মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্ত শিল্প প্রদর্শনী মেলা-২০২৩
এখনো আমাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়নি। সকাল বেলায় পরীক্ষা দিতে গেলাম। দুপুরে ব্যাট বল খেলার পর হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম বন্ধুরা মিলে যাব তাঁত ও বস্ত্র শিল্প মেলায়।
হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়েই সবাই রেডি হয়ে যাচ্ছি তাঁত ও বস্ত্র শিল্প মেলার উদ্দেশ্যে। আজ থেকে প্রায় তিন থেকে চার দিন আগের কথা।
আমরা বন্ধুরা মিলে সবাই রেডি হয়ে বাহির হলাম। বললাম চল সবাই মিলে সেলফি উঠি। সবাই মিলে সেলফি উঠলাম।
সবাই মিলে গাড়িতে উঠলাম বনানীতে গিয়ে নামলাম। যেহেতু একদম কলোনিতে যাবে না যেহেতু ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে।
আবার বনানী থেকে কলোনির জন্য একটি গাড়ি ঠিক করলাম সেই গাড়িতে উঠে চললাম। নামার পর সেখান থেকে একটু হেঁটে হেঁটে মেলার গেটে চলে আসলাম।
যাচ্ছি আমরা আটজন। সবাই মিলে টিকিট কাটলাম। ২০ টাকা করে টিকিট। টিকিট কাটার পর সবাই মিলে ভেতরে ঢুকলাম। আমার কাজ হচ্ছে ফটো তোলা, যেহেতু আমার এই ফটোগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। বাকি যার যার মত ফটো তুলতেছে।
পানির এই সৌন্দর্যের কাছে গিয়ে সেলফি উঠলাম। চতুর সাইট থেকে পানি গুলো উপর দিকে উঠতেছে।
বন্ধুকে বললাম আমাকে একটু ছবি তুলে দে। কেননা এই দৃশ্যটি অনেক সুন্দর। এই সৌন্দর্য পানির কাছে দাঁড়িয়ে আছি পিছন থেকে পানি গুলো উপর দিকে উঠতেছে সামনে থেকে বন্ধু ছবি তুলতেছে।
একদম ঝিলিমিলি কারবার। কখনো পানি সেই স্পিডে উপর দিকে উঠছে আবার আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে এভাবে পানিটার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে তুলছে।
পানির দৃশ্যের পর আবার একটু সামনে অগ্রসর হলাম। দেখতেছি নৌকা আরো দেখছি নাগর দোলা। এইগুলোতে মানুষ আর দোল খাচ্ছে।
নৌকা নৌকার মতোই ঢেউ খেলাচ্ছে। একবার উপরে উঠছে আবার নিচে নামতেছে।
নাগরদোলা কিংবা চরকি এটাতে উঠে মানুষ উপর থেকে নিচে নামতেছে এভাবে গোল চক্কর ঘুরতেছে।
এই খেলনা হচ্ছে ছোটদের জন্য। ছোটরা টিকিট কেটে এই থাই জাম্প স্ল উপরে উঠছে এবং নিচের দিকে নামতেছে। উপর থেকে নিচের দিক একদম স্লোলি ভাবে নামতেছে।
আমরা প্রায় প্রত্যেকটা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখতেছি। আসলে তাঁত বস্ত্র শিল্প মেলায় কি আয়োজন। এই দোকানে ঢোকার পর দেখলাম সোনালী রঙে ঝিলমিল করতেছে সম্পূর্ণ দোকান।
বিভিন্ন রকমের আসবাবপত্র। বিভিন্ন প্রেম সোনালী রং দ্বারা আচ্ছন্ন, লেখা রয়েছে বিভিন্ন রকমের লেখা। কোন কোন প্রেমে রয়েছে সৃষ্টিকর্তার ৯৯ টি নাম। আবার কোথাও লেখা রয়েছে শুধু সৃষ্টিকর্তার একটিমাত্র নাম আল্লাহ । এভাবে আরো অনেক লেখা মা-বাবা ।
অনেকগুলো দোকান রয়েছে যেগুলোতে ফুলে ফুলে ভরপুর। সবগুলোই প্লাস্টিকের ফুলে সাজানো। আবার কেউবা চাইলে তাদের গেট এবং বাসা সম্পূর্ণ সাজিয়ে নিতে পারে এই ফুলগুলো দ্বারা।
