হঠাৎ করে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ
আজ--২২ ফাল্গুন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |শুক্রবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- হঠাৎ করে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ।
- আজ--২২শফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা মিষ্টি খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা হাল খেতে খুবই পছন্দ করে। ঠিক তেমনি ভাবে এমন অনেক মানুষ আছে যারা টক জাতীয় যেকোনো ধরনের আচার বা খাবার খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে আবার অনেকেই আছে সব রকম খাবারই কম বেশি পছন্দ করে। তবে আমার কাছে ঝাল এবং টক এই দুটো জিনিস অনেক বেশি পছন্দের তবে তার মানে এটা নয় যে আমি মিষ্টি খুব একটা বেশি পছন্দ করি না তবে মিষ্টি বেশি একটা খেতে পারি না। মাঝে মাঝে ঝাল জাতীয় খাবার আমার অনেক বেশি পছন্দের মনে হয়। যাইহোক হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম যদিও সেটা ছিল একদমই অকল্পনীয় কখনোই ভাবেনি এরকম ভাবে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়ে যাবে। যেহেতু এখন রমজান মাস রমজান মাসে তো আর মিষ্টি খাওয়া যায় না গত একসপ্তাহ আগে অফিসের কাজকর্ম করছিলাম অফিস রুমে বসে। সন্দেহ হবার পরে একটু বেশিই ব্যস্ত থাকতে হয় সেই সময়টাকে কারণ তখন সারাদিনের কাজকর্ম নির্দিষ্ট একটা ফাইলে লিখে সেটা আবার সাবমিট করতে হয় সেই কাজগুলোই বসে বসে করছিলাম অফিস রুমে।
হঠাৎ করে এই অফিসের এক কলিগ ফোন দিয়ে জানতে চাইলো কোথায় আছি কি করছি আর ব্যস্ত আছে কিনা। আমি তাকে এটা জানাই যে কিছুটা সময় ব্যস্ত থাকবো একটু কাজ রয়েছে সে আমাকে বলল কাজ শেষ করে তাকে ফোন দিতে আমি তার কাছে জানতে চাইলাম খুব বেশি প্রয়োজন কিনা। সে আমাকে বলল যে কাজ শেষ করে মেইন অফিসের সামনে আসতে। আমি তৈরি করি করেই কাজ শেষ করে ফেললাম কাজ শেষ করে তাকে ফোন দিলাম ফোন দিয়ে সে আমাকে জানালো মেইন অফিসের সামনে তারা বসে আছে আমাকে মেন অফিসের সামনে যেতে আমি ফ্রেশ হয়ে মেইন অফিসের সামনে যাওয়াতেই দেখি আরো তিন থেকে চারজন সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। পরক্ষণে আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে আড্ডায় যোগ দেই। এরপরে একটা পর্যায়ে তারা বলে যে বাহিরে গিয়ে কিছু নাস্তা করা উচিত আমি আর তাদের কথা না করে বললাম ঠিক আছে চলেন বাহিরে যাই। বাইরে গিয়ে আমরা একটা টং দোকানে বসে চা খেলাম তারপরে হঠাৎ করেই একজন বলল আমাদের আর একটু বাইরে থাকতে হবে। পাশ থেকে আবার অন্য আরেকজন বলল তাহলে সামনে থেকে হেঁটে আসি, কিন্তু বুঝতেই পারছিলাম না যে তারা আসলে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
যদিও আমি তাদের কাছে বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম যে আমরা কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু তারা কোনোভাবেই আমাকে বলছিল না শুধুমাত্র বলছিল যে সামনে হাঁটতে যাচ্ছি কিছুটা সময় হেঁটে আবার চলে আসব। এরপরে প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট পরে আমরা একটা বাজারে গিয়ে পৌঁছাই যদিও গাউছিয়ার রাস্তাঘাট এখনো আমি খুব একটা ভালো চিনি না। যার কারণে আমি কোনভাবেই বুঝতে ছিলাম না যে আসলে কোথায় যাচ্ছি। তোমার একটা পথ হেঁটে যাওয়ার পরে আমরা হঠাৎ একটা মিষ্টির দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। এর পরে এক বড় ভাই বলল চলো তোমাকে মিষ্টি খাওয়াই হঠাৎ করেই মিষ্টি খাওয়ার কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতেই পারছিলাম না যে কেন মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে। মিষ্টির দোকান টা খুব একটা বেশি বড় ছিল না ছোট একটা দোকান কিন্তু ডেকোরেশন টা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি মিষ্টির দোকানটা খুব একটা বেশি বড় ছিল না তবে ডেকোরেশনটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর ছিল সেই সাথে অনেক সুস্বাদু সুস্বাদু বাহারি মিষ্টি ছিল দেখেই ভালো লাগছিল। মিষ্টির দোকানের নাম ছিল টোটাল ডেইরি মিঠাই। মিষ্টির দোকানের ভেতরে প্রবেশ করার পরেই আমি বেশ খানিকটা সময় বিভিন্ন মিষ্টির ফটোগ্রাফি করেছিলাম কারণ সেখানে অনেক রকমের মিষ্টি ছিল এই যেমন ধরুন চমচম রসগোল্লা ছানার মিঠাই সহ আরো কয়েক রকমের মিষ্টি ছিল। এরপরে আমরা প্রথমে সেই দোকানে বসে কিছুটা সময় গল্প করছিলাম তারপরে মিষ্টির অর্ডার দেওয়া হলো আমরা ছিলাম চার থেকে পাঁচজন। যদিও আমি তাদের আগেই বলে নিয়েছিলাম আমি খুব একটা বেশি মিষ্টি খেতে পারি না। এরপরে আমরা চার থেকে পাঁচজনের জন্য দু কেজি মিষ্টি অর্ডার করলাম। আমি বাদে অন্যান্য সকলেই মোটামুটি ভালই মিষ্টি খেতে পারে সেটা বুঝতেই পারছিলাম। মিষ্টির অর্ডার দিয়ে আমরা আবার গল্পে মেতে উঠেছিলাম আমরা প্রায় আধাঘন্টা মতো গল্প করার পরে মিষ্টির দোকানদার আমাদের জন্য বিভিন্ন আইটেমের মিষ্টি নিয়ে আসে আমরা মূলত সব ধরনের মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন আইটেমের মিষ্টি নিয়েছিলাম।
এবার মিষ্টি খাওয়া আর পালা, মিষ্টি খাওয়ার আগে আমি বড় ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞেস করছিলাম মিষ্টি খাব তাতে আমার কোন সমস্যা নাই কিন্তু কেন মিষ্টি খাচ্ছে সেটা এখন পর্যন্ত জানতে পারলাম না। আগে এটা জানতে চাই যে কেন মিষ্টি খাচ্ছি কি উপলক্ষে। এরপরে বড় ভাই আমাকে জানায় যে পাশে থাকা আরেক বড় ভাই ছিল তার নাম তাপস রাজবংশী, তার বড় ভাই মেয়ে বাবুর বাবা হয়েছে। যার কারনেই সে আমাদের মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। ব্যাপারটা শুনে বেশ ভালো লাগলো সেই সাথে তাপস দা পাশ থেকে বলল দুটো কারণে মূলত মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে প্রথম বারের মতো চাচা হয়েছি আর আপনি তো জানেনই কয়েকদিন আগে নতুন মোবাইল কিনেছি যার কারণেই আপনাদের নিয়ে চলে আসলাম মিষ্টি দোকান। যাইহোক তার কথা শুনে বেশ ভালোই লাগলো প্রথমবারের মতো চাচা হওয়ার অনুভূতির আনন্দ তার মধ্যে খুব গভীরভাবেই পরিলক্ষিত করতে পারছিলাম। এরপরে সকলে মিলে মিষ্টি খেলাম যদিও আমি তিন থেকে চার পিস মিষ্টি খাওয়ার পরে আর খেতে পারিনি আর সকলেই মোটামুটি ভাবে আমার থেকে বেশি খেয়েছিল।
অনেকটা সময় নিয়েই আমরা মিষ্টি খেয়েছিলাম মিষ্টি খাওয়ার পরে আমরা কিছুটা সময় সেখানে বসে তাপস দার প্রথমবারের মতো চাচা হওয়ার অনুভূতির গল্প শুনছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। সত্যি বলতে কিছু কিছু অনুভূতি থাকে যে অনুভূতিগুলো কখনো বলে মানুষকে বোঝানো সম্ভব হয়ে ওঠে না তাপস দার চোখে মুখে সেই প্রতিচ্ছবি দেখতে পারছিলাম। প্রথমবার চাচা হতে পেরে অনেকটাই খুশি এবং আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছে। আমরা সকলেই সেই বাচ্চার জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলাম, ততক্ষণে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছিল আর সাড়ে সাতটা বেজে দেওয়ার কারণে আমরা খুব দ্রুতই আবার আমাদের ফ্যাক্টরিতে ফিরে আসি। তবে সত্যি বলতে অনেক দিন পরে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেদিন। এরকম সুন্দর মুহূর্ত বারবার কাটাতে মন চায় তবে সে রকমভাবে সময় হয়ে ওঠে না। যাইহোক এটাই ছিল হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণের অনুভূতির গল্প আশা করছি আমার এই গল্প আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | হঠাৎ করে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness

OR
হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া কয়েক জন মিলে এভাবে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা।আপনারা নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলিগদের সঙ্গে মিষ্টির দোকানে গিয়ে দারুন একটি কোয়ালিটি সময় কাটিয়ে এসেছেন ভাই। এত মিষ্টির ছবি দেখলে এমনিতেই খিদে বেড়ে যায়। তার ওপর যদি এত সুন্দর সুন্দর মিষ্টির আয়োজন হয়। এত সুন্দর করে কাটানো সময়টার বিবরণী দিয়ে ছবির মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করাই ধন্যবাদ ভাই।