ভার্সিটিতে এক্সট্রা ক্লাসের প্যারা
আজ - ০৭ আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ভার্সিটিতে এক্সট্রা ক্লাস
- আজ ০৭মআশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে......!!
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে ভর্তি হয়েছি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কিছুদিন আগেই। কিছুদিন আগে প্রথম সেমিস্টার শেষ হয়ে গেল দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে। প্রতি সপ্তাহের মত আজো আমি সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রাইডে শিফটের ক্লাস করতে যাই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমার ক্লাস ছিল সাড়ে সাতটায় আমি সাতটার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যথারীতি ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার পরে দেখি হাতেগোনা 8 থেকে 10 জন ক্লাসে এসেছে যেহেতু সকালবেলা একটু বৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে ক্লাসে উপস্থিত সংখ্যা খুবই কম। যেহেতু নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে তাই আমি রুটিন সেভাবে দেখিনি আমি শুধুমাত্র দেখেছিলাম আমার একটা পনেরো পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে। যার কারনে আমি কোন রকম চাপ না নিয়ে ক্লাস করছিলাম যদিও প্রথম ক্লাসটা হয়নি। প্রথম ক্লাসটা না হওয়ার কারণ আমাদের যেই ম্যাম ক্লাস নেয় তিনি খুবই অসুস্থ।
যথারীতি বসে ছিলাম সকলের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম নতুন মানুষ সকলের সঙ্গেই সে রকম ভাবে এখন পর্যন্ত পরিচয় হয়ে ওঠেনি, হাতেগোনা কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়েছে তাদের সঙ্গেই আড্ডা দিচ্ছিলাম পুরোটা সময়। এরপরে দ্বিতীয় ক্লাস শুরু হল ধাপে ধাপে তৃতীয় ক্লাস শেষ হলো ঠিক একটাই। এরপর চিন্তা ভাবনা করলাম যেহেতু ক্লাস শেষ আমাকে এখন বাসায় যেতে হবে। এরপরে আমি ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম বাইরে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে কিন্তু দেখছিলাম যে কেউ বাহিরে বের হচ্ছে না। পাশে থাকা একজনকে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার সবাই বেরোচ্ছে না কেন কি হয়েছে..?? সে আমাকে বলল কোথায় যাবে আবার আর একটা ক্লাস করতে হবে..!!
এ কথা শোনার পরে আমি অবাক দৃষ্টি তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম কারণ আমি ইতোমধ্যে বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর এখন শুনছি নতুন করে আর একটা ক্লাস করতে হবে। এটা শুনে খুবই খারাপ লাগছিল তখন তাকেই বলে ফেললাম আর একটা ক্লাস আছে নাকি..? সে বলল আমাদের দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত আর একটা ক্লাস আছে। কি আর করার ক্লাস যেহেতু আছে ক্লাস তো করতে হবে। এরপরে ব্যাগ রেখে চলে গেলাম ক্যান্টিনে। ক্যান্টিনে যে তেমন একটা ভালো লাগছিল না খুবই খারাপ লাগছিল কত আশা করেছিলাম বাসায় যাব আর এখন আর একটা ক্লাস করতে হবে তবুও দু'ঘণ্টা পরে।
এরপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আবার দুপুর ২ টা থেকে আমার ক্লাস শুরু হল। যদিও এই ক্লাসটা হওয়ার কথা ছিল এই সপ্তাহ বাদে পরবর্তী সপ্তাহে। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে একটা যে গত সপ্তাহে যেহেতু এই ক্লাসটা হওয়ার কথা ছিল আর এই ক্লাসটা এক সপ্তাহ পরপর হয় সাধারণত। যেহেতু স্যার গত সপ্তাহে ক্লাস নিতে পারেননি তার কারণে এ সপ্তাহে স্যার এক্সট্রা আরেকটা ক্লাস নিয়ে দেবে বলেছে যার কারণে আমাদের আজকে থেকে যেতে হচ্ছে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু নাস্তা করেই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম সেই রকম ভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি এটা এক বড় সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। আর একটা সমস্যা হয়েছিল যে গোসল করতে পারেনি দুপুর হয়ে যাবার পরেও যার কারণে শরীরের মধ্যে সুচ ফোটালে যেরকম অনুভব হয় সারা শরীরে সেরকম অনুভব করছিলাম। এতটা বেশি খারাপ লাগছিল যে ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না।
