Even if you don't want to go, you have to leave. Goodbye Gazipur
প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী,
অনেক ব্যস্ততা এবং ক্লান্ত শরীর নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। চলে যেতে হচ্ছে গাজীপুর থেকে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে।
একদিন দুইদিন এভাবে অতিবাহিত হয়েছে ৩০ টি দিন এই গাজীপুর। এই জায়গায় মূলত এসেছিলাম একটি উদ্দেশ্যে তা হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট সম্পূর্ণ করার জন্য। DBL Ceramic Industry Ltd.
আরো একটি দিন থাকতে চেয়েছিলাম অর্থাৎ আজকের দিন বাসায় অবস্থান করে আগামীকাল চলে যাইতে চাইছিলাম। কিন্তু বিকেলে নিউজ আসলো, ৩১ তারিখ ১ তারিখ এবং ২ তারিখ অর্থাৎ একাধারে তিনদিন অবরোধ ঘোষণা করেছে।
তাইতো অতি দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এবং ভোর সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। কেননা সকাল ৭:৩০ মিনিটে বাস ছেরে যাওয়ার সময়। এরপর দ্রুত ব্যাগের মধ্যে কাপড় গুলো তুলে নেই এবং বেডিং পত্র গুলো গুছিয়ে নেই।
কামরুল বন্ধু চলে যাবে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ তার বাড়ি কুষ্টিয়াতে। আমি এবং শরিফুল কামরুলকে কুষ্টিয়ার গাড়িতে উঠে দিলাম। এখন আমরা অপেক্ষা করতেছি আমাদের বাস আসা পর্যন্ত।
বাস কথা ছিল ৭ঃ৩০ মিনিটে সেই বাস আসছে ৮:৩০ মিনিটে। এক সময় অপেক্ষা করার পর যখন বাস আসবে তখন আমি এবং শরিফুল বাসে উঠলাম। বিদায় গাজীপুর, DBL Ceramic Industry.
আমি একদম জানালার পাশেই বসে রয়েছি প্রচন্ড বাতাস আসতেছে জানালা দিয়ে। মাথার চুল এদিক ওদিকে। চিন্তা ধারা বগুড়ায় কলেজে অষ্টম সেমিস্টার এর ফরম ফিলাপ সম্পন্ন করে বাসায় চলে যাব এজন্যই অতি সকালে বের হওয়া।
গাজীপুর বাইপাস যাওয়ার পূর্বেই প্রচন্ড জ্যাম। রাস্তার মেরামতের কাজ চলতেছে অন্য দিকে রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, পরের দিন থেকে অবরোধ।
প্রায় জ্যাম জটের মধ্যে 15 থেকে 20 মিনিট অতিবাহিত হয়। আমরা যেই বাসের মধ্যে উঠেছি খুব একটা একটানা না গিয়ে, তাদের নিজস্ব কিছু কাউন্টার রয়েছে সেগুলো থেকে লোকজন তুলে নিচ্ছে। অনেক সময় ব্যয় হয়েছে এই যাতায়াতের ক্ষেত্রে।
একটা বিষয় আমি ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি, এই গাজীপুর এলাকায় শিল্প ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে ভরপুর। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে গাজীপুর এলাকায় সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে ভরপুর। বিভিন্ন জেলা বিভাগ থেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
আবার পোশাকশিল্প দিয়ে যেন সমারোহ। প্রচুর পরিমাণে পোশাক শিল্পে মানুষ কর্মরত আছে।গাজীপুর এলাকায় পোশাক শিল্প শ্রমিকদের যখন বিকেল বেলায় ছুটি হয়, তখন বাহিরে বের হওয়া যায় না। লোকে লোকারণ্য, বাজার ঘাটে শুধু মানুষের সমাগম দেখা যায়।
শুধুমাত্র সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি আর পোশাক শিল্পতেই ক্ষ্যান্ত নয়! বড় সিমেন্ট শিল্প, রট, প্লাস্টিকের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় এই গাজীপুরে।
ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গায় পোশাক শিল্প বা বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান করে উঠেছে। বাংলাদেশ অনেক ডেভেলপ হয়েছে অতীতের তুলনায়। এই বিষয় গুলো ভালোভাবে চিন্তা করলাম এবং পরিদর্শন করলাম যাতায়াতের সময়ে। কেননা বাসের মধ্যে দীর্ঘ একটি সময় অতিবাহিত হয়েছে, তখন আমি বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলাম।
যমুনা সেতু অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু সেতু। যখন আমরা এই সেতুতে উঠলাম তখন সময় ছিল 12:00। প্রায় 8 থেকে 9 মিনিট লেগেছে এই যমুনা সেতুর এই পার থেকে ওই পার যাইতে বাস এর মাধ্যমে।
বাসের মধ্যে প্রচন্ড ঘুম ধরে গিয়েছিল। রাত্রিবেলায় ঘুমাই ছিলাম দুইটার দিকে আবার ঘুম থেকে উঠছি ছয়টার দিকে, ঘুম থেকে উঠেই জার্নি শুরু। রাস্তা দিয়ে প্রচুর ডাস্ট। মাথা ঘুরতেছে ইতিমধ্যে দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ছয় ঘন্টা জার্নি করে একদম অবস্থা নাজেহাল।
টার্গেট ছিল কলেজের ফরম ফিলাপ সম্পূর্ণ করে বাসায় চলে যাব কিন্তু বাসের মধ্যে প্রচন্ড সময় লেগেছে এরপর কলেজে একাউন্টিং স্যার ছিলনা এজন্য কোন কিছুই আর হলো না। দুপুরের খাবার খেয়েছি সেই পাঁচটার দিকে যেন বাসায় যাইতে পারি এজন্য খাওয়া দাওয়া অনেক দেরিতে করেছি কিন্তু কাজ হলো না।
যাই হোক পরিশেষে শেরপুর কাকার বাসায় অবস্থান করলাম অর্থাৎ থাকলাম। সেখানে ছোট ভাই এবং বোন ছিল তাদের সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করলাম।
আজকের মত এ পর্যন্তই। দেখা হবে অন্য কোন লেখা নিয়ে এসে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন।
@meraindia
account @null
account for price increase.
Sungguh perjalanan yang sangat panjang, semoga harimu selalu menyenangkan saudara
Terima kasih saudaraku. Sekali lagi terima kasih telah meluangkan waktu Anda yang berharga, mengunjungi postingan saya dan mengirimkan komentar.
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1719275975614369909?t=fXpYSbkIB1rao6TGYpS-AA&s=19
টানা অবরোধ শুরু হওয়াতে রাস্তায় গাড়ি তেমন নেই তার উপর বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে চালকরা। আপনি গাজীপুর এর নিজের ট্রেনিং শেষ আসার সময় সকল কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক তথ্য পেলাম যা আগে জানতাম না।
হ্যাঁ যতটুকু সম্ভব আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আপনি ট্রেনিং শেষে বাসায় একদিন আগে ই চলে আসছেন, অবরোধের জন্য। শেরপুরে কাকার বাসায় ছোট ভাই বোনদের সাথে সুন্দর সময় কাটালেন। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।
উপায় নেই, অবরোধে থেকে গেলে আরো সমস্যা বেশি হতো, এজন্যই চলে আসলাম।
খুব ভালো করেছেন ভাইয়া।আমার ছোট যে ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ে সেও গত কাল ভোর ৫টার বাসে গেল। ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
হুম।
What means by the huo dear?
হাঁ 😀
আজ কী বেশি খুশি?