাইব্রেরিতে কাটানো কিছু সময়
আজ - ২৯ আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ভার্সিটির লাইব্রেরিতে কাটানো কিছু সময়
- আজ ২৯শ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
গতকাল আমার ভার্সিটিতে পরীক্ষা ছিল একই দিনে দুটো পরীক্ষা থাকার কারণে আমি খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম। যদিও ভার্সিটিতে যেতে আমার বেশি সময় লাগে না কারণ আমি ভার্সিটির পাশেই বাসা নিয়েছি আর ভার্সিটিতে যেতে আমার লেগুনাতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। যেহেতু একই দিনে আমার দুটো পরীক্ষা ছিল প্রথম পরীক্ষা ছিল ম্যাথমেটিক্স এবং দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স। প্রথম পরীক্ষাটি শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে আটটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হওয়ার পরে দশটায় পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল যেহেতু ৩০ মার্কের পরীক্ষা ছিল। এরপরে যখন দশটায় পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল তারপরেই আবার পরীক্ষা ছিল ২:১৫ থেকে। মাঝখানে অনেক লম্বা একটা ব্রেক ছিল আর এই লম্বা ব্রেকে কোথায় যাব কি করব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। প্রথমে ভাবছিলাম বাসায় চলে আসব কিন্তু ভেবেচিন্তে দেখলাম যে বাসায় গিয়ে আবার আমাকে কয়েক ঘন্টা পরে আবার এই রৌদ্রের মধ্যে ভার্সিটিতে আসতে হবে যেহেতু বিকেল বেলা আমার পরীক্ষা ছিল। তাই বাসায় না গিয়ে ভাবলাম যে লাইব্রেরীতে কিছুটা সময় যে বসি।
এমন চিন্তা ভাবনা থেকেই দু তিনজন বন্ধু নিয়ে চলে যাই ভার্সিটির লাইব্রেরীতে লাইব্রেরীতে গিয়ে সেখানে যে আরো এক বড় বিপদে সম্মুখীন হয়ে গিয়েছিলাম কারণ লাইব্রেরীতে যথেষ্ট পরিমাণ সিট না থাকার কারণে বসার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এরপরে কিছুটা সময়, সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করছিলাম যে কখন সিট ফাঁকা হবে আর আমরা গিয়ে সেখানে বসবো প্রায় অনেকটা সময় সেখানে অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু কোনভাবেই কোন একটা সিটের ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। যেহেতু সেদিন সকলেরই পরীক্ষা ছিল তাই লেখাপড়া করায় সকলেই অনেক বেশি ব্যস্ত ছিল যদিও আমাদের ভার্সিটির লাইব্রেরীটা খুব একটা বেশি বড় নয় শিক্ষার্থী অপেক্ষার লাইব্রেরী টা অনেকটাই ছোট।অনেকটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম প্রায় এগারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে দেখলাম হঠাৎ করেই সবাই লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এদের হয়তোবা পরীক্ষার সময় চলে এসেছে। যখনই তারা লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে গেল ঠিক তখনই আমরা চার থেকে পাঁচজন একটা বড় টেবিলে চেয়ারের উপরে বসে কিছুটা সময় রেস্ট করছিলাম কারন অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এরপরে আমরা যে যার মত ব্যস্ত হয়ে যায় যেহেতু নোটস খাতা নিয়ে গিয়েছিলাম তাই সেগুলোই দেখছিলাম আর একে অন্যের সঙ্গে অনেক ম্যাথমেটিক্স সলিউশন নিয়ে কথা বলছিলাম কিন্তু যেহেতু আমি কয়েকটা ক্লাস করিনি যার কারণে বুঝতে আমার অনেকটাই সমস্যা হচ্ছিল খুবই খারাপ লাগছিল সেই সময়টাতে যদিও।
এরপরে বন্ধুদের সঙ্গে বসে বসে কিছু ম্যাথমেটিক্স সমাধান করলাম তারপরে যেহেতু শুক্রবার দিন ছিল তাই খুব দ্রুতই আমরা মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ-কালাম পড়ে আবার লাইব্রেরীতে প্রবেশ করেছিলাম। লাইব্রেরীতে প্রবেশ করার পরে এবার বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি কারণ দুটো পনেরো থেকে আমার পরীক্ষা ছিল যার কারণে খুব দ্রুতই আবার লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে লাইব্রেরীর মধ্যে যতটা সময় কাটিয়েছি খুবই ভালো লেগেছে কারণ লাইব্রেরীর মধ্যে কোন রকম শব্দ যাওয়ার কোন রকম অবস্থা নেই যার কারণে সেখানে লেখাপড়া করার মন-মানসিকতা আপনা আপনিই তৈরি হয়ে যায়। আর লাইব্রেরীতে যারা থাকে প্রায় সকলেই লেখাপড়া নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে এবং খুবই সিরিয়াস মুডে লেখাপড়া করে যার কারণে এখানে লেখাপড়া করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভার্সিটির এই লাইব্রেরীতে অনেক ডিপার্টমেন্টাল বই রয়েছে যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এখানে এসে ডিপার্টমেন্টাল সলিউশন গুলো নিয়ে থাকে।
