গল্প :-বন্ধুত্বের মাঝেও বড় এবং ছোট আছে।(প্রথম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

IMG_20240926_145126.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বন্ধুত্বের মাঝে বড় ছোট আছে গল্প। আমাদের এলাকায় তিনজন লোক আছে তারা ছোটকাল থেকে বন্ধুত্ব ছিলেন। বলতে গেলে একজন ছাড়া একজন চলতে পারে না। তাদের বন্ধুত্ব এতই গভীর ছিল একজনকে ছাড়া একজন কোথাও যেত না। বন্ধুগুলোর নাম হচ্ছে রাসেল আর রাশেদ এবং সজীব। তারা তিনজন একই ক্লাসে পড়ে এবং ভালো বন্ধুত্ব তাদের মধ্যে। রাশেদ এবং সজীব তারা দুইজন মামাতো ভাই এবং ফুফাতো ভাই।

আর রাসেল হচ্ছে তাদের প্রিয় বন্ধু। মামাতো ভাই এবং ফুফাতো ভাইয়ের সাথে রাসেল খুব ভালই বন্ধুত্ব করেছে। আমরা দেখেছি ছোটকাল থেকে তিনজন একই রং এর শার্ট প্যান্ট ব্যবহার করতেন। তাদের বন্ধুত্ব দেখলে অনেকে বলত তারা এক ওই সুতাই ঘাতা। সব সময় তারা চলাফেরা একসাথে করতেন এবং নাস্তা একসাথে বসে করতেন। তারা যখন এসএসসি পাশ করলেন। তখন রাশেদ এবং রাসেল লন্ডন চলে যান লেখাপড়া করার জন্য। এদিকে সজীব এলাকার কলেজে লেখাপড়া করতেছেন।

যদিও রাশেদ এবং রাসেল থেকে সজীব ভালো ছাত্র। তবে রাশেদ রাসেল এর ফ্যামিলি অবস্থা ভালো ছিল। সজীব তাদের থেকে একটু দুর্বল ছিলেন পরিবার। রাশেদ এবং রাসেল লন্ডনে একই কলেজে পড়ে এবং একসাথে ওখানে থাকে। এদিকে রাশেদ এবং রাসেল বিদেশ যাওয়ার পর সজিবের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। এবং সজিব ব্যাপারটি বুঝতে পারলেন তারা তাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। তারপরও সজীব তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেন।

তবে সজীব বাংলাদেশে পড়ালেখা করতেছেন। মাঝেমধ্যে সজীব রাশেদের আম্মার কাছে গিয়ে রাশেদের নাম্বার চাইলে দিতেন না তারা মা। এবং রাসেলের আম্মু সজীবকে রাসেলের নাম্বার দিতেন না। ওদিকে রাশেদ এবং সজীব মামাতো ফুফাতো ভাই তখন সজীব অনেক কথাই জিজ্ঞাস করতেন তার মামিকে। এবং সজীব বাংলাদেশের মোটামুটি লেখাপড়া করে একটি সরকারি হাই স্কুলে চাকরি এপ্লাই করেছেন। এবং ওই স্কুলের সজীবের চাকরিও হয়েছে।

এদিকে রাসেল এবং রাশেদ একসাথে লেখাপড়া শেষ করে লন্ডন থেকে দেশে আসলেন। যদিও রাশেদ এবং রাসেল অনেক বছর লন্ডন ছিলেন। যখন সজীব তাদের সাথে দেখা করতে গেলে তারা সজিবের সাথে কথা বলতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তখন রাশেদ এবং রাসেলকে বলতেছে আমি তোদের ছোটকালের বন্ধু তোরা আমার সাথে কথা বলতে রাজি হচ্ছিস না। তবে দুইজন সজীবকে ব্যস্ততা দেখাতেন আমাদের এখন সময় কম তোর সাথে কথা বলার। তখন সজীব যা বোঝার সেই বুঝে গেল। (চলবে)

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0027.jpg

Sort:  
 2 months ago 

রাশেদ রাসেল সজীবের বন্ধুত্বের কাহিনী আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে ছাত্রদের ফ্যামিলিগত বিষয় মেধাগত বিষয়ে সম্পূর্ণটাই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আসলে যাদের টাকা পয়সা হয়ে যায় এবং বেশি শিক্ষা গ্রহণ করে তারা ফেলে আসা বন্ধুদের স্মরণ করতে চায় না দেখা হলেও যেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। ঠিক এখানে লন্ডন ফেরত বন্ধুদের অহংকারে সেটাই ঘটেছে দেখলাম।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু টাকা-পয়সা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা বেড়ে গেলে ফেলে আসা অতীতের বন্ধুত্ব অনেকে ভুলে যায়। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।

 2 months ago 

রাসেল ও রাদেশ সজীবের সাথে কাজটা ঠিক করেনি। আসলে সজীব তাদের ছোট বেলার বন্ধু তাই তাদের উচিত ছিল সজীবের সাথে যোগাযোগ রাখা। আসলে তারা মনে করেছে সাথে যোগাযোগ রাখলে হয়তো তাদের আর্থিক সাহায্য করতে হবে। যাইহোক সবীজ বন্ধুদের সত্যি অনেক ভালোবাসে তাই অপমান করার পরেও তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে চাই। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?

 2 months ago 

ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে। আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রিয় বন্ধুগুলো বন্ধুত্ব থেকে দূরে চলে যায়। রাশেদের রাসেল এবং সজীব তারা খুব ভালো বন্ধু। তবে দেখতেছি রাশেদ এবং রাসেল লন্ডন দেওয়ার পর সজীব থেকে আলাদা হয়ে গেল। তবে এটি শুনে বেশ খারাপ লাগলো রাশেদ এবং রাসেল লন্ডন থেকে আসার পর সজীবের সাথে ব্যস্ততা দেখাতেন। কিছু কিছু বন্ধু আছে তারা নিজেকে অনেক বড় মনে করে। যাইহোক পরের অপেক্ষায় রইলাম খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

 2 months ago 

হ্যাঁ কিছু কিছু বন্ধু আছে নিজেকে অনেক বড় মনে করে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.035
BTC 91335.22
ETH 3181.67
USDT 1.00
SBD 3.00