খুব কাছের মানুষের হঠাৎ মৃত্যু--//পর্ব:--০১
আজ - ১৭ ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- প্রিয় মানুষের হঠাৎ মৃত্যু
- আজ ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
আমাদের জীবনে মৃত্যু কখন কিভাবে চলে আসে সেটা আমরা কখনোই আগে থেকে জানতে পারি না। মৃত্যু এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের জীবনে হঠাৎ করেই চলে আসে। আমরা না অনেক আগে থেকে সেটা আন্দাজ করতে পারি না আমরা কখনো বুঝতে পারি। আমরা যদি মৃত্যুর খবরটা অনেক আগে থেকেই জানতে পারতাম তাহলে একবার ভাবুন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে আপনি কি করতেন..?আপনি কোথায় যেতেন..?? মৃত্যুর আগ মুহূর্তে যদি আমরা জানতাম যে এই নির্দিষ্ট একটা সময় পরে আমি মারা যাব তাহলে হয়তো পৃথিবীতে এরকম ভাবে আমরা বেঁচে থাকতাম না আমরা কখনোই আমাদের নিজেদের সুখের জন্য আমরা দেশ-বিদেশ পাড়ি দিতাম না। এত কষ্ট এত দুঃখ আমরা কখনোই পেতাম না নিজের বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করতাম না। কারণ মানুষ যা উপার্জন করে সেটা যদি সে ব্যবহার করতে না পারে তাহলে এত এত উপার্জন দিয়ে সেই মানুষটার কি হবে...!! কোন কিছুতেই তেমন একটা লাভ খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা মানুষেরা জানি যে আমরা নির্দিষ্ট একটা সময় পরে মারা যাবো কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময় পার হবার আগেই যদি মারা যাই তাহলে এর থেকে বড় আফসোস আরকিবা হতে পারে..!!
মৃত্যুর কথা শুনলে আমরা অনেকেই অনেক বেশি ভয় পাই। কারন আমরা এটা বিশ্বাস করি যে মানুষের সমস্ত রকমের শক্তি ক্ষমতা দাপট সেই সাথে নিজের শরীর সহ সমস্ত কিছু শেষ হয়ে যায় এই মৃত্যুর মাধ্যমে। মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা এই দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাই কেউ যদি আমাদেরকে সারা দুনিয়া তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়ায় তবুও আমরা কোথাও কাউকে দেখা দিতে পারব না অথবা কেউ আমাদেরকে খুঁজে পাবেনা। মৃত্যুর পরে আমাদের আরো একটি পার্ট থাকে সেটা আখিরাত অনেকেই হয়তোবা সেই জীবন নিয়ে ভাবেন যার কারণেই হয়তোবা মৃত্যুকে নিয়ে সকলের এতটা ভয় কাজ করে বরাবরই। এটা সত্য যে এই মৃত্যুর হাত থেকে কেউ কখনোই রেহাই পাবে না সকলের জীবনেই মৃত্যু আসবে। সকলের জীবনে এই মৃত্যু এসে সমস্ত রকমের ক্ষমতা শক্তি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেবে।
যাইহোক, কিছু কিছু মৃত্যু আছে যে মৃত্যু গুলো খুবই স্বাভাবিক স্বাভাবিকভাবেই কারো মৃত্যু হলে কষ্ট হয় এটা সত্য তবে সেই কষ্টটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ঠিক একই রকম ভাবে কিছু কিছু মৃত্যু আছে যে মৃত্যু গুলো খুবই অস্বাভাবিক আর সেই মৃত্যুর খবরগুলো আমাদের কানে আসলে সেটা আমরা কখনোই ভালোভাবে মেনে নিতে পারি না অনেকটাই বেশি কষ্ট হয় খারাপ লাগে কিন্তু এই কষ্ট লাগা এবং খারাপ লাগাটা কখনোই কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। পৃথিবীতে এমন অনেক কাজ আছে এমন অনেক কিছু আছে যেগুলো আমরা মেনে নিতে পারি না তবুও আমাদেরকে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে মেনে নিতে হয়। আর মেনে নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিছুদিন আগে ঠিক এরকমই একটি মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছি যেটা শোনার পরে অনেকটাই দুঃখ লেগেছে কষ্ট লেগেছে। কিন্তু এই দুঃখ এবং কষ্টের কথা কাউকে বলে বোঝাতে পারছি না যখনই মনে পড়ছে অনেকটাই খারাপ লাগছে বারবার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে। কতইনা সুন্দর সময় কাটিয়েছি সেই মানুষটার সঙ্গে আর আজ সেই মানুষটাই আমাদের মাঝে নেই, ভাবতেই অনেক বেশি খারাপ লাগছে।
