খারাপ থেকে ভালো সম্পর্ক। ( শেষ পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকের গল্পটার দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম।
এরপর থেকে বড় ভাই এবং ছোট ভাই কখনো একজন একজনের এর সাথে কথা বলে না এবং কি কোন অনুষ্ঠান বা ঈদেও তাদের কথা বলা হয় না। এবং তাদের বাই দুটি সম্পর্কে এমন হয়ে গেল তারা সুযোগ ফেলে একজনকে একজনে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা করতেন। আর বউ দুটির কথা না বললেই চলে। এদিকে তাদের ছেলে এবং মেয়েটিও বড় হচ্ছে। বড় ভাইয়ের ছেলে কলেজে পড়তেছে। এবং ছোট ভাইয়ের মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়তেছে। বড় ভাইয়ের ছেলে এবং ছোট ভাইয়ের মেয়ের সম্পর্ক অনেক খারাপ। একজনের সাথে একজন কথা বলে না।
বড় ভাইয়ের ছেলের নাম হচ্ছে আরিফ এবং ছোট ভাইয়ের মেয়ের নাম হচ্ছে রিবা। তাদের মা বাবার মত তাদের মত এরকম সম্পর্ক একজন একজনের ছায়া দেখতে পারেনা। যখন দিবা এসএসসি পরীক্ষা পাস করলেন তখন সে কলেজে ভর্তি হলেন। তবে বড় ভাইয়ের ছেলে আরিফ ও ছোট ভাইয়ের মেয়ের রিবা দুইজনে একই কলেজে পড়তেন। কলেজের তারা দুইজন কথা বলেন কিন্তু বাড়িতে আসলে তারা দুইজন কারো সাথে কেউ কথা বলে না। আস্তে আস্তে আরিফ এবং রিভার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেল। এই কথাগুলো আস্তে আস্তে আরিফ এবং রিভার মায়ের কানে গেলেন। তারা দুইজন কলেজে কথা বলে। এবং তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে।
এদিকে আরিফের মা এবং রিভার মা কথাগুলো বিশ্বাস করে না। কারণ তাদের ছেলে মেয়ের দুটির মধ্যে সম্পর্ক ভালো না। এদিকে আরিফের মা কথাটি তাকে জিজ্ঞেস করল। আরিফ তার মায়ের সামনে রিবাদের ফ্যামিলির কথা বদনাম করতে লাগলো। এবং রিবাদের ফ্যামিলি ভালো না। এদিকে আরিফের মা কথাগুলো শুনে খুব খুশি হলেন। এবং রিভাকেও তার মা জিজ্ঞেস করল। রিবা অনেক গরম হয়ে গেল কথাগুলো শুনে। এর কিছু মাস যাওয়ার পর হঠাৎ করে আরিফ এবং রিবা চুরি করে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর কিছুদিন ব্যাপারটি কেউ জানতেন না। এর কিছু মাস পর আস্তে আস্তে আরিফ এবং রিভার বিয়ের কথা সবাই জানতে পারলেন। এই কথাগুলো আরিফের মা-বাবা এবং রিভার মা-বাবা জানতে পারলেন। এরপর তারা অনেক ঝগড়া করতে লাগলো তাদের ফ্যামিলিতে এবং রিভার মা রিবাকে অনেক মারদোর করল। এবং রিবা কথাগুলো অস্বীকার করতে পারছে না।
কারণ তাদের কাবিননামা তাদের মায়ের ও বাবার হাতে কফি আসলো। এদিকে আরিফকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে তার মা-বাবা বলতে লাগলো রিভাকে তালাক দেওয়ার জন্য। তারপর আরিফও রাজি হয়ে গেল বিভাকে তালাক দেবে। হঠাৎ করে একদিন রাতে রিবা এবং আরিফকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদেরকে পাওয়া গেল আরিফের এক বন্ধুর বাড়িতে। এদিকে আরিফ এবং রিবা বলতে লাগলো তাদের মা-বাবাকে তারা যদি মিল না হয় তারা কখনো বাড়িতে যাবে না। এবং কি মা-বাবাকে তারা পরিচয় দেবে না। এদিকে আরিফের মা-বাবা ও রিভার মা বাবা অনেক চিন্তায় পড়ে গেল। কারণ তাদের একটিমাত্র সন্তান ও একটি মাত্র মেয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে।
এদিকে ভাই দুটি একসাথে হয়ে গেল কিন্তু তাদের ওয়াইফ গুলো রাজি হচ্ছে না। এদিকে ভাই দুটি বলতে লাগলো তাদের ওয়াইফকে তারা দুইজন যদি মিল না হয় এই বয়সে তাদেরকে তারা ডিভোর্স দেবে। এই কথা শুনে আরিফের মা ও রিভার মা ভয় পেয়ে গেলেন। এবং আরিফের মা রিভার মা দুইজনে মিল হয়ে গেল। কারণ আরিফ এবং রিবা তাদেরই সন্তান বলতে লাগলো। তারপর আরিফ এবং রিভার বিয়ে সম্পর্কটি মেনে নিলেন। এরপর তাদের সম্পর্ক এতই ভালো হলো আর বলে শেষ করা যাবে না। ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক ভালো হয়েছে এবং জালে জালে সম্পর্ক ভালো হয়ে গেল। এই সম্পর্ক ভালো হওয়ার একটিমাত্র রাস্তা হচ্ছে আরিফ এবং রিবা। এই হচ্ছে খারাপ থেকে ভালো হওয়ার সম্পর্ক কাহিনী।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
দারুন একটি সম্পর্কের কথা শেয়ার করলেন ভাইয়া। ঘটনাটি পড়ে অনেক শান্তি পেলাম খুব মধুর একটি সম্পর্ক হয়ে গেল তাদের মধ্যে। একমাত্র আরিফ ও রিভার কারণে তাদের সম্পর্কে জোড়া লাগল। এমন ভালো সন্তানেরাই পারে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করতে।এমন সন্তান যেন সবার ঘরে ঘরে আসুক ধন্যবাদ সুন্দর ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু আপনি ঠিক বলেছেন আরিফ এবং রিভা তাদেরকে একসাথে করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।