এর আগেও বেশ কয়েকবার লাইব্রেরীতে প্রবেশ করেছি তবে বেশিক্ষণ থাকেনি বেশিক্ষণ থাকেনি বলতে বেশিক্ষণ থাকা হয়ে ওঠেনি কারণ বরাবরই ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করাই অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এরপরেও যেহেতু এখন পর্যন্ত বই কেনা হয়নি তাই যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় তাহলে লাইব্রেরীতে গিয়ে সেগুলোর সলিউশন খোঁজার চেষ্টা করি। একটা ব্যাপার খুবই খারাপ লেগেছে যে ভার্সিটিতে অনেক শিক্ষার্থী আর শিক্ষার্থীদের তুলনায় লাইব্রেরির জায়গাটা অনেকটাই ছোট যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বাহিরে বসে থাকে এবং সেখানেই লেখাপড়া করে। যদি লাইব্রেরীতে আর একটু বড় হতো তাহলে সকলের পক্ষেই লাইব্রেরির মধ্যে বসে লেখাপড়া করার সুযোগ হতো। লাইব্রেরীতে গিয়ে বসে লেখাপড়া করার জন্য অনেক আগে থেকেই সিরিয়ালে বসে থাকতে হয় এটা আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগেনি।
এরপরে যখন পরীক্ষার সময় হয়ে গিয়েছিল তখন সকলে মিলে আবার পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছিলাম যদিও এটাও ওদের ঘন্টার পরীক্ষা ছিল। দেড় ঘন্টার পরীক্ষা শেষ করে যখন আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করবো তখন একটু লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম দেখার জন্য বর্তমান কি অবস্থা। ঠিক সেই সময়টাতেও লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখি অনেকেই বসে লেখাপড়া করছে আবার অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে বসে থাকার মত কোন তেমন ব্যবস্থা নেই। যাইহোক এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার স্যাপার এ ব্যাপারে আমার এত মাথাব্যথা না করলেও চলবে। যাইহোক এভাবেই গতকাল ভার্সিটিতে লাইব্রেরির মধ্যে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম আশা করছি আমার কাটানোর সময় টা আপনাদের দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | ভার্সিটির লাইব্রেরিতে কাটানো কিছু সময় |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একই দিনে দুটি পরীক্ষা তাহলে তো আপনার মনে হচ্ছে অনেক কষ্টই হয়েছে ভাই।মসজিদে গিয়ে নামাজটা আদায় করেছেন এটা খুব ভালো কাজ করেছে। আসলেই ভাইয়া এখন ভার্সিটির সব জায়গায় লাইব্রেরী থেকে শিক্ষার্থী অনেক। তাই অনেক অসুবিধা হয়।আপনি লাইব্রেরির মধ্যে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।
অনেকদিন পরে লাইব্রেরীতে সেদিন সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম এরকম মুহুর্ত এর আগে কখনো কাটানো হয়নি সেটাই ছিল প্রথমবার। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লাইব্রেরিতে কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে এটাই বুঝলাম যে আপনারা সেখানে সিট না পেয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে এবং সে সাথে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাছাড়া পরপর দুইটা পরীক্ষা থাকায় আরো বেশি কষ্ট হয়েছে সব মিলিয়ে লাইব্রেরীতে পড়ার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আমি মনে করি সময় থাকতে আমাদের ভালোভাবে বইগুলো পড়ে নেওয়া উচিত পরীক্ষার আগে এতটা প্রেসার না নেওয়াই ভালো, ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সত্যি বলতে শিক্ষার্থী অনেক হওয়ায় লাইব্রেরীতে বসার মত কোন জায়গা ছিল না আর আমিও সেটাই মনে করি পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন নেওয়া উচিত কারণ পরীক্ষার দু-এক ঘণ্টা আগে লেখাপড়া করলে সেটা মাথায় থাকে না। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।