খুবই ছোট্ট একটি গ্রাম আর সেই গ্রামে দুরন্তপনা একটা ছেলে ছিল। ছেলেটা ভীষণ ভালো ফুটবল খেল। বলতে পারেন সে ফুটবল খেলায় এতটা বেশি দক্ষ ছিল যে প্রতিদিন বিকেল বেলা স্কুল মাঠে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় বা না যাক সে সবসময়ই অনেক আগে থেকেই ফুটবলটা নিয়ে এসে মাঠের মধ্যে দৌড়ে বেড়াতো। ছেলেটা আমার খুব কাছের যদিও আমি সেই ছেলেটার নাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব না আমি তার ছদ্মনাম হিসেবে রফিক নামেই স্মরণ করব। এই রফিকের সাথে কত যে ফুটবল খেলেছি বলে বোঝানো যাবে না যেহেতু খুব ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি আর বিকেল বেলা ফুটবল খেলার প্রতি অন্যরকম এক টান থাকতো সবসময়ই। এভাবেই কাটছিল যদিও রফিক বয়সে আমার থেকে চার থেকে পাঁচ বছরের বড় তবে একসাথে থাকার কারণে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। ফুটবল খেলার সময় তার সঙ্গে অনেকবার কথা কাটাকাটি হাতাহাতি মারামারি অনেক কিছুই হয়েছে কিন্তু এগুলো আমাদেরকে কখনই দূরে ঠেলে দেয়নি। যখনই খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে তখনই আবার একে অপরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
এই রফিকেরা ছিল দুই ভাই এর বাবা ঢাকায় চাকরি করে আর মা সহ দুই ভাই গ্রামের বাড়িতেই থাকে। রফিক লেখাপড়ায় অনেক বেশি ভালো ছিল কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারলাম যে রফিক হঠাৎ বিয়ে করে ফেলেছে। আর যাকে বিয়ে করেছে সে আমার মাধ্যমিক লাইফের বান্ধবী। আমরা একসঙ্গে মাধ্যমিকে লেখাপড়া করতাম। সুতরাং তার স্ত্রীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি এবং খুব ভালোভাবেই চিনি কারণ তার স্ত্রী আমার খুব ভালো একজন বান্ধবী ছিল। যখন স্কুলের টিফিন পিরিয়ড চলত তখন আমরা অনেকেই একত্রে বসে গল্প করতাম তার মধ্যে রফিকের স্ত্রী ছিল একজন। এরপরে হঠাৎ রফিকের সঙ্গে দেখা হলে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক রকম কথা হয় আড্ডা হয় বেশ ভালো সময় কাটছিল।
রফিক লেখাপড়ায় ভালো থাকার কারণে সে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল এবং পাশাপাশি ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতো আর তার স্ত্রী বাসায় থাকতো। যদিও তাদের এই বিয়ে রফিকের পরিবার কখনোই মেনে নেয়নি কিন্তু রফিকের স্ত্রীর পরিবার অনেক আগেই মেনে নিয়েছে এবং রফিকের স্ত্রীর বাড়িতেই সেই বিয়েটা সম্পন্ন হয়েছিল বলে আমি জেনেছিলাম। রফিকের বাবা ছিল খুবই রাগান্বিত একজন মানুষ সে তার ছেলেকে মেনে নেয়নি প্রায় দেড় থেকে দু বছর। এরপর থেকে দু বছর রফিক তার শ্বশুরবাড়িতেই থেকেছে।
