গল্প :- কিছু সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া ভালো।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি ঘটনার বলব। বর্তমান সময় দেখা যায় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে নিজেদের পছন্দ মত প্রেম করে। আর এই প্রেমের কারণে অনেক সময় পরিবারকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমাদের পাশে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। আর ঘটনাটি হচ্ছে একটি মেয়েকে নিয়ে। আর মেয়েটির বাবা থাকে বিদেশে এবং বাড়িতে মা আর দুই বোন মিলে থাকে। মেয়েটি বর্তমানে কলেজে পড়ালেখা করে। আর মেয়েটির নাম হচ্ছে লিজা। লিজা পড়ালেখা করে এবং তার বাবার স্বপ্ন হচ্ছে মেয়েকে পড়ালেখা করাবে। আর প্রত্যেক পরিবারের মা-বাবারা চাই ছেলে মেয়ে মানুষ হোক পড়ালেখা করে। লিজার বাবার স্বপ্ন তাকে পড়ালেখা করাবে।

বিগত কয় মাস আগে মেয়েটিকে কলেজ থেকে আসার সময় একটি ছেলে দেখলেন এবং তার পছন্দ হল। এবং ছেলেটি বিদেশ থাকে তার পছন্দের মেয়ে খুঁজতে লাগলো। তখন লিজাকে দেখে তার কাছে ভালো লাগলো। আর ছেলেটি লিজার খবর নিলেন এবং তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। আর ছেলেটির পরিবার এবং বিদেশ থাকার কারণে লেজার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথে তারা রাজি হয়ে গেল। আর ওই সময় লিজাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে ছেলেটির তার পছন্দ হয়েছে কিনা এবং তার মত ও নিলেন। এবং দুই পরিবারের কথা মতে তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক হলেন।

লিজার বাবা বিদেশ থাকার কারণে তার দেখাশোনা এবং সবকিছু তার চাচা করে। চাচা একটি মাদ্রাসা শিক্ষকতা করে এবং তাকে সবাই ভালো জানে। এবং দুই পরিবারে সুন্দর করে অনুষ্ঠান করে বিয়ের আয়োজন করলেন এবং লিজার বিয়ে হলেন। আর লিজার হাসবেন্ড একমাস থেকে বিদেশ আবার চলে গেলেন। এই এক মাসে লিজা কিন্তু তার পরিবারে সাথে খুব সুন্দর ভাবে চলাফেরা করলে। এবং তার স্বামীর সাথেও খুব ভালো ব্যবহার করলেন এবং চলাফেরা করলেন। এবং তার হাজবেন্ড যাওয়ার কিছুদিন পর সে তার কলেজ ক্লাসমেটের সাথে পালিয়ে গেলেন। নাকি ওই ছেলেটির সাথে বিয়ের আগে থেকে তার কলেজে প্রেম ছিল। যখন লিজা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসতে লাগল তখন তাকে আর খুঁজে পেল না।

যখন লিজা বাবার বাড়িতে আসলো না তখন রাত্রে বেলায় লিজার মা তাদের বাড়িতে ফোন দিলেন। এবং লিজার মা বলতে লাগলো বিকালবেলা মেয়ে আসবে বলল। আপনারা কেন মেয়েকে পাঠালেন না। তখন লিজার শাশুড়ি বলতে লাগলো মেয়ে তো বিকেল বেলা আপনাদের বাড়িতে চলে গেল। এই কথা শোনার পর লিজার মা পাগলের মত হয়ে গেল। মেয়ে কোথায় গেলেন এবং তার খোঁজ নিতে লাগল। দুই পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে আর পেলেন না। এদিকে তারা থানা পর্যন্ত গিয়ে জিডি করলেন মেয়ের জন্য। পরবর্তীতে খোঁজ মিললো মেয়েটি তার কলেজ ক্লাসমেটের সাথে পালিয়ে গেলেন এবং বিয়ে করলেন।

অথচ তার পছন্দের ছেলে আছে বিয়ের আগে বলতে পারতো। অনেক জিজ্ঞেস করার পরও ওই সময় বলল তার কোন পছন্দের মানুষ নেই। আর লিজা বিয়ের পরে ভালবাসার মানুষের সাথে গিয়ে তার মা-বাবা এবং চাচাকে মানুষের কাছে ছোট করলেন। বর্তমানে লিজা ওই ছেলের সাথেই আছে। তবে লিজার বাবা বলে দিলে কখনো তার মেয়েকে সে পরিচয় দেবে না। মেয়ের কারণে সমাজে এবং তাদের কাছে ছোট হলো। আর লিডার আগে হাসবেন্ড বিশ্বাস করতে পারল না সেরকম কাজ করবে। বিয়ের পর তার সাথে সুন্দর ব্যবহার চলাফেরা সব করেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া আগেই ভালো। লিজা যদি বিয়ের আগে বলতো তার পছন্দের মানুষ আছে তাহলে আজ দুই পরিবারে এই অবস্থা হতো না। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।