বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে একদিন
আজ - ১৫ শ্রাবণ| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বর্ষাকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন জনপ্রিয় কয়েকটি কমিউনিটির মধ্যে একটি। এটা ভাবতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে,সেই সাথে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হয়ে।
- আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে একদিন
- আজ ১৫ইশ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!
লেখাপড়া কিংবা কোন কাজ কর্ম করার জন্য আমরা মাঝে মাঝেই তেপান্তর থেকে দূর তেপান্তরে যাওয়া আসা করে থাকি। ঠিক তেমনি ভাবে যেহেতু আমি কারিগরি শাখার একজন শিক্ষার্থী ছিলাম সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই খুবই ঘনিষ্ঠ একটা সংযোগ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। যদিও নিজের কারণে কখনো বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে তেমন একটা যাওয়া হয়ে ওঠেনি কারণ আমার সেই রকম ভাবে কখনোই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ মনে করিনি। কিন্তু সহপাঠী এবং বড় ভাই ছোট ভাই এদের কারণে কয়েকবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়া হয়েছিল। শেষ যেবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলাম সেটা ছিল যখন কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলাম সেই সময়টাতে। সেই সময় আমার এক বন্ধুর কিছু কাগজপত্রের ঝামেলা থাকার কারণে আমি আর আমার বন্ধু দুজন মিলে এসেছিলাম বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে। সেখানে এসে তার কাজকর্ম ঠিকঠাক করে বাসায় চলে গিয়েছিলাম তারপর থেকে আর কখনোই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়া হয়নি। অনেকদিন বাদে আজ আবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলাম।
আজকেও যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলাম সেটা নিজের কারণে নয়। আমার বাসায় এক বড় ভাই আছে সেই বড় ভাইয়ের কিছু কাগজপত্রের ঝামেলা ছিল যার কারণেই ভাইয়ের সঙ্গে আমার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়া লেগেছিল। আমি যেই ফ্ল্যাটে থাকি সেই ফ্ল্যাটের বড় ভাই গ্রাজুয়েশন শেষ করে এখন সে হায়ার এডুকেশন এর জন্য বিদেশে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে জন্যই কাগজপত্র এখন ঠিকঠাক করতে হবে। আর কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে হলে অবশ্যই তাকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে কারণ সে যেহেতু একজন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থী। যদিও আমার যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছে ছিল না কিন্তু ভাইয়ের কথাতে আর না করতে পারিনি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রুমে শুয়ে ছিলাম হঠাৎ ভাইয়ের আগমন।
ভাই এসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার কথা বলল তখন কোন কিছু না ভেবেই দ্রুত রেডি হয়ে ভাই আর আমি দুজন মিলে রওনা হয়ে গেলাম কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার জন্য। যদিও তখন প্রায় সাড়ে বারোটা থেকে একটা বেজে গিয়েছিল এই সময়টাতে প্রচন্ড গরম পড়ে আর এই গরমের সময় বাহিরে যেতে কিছুতেই মন চায় না। এই সময় যারা বাহিরে থাকেন একমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন যে কতটা গরম পড়ে, গরমে গা ঘেমে টি-শার্ট ভিজে যাচ্ছিল যদিও এই অতিরিক্ত গরম নিপাত করার ক্ষমতা আমার কোনোভাবেই নেই।
যেহেতু বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আগারগাঁওয়ে অবস্থিত তাই আমরা ভেবেছিলাম বাসে করে সেখানে যাব। কিন্তু এই গরমের মধ্যে বাসে ওঠার সাহস আর হয়নি। তাই আমরা ছোট্ট একটা লেগুনাতে করে প্রথমে শ্যামলী চলে যাই আর সেখান থেকে রিক্সা করে চলে যায় আগারগাঁও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে।
Location |
---|
Device :realme 6i |