এবার তাহলে আপনারাই ব্যাপারটা অনুধাবন করুন যে একটা ছেলে বিয়ে করেছে কিন্তু তার বাবা তাকে মেনে নেয়নি তার থাকার কোন জায়গা নেই যার কারণে সে তার শ্বশুরবাড়িতে থেকেছে প্রায় দু বছর। এর থেকে কষ্টের এর থেকে দুঃখের আর কি হতে পারে একটা ছেলের কাছে একবার ভাবুন তাহলে..!! ছেলেটা ছিল অত্যন্ত ধৈর্যশীল যার কারনেই হয়তো বা শ্বশুরবাড়িতে এতদিন থেকেছে যদিও শ্বশুরবাড়িতে এরকম থাকাটা গ্রাম গঞ্জের মানুষ তেমন একটা ভালো চোখে দেখে না বরাবরই তাকে খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু এদিকে সব থেকে বেশি ব্যতিক্রম ছিল তার শশুর তার শশুর তাকে নিজের ছেলের মত তার নিজের বাসায় রেখেছে এবং তার সমস্ত রকমের আবদার মিটিয়েছে এক্ষেত্রে তার বাবা প্রায় দু বছর তার কোন খোঁজ খবর রাখেনি। রফিক বিয়ে করার পরে তার সঙ্গে ঠিক তেমন ঐরকম ভাবে কখনোই দেখা হয়নি কারণ সে তো আমাদের এলাকায় থাকতো না সে তার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় থাকতো যার কারণে দেখা-সাক্ষাৎ খুবই কম হতো।
কখনো দেখা হলে অবশ্যই অনেকক্ষণ গল্প করতাম তার পরিবার নিয়ে বর্তমান অবস্থান নিয়ে মাঝে মাঝে আমাদের এলাকায় আসতো ফুটবল খেলার জন্য আমরা সকলে মিলে ফুটবল খেলতাম ফুটবল খেলা শেষে অনেক রকম গল্প করতাম যেগুলো এখন খুবই মনে পড়ে। রফিক ঢাকা শহরে একটা চাকরি করতো কিন্তু সকল শশুর শাশুড়ি বাবা মা চায় যে তার সন্তানেরা একটু ভালো থাকুক একটু স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করুক। এই স্বাচ্ছন্দময় জীবন যাপন করতে অনেকেই হয়তো বা দেশের বাহিরে চলে যায় ঠিক তেমনিভাবে রফিক তার শ্বশুরের কথামতো বিদেশ যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এই বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তার বাবা-মা কখনোই রাজি ছিল না, তবুও সে তার বাবা-মার কথার বিরুদ্ধে বিদেশ যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই নেয়......!!!
এটাই ছিল আমার আজকের পোষ্টের মূল বিষয়বস্ত। যদিও এখানে আমি পুরো ব্যাপারটা তুলে ধরতে পারিনি খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে পুরো ব্যাপারটা চমৎকারভাবে তুলে ধরবো। আশা করছি এই গল্পটা আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লাগবে সেই সাথে অনেক বেশি খারাপ লাগবে যেমনটা আমার লেগেছে। যাইহোক কেউ ধৈর্যহারা হবেন না অবশ্যই গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন বলে আশা রাখি।
আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | খুব কাছের মানুষের হঠাৎ মৃত্যু--//পর্ব:--০১ |
পোষ্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নিজের কাছের মানুষের হঠাৎ চলে যাওয়া আসলেই মেনে নেওয়া সম্ভব না।একসাথে ফুটবল খেলতেন আপনি এবং রফিক।কিন্তু আর ফুটবল খেলতে পারবেন না,আপনার কাছের মানুষটি যে আর নেই।আল্লাহ তাকে পরকালে ভালো রাখুক।এমনটাই দোয়া রইল।ধন্যবাদ ভাইয়া নিজের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করার জন্য।
কাছের মানুষগুলো যখন হঠাৎ করে অনেক দূরে সরে যায় তখন সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগে এবং কষ্ট হয়। এটা মেনে নেওয়াটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মানুষ মাত্রই মরণশীল। প্রত্যেকটা মানুষকে একদিন চলে যেতে হবে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। সেটা আজ হোক অথবা কাল হোক। তবে মৃত্যুর মধ্যে কিছু মৃত্যু আছে, যেগুলো মানুষকে ব্যথিত করে। ভাই আপনার যেমন হয়েছে ঠিক কিছুদিন আগে আমারও একটা বড় ভাই এভাবেই আলে গেছে। তার মৃত্যুতে আমরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। প্রতিটা মানুষ ব্যতীত হয়েছে। কিছু মানুষ থাকে তারা চলে যায় কিন্তু কাঁদিয়ে যায় সবাইকে।
