১৫ জ্যৈষ্ঠ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯ মে,২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি খুব সহজে আপনাদের মাঝে সুস্বাদু নুডুলস রান্না করে দেখাবো। তাহলে চলুন রেসিপির কার্যক্রম শুরু করি। |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | নুডুলসের প্যাকেট | ২টা |
২. | ডিম | ২টি |
৩. | পাকা টমেটো | ২টি |
৪. | কাঁচা মরিচ | ৪টি |
৫. | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
৮. | পানি | পরিমাণ মতো |
৯. | অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ মতো |
| |
প্রথমে চুলার পাড়ের সমস্ত উপাদান গুলো নিয়ে উপস্থিত হলাম। এরপর একটি পাত্রের মধ্যে গরম পানি করতে দিলাম, আর সেই পানির মধ্যে দুই প্যাকেট নুডুল ছেড়ে দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে নুডুল সিদ্ধ হয়ে গেল।
এরপর নুডুলসের পানি ফেলে দিয়ে গরম নুডুলস পাত্রের মধ্যে রেখে দিলাম।
এখন চুলার উপর কড়ায় বসিয়ে দিলাম এবং তার মধ্যে সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হতে থাকলো।
এবার কড়াইয়ের মধ্যে ঝাল পেঁয়াজের কুচিগুলো ও লবণ দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময়ের জন্য ভালোভাবে ভাজতে থাকলাম। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ ভাজা হলো ততক্ষণ খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকলাম। আর এভাবে একটি পর্যায়ে উপাদান গুলো সব ভাজা হয়ে গেল।
এবার এর মধ্যে টমেটোর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর সমস্ত মসলাগুলোর সাথে মিক্সচার করার চেষ্টা করলাম।
এখন কড়াইয়ের সমস্ত উপাদান গুলোর মধ্যে ডিম দুইটা ভেঙে দিলাম। কারণ টমেটো আর ডিম দিয়ে নুডুলস রান্না করলে বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাই একটার জায়গায় দুইটা দিলে আরো বেশি খাওয়ার উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য হবে।
এবার ডিম সমস্ত উপাদানের সাথে মিক্সচার করতে থাকলাম, আর ভাজতে থাকলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে ডিমের পরিবর্তন হয়ে ভাজা হতে থাকলো।
এবার সিদ্ধ নুডুলস কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। আর সমস্ত উপাদান গুলোর সাথে খুন্তি দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে মিক্সচার করতে থাকলাম। আর এভাবেই কিছুটা সময় চুলা জ্বলতে থাকলো আমিও নাড়তে থাকলাম। এরপর হালকা করে পানি দিয়ে দিলাম। কয়এক মিনিটের জন্য কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। সমস্ত উপাদান গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে উঠল।
কিছুটা সময়ের পর লক্ষ্য করলাম ব্যাপক পরিবর্তন এসে গেছে নুডুলসের,সাথে সাথে সুন্দর বাসনা ছড়াতে থাকলো। এরপর চুলার জ্বাল বন্ধ করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর চুলা থেকে নুডুলস নামিয়ে নিলাম। আর এভাবে আমার নুডুলস রান্নার কাজ সম্পন্ন হল।
পরিবেশন
এরপর এ নুডুলস আমার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যদের মাঝে বন্টন করলাম। সবাই অতি আনন্দের সাথে আমার এই রেসিপি গ্রহণ করলো। আর এভাবে সম্পন্ন হল আমার নুডুলস রান্নার কার্যক্রম ও রেসিপি পরিবেশন এর কার্যক্রম।
Photo device | Itel vision 1-8mp |
বিষয় | সুস্বাদু রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আমার পছন্দের একটি রেসিপি আপু আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।আমিও মাঝে মাঝে টমেটো নুডুলস দিয়ে এভাবে রান্না করে খাই।আজ আপনার নুডুলস রান্নার কালারটি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক ভালো হয়েছে। রান্নার পরিবেশটিও খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে অনেক।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
নুডুলস হচ্ছে আমার সবথেকে প্রিয় খাবার তবে নুডুলস যদি ডিম এবং টমেটো দিয়ে এভাবে তৈরি করা হয় তাহলে তো একাই দুই থেকে তিনজনের খাবার আমি খেয়ে দিতে পারব। সত্যি বলতে আপনার তৈরি করা নুডুলস এর রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দেখে জিভে জল চলে আসলো। খাওয়া তো আর হবে না যাই হোক দেখেই স্বাদ মিটাই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম চমৎকার একটি এবং আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এটা আমারও প্রিয় একটি খাবার।
নুডুলস খেতে আমি সবসময়ই পছন্দ করি। আমার ছেলে নুডুলস খেতে আরো বেশি পছন্দ করে। সকাল কিংবা বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতে ভালো লাগে। আপনার নুডুলস দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। বুঝতে পেরেছি আজকেই নুডুলস রান্না করে খেতে হবে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও ঠিক আপনার মত পছন্দ করি।
আপু আপনি আজকে মনের মতো একটা খাবার তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আমিও মাঝেমধ্যে নুডুলসের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করি অনেক ভালো লাগে। ডিম আর টমেটো দিয়ে বেশ দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। বিকাল বেলায় এ ধরনের ফাস্টফুড খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ডিম টমেটো দিয়ে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে।
ডিম দিয়ে নুডুলস রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। তবে টমেটো দিয়ে খাওয়া হয়নি। একবার গাজর দিয়ে খেয়েছিলাম। মনে হচ্ছে টমেটো দিয়ে খেতে ভালো লাগবে। আপনার কাছে এই নতুন রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো আপু।
আমিও ছোট থেকে পছন্দ করি ভাইয়া।
ছোট বেলা থেকে নুডলস আমার খুব প্রিয়।আপনি ডিম ও টমেটো সুস্বাদু নুডলস বানিয়েছেন। রেসিপি টি দেখতে ইয়াম্মি লাগছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঝটপট রান্নায় চটজলদি খাবার যদি কোনোটা থেকে থাকে, তাহলে আমরা সবচেয়ে আগে নুডুলস এর কথাটাই মনে করি। কেননা খুব সহজে এই রেসিপিটি তৈরি করা যায়। যাইহোক আপু, ডিম টমেটোর সমন্বয়ে খুব মজার নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছেন, এবং প্রতিটি ধাপ শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আমার রেসিপি নিয়ে মন্তব্য করেছেন দেখে।
ডিম টমেটোর সমন্বয়ে সুস্বাদু নুডুলস রেসিপি উপহার দিলেন। আমি এই ধরনের নুডুলস খেতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে বিকেল বেলা হালকা খাবার হিসেবে নুডুলস খেলে খুবই মজা লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও বাসায় বেশি করে টমেটো দিয়ে এভাবেই নুডুলস রান্না করে খায়।আমার কাছে অনেক মজা লাগে যখন টমেটো গুলো মুখে পড়ে নুডুলস এর সাথে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন এবং ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ চেষ্টা করেছি আপু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য
টমেটো দিয়ে মজাদার নুডুলস্ অসাধারণ। নুডুলস্ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি তো ভীষন লোভনীয় করে নুডুলস্ তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে ইস যদি একটু টেষ্ট করতে পারতাম হা হা হা।ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভীষণ ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।