এরপরেও পুরোটা ক্লাস চেষ্টা করেছি স্যারের লেকচার মনোযোগ দিয়ে শোনার এবং কিছু নোটস করার। যদিও অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল ঘুম ঘুম চোখ বারবার লেগে আসছিল। এরপরেও কিছু করার ছিল না যেহেতু এক্সট্রা ক্লাস নিচ্ছে নতুন করে অনেক কিছুই শেখাবে যার কারণে সমস্ত রকম খারাপ লাগা দূরে ঠেলে দিয়ে এক্সট্রা ক্লাস শেষ হলো ঠিক ৪ টা ১৫। স্যার ১৫ মিনিট ক্লাস বেশি নিয়ে নিয়েছে আর খুবই খারাপ লাগছিল সেই সাথে স্যারের উপরে অনেক বেশি রাগ হচ্ছিল। এরপরে ভার্সিটি শেষ করেই পান্থপথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে গিয়েছিলাম ফার্মগেট। সেখান থেকে একটা লেগুনায় উঠে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডের নামবো ভেবেছিলাম।
কিছুটা সময় আসার পরেই সিগনালে পড়ে গেলাম আকাশে প্রচন্ড মেঘ লেগেছিল সেই সময়টাতে। যদিও আমি বাসা থেকে ছাতা নিয়েই বের হয়েছিলাম তবে অনেকটা বেশি মেঘ লেগেছিল যার কারণে ভেবেছিলাম হয়তো বা ঝড় হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মেঘটা কেটে গিয়েছিল সারাটা দিন মেঘলা মেঘলাই ছিল মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি দু এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল। সিগন্যালে প্রায় কেটে গিয়েছে ২০ মিনিট। এরপরে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড নামার পরেই শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড রকমের বাতাস। যদিও গত রাত্রে বৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে রাস্তায় তেমন একটা ধুলাবালি ছিল না।
এরপরে ছাতাটা মাথায় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসলাম বাসায় এসে পৌছালাম প্রায় 4:50 এর সময়। বাসায় এসে শরীরটা খুবই ক্লান্ত লাগছিল খুবই খারাপ লাগছিল এতটা বেশি খারাপ লাগছিল যে আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না তারপরেও সবকিছু ফেলে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। প্রথমে গোসল, গোসল শেষ করে খুবই ভালো লাগছিল একটু ফ্রেশ ফ্রেশ মনে হচ্ছিল শরীরের মধ্যে যে সুচ ফোটানোর কষ্ট ছিল সেটা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। এর পরে খাবার খেয়ে পোস্ট লেখা শুরু করলাম।
ভার্সিটিতে আজ এক্সট্রা ক্লাসের প্যারা নিতে গিয়ে অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে এবং খুবই খারাপ লেগেছে। এই দিনটা হয়তো বা স্মরণীয় হয়ে থাকবে যার কারণেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। আশা করছি আমার এই অনুভূতির গল্প আপনাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
| বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| বিষয় | ভার্সিটিতে এক্সট্রা ক্লাসের প্যার |
| পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
| অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি তো দেখছি বেশ সচেতন ভাই। মেঘ দেখে বাড়ি থেকে ছাতা নিয়েই বের হয়েছিলেন। আসলেই ঐসময় যদি হঠাৎ করে শুনেন আরেকটি ক্লাস আছে সেটা বেশ প্যারা দেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও নিজের উপর জোর করেই ক্লাসটা শেষ করে এসেছেন দেখে ভালো লাগল। আর এক্সট্রা ক্লাসের প্যারা যে মোটেই সুখকর না এটা আমি ভালোই জানি।।