প্রিয় মানুষের মৃত্যুতে সকলে কষ্ট পাবে এটাই স্বাভাবিক তবে এই মৃত্যুটা যখন অস্বাভাবিকভাবে হয় তখন সেটা মেনে নিতে অনেক বেশি কষ্ট হয় তবুও আমরা মেনে নেই। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটি প্রকৃত সত্য। তবে কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কাছের প্রিয় মানুষ গুলো যখন পৃথিবী থেকে চলে যায় তখন হৃদয়ে খুব বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়। কাছের মানুষের কিছু স্মৃতি কখনো ভুলে যায় না। রফিক ভাই এভাবে চলে যাবে তা কিন্তু খুবই কষ্টের। গল্পের আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু স্মৃতি আছে যে স্মৃতিগুলো কখনোই ভুলে থাকা সম্ভব নয় ছোটবেলার স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন অনেকটাই খারাপ লাগে এবং কষ্ট হয়। কিন্তু নিজে কিছু করতে পারিনা, মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের চারপাশের এমন কিছু আপনজন মানুষ আছে আসলে তাদের হঠাৎ মৃত্যু টা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। যা আপনার কাছের মানুষের মৃত্যুটা এমনই হলো। রফিকের গল্পটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। কিন্তু পরবর্তীতে পুরো পর্ব পড়বো অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য। ওনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
রফিকের মৃত্যুটা অনেকটাই অস্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল কি হয়েছিল সেটা এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারে না। যখনই ওর কথা মনে পড়ে তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে কষ্ট পাই। খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হব মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া আপনজনের চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।তবে মৃত্যু অনিবার্য একথা আমাদের মেনে নিতেই হবে।জীব মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে ভাইয়া কোন বাবা মা চায় না তাদের সন্তান তাদের বিরুদ্ধে কিছু করুক। রফিকের বাবা মাও হয়তো মেনে নিতে পারেনি।রফিকের ওপর অভিমান করেছে। যাইহোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
সন্তান যখন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায় তখন পিতা মাতার যে কতটা খারাপ লাগে সেদিন আমি বুঝেছিলাম সেদিন ওর বাবা-মার কান্না দেখে এতটা খারাপ লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। কিছু কিছু কষ্ট হয়ত সারা জীবন মনে থাকে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মানুষ মাত্রই মরনশীল।কিন্তু তারপরেও এমন কিছু মৃত্যু আছে যা মেনে নেয়া যায় না।আপনার থেকে কিছু বছরের বড় যার ছদ্ম নাম রফিক তার গল্পটি পড়ে আসলে খারাপই লাগলো।বাবা-মা পাশে না থাকলে যেকোনো সন্তানের জন্য ই তা দুঃখজনক।এরপরে আসলে বিদেশ কি গিয়েছিল কিনা তা জানতে হলে পরের পর্ব পড়তে হবে।আশাকরি খুব শীঘ্রই জানতে পারবো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে গল্পটি তুলে ধরার জন্য।
আসলে পিতা-মাতা যখন পাশে থাকে না তখন সন্তানদেরকে কতটা কষ্ট হয় সেটা অনেক আগেই বুঝেছিলাম এখন আবারও বুঝি। খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব তখন পুরো ব্যাপারটা আশা করি বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।