আমরা প্রায় বসা থেকে বের হওয়ার পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পৌঁছে যাই। যদিও এর আগে ভাই কাগজপত্র জমা দিয়ে গিয়েছিল আর কিছু কাগজপত্র ছিল যেগুলো জমা দেওয়ার জন্য এসেছিল। তেমন একটা বেশি কাজ কর্ম ছিল না কিন্তু কারিগরি বোর্ডে যাওয়ার পরে শুরু হল ইহা বড় এক ঝামেলা। ঝামেলাটা হচ্ছে ভাই অনেক আগে কিছু কাগজপত্র দিয়ে গিয়েছিল সেগুলো নেওয়ার পরে ভাই যে কাগজপত্র গুলো জমা দেবে সেগুলো সাবমিট করার পরে হঠাৎ তাকে কল করা হয়। ফোন দিয়ে বলা হয় যে তাকে আবার কাউন্টারে আসতে হবে আমি আর ভাই খুব দ্রুতই কাউন্টারে গিয়ে সেই লোকের সঙ্গে দেখা করলাম তিনি বলল যে তার পলিটেকনিকের সিআই স্যারের সিগনেচার এবং সিল দুটোই এখানে নেই যার কারণে নতুন করে আবার সেগুলো যুক্ত করতে হবে।
শুরু হয়ে গেল নতুন এক ঝামেলা। আমরা যেই কাগজটা জমা দিয়েছিলাম সেটা হয়তোবা আমরা দুদিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে যেতাম কিন্তু এই সিগনেচার এবং সিল না থাকার কারণে এটা আরো দু থেকে চারদিন দেরিতে জমা দিতে হবে এবং নিতে হবে আরও তিন চার দিন পরে। যেহেতু স্যারের সিগনেচার এবং সেখানে আর আমরা কিছুই করতে পারছিলাম না আমাদের ফিরে আসা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। আমরা তাকে অনেক রকম ভাবে রিকোয়েস্ট করেছিলাম কিন্তু সে আমাদের কোন রিকুয়েস্ট রাখেন নি। এরপরে অনেক রকম ভাবেই বলা হলো কিন্তু কোন কাজ হয়নি যদিও অনেক বেশি খারাপ লাগছিল কিন্তু কিছু বলার ছিল না।
Location |
---|
Device :realme 6i |
এরপরে আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বের হয়ে চলে যাই ভাইয়ের পলিটেকনিকে। এতটা বেশি গরম লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বের হয়ে আমরা লেবুর শরবত খেয়েছিলাম সেই সময়টাতে লেবুর শরবত খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগছিল শরীরটা একদম ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। যদিও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ভাইয়ের পলিটেকনিক এমন একটা বেশি দূরে ছিল না তাই খুব দ্রুতই আমরা ভাইয়ের পলিটেকনিকে গিয়ে স্যারের সিগনেচার এবং সিল দুটো নিয়ে ভেবেছিলাম যে আবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ড যাব কিন্তু অনেক বেশি গরম লাগার কারণে আর আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যায়নি। দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আগামীকাল আবার আসবো।
এরপরে আমরা বাসে করে খুব দ্রুতই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম যদিও বাসের মধ্যে যখন আসলাম অনেক বেশি গরমে প্রায় জীবন যায় যায় এক অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। এরপরে দ্রুত বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
আজ আর নয় এখানেই আমি আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট শেষ করছি আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে একদিন |
পোস্টের কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই মানুষকে যেকোনো সময়ে যেকোনো কাজে যেকোনো জায়গায় ছুটতে হয় পাখির মতোই।তেমনি আপনিও নানা কারণে নানা ভাইদের সঙ্গে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলেন।আপনি আপনার ফ্ল্যাটের বড় ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে রিকুয়েস্ট করার পর ও তিনি সিগনেচার করেন নি জেনে খারাপ লাগলো।আসলে কাগজপত্র ঠিক করা মানেই অনেক ঝামেলার।আশা করি পরের বার কাজ মিটে যাবে,ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের কারনে না হলেও বড় ভাই কিংবা ছোট ভাইদের কারনে আপনি কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছেন।সেদিন ও গেলেন বড় ভাই এর কাগজের জন্য। সেই কাগজ জমা দিলে ও স্যারের সিগনেচারের জন্য জমা রাখছিলো না।আপনারা দুজন এই গরমে অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন।আসলে যে গরম পরেছে তাতে সুস্থ থাকাটাই দায়।আপনারা লেবুর শরবত খেয়ে শরীর শীতল করে নিলেন।এই গরমের কারনে সেদিন আর কাজ না হলেও পরের দিন কাজটি শেষ হবে আশা করা যায়। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।