আবারো রয়েছে ভূতের বাড়ি। এই ভূতের ঘরের মধ্যে যে প্রবেশ করবে সে হার্ট অ্যাটাকও করতে পারে যাদের হার্ট দুর্বল।
তবে অতটাও ভয়ঙ্কর নয় শুধুমাত্র আওয়াজ এবং কার্টুন টাইপের ভয়ংকর দৃশ্য।
এটি হচ্ছে মেয়েদের জন্য রান্না বান্না করার সময় এবং তৈরির দরকারি কাটার সময় এমনকি মাছ কাটার সময় অনেক উপকারী সব যন্ত্র।
অতি দ্রুত রান্নাবান্না করার প্রক্রিয়া এবং উপকরণ তারা বিক্রি করার জন্য এখানে ডিসপ্লে করে রেখেছে এমনকি তারা প্র্যাকটিক্যাল কাজ করেও দেখাচ্ছে।
বিভিন্ন রকমের খেলনা রয়েছে। এরমধ্যে মাছ এমন কি পাথর রয়েছে। সমুদ্রের মতো দেখাচ্ছে যে মাছ সেখান থেকে ঘোরাফেরা করতেছে।
এই বল নাড়াচাড়া করলে মাছ দৌড়াদৌড়ি করে। অনেক চমৎকার একটি দৃশ্য এবং খেলনা ছোটদের জন্য।
বন্ধুকে ফুলের দোকানে এনে মেয়েদের মত করে সাজিয়ে দিলাম। বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। মাথায় ফুলের বেনি হাতে গোলাপ ফুল। কিন্তু পাশে নেই কোন বান্ধবী।
সবশেষে বাহির হলাম এই পথ দিয়ে। তবে অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেল আপনাদের সাথে শেয়ার করতে কেননা বিশাল বড় মেলা তুলে ধরতে পারলাম না তাই আপনাদের সামনে।
যেহেতু এটা তা তো বস্ত্র শিল্প মেলায় সেহেতু এখানে জামদানি শাড়ি এবং বিভিন্ন রকমের জামা কাপড়ে ভরপুর। কারু কাজ করা কাপড়।
ধন্যবাদ। এই বাহির পথ দিয়ে বাহির হলাম। আজ এ পর্যন্তই দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এক ব্লগে সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
ভাই বাড়ির কাছে মেলা,সেই মেলা দিয়ে ঘুরে ঘুরে যান, অথচ দাওয়াতও দেন না, একবার বলেনও না। খুব ব্যথা পেলাম ভাই।
সত্যি বলতে,এই মেলাতে হেঁটে যেতে মাত্র ৬ থেকে ৭ মিনিট সময় লাগে আমার। এখন পর্যন্ত একবারও যায়নি।মানে এই বছরে যায়নি, গত বছরে গিয়েছিলাম। যাইহোক এ বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো৷ ভালো থাকবেন।
আমি দুঃখ প্রকাশ করতেছি। বন্ধুবান্ধবদের সাথে গেছি তো এ কারণে মনে ছিল না।
ওকে। নো প্রবলেম।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you for your attention.
আপনারা দেখছি মেলার প্রত্যেকটা দোকানেই প্রবেশ করেছেন। এবং প্রত্যেকটা জিনিস খুব সূক্ষ্মভাবে পরিদর্শন করেছেন।
একটা জায়গায় এসে দেখি আপনি আপনার বন্ধুকে পুরো মেয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন। আসলে খুব সুন্দর লাগছিল। মাথায় ফুলের ফুলঝাড়ি হাতে ফুল মনে হচ্ছে কাউকে প্রপোজ করছে।
এক কথায় আবার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভূতের বাড়িতে যে যাবে তার হাত অ্যাটাক হতে পারে। বিষয়টা আপনি তুলে ধরেছেন। আসলে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনা যদি কারো সাথে ঘটে। সেখানে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে। যাই হোক আমার পোস্ট করে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আসলে কাউকে প্রপোজ করেনি এমনিতেই আমরা বন্ধুকে সাজিয়ে দিয়েছিলাম।
যাইহোক আপনি খুব ভালো ভাবে পড়েছেন এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন।