"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৩৯//নাটক রিভিউ
আজ - ১৮ ভাদ্র| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৩৯)
- আজ ১৮ই ভাদ্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ১৩ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ২৫শ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৩৯ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
ইতিপূর্বে আপনারা জেনেছেন যে বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রেগন্যান্ট। অথচ বাসার সাহেব এটা কোনভাবেই মেনে নিতে চাচ্ছে না সে কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী যার সঙ্গে কি না তার বিয়ে হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সে এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। কিন্তু বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী সকলের কাছে বলছে যে তার আবার বাবু আসবে নতুন করে। এ ব্যাপারটা শোনার পরে বাসার সাহেব অনেকটাই ভেঙে পড়েছে এবং বাসার সাহেবের বোন অনেক বেশি কান্না করছে সেই সাথে বাসার সাহেবের কোন সন্তান এটা মেনে নিতে পারছে না। আপনারা অনেক আগে থেকেই জানেন যে চঞ্চল চৌধুরী বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে অনেকটাই ভাব জমিয়ে ফেলেছে কারণ তাদের দুজনের মাঝে খুবই মিল এবং দুজন দুজনকে অনেক বেশি সমর্থন করে। শুধুমাত্র চঞ্চল চৌধুরী এটা শোনার পরে খুবই খুশি হয়েছে এবং তার মাকে সাপোর্ট করছে।
৩৯ তম পর্বে এসে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং ভাষা সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী তাদের অনাগত সন্তান নিয়ে কথা বলছে এবং চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি খুশি। কিন্তু তার বাকি ভাই গুলো এ ব্যাপারটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না সেইসাথে এলাকাবাসী ও এটা কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না। যদিও বাসা সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী এখন পর্যন্ত বলে যাচ্ছে যে এই সন্তান বাসার সাহেবের। নাটকের এ পর্যায়ে এসে আমি রীতিমতো হতাশ...!!আসলে এখানে কে সত্য কথা বলছে বাসার সাহেব..?? নাকি তার দ্বিতীয় স্ত্রী..??
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে অর্থাৎ আরফান চলে যায় সেই কবিরাজ এর কাছে। কবিরাজ এর কাছে যাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য যে কবিরাজ তাকে যদি তাবিজের মাধ্যমে তার প্রেমিকাকে তার কাছে এনে দিতে পারে মূলত এই ব্যাপারেই আরফান কবিরাজ এর কাছে যায় এবং কবিরাজ তাকে কিছু একটা দিয়ে বলে যে তোমার প্রেমিকার বাসার সামনে গিয়ে এটা ফেলে আসবে তারপরেই তোমার প্রেমিকা তোমার উপরে অনেকটাই মায়া দেখাবে।
নাটকের এই অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বর্তমান সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অনেক রকম তাবিজ কবজ করে থাকে। আমি মনে করি এটা কখনোই ঠিক না কারণ ভালোবাসা থাকলে মানুষটা আপনা আপনি কাছে চলে আসবে এ সকল তাবিজ কবজ করে কখনোই কাউকে চিরদিনের জন্য আপন করে রাখা যায় না। যদিও এই অংশটা বাস্তব সমাজের সঙ্গে মিল রেখে পরিচালক আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের সন্তানগুলো তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান আসবে এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তারা এটা মেনে নিয়েছিল যে তার বাবা বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে, ঠিক আছে এটা কোন সমস্যা না। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তার বাবা আরেকটা সন্তানের বাবা হবে এটা তার কোন সন্তানই মেনে নিতে পারছে না বিশেষ করে বাসার সাহেবের বড় ছেলে এটা মানতেই পারছে না আর এ নিয়ে তাদের ভাইদের মধ্যে মাঝে মাঝে তর্ক বিতর্ক চলছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং তার ফুপু একে অপরের সঙ্গে তাদের অনাগত ভাইয়ের নিয়ে কথা বলছে। চঞ্চল চৌধুরী মহা খুশি কারণ তার আরেকটি ভাই আসছে কিন্তু তার ফুপু এটা কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না। চঞ্চল চৌধুরী থাকি অনেক রকম ভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু সে কোনোভাবেই বুঝতে নারাজ সে সমাজ এবং আশেপাশের মানুষদের নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত এবং তারা কি ভাববে এটাই ভেবে কান্না করছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় কান্না করাটাই স্বাভাবিক কারণ বৃদ্ধ বয়সে এসে এরকম একটা ঘটনা ঘটবে আর এই ঘটনা দেখার জন্য কেউই তেমন একটা প্রস্তুত থাকে না। এরকম কোন ঘটনা যদি আমাদের সঙ্গে ঘটতো আমরাও এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারতাম না আসলে এটা মেনে নেওয়ার প্রায় অসম্ভব। এই নাটকটা এ কারণেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে যা বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে পরিচালক তৈরি করেছে।
