"পেঁপে, কান্দাল আর রুই মাছের মসলাদার ঝোল"
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জে অবস্থান করছি ।
অনেকদিন হলো নিজে কিছু রান্না করি না। আমার মা সব সময় রান্না করে থাকে। আজকে মনে হলো নিজে কিছু রান্না করে খাওয়ানোর। কিন্তু এমন কিছু রান্না করতে চাইছিলাম যেটা খুবই পুষ্টিকর হবে এবং শরীরের জন্য ভালো।আমাদের এলাকায় কলাগাছের কাণ্ডের অভ্যন্তরীণ অংশকে কান্দাল বলে। কান্দাল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটা সবজি। এ পেয়ে আরো উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। পেঁপে এমন একটা সবজি যে সবজি খেলে আমাদের গ্যাস হয় না। তাই আমি আজকে কান্দাল ও পেঁপে দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু ঝোল রান্না করবো।তাহলে চলুন কিভাবে আমি এটা রান্না করেছি আপনাদের পুরো প্রক্রিয়াটা দেখাই।
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
১)পেঁয়াজ কুচি | ১কাপ। |
২) মরিচের গুঁড়া | ১চা চামচ । |
৩) হলুদের গুঁড়া | এক চা চামচ । |
৪) রসুন বাটা | এক টেবিল চামচ । |
৫) লবণ | পরিমাণ মতো । |
৬)সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো । |
৭)জিরা বাটা | ১চা চামচ । |
৮)মরিচ কুচি | হাফ কাপ পরিমাণ । |
৯)মসলা | দুইটি তেজপাতা, এক চা চামচ জিরা। |
১০) পেঁপে ও কলা গাছের (কান্দাল) | পরিমাণ মতো । |
১১)হলুদ, মরিচ দিয়ে মাখানো রুই মাছের পিস | পরিমাণ মতো। |
১২)ধনিয়া গুঁড়া | এক চা চামচ। |
- প্রথমে হলুদ মরিচ দিয়ে মাখানো মাছগুলো কড়াইয়ে তেল দিয়ে ভেজে নিব। ভালো করে মাছগুলো ভেজে আলাদা বাটিতে তুলে রাখবো।
- এখন কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, মরিচ কুচি, তেজপাতা, জিরা সব দিয়ে ভেজে নিব পেঁয়াজের রং হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ।
- তারপর মরিচ, হলুদ, ধনিয়ার গুঁড়া, রসুন বাটা,জিরা বাটা সব দিয়ে মশলা ভালো করে কষাইয়া নিব।এখন কেটে রাখা পেঁপের কুচি এবং কলার মূল বা কান্দাল গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিব। হালকা পানি দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে নাড়তে থাকবো।
- ভালো করে কষানো হয়ে গেলে, এ পর্যায়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে দেখব পানি ফুটতে শুরু করেছে। এখন ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিব।এরপর কিছুক্ষণ মিডিয়াম আঁচে রেখে দিব। মাঝে মাঝে হালকা করে নাড়িয়ে দিব যাতে নিচে লেগে না যায়।
- অবশেষে তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু রুই মাছের ঝোল।আমি একটা সুন্দর বাটিতে এটা ঢেলে নিলাম। দুপুরের খাবারের মেনুতে ছিল আমার এই সুস্বাদু পেঁপে আর কান্দাল দিয়ে রুই মাছের ঝোল। দেখতে যতটা না সুন্দর হয়েছে তার থেকে বেশি মজাদার হয়েছে এই রেসিপি।সবাইকে দুপুরে প্লেটে, প্লেটে দিলাম।সবাই অনেক প্রশংসা করলো। খেতে নাকি অনেক মজা হয়েছে। আমার ছোট বোন মাছ খেতে চায় না। তবে এভাবে ভেজে রান্না করলে খেতে পারে। আমাদের সবার জন্যই মাছ খুবই প্রয়োজনে একটা খাদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য দরকার।বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশএবং দৈহিক বৃদ্ধির জন্য মাছ খুবই দরকার। আশা করি আপনাদের সবার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করছি।আবার অন্যদিন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
---|---|
ধরণ | রেসিপি। |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
ক্যাপচার | @jannat0499 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
পেঁপে, কান্দাল আর রুই মাছের মসলাদার ঝোল রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। রুই মাছের রেসিপি আমার কাছে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
রুই মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে পেঁপে এবং কান্দাল দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি করেছেন। তবে পেঁপে খেলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো হয়। আমাদের বাড়িতে পেঁপে গাছ আছে আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। মজার রেসিপিটি খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু।
পেঁপে, কান্দাল আর রুই মাছের মসলাদার ঝোল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আজকেও আমি রুই মাছের রেসিপি খেয়েছি। আপনার পরিবেশন আমার কাছে দারুন লেগেছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
কলা গাছের এই অংশগুলো দিয়ে মাছ রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। সাথে আবার দেখি পেঁপে দিয়েছেন। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক ভালো লাগলো রেসিপি দেখে।
ধন্যবাদ আপু। রান্না করে দেখবেন অনেক মজা হয়।
পেঁপে সবজিটা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি প্রায় দিনই দেখে সবজি কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করি। এটা সত্যি বলেছেন পেতে সবজিটা খেলে গ্যাসের সমস্যায় অনেক কম হয়। পেঁপে, কান্দাল দিয়ে রুই মাছের চমৎকার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আস্ত দেখছি আপনি আমাদের মাঝে একটা ইউনিক ধরনের রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে এই ধরনের রেসিপিগুলো আমি আগে কখনো খাইনি। এটি আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধরনের রেসিপি। এছাড়াও আপনি এই রেসিপি তৈরির বর্ণনা খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। দেখার মত ছিল আপনার রেসিপি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপির কাজ সম্পন্ন করেছেন। যেখানে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো এমন সুন্দর রেসিপি দেখে।
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।
কলার কান্দাল আমাদের এলাকায় ভিন্ন নাম বলা হয়। খেতে ভীষণ সুস্বাদু কলার এই সবজিটি।কখনো এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি টি ভীষণ সুস্বাদু লাগছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।