এর পরের অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান কবিরাজ এর কাছ থেকে যেই পাথর নিয়ে এসেছিল এবং কবিরাজ তাকে যেরকম ভাবে বলেছিল যে তোমার প্রেমিকার বাসার সামনে গিয়ে পাথরগুলো তার আর ঘর উদ্দেশ্য করে ছুড়ে মারবে ঠিক তেমনি ভাবে আরফান পুকুর থেকে গোসল করে পাথরগুলো তার প্রেমিকার ঘরের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারে। রাতের বেলা নাদিয়া একা একা রুমের মধ্যে শুয়েছিল আর শুয়ে থেকে সে চঞ্চল চৌধুরীর কথা ভাবছিল মূলত তার সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে সে হাসছিল। যখন আরফান সেই পাথরগুলো তার রুমের উদ্দেশ্যে করে ছুড়ে মারলে তখন শব্দ হচ্ছিল আর নাদিয়া হয়তোবা ভেবেছিল যে চঞ্চল চৌধুরী এসেছে এবং তাকে ডাকছে সে অনেকটাই খুশি ছিল সেই সময়টাতে।
এখনকার প্রেম যদিও আগের প্রেমের থেকে অনেকটাই আলাদা এখনকার প্রেমে সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগেকার প্রেমগুলো অনেকটাই রোমাঞ্চকর ছিল অনেক বেশি কারণ প্রেমিকাদের অনেক রকম সংকেত দেওয়া থাকতো আর সেই সংকেতকে উপলক্ষ করে তারা প্রেমের তথ্য আদান প্রদান করে থাকতো। এই ব্যাপারটা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৩৯ পর্বের রিভিউ। অনেকদিন পরে আপনাদের মাঝে আবার রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম যদিও এখন থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করব একটি সপ্তাহে একটি করে রিভিউ শেয়ার করার। আশা করছি এই রিভিউটি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৩৯ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে আজকে শেয়ার করেছেন। আসলে এই নাটকগুলো একসময় আমি দেখতাম কিন্তু অনেকগুলো পর্ব থাকার কারণে আর দেখতে ভালো লাগে না। আপনি বেশ অসাধারণ ভাবে প্রতিটা স্টেপ স্ক্রিনশট মেরে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই এই নাটকটি অনেকগুলো পর্ব রয়েছে আর এই অনেকগুলো পর্বের মধ্যে আমি এইমাত্র কয়েকটি পর্ব আপনাদের মাঝে এখন পর্যন্ত শেয়ার করেছি চেষ্টা করে যাবো প্রতিটি পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটকটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে বর্তমানে কোন পরিবার চায় না যে তার মায়ের অবর্তমানে অন্য কোন মেয়েকে তার বাবা বিয়ে করুক। কারণ অন্য মেয়ে বিয়ে করলে বাড়িতে আনলে বাড়িতে আনলে অশান্তি হবে এই ভয়টা সবার মাঝে কাজ করে ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে সন্তানেরা কখনই চায় না যে তার মায়ের স্থান অন্য কেউ এসে সেটা দখল করুক যার কারণেই সন্তানেরা বাবাকে দিয়ে দিতে চায় না তবে সকল পরিবার এক নয়। নাটকটা এখানে এসে অনেকটা ঝামেলার মধ্যে পড়ে গিয়েছে তবে দেখতে খুব ভালো লাগছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে এই নাটকের ৩৯তম পর্বের রিভিউ করে ফেলেছেন আপনি৷ এই নাটকটি আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে নাটক সম্পর্কে জানতে পারলাম। একই সাথে আপনার এই নাটকের রিভিউ আমি ভালোভাবে পড়লাম৷ আর আপনার দেওয়া লিংক থেকে এই নাটকটি আমি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই এই নাটকটি দেখবেন আশা করছি আপনার খুবই ভালো লাগবে এবং নাটকটি অনেক বেশি শিক্ষনীয়। আর প্রকৃতির মাঝে নাটকটি করার কারণে এটি আরো বেশি সুন্দর দেখায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেখতে দেখতে আপনি নাটকের অনেকগুলো পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নাটকটি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আমি সময় পেলে মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মধ্যে দেওয়ার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি সময় পেলে মাঝে মাঝে নাটক দেখার চেষ্টা করেন যেন ভালো লাগলো।